অনলাইনে এত এত কাজ রয়েছে, যার মধ্যে আপনি খুঁজেই পাচ্ছেন না কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় । অথচ প্রতিদিন প্রায় কয়েক মিলিয়ন মানুষ অনলাইনে ইনকাম করে তাদের জীবিকা অর্জন করছেন। ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিং; এমনই আরো হাজারো উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
আপনার যদি একটি মোবাইল বা কম্পিউটার থাকে, আর তাতে থাকে ইন্টারনেট সংযোগ; তাহলে কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এটি নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতে হবে না। আপনি জাস্ট নেমে পড়ুন অনলাইনে ক্যারিয়ার তৈরিতে।
আপনি কি কম্পিউটারের বেসিক স্কিলগুলো জানেন?
এই আর্টিকেলটি দেখুন: কম্পিউটারের ৭ টি চাহিদাপূর্ণ বেসিক স্কিল
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়?
বর্তমানে বাংলাদেশে এমন হাজারো উদীয়মান উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা শুধুমাত্র অনলাইন নির্ভর উপার্জন করে জীবিকা অর্জন করছেন। কোর্সটিকার আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে অনলাইনে ইনকামের এমন কিছু নির্ভরশীল উপায় দেখাবো, যেগুলো অনুসরণ করে অধিকাংশরা সফল হচ্ছেন।
এসব উপায়ে আপনি ঘরে বসেই আপনার জন্য স্মার্ট একটি আয়ের চিন্তা করতে পারেন। তবে আমরা কখনোই আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবো না যে আপনি ঠিক কতটা সফল হবেন। পুরো বিষয়টিই নির্ভর করবে আপনার আগ্রহ, মেধা এবং পরিশ্রমের ওপর। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়?
১. অনলাইন সার্ভে (Surveys)
শিক্ষার্থীদের অর্থোপার্জনের একটি ক্রমবর্ধমান ও জনপ্রিয় উপায় হল অনলাইন সার্ভে বা জরিপ। বর্তমানে দেশে-বিদেশে প্রচুর গবেষণা সংস্থা রয়েছে। যাদের গবেষণার কাজে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রের জন্য সার্ভে করতে হয়। অনলাইনে ইনকাম করতে আসা শিক্ষার্থীরা সারাবিশ্ব জুড়ে এসব সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে থাকে।
তবে শুধু গবেষণা সংস্থাই নয়, বিভিন্ন কোম্পানী তাদের পণ্যের সম্পর্কে মানুষের মতামত জানতে চায়। তাদের পণ্যের অবস্থান, প্রতিদ্বন্দ্বী এবং জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জেনে পরবর্তী মার্কেটিং পরিকল্পনা সাজায়। আর এজন্য তাদের দরকার পরে অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার বা জরিপকারী।
অনলাইনে সার্ভে কাজ করা তুলনামূলক সহজ। আপনাকে সার্ভে কাজে সহযোগিতা করার জন্য রয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান। তাদের সাথে চুক্তি করলে তারা প্রশ্ন তৈরী করে সেগুলি অনলাইনে ব্যবহার করে। এ সকল সাইটে রেজিস্ট্রেশন করলে বিভিন্ন জড়িপের তালিকা পাওয়া যায়।
এ তালিকা থেকে আপনার পছন্দের সার্ভেটি বেছে নিতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের সার্ভের জন্য প্রশ্ন কম-বেশি, সহজ বা জটিল হতে পারে। আর এর সাথে মিল রেখেই অর্থের পরিমাণ কম-বেশি হয়। সাধারণ একটি সার্ভের জন্য কয়েক সেন্ট থেকে শুরু করে কিছুটা বড় সার্ভের জন্য কয়েক ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
২. ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস রিভিউ
প্রতিদিনই অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে অসংখ্য ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস। এ সকল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসের মালিকেরা তাদের প্রোডাক্টগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য রিভিউ কিনে থাকে। আর এসব রিভিউ লিখে থাকে আপনার আমার মতই সাধারণ মানুষেরা।
বর্তমানে অনলাইনে অর্থোপার্জন করার এটি একটি দ্রুততম উপায়। একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপস ব্যবহারকারীরা কিভাবে ব্যবহার করছেন, এ বিষয়ে আপনি যদি অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তবে এ কাজটি আপনার জন্য। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করার জন্য ১০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
কিভাবে রিভিউ করবেন: এ সকল ডিজিটাল প্রোডাক্ট রিভিউ করার অনেক উপায় রয়েছে। আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে আপনার কাঙ্খিত ওয়েবসাইট বা অ্যাপটি সম্পর্কে রিভিউ লিখতে পারবেন। আবার আপনি ভালো ভিডিও এডিটর হলে, সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনার ভিডিওর মাধ্যমেও উপস্থাপন করতে পারেন।
তবে যেভাবেই করুন না কেন, সবার প্রথমে আপনাকে উক্ত ওয়েবসাইট অ্যাপসটিকে কিছুদিন ব্যবহার করতে হবে। তবেই আপনি এটি সম্পর্কে ভালো জানতে পারবেন।
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে অর্থোপার্জনের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বছরের পর বছর ধরে এর জনপ্রিয়তা উপরে উঠছে। এটি অনলাইনে উপার্জনের এমন একটি ব্যবস্থা, যা একবার শুরু হলে সাধারণত আর থামে না। বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি স্থিতিশীল উপায় হিসাবে প্রমাণিত।
একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবস্থায় আপনাকে কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ড তাদের পণ্য প্রচার করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় করে দেয়। আপনি যদি মার্কেটিং এ মোটামুটি দক্ষ হয়ে থাকেন, তবে পণ্য, সফ্টওয়্যার, অ্যাপস এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্রোডাক্ট প্রচার করে এর প্রতিটি বিক্রয় থেকে কমিশন উপার্জন করতে পারবেন।
এখনকার সময় অনেক ব্লগার এবং সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারগণই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ উপার্জনের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। প্রোডাক্টের কমিশন এবং আপনার প্রচারণার ওপর নির্ভর করে আপনি প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকাও উপার্জন করতে পারেন।
কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস হচ্ছে:
উপরে উল্লেখিত Amazon Associate এবং Ali Express বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম। তাদের রয়েছে লক্ষাধিক প্রোডাক্ট। যার প্রচার করে আপনি উপার্জন করতে পারেন। অপরদিকে Envato Market ওয়ার্ডপ্রেস থিম, প্লাগিন, অডিও, ভিডিও গ্রাফিক্স এলিমেন্টসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে। Namecheap ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে। যা প্রচার করে আপনি প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করতে পারেন।
৪. সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার
আপনি যদি একজন সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে থাকেন, তবে অনলাইনে ইনকাম করা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হতে পারে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার কারা? সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছেন একজন ব্যক্তি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যার প্রচুর ফলোয়ার রয়েছে এবং যিনি তার অডিয়েন্সের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
ফেসবুক বা ইউটিউবে আপনার তৈরি করা কনটেন্টগুলো যদি জনপ্রিয় হয়, তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই সবার নজরে আসতে শুরু করবেন। একটা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য আপনাকে স্পন্সরড করবে।
বর্তমানে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের অধিকাংশই এভাবে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করছে। উদাহরণ স্বরূপ বাংলাদেশের শামীম হাসান সরকার এবং কেটো ভাই সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তারা তাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে সক্ষম হন।
৫. অনলাইন কোর্স তৈরি
প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু প্রতীভা রয়েছে, যা তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা পরিচয় দেয়। আপনি যদি বিশেষ কোন বিষয়ে যেমন: ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বা ভিডিও এডিটিং এর মত ক্রিয়েটিভ বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এগুলোর ওপর নির্ভর করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার জানা বিষয়গুলো নিয়ে ভালো মানের কোর্স তৈরি করুন। এ সকল কোর্স নিজের ওয়েবসাইটে প্রচার করতে পারেন। অথবা চাইলে Udemy বা Coursera এর মত শিক্ষা প্লাটফর্মে কোর্সগুলো আপলোড করতে পারেন। আপনি যদি ভালো মানের কোর্স তৈরি করতে পারেন, এসব জনপ্রিয় প্লাটফর্ম থেকে সেই কোর্স বিক্রি থেকে যথেষ্ট উপার্জন করতে পারবেন।
গবেষণা বলছে অসংখ্য কোর্স ক্রিয়েটর শুধুমাত্র কোর্স বিক্রি করেই প্রতিমাসে $5,000 আয় করছেন। তবে কোর্স তৈরির জন্য আপনাকে কি কঠিন বিষয়েই জানতে হবে? একদমই না। আপনি রান্নায় ভালো? তাহলে সেটিও হতে পারে আপনার কোর্সের বিষয়। অপরদিকে স্বাস্থ্য, বিউটি বিশেষজ্ঞ বা ভালো পোশাক ডিজাইন করতে পারে এমন সকল মানুষের জন্যই অনলাইনে ইনকামের রয়ে হাজারো সমাধান।
৬. ই-বুক লেখা
আপনি কি কখনো ভেবেছেন, যে ই-বুক লিখেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশকিছু তরুণ লেখকের আত্মপ্রকাশ হয়েছে, যারা শুধুমাত্র ই-বুক লিখে প্রচুর উপার্জন করছেন। উদাহরণস্বরূপ 10 Minute School এর মুনজেরিন শহীদের কথা বলা যেতে পারে।
তার লেখা ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ এবং সবার জন্য ভোকাবুলারি বই দুটি অনলাইনে লক্ষাধিকবার সেল হয়েছে। এটি সম্পূর্ণই PDF ভার্সনে তৈরি ই-বুক, যা খুব অল্প সময়েই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
তাই আপনি যদি কোন শিক্ষনীয় বিষয় সম্পর্কে লিখতে পচ্ছন্দ করেন, আপনাকে কেবল ইবুকটি লিখতে হবে, এটির ফর্ম্যাট করতে হবে, একটি ইবুক কভার তৈরি করতে হবে, প্রকাশ করতে হবে এবং প্রচার করতে হবে। ব্যাস, এরপর থেকে এর বিক্রি শুরু এবং আপনার উপার্জন শুরু।
অনলাইন ই-বুক বিক্রি করে অর্থোপার্জন করতে আপনি বিভিন্ন উপায়ে এটির মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি কিছু দিনের জন্য এটির একটি ফ্রি ভার্সন সবাইকে দিতে পারেন। এতে করে আপনার লেখা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ধারণা জন্মাবে।
৭. ব্লগিং
বর্তমানে অনলাইনে ইনকামের ক্ষেত্রে ব্লগিং একটি স্মার্ট চয়েজ, যা অনেককেই সাফল্য এনে দিয়েছে। একটি ওয়েবসাইটে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার লেখাগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন। একটি পর্যায়ে যখন আপনার লেখাগুলো সবার কাছে জনপ্রিয় হবে এবং ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক আসবে, তখন আপনি Google Adsense এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।
Adsense হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে সবথেকে বেশি প্রচলিত বেস্ট এ্যাড নেটওয়ার্ক, যা প্রায় অধিকাংশ ব্লগারই ব্যবহার করে থাকে। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন সরবারহ করে থাকে। যা তাদের অন্যদের মধ্যে সেরা করে তুলেছে।
আপনার Adsense এ্যাকাউন্টে যদি অন্তত ১০০ ডলার থাকে, তাহলেই আপনি তা উত্তোলন করতে পারবেন। আর আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ ডলার ইনকাম খুব কঠিন কিছুই না। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে হাতে নিতে পারেন।
৮. ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইন ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে এখন যে কেউ ঘরে বসেই যথেষ্ট পরিমাণে উপার্জন করতে পারে। যুগান্তরে ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশে ৬ লক্ষের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি যদি বিশেষ কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন, তবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আপনি বেশ সফলতা অর্জন করতে পারেন। অনলাইনে ফাইবার বা আপওয়ার্কের মত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে মানুষ বিশেষ কোন কাজ সম্পাদনের জন্য দক্ষ লোক খোঁজে। আপনার যদি এসব মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল থাকে, তবে আপনি খুব সহজেই উক্ত কাজগুলো করতে পারেন।
কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস:
এসকল মার্কেটপ্লেসে ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা প্রতিদিন কাজ করে মাসে হাজার ডলার উপার্জন করছে। আপনি যদি আগ্রহী হন এবং ভালোভাবে অনুশীলন করেন, তবে আপনার জন্যও এ পরিমাণে উপার্জন অসম্ভব হবে না।
৯. ছবি বিক্রি
আপনি কি ছবি তুলতে পছন্দ করেন? ক্যামেরা হাতে হাতে ছবি তোলা কি আপনার নেশা? তাহলে এই নেশাকেই আপনি আপনার পেশায় পরিণত করতে পারেন। অনলাইনে এমন অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার তোলা চমৎকার ছবিগুলো বিক্রি করে রয়্যালিটি উপার্জন করতে পারেন।
অনলাইনে ছবি বিক্রির কয়েকটি ওয়েবসাইট:
তবে শুধু ক্যামেরায় তোলা ছবিই না, আপনি যদি ইলাস্ট্রেটরে ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার তৈরি বিভিন্ন অবজেস্ট বা গ্রাফিক এলিমেন্টও এসকল মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন।
১০. অনলাইন টিউটর
বাংলাদেশে করোনাকালীন সময়ে অনলাইন টিউশন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। করোনার কারণে এখন যেহেতু সবাই বাসায় থাকে, তাই এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইন টিউশনের চেষ্টা করতে পারেন।
Studenomics এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয় Bohdan নামের এক যুবক শুধুমাত্র অনলাইন টিউশন করে প্রতিমাসে প্রায় ২১০০ ডলার উপার্জন করছেন। মজার বিষয় হচ্ছে, তিনি তার ফেসবুক গ্রুপের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের এমন একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন।
যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞান এবং গণিতে টিউটরদের জন্য উচ্চ চাহিদা থাকে, তবে আপনি আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের মধ্যে ইংরেজির জনপ্রিয়তাও খুঁজে পাবেন। আপনি যদি কোনও বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন তবে দ্রুত অর্থোপার্জন করার জন্য টিউটরিং আপনার পক্ষে সঠিক প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।
►► আরো দেখুন: ওয়েবসাইট খুলে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
►► আরো দেখুন: ইনকাম করার ৫ টি Android App | ১০০% নিশ্চিত ইনকাম
►► আরো দেখুন: কুইজ খেলে টাকা নিন বিকাশে
শেষ কথা
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় এমন ১০ টি জনপ্রিয় উপায় আমরা উপরে উল্লেখ করেছি। এসকল উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি ১০ টা-৫ টা অফিস থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন।
শুধু তাই নয়, অনলাইনে উপার্জনের এসব আইডিয়াগুলো আপানাকে আরও আর্থিক স্বাধীনতা দেবে। যা আপনার জীবন মান উন্নত করতে সহায়তা করবে। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং তা চালিয়ে যান তবে অনলাইনে জীবিকা নির্বাহ করা সত্যিই সম্ভব।
কোর্সটিকার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল Facebook Page এ লাইক করতে পারেন। আমরা আছি ইউটিউবেও। ইউটিউবে আমাদের সকল ভিডিও পেতে SUBSCRIBE করুন এই লিংক থেকে।
Discussion about this post