অন্ধবধূ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর : সমাজ দৃষ্টিহীনদের অবজ্ঞা করে। দৃষ্টিহীনেরা নিজেরাও নিজেদের অসহায় ভাবে। কিন্তু ইন্দ্রিয়সচেতনতা দিয়ে এই প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। পায়ের নিচে নরম বস্তুর অস্তিত্ব, কোকিলের ডাক শুনে নতুন ঋতুর আগমন অনুমান করা, শ্যাওলায় পা রেখে নতুন সিঁড়ি জেগে ওঠার কথা বোঝা দৃষ্টিহীন হয়েও সম্ভবপর।
তাই দৃষ্টিহীন হলেই নিজেকে অসহায় না ভেবে, শুধুই ঘরের মধ্যে আবদ্ধ না থেকে আপন অন্তর্দৃষ্টিকে প্রসারিত করা প্রয়োজন। বধূটি চোখে দেখতে পায় না। কিন্তু অনুভবে সে জগতের রূপ-রস-গন্ধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে। কবিতাটিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা সংবেদনশীল ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
অন্ধবধূ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১. ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কোন পাখির চেঁচিয়ে সারা হওয়ার কথা উল্লেখ আছে?
ক. কাক
● চোখ গেল
গ. কোকিল
ঘ. শালিক
২. মন্দ নেহাত হয় না কিন্তু তায় – পঙ্ক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক. মৃত্যুকে বরণ করে নেয়া
● অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি
গ. সকলের কষ্ট দূর করা
ঘ. স্বামীকে দায়মুক্ত করা
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও:
নাসরীনের স্বামী চাকরির সুবাদে প্রবাসজীবন যাপন করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে স্বামীর খোঁজ-খবর নেই, তাঁর সঙ্গের যারা বিদেশে থাকেন তাঁরা মাঝে মাঝে আসেন-যান। কেবল তার স্বামীই যেন সবার থেকে আলাদা। নাসরীন স্বামীর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষার দিন গোনে।
৩. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার বধূর কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
i. বিরহকাতরতা
ii. ব্যাকুলতা
iii. অভিমান
নিচের কোনটি সঠিক?
● i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৪. নাসরীনের স্বামীর সাথে ‘অন্ধবধূ’ কবিতার যে চরিত্রের পরিচয় আছে সেটি হলো
ক. ঠাকুর ঝি
খ. অন্ধবধূ
● ঠাকুর ঝি’র ভাই
ঘ. পাড়ার মানুষ
কবি সংক্রান্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১. ‘অন্ধবধূ’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
● যতীন্দ্রমোহন বাগচী
ঘ. জসীমউদ্দীন
২. যতীন্দ্রমোহন বাগচী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৭৫ সালে
খ. ১৮৭৬ সালে
গ. ১৮৭৭ সালে
● ১৮৭৮ সালে
৩. যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্মস্থান কোনটি?
ক. হুগলি
খ. মেদিনীপুর
গ. পাবনা
● নদীয়া
৪. যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী
ক. মানবপ্রেম
● পল্লি প্রীতি
গ. বাংলার প্রতি ভালোবাসা
ঘ. কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম
৫. যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কাব্যবস্তু কিসে চিত্ররূপময়?
ক. মানবতার জয়গানে
● নিসর্গ-সৌন্দর্যে
গ. সংগ্রামী চেতনায়
ঘ. অধিকার সচেতনতায়
৬. যতীন্দ্রমোহন বাগচী তার কবিতায় কী উন্মোচনে প্রয়াসী হয়েছেন?
ক. কুসংস্কারের নাগপাশ
খ. মানবতার বিমূর্ত রূপ
● গ্রামবাংলার শ্যামল রূপ
ঘ. সমাজ বাস্তবতার চিত্র
৭. কোনটি যতীন্দ্রমোহন বাগচী রচিত কাব্যগ্রন্থ?
ক. নাগকেশর
● চিত্রা
গ. অগ্নিবীণা
ঘ. রাখালী
৮. যতীন্দ্রমোহন বাগচী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
ক. ১৯৪৭ সালে
● ১৯৪৮ সালে
গ. ১৯৪৯ সালে
ঘ. ১৯৫০ সালে
মূলপাঠ থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
৯. অন্ধবধূর পায়ের তলায় নরম কী ঠেকে?
ক. শিউলি ফুল
● বকুল ফুল
গ. তুলা
ঘ. দূর্বাঘাস
১০. অন্ধবধূ কার সাথে পুকুর ঘাটে গিয়েছে?
ক. শাশুড়ির সাথে
● ননদের সাথে
গ. বোনের সাথে
ঘ. মায়ের সাথে
১১. অন্ধবধূ কাকে আস্তে চলতে বলে?
ক. শাশুড়িকে
● ননদকে
গ. মাকে
ঘ. বোনকে
১২. অন্ধবধূ কখন মধুমদির গন্ধ পায়?
ক. সকালে
খ. দুপুরে
গ. বিকালে
● রাতে
১৩. অন্ধবধূ ঠাকুরঝির কাছে কোন মাস আসার কথা জিজ্ঞেস করে?
ক. বৈশাখ মাস
● জ্যৈষ্ঠ মাস
গ. আষাঢ় মাস
ঘ. শ্রাবণ মাস
১৪. অন্ধবধূর আকাশ-পাতাল মনে হয় কেন?
ক. চোখ গেল’র ডাক শুনে
খ. আমের বরণ দেখে
● মধুমদির বাসে
ঘ. কোকিলের ডাক শুনে
১৫. অন্ধবধূ ঠাকুরঝির কাছে জ্যৈষ্ঠ আসতে কত দিন দেরি বলে জানতে পারে?
ক. ১-২ দিন
খ. ৭ দিন
গ. ১৫ দিন
● অনেক দেরি
১৬. অন্ধবধূ অনেক দিন আগে কিসের ডাক শুনেছে?
● কোকিলের ডাক
খ. টিয়ার ডাক
গ. বুলবুলির ডাক
ঘ. হুতোম পেঁচার ডাক
১৭. অন্ধবধূ ঠাকুরঝিকে কোন হাওয়া বন্ধ হওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করে?
ক. পুবের হাওয়া
খ. পশ্চিমের হাওয়া
গ. উত্তরের হাওয়া
● দখিনা হাওয়া
১৮. ‘অন্ধবন্ধূ’ কবিতায় কোথায় নতুন সিঁড়ি জাগে?
● দিঘির ঘাটে
খ. নদীর ঘাটে
গ. চেয়ারম্যান বাড়ির ঘাটে
ঘ. মাতবরের পুকুর ঘাটে
১৯. অন্ধবধূর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে কেন?
● ঘাটের সিঁড়িতে শ্যাওলা থাকায়
খ. আত্মহত্যা করার ইচ্ছা থাকায়
গ. সাঁতার না জানার কারণে
ঘ. পানিতে কুমির থাকায়
২০. কী ঘটলে অন্ধ চোখের দ্বন্দ্ব চুকে যায় বলে অন্ধবধূ মনে করে?
● পা পিছলিয়ে পানিতে তলিয়ে গেলে
খ. সাপের কামড়ে মরে গেলে
গ. দেশ ছেড়ে নিরুদ্দেশ হলে
ঘ. প্রবাসী স্বামী আর না ফিরলে
২১. ‘দেখবি তখন- প্রবাস কেমন লাগে?’- অন্ধবধূ এ কথা বলেছে কেন?
ক. ঠাকুরঝির প্রতি রাগে
খ. অন্ধ হওয়ার বেদনায়
● স্বামীর প্রতি অভিমানে
ঘ. শাশুড়ির প্রতি রাগে
২২. কোন পাখি চেঁচিয়ে সারা হলো?
ক. কোকিল
খ. হুতোম পেঁচা
● চোখ গেল
ঘ. শালিক
২৩. অন্ধবধূ কী করলে তার শোক একটু কমত?
ক. দিঘির ঘাটে বসে থাকলে
● কাঁদতে পারলে
গ. মন খুলে হাসতে পারলে
ঘ. স্বামীর চিঠি পেলে
২৪. ‘টানিস কেন?’- ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কথাটি কে বলেছে?
● অন্ধবধূ
খ. ঠাকুরঝি
গ. শাশুড়ি
ঘ. বোন
২৫. ঠাকুরঝি অন্ধবধূকে টানছিল কেন?
ক. দিঘির ঘাটে যাওয়ার জন্য
● বাড়ি যাওয়ার জন্য
গ. বকুল ফুল কুড়াতে যাওয়ার জন্য
ঘ. আম কুড়াতে যাওয়ার জন্য
২৬. অন্ধবধূর কাছে কিসের পরশ মায়ের স্নেহের মতো মনে হয়?
● দিঘির স্নিগ্ধ শীতল জলের
খ. ঝরা-বকুল ফুলের
গ. নতুন সিঁড়ির শ্যাওলার
ঘ. আমের সুমধুর গন্ধের
২৭. কোনটি অন্ধবধূর মনের ব্যথা ভোলায়?
ক. দখিনা বাতাস
খ. কোকিলের ডাক
গ. চোখ গেল পাখির সুর
● দিঘির জলের শীতল পরশ
২৮. ‘ঠাকুরঝি’ অর্থ কী?
ক. ভাসুরের মেয়ে
● ননদ
গ. ভাবি
ঘ. বোন
২৯. ‘অন্ধবধূ’ কবিতায় কার অনুভূতিশক্তি প্রখর?
ক. ঠাকুরঝির
● অন্ধবধূর
গ. কোকিলের
ঘ. অন্ধবধূর স্বামীর
৩০. কে অন্ধত্বের কষ্ট গভীরভাবে অনুভব করে?
ক. ঠাকুরঝি
● অন্ধবধূ
গ. অন্ধবধূর স্বামী
ঘ. অন্ধ বধূর শাশুড়ি
আরও দেখো—SSC শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সমাধান
নবম-দশম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা সাহিত্য বই থেকে অন্ধবধূ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক সৃজনশীল, অনুধাবনমূলক এবং জ্ঞানমূলক প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post