অনুচ্ছেদ রচনা: বিশ্বায়ন
ইংরেজি ‘Globalization’ এর বাংলা পরিভাষা বিশ্বায়ন। বিশ্বব্যাপী মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রযুক্তিগত নৈকট্য ও অভিন্নতার ধারাকে বলা যায় বিশ্বায়ন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় উন্নতির ফলে পৃথিবী ছোট হয়ে এসেছে। ফলে বিশ্বগ্রাম, বিশ্বনাগরিকত্ব, মুক্ত বাজার, মুক্ত সংষ্কৃতি ইত্যাদি শব্দগুলো সবার মনেই প্রভাব ফেলছে। সবাই বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। এভাবেই সকল পেশার মানুষের একে অন্যের খুব কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনীতের ক্ষেত্রে বিশ্বায়ন হচ্ছে বিশ্বকে একক বাজারে পরিণত করে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও বণ্টন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। উন্নত দেশগুলো তাদের অলস পুঁজি অনুন্নত দেশগুলোতে বিনিয়োগের ফলে আর্থ-সামাজিক ব্যভস্থায় কিছুটা সমতা তৈরি হবে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও বিশ্বায়নের প্রভঅব পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ ও জাতি তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের প্রভাব উন্নত দেশগুলো কিছুটা ফায়দা লুটাবেই, আশার কথা সেক্ষেত্রেও সতর্ক হতে শুরু করেছে অনেক দেশ। শিল্প, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিনিময়ের মাধ্যমে অবশ্যই লাভবান হবে অনুন্নত দেশগুলো। কিন্তু কিছু কিছু দেশীয় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারপরও বাংলাদেশ গার্মেন্টসসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে প্রবেশ করে নিজস্ব অর্থনীতি মজবুত করছে। আর নিজস্ব রাজনীতি, সংস্কৃতি, শিল্পের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছে। বিশ্বায়নকে গ্রহণ করছে প্রকৃত উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশীদার হিসেবে।
শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post