অতিথির স্মৃতি গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর : হাওয়া বদলের জন্য দেওঘরে গিয়ে পথে এক কুকুরের সঙ্গে লেখকের পরিচয় হয়। পথ চলতে চলতে কুকুরের সঙ্গে লেখকের হৃদ্যতা সৃষ্টি হলেও লেখক বাড়িতে পৌঁছে গেট খুলে দিলে সে ভেতরে ঢুকতে ভয় পায়। কারণ অচেনা কুকুর বাড়ির ভেতরে ঢুকলে অনেক সময় তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। তাই ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে লেখকের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও অতিথি কুকুরটি ভেতরে ঢোকার সাহস পায়নি।
অতিথির স্মৃতি গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর
১. অতিথি কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন?
উত্তর: নতুন পরিচয়ের সংকোচে অতিথি কিছুতে ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না।
হাওয়া বদলের জন্য দেওঘরে গিয়ে পথে এক কুকুরের সঙ্গে লেখকের পরিচয় হয়। পথ চলতে চলতে কুকুরের সঙ্গে লেখকের হৃদ্যতা সৃষ্টি হলেও লেখক বাড়িতে পৌঁছে গেট খুলে দিলে সে ভেতরে ঢুকতে ভয় পায়। কারণ অচেনা কুকুর বাড়ির ভেতরে ঢুকলে অনেক সময় তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। তাই ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে লেখকের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও অতিথি কুকুরটি ভেতরে ঢোকার সাহস পায়নি।
২. লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নিতে নানা অজুহাতে দিন দুই দেরি করলেন কেন?
উত্তর: অতিথির প্রতি মমতার টানে লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নিতে দিন দুই দেরি করলেন।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে এলে একটি কুকুর তার বেড়াতে যাওয়ার একমাত্র সঙ্গী হয়। প্রতিদিন কুকুরটি বাড়ির গেটের সামনে অপেক্ষা করে লেখকের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য। কুকুরটির এরূপ আচরণে লেখকের মনে তার জন্য অকৃত্রিম মমত্ববোধ জেগে ওঠে। তাই দেওঘর থেকে ফিরতে নানা অজুহাতে লেখক দিন দুই দেরি করলেন।
৩. চাকরদের দরজা খোলার শব্দ শুনে অতিথি ছুটে পালিয়েছিল কেন?
উত্তর: চাকরদের দরজা খোলার শব্দে অতিথি (কুকুরটি) ছুটে পালিয়েছিল পুনর্বার মার খাওয়ার ভয়ে।
লেখক তার প্রিয় অতিথিকে খেতে দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন বাড়ির মালি বউকে। চাকরদের তাতে ভীষণ আপত্তি ছিল। কারণ বেঁচে যাওয়া খাবারের অংশীদার ছিলেন তিনি। তাই মালি বউ লেখকের অতিথিকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময় সুযোগ পেয়ে অতিথি লেখকের দুয়ারে এসে নীরব ভাষায় অভিযোগ জানায় আর মালি বউয়ের দরজা খোলার শব্দ পেয়ে পুনরায় যেন আবার মার খেতে না হয় সেজন্য ছুটে পালায়।
৪. কুকুরটি ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন?
উত্তর: নতুন পরিচয়ের সংকোচে কুকুরটি ভিতরে ঢোকার ভরসা পেল না।
হাওয়া বদলের জন্য দেওঘরে গিয়ে পথে এক কুকুরের সঙ্গে লেখকের পরিচয় হয়। পথ চলতে চলতে কুকুরের সঙ্গে লেখকের হৃদ্যতা সৃষ্টি হলেও লেখক বাড়িতে পৌঁছে গেট খুলে দিলে সে ভেতরে ঢুকতে ভয় পায়। কারণ অচেনা কুকুর বাড়ির ভেতরে ঢুকলে অনেক সময় তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। তাই ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে লেখকের আমন্ত্রণ সত্ত্বেও অতিথি কুকুরটি ভেতরে ঢোকার সাহস পায়নি।
৫. লেখক দেওঘরে গিয়েছিলেন কেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর: গল্পকথক বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে গিয়েছিলেন।
বায়ু পরিবর্তন বলতে খোলামেলা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কিছুদিনের জন্য ভ্রমণকে বোঝায়। এর ফলাফল সম্পর্কে গল্পকথকের ধারণা খুব ইতিবাচক ছিল না। তবু চিকিৎসকের নির্দেশ পালনের জন্য তিনি দেওঘর নামক জায়গাটিতে গিয়েছিলেন।
৬. লেখকের সত্যিকার ভাবনা ঘুচে গেল কীভাবে?
উত্তর: হলদে রঙের বেনে-বৌ পাখি দুটিকে আবার দেখতে পেয়ে লেখকের সত্যিকারের ভাবনাটা ঘুচে গেল।
প্রতিদিন সকালে দেওঘরে ইউক্যালিপটাস গাছে এক জোড়া হলদে রঙের বেনে-বৌ পাখি এসে বসত এবং লেখক তা দেখতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন পাখি দুটি না আসায় লেখক ভাবলেন, হয়তো কেউ পাখি দুটিকে শিকার করেছে। কিন্তু তিন দিনের দিন পাখি দুটি আবার ফিরে আসে। তা দেখে লেখকের সত্যিকার একটা ভাবনা ঘুচে যায়।
৭. লেখকের অতিথির চোখ দুটো ভিজে ভিজে দেখাচ্ছিল কেন?
উত্তর: অতিথিশালার লোকদের কাছে নিগৃহীত হয়ে লেখকের কাছে নালিশ জানাতে এসে কুকুরটির চোখ ভিজে ভিজে দেখাচ্ছিল।
লেখকের নির্দেশমতো খাদ্য পাওয়ার পরিবর্তে কুকুরটির কপালে জুটেছিল মারধর। তাই একদিন দুপুরে বাড়ির চাকরদের অগোচরে কুকুরটি নালিশ জানাতে সমব্যথীর কাছে নিজের দুর্ভাগ্যের কথা জানাতে গিয়ে তার চোখ দুটি ভিজে ভিজে হয়ে যায়।
৮. ‘সত্যিকারের একটা ভাবনা ঘুচে গেল’ কীভাবে?
উত্তর: হলদে রঙের বেনে-বৌ পাখি দুটিকে আবার দেখতে পেয়ে লেখকের সত্যিকারের ভাবনাটা ঘুচে গেল।
প্রতিদিন সকালে দেওঘরে ইউক্যালিপটাস গাছে এক জোড়া হলদে রঙের বেনে-বৌ পাখি এসে বসত এবং লেখক তা দেখতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন পাখি দুটি না আসায় লেখক ভাবলেন, হয়তো কেউ পাখি দুটিকে শিকার করেছে। কিন্তু তিন দিনের দিন পাখি দুটি আবার ফিরে আসে। তা দেখে লেখকের সত্যিকার একটা ভাবনা ঘুচে যায়।
৯. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে নালিশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে নালিশ বলতে মালিনীর প্রতি অবলা কুকুরটির অভিযোগসুলভ অভিব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
গল্পে অতিথি কুকুরটি ভেজাভেজা চোখে গল্পকারের কাছে মালিনী ও চাকরদের দুর্ব্যবহারের জন্য অভিযোগ প্রকাশ করছে নীরব ভাষায়। কুকুরটির এ নির্বাক চাহনিকে লেখক নালিশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
১০. ‘পাখি চালান দেয়াই তাদের ব্যবসা’ কোন প্রসঙ্গে এ কথাটি বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পাখি শিকারিদের প্রসঙ্গে লেখক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে লেখক বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে গিয়েছিলেন। সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে তিনি নানা জাতের পাখি দেখতে পান। এদের মধ্যে ছিল হলদে রঙের একজোড়া বেনে-বৌ পাখি। ইউক্যালিপটাস গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালটাতে বসে তারা প্রত্যহ হাজিরা হেঁকে যেত। হঠাৎ দিন দুয়েক এ পাখি জোড়াকে আসতে না দেখে লেখকের মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তার মনে সন্দেহ জাগে, ব্যাধেরা হয়তো তাদের ধরে বিক্রি করে দিয়েছে।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা বই থেকে অতিথির স্মৃতি গল্পের অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখানে দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো। এছাড়াও বাংলা বইয়ের গল্প-কবিতার সৃজনশীল, জ্ঞানমূলক, বর্ণনামূলক এবং বহুনির্বাচনি সমাধানের জন্য উপরের লিংকটি অনুসরণ করো।
Discussion about this post