অবাক জলপান প্রশ্ন উত্তর : ভীষণ তৃষ্ণার্ত একজন লোক জলের তেষ্টায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু আরেকজন লোক তাকে পানি পান করতে দেওয়ার বদলে পানির গুণাগুণ সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞানের কথা বলে চলেছে। তৃষ্ণার্ত লোকটি নানাভাবে তাকে বোঝাতে চায় কিন্তু তার কথার খুঁত ধরে অন্য লোকটি নতুন বিষয় সম্পর্কে কথা বলছে।
অবাক জলপান প্রশ্ন উত্তর
২. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
গেরস্ত – গৃহস্থ, সংসারী লোক।
বরকন্দাজ – পাহারাদার।
তেষ্টা – তৃষ্ণা, পিপাসা।
খাটিয়া – কাঠের তৈরি খাট।
এক্সপেরিমেন্ট – পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
রুক্ষমূর্তি – দেখে ভয় লাগে এরকম শুকনো চেহারা।
৩. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
ক. —- বাড়ি, দুপুর রোদে দরজা এঁটে সব ঘুম দিচ্ছে।
খ. বরকে কি আপনি —- বলেন?
গ. একটা লোক —- জল জল করছে, তবু জল খেতে পায় না।
ঘ. পথিক ক্লান্ত হয়ে অবশেষে —- ওপর বসে পড়ল।
ঙ. নোংরা জলের ভিতর কী আছে তা —- করে বলা যাবে।
চ. —- লোকটিকে দেখলেই ভয় লাগে।
উত্তর : ক. গেরস্ত; খ. বরকন্দাজ; গ. তেষ্টায়; ঘ. খাটিয়ার; ঙ. এক্সপেরিমেন্ট; চ. রুক্ষমূর্তি।
৪. প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক) ‘বোবা জল’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বোবা জল বলতে ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ বা ‘পরিশ্রুত জল’কে বোঝায়। এ জলে কোনো রকম স্বাদ থাকে না বলে এর নাম ‘বোবা জল’।
খ) ‘জলাতঙ্ক’ কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়?
উত্তর : ‘জলাতঙ্ক’ হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণা পেলেও জল খেতে পারে না, বরং তা দেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে ‘হাইড্রোফোবিয়া’ বলে। জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
গ) জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে।
পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো খুসকো। চেহারায় ছিল উদ্ভ্রান্ত ভাব।
ঘ) মনে কর এই পথিকের সঙ্গে তুমি কথা বলছ। তোমাদের দু-জনের কথপোকথন কেমন হতে পারে তা তোমার নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তর : এই পথিকের সাথে আমার কথপোকথন যেমন হতে পারে তা নিচে তুলে ধরা হলো-
পথিক : এই যে ভাই, শুনছেন?
আমি : জ্বী বলুন, আপনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে।
পথিক : ঠিকই ধরেছেন। সকাল থেকে একটু জল খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেলাম। কেউ একটু জল দিল না।
আমি : আপনি কি খাবার জলের সন্ধান করছেন?
পথিক : হ্যাঁ, হ্যাঁ। বলতে পারেন, কোথায় গেলে পাব!
আমি : আমার সঙ্গে আসুন। ঔ তো আমাদের বাড়ি। আমি আপনাকে জল এনে দিচ্ছি।
পথিক : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঙ. পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখ।
উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। নামগুলো হলো- ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল।
চ. তুমি তোমার পাশের শিক্ষার্থীর সাথে আলোচনা করে তোমাদের ইচ্ছেমতো একটি নাটিকা লেখ।
উত্তর : শিক্ষকের সহযোগিতা নিয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলে নিজেরা চেষ্টা কর।
৫. ঠিক উত্তরটিতে টিক (✔) চিহ্ন দিই।
ক. অবাক জলপান কোন ধরনের রচনা?
১. নাটিকা✔
২. ছোটগল্প
৩. প্রবন্ধ
৪. উপন্যাস
খ. পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে কী চেয়েছিল?
১. কাঁচা আম
২. জল✔
৩. জলপাই
৪. পাঁকা আম
গ. কুকুরে কামড়ালে মামা কোন রোগের কথা বলেছিল?
১. ডিপথেরিয়া
২. আমাশয়
৩. জলাতঙ্ক✔
৪. টাইফয়েড
ঘ. পথিক কয়জনের কাছে খাবার জল চেয়েছিল?
১. ৪ জন
২. ৩ জন✔
৩. ২ জন
৪. ৫ জন
ঙ. বৃদ্ধ পথিককে কয় ধরনের জলের কথা বলতে চেয়েছিল?
১. পঁচিশ✔
২. ত্রিশ
৩. দশ
৪. সাতাশ
চ. পথিক শেষ পর্যন্ত কার কাছ থেকে খাবার জল পেয়েছিল?
১. বালক
২. মামা✔
৩. ঝুড়িওয়ালা
৪. বৃদ্ধ
ছ. নাটিকাটিতে বিজ্ঞানীর চরিত্রে কাকে দেখানো হয়েছে?
১. ঝুড়িওয়ালা
২. বৃদ্ধ
৩. বালক
৪. মামা✔
৬. কর্ম-অনুশীলন।
শিক্ষকের সহায়তায় নাটিকাটি শ্রেণিতে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করি।
উত্তর : প্রথমে নাটিকাটি ভালোভাবে পড়ে ও বুঝে নাও। এরপর শিক্ষকের সহায়তা নিয়ে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবে তা ঠিক করে নাও। সংলাপ, অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি ঠিকমতো উপস্থাপনের জন্য অনুশীলন কর। সবশেষে শ্রেণিতে অভিনয় করে দেখাও।
অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর
০১। পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল কেন?
উত্তর : জলের তৃষ্ণায় পথিকের ঘিলু শুকিয়ে উঠেছিল।
০২। নেপথ্যের বালক কী পাঠ করছিল?
উত্তর : নেপথ্যের বালক পাঠ করছিল- ‘পৃথিবীর তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। সমুদ্রের জল লবণাক্ত, অতি বিস্বাদ’।
০৩। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে কী পাওয়া যায়?
উত্তর : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল বিশ্লেষণ করলে দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন পাওয়া যায়।
০৪। ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ কী?
উত্তর : ডিস্টিল ওয়াটারকে বাংলায় বলে পরিশ্রুত জল। এ জল পরিষ্কার হলেও খাওয়া যায় না। কেননা এতে কোনো স্বাদ নেই।
০৫। পথিক কীভাবে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন?
উত্তর : পথিক বিজ্ঞানীর নানা রকম জ্ঞানের কথা অবিশ্বাস করার ভান করলেন। বিজ্ঞানীকে দিয়ে তিনি কৌশলে এক গ্লাস খাবার জল আনালেন। জল নিয়ে আসামাত্র বিজ্ঞানীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পথিক পুরো গ্লাস সাবাড় করে দিলেন। এভাবেই পথিক কৌশলে বিজ্ঞানীর কাছ থেকে খাবার জল আদায় করলেন।
০৬। ‘বোবা জল’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বোবা জল বলতে ‘ডিস্টিল ওয়াটার’ বা ‘পরিশ্রুত জল’কে বোঝায়। এ জলে কোনো রকম স্বাদ থাকে না বলে এর নাম ‘বোবা জল’।
০৭। ‘জলাতঙ্ক’ কাকে বলে? এই রোগ কেমন করে হয়?
উত্তর : ‘জলাতঙ্ক’ হলো এক ধরনের রোগ, যাতে আক্রান্ত হলে মানুষ জলের তৃষ্ণা পেলেও জল খেতে পারে না, বরং তা দেখলেই আতঙ্কিত হয়। ইংরেজিতে একে ‘হাইড্রোফোবিয়া’ বলে।
জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু বহনকারী কোনো পশু মানুষকে কামড়ালে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়।
০৮। জলের তেষ্টায় পথিকের মনের ও শরীরের অবস্থা কী হয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জলের তেষ্টায় পথিকের মন খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। একটুখানি পানি পাওয়ার জন্য সে চঞ্চল হয়ে ওঠে।
পথিকের শরীর পানির অভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চুল হয়ে গিয়েছিল উসকো খুসকো। চেহারায় ছিল উদ্ভ্রান্ত ভাব।
০৯। পথিককে ঝুড়িওয়ালা কত রকম জলের কথা শুনিয়েছিল? নামগুলো লেখ।
উত্তর : পথিককে ঝুড়িওয়ালা পাঁচ রকম জলের কথা শুনিয়েছিল। নামগুলো হলো- ১. কুয়োর জল, ২. নদীর জল, ৩. পুকুরের জল, ৪. কলের জল এবং ৫. মামাবাড়ির জল।
১০। পানিতে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের পরিমাণ কত?
উত্তর : পানিতে এক ভাগ অক্সিজেন আর দুই ভাগ হাইড্রোজেন।
১১। জলাতঙ্ক কী? এটি হলে কী সমস্যা হয়?
উত্তর : জলাতঙ্ক এক ধরনের রোগ। জলাতঙ্ক হলে পানি খাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। পানি খেতে গেলেই গলায় খিচ ধরে যায়।
১২। কার হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল? কীভাবে?
উত্তর : বদ্যিনাথের হাইড্রোফোবিয়া হয়েছিল। কুকুরের কামড়ে তার এই রোগ হয়েছিল।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সবগুলো গল্প ও কবিতার উত্তর ডাউনলোড করতে পারবে। এই পোস্টে আলোচিতঅবাক জলপান প্রশ্ন উত্তর pdf সংগ্রহ করার জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। সকল বিষয়ের ওপর অনলাইন ক্লাস পেতে আজই আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করে নাও।
Discussion about this post