বই পরিবর্তন হওয়ায় ৮ম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে বইগুলো দুর্বোধ্য মনে হচ্ছে। তোমরা যাতে বইগুলো সহজে বুঝতে পার তার জন্য কোর্সটিকায় ৮ম শ্রেণির প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। আজকে আমরা অষ্টম শ্রেণির বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। আজকে বাংলা বইয়ের কবিতা পরিচ্ছেদের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আজকের আলোচনা শেষে তোমরা এই অনুচ্ছেদের উপর একটি সমস্যা সমাধান ক্লাস পেয়ে যাবে। এই ক্লাসে কবিতা অনুচ্ছেদে দেওয়া বাড়ির কাজগুলো ও এই অনুচ্ছেদে দেওয়া কঠিন বিষয়গুলোকে সহজভাবে বোঝানো হবে। ৮ম শ্রেণির বাংলা বইয়ের প্রতিটি পরিচ্ছেদের সমাধান এভাবে পড়লে বাংলা বইটি তোমাদের কাছে অতিসহজ মনে হবে।
অষ্টম শ্রেণির বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ সমাধান
কবিতা রচিত হয় কোনো একটি বিষয় বা ভাবকে কেন্দ্র করে। কবিতা তাল দিয়ে পড়া যায়। তাছাড়া কবিতায় মিলশব্দ থাকে। এখন তোমার জীবনের বা সমাজের কোনো ঘটনা বা প্রসঙ্গ কিংবা মনের কোনো ভাব বা অনুভূতি নিয়ে আলাদা কাগজে একটি কবিতা রচনা করো।
তোমার লেখা কবিতা থেকে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো খুঁজে দেখো–
- কোনো বিষয় বা ভাবকে অবলম্বন করে রচিত কি না
- লাইনগুলো সমান দৈর্ঘ্যের কি না
- লাইনের শেষে মিলশব্দ আছে কি না
- তাল দিয়ে দিয়ে পড়া যায় কি না
কবিতা কী
কবিতায় প্রতিফলিত হয় কবির আবেগ, অনুভূতি। কবিতার লাইনকে বলা হয় চরণ। কবিতার সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
- কবিতায় লাইন বা চরণের শেষে মিলশব্দ থাকে।
- কবিতায় শব্দের রূপ বদলে যেতে পারে।
- কবিতা তালে তালে পড়া যায়।
কবিতার এসব বৈশিষ্ট্যের কথা তোমরা আগে জেনেছ। এর বাইরেও কবিতার আরো কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
ক. কবিতায় স্তবক থাকতে পারে। কবিতার অনুচ্ছেদকে বলে স্তবক। স্তবক তৈরি হয় সাধারণত একাধিক লাইন বা চরণের সমন্বয়ে।
খ. সব কবিতা সমান গতিতে পড়া হয় না। কোনো কোনো কবিতার গতি থাকে বেশি, কোনোটি মাঝারি গতির হয়, আবার কোনো কোনো কবিতার গতি হয় কম। এই গতির নাম লয়।
গ. কবিতায় উপমা থাকে। উপমা হলো এক ধরনের তুলনা। কোনো বিবরণকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কবিতায় উপমার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, “নোলক” কবিতায় পড়েছিলে, “এলিয়ে খোঁপা রাত্রি এলেন, ফের বাড়ালাম পা”। এখানে রাতের অন্ধকারকে খোঁপার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
কবিতার একটি ধরনের নাম ছড়া। ছড়ায় চরণের শেষে মিল থাকে, চরণগুলো প্রায় ক্ষেত্রে সমান দৈর্ঘ্যের হয়, অল্প ব্যবধানে তাল পড়ে এবং পড়ার গতি বা লয় দ্রুত হয়।
কবিতা পড়ি ১
শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬) বাংলাদেশের একজন প্রধান কবি। নাগরিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, গণ-আন্দোলন তাঁর বিখ্যাত কবিতার বই। শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা কবিতার বইয়ের মধ্যে আছে “এলাটিং রেলাটিং”, “ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো” ইত্যাদি। নিচের “পণ্ডশ্রম” কবিতাটি শামসুর রাহমানের “ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো” বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবিতাটি প্রথমে নীরবে পড়ো। পড়ার সময়ে অর্থ বোঝার চেষ্টা করো। এরপর সরবে আবৃত্তি করো।
পণ্ড শ্রম
শামসুর রাহমান
এই নিয়েছে ওই নিল যা
কান নিয়েছে চিলে।
চিলের পিছে ঘুরছি মরে
আমরা সবাই মিলে।
দিনদুপুরে জ্যান্ত আহা,
কানটা গেল উড়ে।
কান না পেলে চার দেয়ালে
মরব মাথা খুঁড়ে।
কান গেলে আর মুখের পাড়ায়
থাকল কী-হে বলো?
কানের শোকে আজকে সবাই
মিটিং করি চলো।
যাচ্ছে, গেল সবই গেল,
জাত মেরেছে চিলে।
পাজি চিলের ভূত ছাড়াব
লাথি, জুতো, কিলে।
সুধী সমাজ! শুনুন বলি,
এই রেখেছি বাজি,
যে জন সাধের কান নিয়েছে
জান নেব তার আজই।
মিটিং হলো ফিটিং হলো,
কান মেলে না তবু।
ডানে-বাঁয়ে ছুটে বেড়াই
মেলান যদি প্রভু।
ছুটতে দেখে ছোট্টরো ছেলে
বলল, “কেন মিছে
কানের খোঁজে মরছ ঘুরে
সোনার চিলের পিছে?”
“নেইকো খালে, নেইকো বিলে
নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে
সেখানটাতেই আছে।”
ঠিক বলেছে, চিল তবে কি
নয়কো কানের যম?
বৃথাই মাথার ঘাম ফেলেছি,
পণ্ড হলো শ্রম।
শব্দের অর্থ
জ্যান্ত: জীবন্ত।
মাথার ঘাম ফেলা: পরিশ্রম করা।
দিনদুপুরে: প্রকাশ্যে
মিছে: মিথ্যা।
পণ্ডশ্রম: ব্যর্থ পরিশ্রম
মিটিং: সভা।
ফিটিং: মিটিংয়ের সাথে মেলানো অনুকার শব্দ।
মুখের পাড়া: মুখমণ্ডল।
যম: মৃত্যুর দূত।
বৃথা: অকারণ।
সুধী সমাজ: জ্ঞানীজন।
মাথা খোঁড়া: মাথা ঠোকা।
কবিতার গঠন বুঝি
”পণ্ডশ্রম” কবিতায় অন্ত্যমিল আছে কি না, তাল দিয়ে পড়া যায় কি না, শব্দরূপের পরিবর্তন ঘটেছে কি না, কোনো স্তবক আছে কি না, পড়ার গতি বা লয় কেমন, এবং উপমার প্রয়োগ হয়েছে কি না- এসব নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করো।
জীবনের সাথে কবিতার সম্পর্ক খুঁজি
“পণ্ডশ্রম” কবিতার আলোকে নিচে কয়েকটি প্রশ্ন দেওয়া হলো। প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তুত করো এবং পরে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে নিজের উত্তর সংশোধন করো।
১। “পণ্ডশ্রম” কবিতায় কীভাবে শ্রম পণ্ড হলো?
২। তথ্য যাচাই না করে কাজ করলে তার ফলাফল কী ধরনের হতে পারে বলে তুমি মনে করো?
৩। কোনো তথ্য বা ঘটনার যথার্থতা কীভাবে যাচাই করতে হয়?
”পণ্ডশ্রম” কবিতার বৈশিষ্ট্য
”পণ্ডশ্রম” একটি ছড়া-জাতীয় কবিতা। এখানে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায়:
১। ”পণ্ডশ্রম” কবিতায় একটি সামাজিক বিষয়কে ব্যঙ্গার্থকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই ছড়ার মূল বিষয়__ কোনো কিছু ঠিকমতো না যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে নেই। চোখ দিয়ে দেখে, কান দিয়ে শুনে, বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করে তবেই কাজে নামতে হয়।
২। এই কবিতায় প্রতি স্তবকের দ্বিতীয় ও চতুর্থ চরণের শেষে মিল রয়েছে। যেমন: চিলে-মিলে, উড়ে-খুঁড়ে ইত্যাদি
৩। কবিতাটি তালে তালে পড়া যায়। যেমন:
/এই নিয়েছে /ঐ নিল যা
/কান নিয়েছে /চিলে।
/চিলের পিছে /ঘুরছি মরে
/আমরা সবাই /মিলে।
৪। এই কবিতার তাল অল্প ব্যবধানের এবং এর গতি বা লয় দুত।
৫। কবিতাটিতে শব্দরূপের কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। যেমন: নেই–নেইকো, সেখানেই __সেখানটাতেই, নয়__নয়কো ইত্যাদি।
কবিতা পড়ি ২
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাংলাদেশের জাতীয় কবি। বিদ্রোহী কবি হিসেবেও তিনি পরিচিত। তাঁর কবিতায় অন্যায়, অবিচার, শোষণ ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়েছে। কবিতা ছাড়াও তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও অসংখ্য গান রচনা করেছেন। তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি বইয়ের নাম ‘অগ্নি-বীণা”,
কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি প্রথমে নীরবে পড়ো। পড়ার সময়ে অর্থ বোঝার চেষ্টা করো। এরপর সরবে আবৃত্তি করো।
সাম্যবাদী
কাজী নজরুল ইসলাম
গাহি সাম্যের গান__
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রিশ্চান।
গাহি সাম্যের গান!
কে তুমি? — পার্সি? জৈন? ইহুদি? সাঁওতাল, ভিল, গারো?
কনফুসিয়াস? চার্বাক-চেলা? বলে যাও, বলো আরো!
বন্ধু, যা খুশি হও,
পেটে-পিঠে, কাঁধে-মগজে যা-খুশি পুঁথি ও কেতাব বও,
কোরান-পুরাণ-বেদ-বেদান্ত-বাইবেল-ত্রিপিটক-_
জেন্দাবেস্তা-গ্রন্থসাহেব পড়ে যাও যত শখ__
কিন্তু কেন এ পড্ডশ্রম, মগজে হানিছ শূল?
দোকানে কেন এ দর-কষাকষি?-_পথে ফোটে তাজা ফুল!
তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,
সকল শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রাণ!
তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার,
তোমার হৃদয় বিশ্ব-দেউল সকলের দেবতার।
কেন খুঁজে ফের দেবতা-ঠাকুর মৃত-পুঁথি-কঙ্কালে?
হাসিছেন তিনি অমৃত-হিয়ার নিভৃত অন্তরালে!
বন্ধু, বলিনি বুট,
এইখানে এসে লুটাইয়া পড়ে সকল রাজমুকুট।
এই হৃদয়ই সে নীলাচল, কাশী, মধুরা, বৃন্দাবন,
বুদ্ধ-গয়া এ, জেরুজালেম এ, মদিনা, কাবা-ভবন,
মসজিদ এই, মন্দির এই, গির্জা এই হৃদয়,
এইখানে বসে ঈসা মুসা পেল সত্যের পরিচয়।
এই রণ-ভূমে বাঁশির কিশোর গাহিলেন মহা-গীতা,
এই মাঠে হলো মেষের রাখাল নবীরা খোদার মিতা।
এই হৃদয়ের ধ্যান-গুহা মাঝে বসিয়া শাক্যমুনি
ত্যজিল রাজ্য মানবের মহা-বেদনার ডাক শুনি।
এই কন্দরে আরব-দুলাল শুনিতেন আহ্বান,
এইখানে বসি গাহিলেন তিনি কোরানের সাম-গান!
মিথ্যা শুনিনি ভাই,
এই হৃদয়ের চেয়ে বড়ো কোনো মন্দির-কাবা নাই।
শব্দের অর্থ
আরব-দুলাল: আরব দেশের সন্তান
ইহুদি: ধর্মসম্প্রদায়ের নাম।
কনফুসিয়াস: চীনা দার্শনিক।
কন্দর: গুহা।
কাশী: হিন্দুদের তীর্থস্থান।
গারো: নৃগোষ্ঠীর নাম।
গ্রন্থসাহেব: শিখ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ।
চার্বাক: প্রাচীন ভারতের একজন দার্শনিক।
জেন্দাবেস্তা: প্রাচীন ইরানের একটি ধর্মগ্রন্থ
জৈন: ধর্মসম্প্রদায়ের নাম।
ঝুট: মিথ্যা।
কবিতার গঠন বুঝি
“সাম্যবাদী” কবিতায় অন্ত্যমিল আছে কি না, তাল দিয়ে পড়া যায় কি না, শব্দরূপের পরিবর্তন ঘটেছে কি না, কোনো স্তবক আছে কি না, পড়ার গতি বা লয় কেমন, এবং উপমার প্রয়োগ হয়েছে কি না-এসব নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করো।
জীবনের সাথে কবিতার সম্পর্ক খুঁজি
“সাম্যবাদী’ কবিতার আলোকে নিচে কয়েকটি প্রশ্ন দেওয়া হলো। প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রস্তুত করো এবং পরে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে নিজের উত্তর সংশোধন করো।
১। কবিতাটিতে কবি যেসব জাতি, ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ, ধর্মপ্রচারক ও ধর্মীয় স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন, তার তালিকা তৈরি করো।
জাতির নাম:
ধর্মের নাম:
ধর্মগ্রন্থের নাম:
ধর্ম প্রচারকের নাম:
ধর্মীয় স্থানের নাম:
২। “সাম্যবাদী” কবিতায় কবি কী বলতে চেয়েছেন? কবির বক্তব্যের সঙ্গে তোমার মতের মিল-অমিল উল্লেখ করো।
৩। তোমার চারপাশের সমাজে মানুষে মানুষে কী কী ধরনের বিভেদ দেখা যায়? এসব বিভেদ কীভাবে দূর করা যায় বলে তুমি মনে করো?
“সাম্যবাদী” কবিতার বৈশিষ্ট্য
১। ‘সাম্যবাদী’ কবিতার মূল বিষয় মানবতা ও সাম্যবাদ। এখানে কবি ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সব মানুষকে সমান চোখে দেখার কথা বলেছেন।
২। কবিতাটিতে প্রতি জোড়া চরণের শেষে মিল আছে। যেমন: গারো-আরো, হও-বও ইত্যাদি।
৩। কবিতাটি তালে তালে পড়া যায়। যেমন,
/গাহি /সাম্যের গান
/যেখানে আসিয়া /এক হয়ে গেছে /সব বাধা-ব্যব/ধান
/যেখানে মিশেছে /হিন্দু-বৌদ্ধ-/মুসলিম-ক্রিশ্/চান।
/গাহি /সাম্যের গান!
/কে তুমি?-_পার্সি? /জিন? ইহুদি? /সাঁওতাল, ভিল, /গারো?
/কন্ফুসিয়াস্? /চার্বাক-চেলা? /বলে যাও, বলো /আরো!
৪। কবিতাটির লয় মাঝারি; অর্থাৎ দ্রুতও নয়, ধীরও নয়।
৫। কবিতাটিতে শব্দরূপের কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন: এসে__আসিয়া, বহন করো_বও, তোমার মধ্যে তোমাতে, ত্যাগ করল__ত্যজিল, বসে__বসি ইত্যাদি।
৬। এই কবিতায় উপমার ব্যবহার আছে। যেমন: “হৃদয়ের ধ্যান-গুহা’ এখানে হৃদয়কে গুহার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
তোমাদের জন্য আজকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ সমাধান নিয়ে আলোচনা কর হলো। এখানে, কবিতা অনুচ্ছেদে দেওয়া প্রতিটি বিষয় সহজভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ আলোচনা শেষে তোমাদের একটি ক্লাস দেওয়া হয়েছে। ক্লাসে তোমরা কবিতা অনুচ্ছেদে দেওয়া বাড়ির কাজ ও এই অনুচ্ছেদের কঠিন বিষয়গুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post