অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর : বিভিন্ন জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি শরীরে প্রবেশের ফলে সৃষ্ট রোগই হলো সংক্রামক রোগ। এ শিখন অভিজ্ঞতার শুরুতে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার ও আশেপাশের মানুষ থেকে প্রচলিত সংক্রামক রোগগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
এর সূত্র ধরে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারের ঘটনা- অর্থাৎ লুই পাস্তুর কীভাবে এই মরণঘাতী রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে একটা শিশুর জীবন রক্ষা করেছিলেন সেই ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করবে। জলাতঙ্ক, কোভিড ইত্যাদি ভাইরাসবাহিত রোগ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে তারা ভাইরাসের গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানবে এবং কীভাবে তারা বিভিন্ন রোগ ছড়ায় সে বিষয়ে ধারণা গঠন করবে।
অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
একইসাথে অন্যান্য অণুজীবের গঠন ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে তাদের মধ্যে একই ধরনের প্যাটার্ন অনুসন্ধান করবে। প্রকৃতিতে অণুজীবের ভূমিকা এবং মানুষের কীভাবে কাজে আসে তা নিয়েও তারা এই পর্যায়ে আলোচনা করবে এবং মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর মতোই প্রকৃতির অংশ হিসেবে অণুজীবদের অস্তিত্ব উপলব্ধি করবে।
এরপর নতুন ধারণার ভিত্তিতে তাদের এলাকায় যেসব সংক্রামক রোগের কথা তারা জেনেছে সেগুলোকে আবার বিশ্লেষণ করবে, কোন অণুজীব কোন রোগের জন্য দায়ী তা অনুমান করার চেষ্টা করবে। সবশেষে এসব রোগ থেকে বাঁচতে যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন তা তালিকা করবে এবং এলাকায় সবাইকে জানানোর জন্য যোগাযোগ পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করবে।
সেশন শুরুর আগে
অদৃশ্য প্রতিবেশী!! এটা আবার কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫০)
উত্তর : আমাদের চারপাশে এমনকি আমাদের দেহে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য অণুজীব, যাদেরকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। এরাই হচ্ছে অদৃশ্য অণুজীব। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এন্টামিবা, ছত্রাক, শৈবাল ইত্যাদি। আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান অনেক প্রতিবেশীর পাশাপাশি এরাও আমাদের জীবনকে ঘিরে রেখেছে। অনেক অণুজীব যেমনি আমাদের ক্ষতি করছে, তেমনি কিছু কিছু অণুজীব আমাদের উপকারও করছে।
প্রথম সেশন শুরুর আগেই তোমাদের একটা কাজ করতে হবে। আগের সেশন শেষেই তোমরা এলাকাভিত্তিক জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবার জন্য তোমাদের বাড়ির ঠিকানা লিখে জমা দাও। শিক্ষকের সহায়তায় তোমরা এলাকাভিত্তিক কয়েকটি জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবে। প্রত্যেকটি
জোড়া/দলের একটি করে সুন্দর নাম দেবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫০)
এখন কাজ হলো তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগ আছে সেগুলো খুঁজে বের করা। তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়? কী কী কারণে এসব রোগ ছড়ায়? কী কী করলে এসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়? আপাতত এই তথ্যগুলো জোগাড় করতে হবে তোমার চারপাশ থেকেই। তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বা পাড়া- প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পারো।
Quick Notes
১. তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়?
উত্তর : আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ দেখা যায়। যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ¥া, হাম, গুটিবসন্ত, সোয়াইনফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইবোলা, জলাতঙ্ক, কোভিড-১৯ ইত্যাদি।
২. কী কী কারণে সংক্রামণ রোগ ছড়ায়?
উত্তর : যেসকল কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ায়, যেমন- জীবাণুযুক্ত পানি, বায়ু দূষণ, হাঁচি-কাশি সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত প্লেট, গ্লাস, চেয়ার-টেবিল, টয়লেট, জামাকাপড়, মশার কামড়, কুকুরের কামড় ইত্যাদি।
৩. কী কী করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়?
উত্তর : যেসব কাজ করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়, যেমন- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, নিরাপদ পানি ব্যবহার করা এবং হাত জীবাণুমুক্ত রাখা। এছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা, চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। বাড়ির আশপাশে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা যেমন- কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, এখানে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করেও আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারি।
তোমাদের প্রত্যেক জোড়ায়/দলের একজন সদস্যের এলাকার এমন একটি সংক্রামক রোগ বাছাই করে নিবে যেটা তার এলাকায় বিদ্যমান। যার এলাকার সংক্রামক রোগ বাছাই করা হয়েছে তার এলাকায় সুবিধাজনক সময়ে উক্ত সংক্রামক রোগের তথ্য জোড়ায়/দলে সংগ্রহ করবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫০)
তথ্য সংগ্রহে তোমরা তথ্য ছক-১ ব্যবহার করবে। তথ্য ছকটি বুঝতে অসুবিধা হলে প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নিবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫১) (বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন
৪. জলাতঙ্ক কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫১)
উত্তর : জলাতঙ্ক একটি তীব্র ভাইরাল রোগ, যা সংক্রমিত কোনো প্রাণীর (বিশেষত কুকুর) লালা থেকে ছড়ায়। এ রোগটি হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত।
৫. জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ উল্লেখ কর। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫২)
উত্তর : জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ-
১. প্রথমে জ্বর শুরু হয়।
২. শরীরে অস্বাভাবিক এক বিষণœতা আসে।
৩. আস্তে আস্তে ভয়ানক খিঁচুনি শুরু হয়।
৪. পানির তেষ্টায় বুক ফেটে যেতে চায়।
৫. পানি মুখে দিলেই ভয়ঙ্কর খিঁচুনি হয়।
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন
এ সেশনে তোমরা অনুসন্ধানী পাঠ, অনুশীলন বই ও নিজেদের আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন অণুজীবের (ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, শৈবাল ও ভাইরাস) গঠন, বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট করে নিবে। প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নাও।
৬. ভাইরাসের গঠন ব্যাখ্যা কর। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৪)
উত্তর : ক্ষমতাসম্পন্ন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া ভাইরাসকে দেখা যায় না। ভাইরাস গোলাকার, দ-াকার, ব্যাঙাচির মতো ইত্যাদি আকৃতির হতে পারে। ভাইরাসকে অণুজীব হিসেবে বিবেচনা করলেও এগুলোর আসলে স্বাধীন জীবন নেই। পরিবেশে এগুলো থাকে নির্জীব কণা হিসেবে। কিন্তু অন্য কোনো জীবের কোষে প্রবেশ করার পর ভাইরাস জীবের মতো আচরণ করতে পারে। ভাইরাসের দেহে কোষপ্রাচীর, সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই নেই। তাই ভাইরাস দেহকে অকোষীয়ও বলা হয়। এগুলো শুধু আমিষ (প্রোটিন) আবরণ ও নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত এগুলোর আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড বের হয়ে গেলে এগুলোর জীবনের সকল লক্ষণ হারিয়ে ফেলে। তবে অন্য জীবকোষে প্রবেশের পর যখনই সেগুলো প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক অ্যাসিডকে একত্র করতে পারে, তখন এগুলো জীবনের সব লক্ষণ ফিরে পায়। অর্থাৎ জীবিত জীবদেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাইরে এগুলো জীবনের কোনো লক্ষণ দেখায় না। এ কারণে ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী।
অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
৭. ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা কর। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৪)
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব (অর্থাৎ এগুলোর অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না)। বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার, দ-াকার, কমা আকার, প্যাচানো ইত্যাদি ধরনের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সরল আণুবীক্ষণিক জীব হলেও সেগুলোর কিন্তু একটি সুগঠিত কোষীয় গঠন রয়েছে। এসব কোষের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রকৃতকোষী বা অকোষীয় অন্য জীবে পাওয়া যাবে না।
ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী জীব। এর অর্থ, এসব কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয়। একটি আদর্শ নিউক্লিয়াসের নিজস্ব পর্দা থাকে, যা নিউক্লিয়াসটিকে কোষের অন্য অংশ থেকে পৃথক করে রাখে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। সেগুলোর মূল নিউক্লিয়ার বস্তু তথা ডিএনএ (উঘঅ) কোষের প্রোটোপ্লাজমে অবস্থান করে। এগুলোকে নিউক্লিয়েড বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষে মূল নিউক্লিয়ার বস্তু ছাড়াও বৃত্তাকার এক বা একাধিক ডিএনএ দিয়ে তৈরি গঠন থাকে। এগুলোকে বলা হয় প্লাসমিড ।
৮. অণুজীব কী শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ, নাকি আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৪)
উত্তর : অণুজীব শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ নয়। এরা আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে। যেমন- কিছু কিছু অণুজীবের (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক) কিছু প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বা আচরণ আমাদের উপকারে আসে। যেমন- দই, মাশরুম ইত্যাদি।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন
তোমরা অণুজীব সম্পর্কে যে নতুন ধারণা পেয়েছ, তার ভিত্তিতে তোমাদের এলাকায় যেসব সংক্রামক রোগের কথা তোমরা জেনেছ সেগুলোকে আবার দলে বিশ্লেষণ করবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৫)
বিশ্লেষণে কোন অণুজীব কোন রোগের জন্য দায়ী তা অনুমান করার চেষ্টা করবে। বিশ্লেষণের তথ্য দিয়ে ছক-২ পূরণ করে নাও। (বিশেষ দ্রষ্টব্য: ছকটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
ফিরে দেখা
১. লুই পাস্তুর আর জোসেফ মাইস্টারের ঘটনাটা শুনে তোমার কী মনে হলো? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৬)
উত্তর : লুই পাস্তুর আর জোসেফ মাইস্টারের ঘটনাটি শুনে আমার মনে হলো লুই পাস্তুর যদি সেই সময় জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসায় গবেষণা না করতো এবং ঝুঁকি নিয়ে জোসেফ মাইস্টারের শরীরে জীবাণু প্রবেশ না করাতো তাহলে সে হয়তো মারা যেত। জোসেফ মাইস্টারকে সুস্থ করে তুলতে লুই পাস্তুর যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন তা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে। এ ঘটনার মাধ্যমেই জলাতঙ্ক নামক মূর্তিমান আতঙ্কের অবসান ঘটা শুরু হয়। একই সাথে অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।
২. এ কাজে তোমরা নতুন কী কী শিখেছ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৬)
উত্তর : এ কাজে আমরা অনেক অণুজীব এবং সংক্রামক রোগ সম্পর্কে জেনেছি। নতুন নতুন অনেক সংক্রামক রোগের নাম শিখেছি। সেই সব সংক্রামক রোগের কারণ, কোন অণুজীব দ্বারা রোগান্বিত হয় তা জানতে পেরেছি। তাছাড়া কাজ করতে গিয়ে সংক্রামক রোগগুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়েছে। আবার কিছু কিছু অণুজীব আমাদের উপকারে আসে আমরা সেসব অণুজীব সম্পর্কেও শিখেছি।
আরো দেখো: ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, উপরে আমরা তোমাদের অদৃশ্য প্রতিবেশী ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করেছি। তোমাদের মূল বইতে যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা ঠিক সেভাবেই উত্তরগুলো তৈরি করেছি। উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post