আইফোন ১২ এর দাম : অ্যাপল আইফোন ১২ এর ফিচার উন্মোচনের মাধ্যমে স্মার্টফোন দুনিয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশ্বে স্মার্টফোনের দিক দিয়ে যে কোম্পানিটি গোটা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়ে আসছে সেটি হচ্ছে অ্যাপল কোম্পানির আইফোন। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন আপডেট, নিত্য নতুন ফিচার, গ্রাহকদের আর ও সুবিধা দেয়া তারা হরহামেশাই করে থাকে।
গ্রাহকদের ভবিষ্যতে সুবিধার কথা চিন্তা করে ৫জি নেটওয়ার্কে কাজ করবে এমন মডেল নিয়া আসার পরিকল্পনা আইফোনের আগে থেকেই ছিলো। অ্যাপল কোম্পানির যেই কথা সেই কাজ অনুযায়ীই তারা ৫জি নেটওয়ার্কের ফোন বাজারে আনে। আজ অ্যপলের আইফোন ১২ এর ফিচার নিয়ে কথা বলবো।
►► জেনে নিন: দাবা খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়
এবার Iphone 12 সিরিজের প্রত্যেকটি মডেলের আইফোনে থাকছে অ্যাপলের লেটেস্ট ও গ্রেটেস্ট, এ১৪ বায়োনিক চিপ। এই চিপের সুবাদে নতুন সিরিজের প্রত্যেকটা আইফোনেই থাকবে ৫জি কানেকটিভিটি সুবিধা। প্রত্যেকটি মডেলের আইফোন ১২ এ থাকছে ওএলইডি ডিসপ্লে। আইফোন ১২ প্রো মডেলগুলোতে থাকছে স্টেইনলেস স্টিল ডিজাইন, যেখানে অন্য দুইটি মডেলে দেখা মিলবে অ্যালুমিনিয়াম এর।
পাঠকদের উদ্দেশ্য জানিয়ে দেয়া ভালো হবে আইফোন ১২ এর ফিচার অনুযায়ী এই সিরিজে চারটি ভার্সন— আইফোন ১২, আইফোন ১২ মিনি এবং আইফোন ১২ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স। এই সবগুলো মডেলেই থাকবে ৫জি নেটওয়ার্ক।
গেলো অক্টোবরেই আইফোনের ১২ সিরিজের এই ফোনগুলো বাজারে নিয়ে আসে। তবে, আজ আমরা আইফোন ১২ এর সেরা ১০টি ফিচার নিয়ে কিছু জানবো। সেগুলো নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
আইফোন ১২ এর ফিচার
- ওএলইডি ডিসপ্লে ( OLED Display)
- স্মার্ট এইচডিআর (HDR)
- সমান প্রান্ত
- A14 বায়োনিক চিপ
- ৫জি নেটওয়ার্ক সুবিধা
- ক্যামেরা
- তারবিহীন চার্জার
- স্টোরেজ
- ভয়েস কনট্রোল
- অন্যান্য
১. ওএলইডি ডিসপ্লে ( OLED Display)
আইফোন ১২ ডিভাইসটি নিয়ে এসেছে নতুন সিরামিক শিল্ড গ্লাস যেটা ভুট্টার সাহায্যে বানানো হয়েছে।আইফোন ১২ সিরিজের সব ক’টি ফোনেই রয়েছে ওএলইডি বিশেষ রেটিনাযুক্ত এক্সডিআর ডিসপ্লে। তাছাড়া পুরো স্ক্রিনটি সরাসরি স্ক্রিন-টু- আমাদের শরীরের রেশিওকে প্রভাবিত করে।
কারণ বেজেলগুলি আইফোন ১১ এবং আইফোন এক্সআর-এর তুলনায় পাতলা, যা এলসিডি প্যানেলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তার উপরে, পর্দাগুলি আরও টেকসই কাচ দ্বারা আচ্ছাদিত, যার মধ্যে কর্নিং থেকে সিরামিক শিল্ড স্তর রয়েছে।
২. স্মার্ট এইচডিআর (HDR)
স্মার্ট এইচডিআর হল একটি ক্যামেরা ফিচার যা প্রথম আইফোনে যুক্ত হয় ২০১৮ সালে আইফোন এক্সএস, আইফোন এক্সএস ম্যাক্স এবং আইফোন এক্সআর মডেল গুলোতে। আইফোন স্মার্ট এইচডিআর এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক।
ফলে ব্যাবহারকারী ক্যামেরা সেটিংয়ের জন্য বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না এবং খুব সহজেই নিখুঁত ছবি তুলতে পারে। এছাড়াও শাটার চাপার আগে ও পরের নয়টি পৃথক ছবির সেরা অংশগুলি স্মার্ট এইচডিআর সমন্বয় করে ব্যবহার করে।
৩. ডাটা খরচ
ফোনের ডাটা খরচের ক্ষেত্রে আপনি চরম একটা ফিচার উপভোগ করতে পারবেন। Settings > Cellular > Data Mode অপশন দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনি ৩টির মাঝে ১টি অপশন সিলেক্ট করতে পারবেন৷ এই অপশনগুলো হচ্ছে Allow more data on 5G, Standard mode, low data mode। যখন আপনি ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড এরিয়া থাকবেন তখন আপনি অপশন নাম্বার ১ সিলেক্ট করতে পারেন এতে ভিডিও কলে, লাইভে কিংবা স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে কোয়ালিটিফুল সার্ভিস পাবেন।
Standard মুডে ভিডিও কলে / স্ট্রিমিং এ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় এর কোয়ালিটি কিছুটা কমে যেতে পারে তবে আপনার ইন্টারনেট খরচ বাঁচাবে এটি। কোনো বিপদ আপদ কিংবা দূরের কোথাও হতে পারে সমুদ্র ভ্রমণে অথবা যেখানে ইন্টারনেট ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে সেখানে low ডাটা মুড অন করে রাখতে পারেন।
তাছাড়া অটোমেটিক আপডেট, সফটওয়্যারগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক অফ এই দুটি ক্ষেত্রে ও ডাটা ব্যবহার কম করতে চাইলে low data mode সিলেক্ট করতে পারেন আপনি।
৪. A14 বায়োনিক চিপ
অ্যাপলের আইফোন ১২ এর “হাই, স্পিড” শিরোনামটি কেবল ৫জি সংযোগের কথা উল্লেখ করেছিল না। আইফোন ১২ একটি নতুন 5nm A14 বায়োনিক চিপও দিবে যা আইফোন ১১ এর 7nm A13 বায়োনিকের চেয়ে দ্রুত এবং বেশি দক্ষ ও অনেক কার্যকরী।
৫. ৫জি নেটওয়ার্ক সুবিধা
অভ্যন্তরীণ সুবিধার কথা বললে প্রতিটি আইফোন ১২ ইউনিটের ভিতরে একটি 5জি মডেম এবং 5জি অ্যান্টেনা থাকে। তারা সেখানে সাব -৬ গিগাহার্জ এবং এমএমওয়েভ প্রযুক্তি উভয়ই সাপোর্ট করবে। এই নেটওয়ার্ক গ্রাহককে আইফোন ১২ সিরিজ কিনতে গ্রাহকদেরকে ও আকৃষ্ট করেছে।
অ্যাপলের ৫জি বাস্তবায়নের একটি চমৎকার বিষয় হল এটি অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যারে অপ্টিমাইজ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ যদি বলি ব্যাকগ্রাউন্ডে আপডেটের সুবিধার্থে 5জি এর সাথে সংযোগ করার পরিবর্তে, আপনার আইফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে LTE নেটওয়ার্কে ফিরে আসবে।
অ্যাপেল এখানে একটি নতুন সিস্টেম ও এনেছে যে আপনি কখন/ কোন জায়গাতে আপনি ৫জির সেরা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। 5জি তে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সবকিছু করা যায় কিন্তু mmWave সাধারণত বড় শহরের জনপ্রিয় বাহিরের এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে। এর কারণ হল এমএমওয়েভ সিগন্যালগুলি খুব অল্প দূরত্ব ভ্রমণ করতে সক্ষম, এবং সহজেই বাধা দ্বারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়।
৬. ক্যামেরা
আইফোন শুধু ১২ নয় ১২ সিরিজের প্রতিটি ফোনেই ক্যামেরাতে নিয়ে এসেছে বড় ধরনের আপগ্রেড। ফোনগুলোতে নাইট মুড ফটোগ্রাফি সুবিধার পাশাপাশি অ্যাপল প্রতিটি ক্যামেরার জন্য একটি নতুন সেন্সর-শিফট অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন সিস্টেম তৈরি করেছে।
ক্যামেরাগুলি অ্যাপল প্রোআরও মোডে শ্যুট করে, যা ফটোগ্রাফারদের জন্য আর ও কুশলী, সুবিধাজনক হয়ে উঠবে৷ এছাড়াও, আইফোন ১২ হচ্ছে প্রথম ফোন যা ডলবি ভিশন এইচডিআর ভিডিও রেকর্ডিং এবং ডিভাইসে এডিটিং সাপোর্ট করে। আইফোন ১২তে ১০-বিট এইচডিআর ক্লিপও রেকর্ড ও করা যাবে
৭. তারবিহীন চার্জার
আইফোন ১২ সিরিজের ফোনগুলোতে গ্রাহকদের জন্য সুবিধা দিতে এতে ও রয়েছে তারবিহীন চার্জার এর সুবিধা দিতে একটি ম্যাগসেফ চার্জার চালু করেছে, যা ডিভাইসের সাথে চার্জিং ক্যাবল সংযুক্ত করতে এক ধরনের চৌম্বকীয় পিন ব্যবহার করা হয়েছে।
ম্যাগসেফ চার্জার আপনার ফোনে ১৫ ওয়াটের চেয়ে একটু বেশী পরিমানে পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এটি বিভিন্ন জিনিসপত্রের জন্য একটি চৌম্বকীয় সংযুক্তি সিস্টেমের আকারে রয়েছে। অ্যাপল একটি ম্যাগসেফ ডুও চার্জারও দেখিয়েছে যা গত অক্টোবরে ভার্চুয়াল আইফোন ১২ ইভেন্টের সময় দেখানো হয়েছিলো যা একই সময়ে আপনার অ্যাপল ওয়াচ এবং আইফোন উভয়ই চার্জ করতে পারে।
আইফোন ১২ -এর চৌম্বকীয় অবস্থানও রয়েছে, যা চার্জিং প্যাডে ফোনটিকে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যায়। আপনি আইফোন ১২ এর জন্য যে সমস্ত ম্যাগসেফ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র কিনবেন তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এবং ফোনে ম্যাগসেফ প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে ও আপনার জানা উচিত।
যেহেতু ম্যাগসেফ চার্জার আপনার আইফোন ১২ এর সাথে চুম্বকীয়ভাবে সংযুক্ত, তাই আপনি আপনার ফোনটি চার্জ করার সময় স্বাভাবিক সময়ের মতো ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাগসেফ চার্জার আপনার আইফোনটিকে ল্যান্ডস্কেপ মোডে ধরে রাখার সময় আরও ভাল অভিজ্ঞতা দিয়ে থাকে। কারণ আপনি বিদ্যুতের তারের বিপরীতে বিদ্যুতের তারের দিকে যেতে পারেন।
যদিও ম্যাগসেফ চার্জারটি আইফোন ১২ ডিভাইসটির কথা চিন্তা করেই ডিজাইন করা হয়েছিল। আইফোন ১২ সিরিজের ফোনগুলির বক্সে দেওয়া থাকবে ইউএসবি-সি টু লাইটেনিং ক্যাবল। ফলে আপনি কোনো ইউএসবি-সি পোর্টে ঐ ক্যাবলটি ইনসার্ট করে আইফোন অনায়াসে চার্জ দিতে পারবেন।
৮. স্টোরেজ
অ্যাপল বিভিন্ন দামের ভিত্তিতে তিনটি আইফোন ১২ স্টোরেজ সরবরাহ করেছে। আইফোন ১২ ফোনটি ৬৪ জিবি থেকে শুরু হয় ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি। ৬৪ জিবি মডেলটি সবচেয়ে সস্তা ব এবং ২৫৬ জিবি মডেলটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল।
- ৬৪ জিবির মধ্যে আপনি স্ট্রিমিং করতে পারবেন। কিন্তু ৪কে রেজুলেশনে বেশী ভিডিও এর শুট করতে পারবেন না আপনি। ক্ষেত্রবিশেষে আপনার ফোনের ছবিগুলো আইক্লুড / আপনার কম্পিউটারেই সংরক্ষণ করে রাখতে হতে পারে।
- ১২৮ জিবির মধ্যে আপনি কিছু ছবি, মুভি রাখতে পারবেন আপনার ফোনে। কিহু সংখ্যক ৪কে রেজুলেশন ভিডিও করতে পারবেন।
- ২৫৬ জিবিতে আপনি অনেক ছবি, মুভি ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন। তাছাড়া ৪কে রেজুলেশনের ভিডিও করতে পারবেন অনেক।
- ৫১২ জিবি এটি সবচেয়ে দামী ফোন স্টোরেজ এর জন্য। আপনি যদি এতে প্রফেশনাল কাজ, ফটোগ্রাফি, বিভিন্ন প্রজেক্ট করেন তাহলে এটি আপনার জন্য। আমরা অনেকেই ঘুরাঘুরি করি সেক্ষেত্রে আমরা ছবিও তুলি,আপনি যদি ছবি, ভিডিও লোকাল স্টোরেজে রাখতে চান তাহলে ৫১২ জিবি আপনার জন্য
যেভাবে আপনি স্টোরেজ চেক করবেন:
- নরমাল ফোনের স্টোরেজের জন্য আপনি প্রথমে সেটিং এপে যাবেন, এরপর আপনি সেখান থেকে চলে যাবেন জেনারেল অপশনে সেখান থেকে দেখতে পাবেন আইফোন স্টোরেজ। এভাবে আপনি আপনার স্টোরেজ দেখতে পারবেন।
- আর যরি আপনি আইক্লাউড ( iCloud) ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে সেটিং এপে যেতে হবে। সেখান থেকে স্ক্রিনের উপরে আপনার নামের অংশে ক্লিক করে এরপর আপনি আইক্লাউড অপশনে ক্লিক করতে পারবেন ।
৯. ভয়েস কনট্রোল
সিরি একটি ভার্চুয়াল সহকারী যা অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড এর আইওএস, আইপ্যাডওএস, ওয়াচওএস, ম্যাকওএস এবং টিভিওএস অপারেটিং সিস্টেমের অংশ। সহকারী ভয়েস প্রশ্ন, অঙ্গভঙ্গি ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ, ফোকাস ট্র্যাকিং এবং একটি প্রাকৃতিক ভাষা ব্যবহারকারী ইন্টারফেস ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তর দিতে, সুপারিশ করতে এবং ইন্টারনেট পরিষেবার একটি সেটে অনুরোধ করতে একটি মাধ্যমে ক্রিয়া সম্পাদন করে।
সিরি হচ্ছে ভয়েস সহকারী যা অ্যাপল তার ডিভাইসে সরবরাহ করে। সিরির এই বৈশিষ্ট্যটি গত কয়েক বছরে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং অনেকেই এই বৈশিষ্ট্যটির পূর্ণ সুবিধা নিচ্ছে। আইফোন ১২ এর সাহায্যে, আপনি সিরিকে আপনার জন্য কোন কাজ করার নির্দেশ দিয়ে আপনার ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আপনাকে শুধু সাইড বাটন টিপে ধরে রাখতে হবে। বিকল্পভাবে, আপনি সেট আপ করে বলতে পারেন, “সিরি, ভয়েস কন্ট্রোল চালু করো।” এর সাহায্যে একটি বিশেষ ভয়েস কন্ট্রোল মোড সক্ষম করা হবে। আপনি সিরিকে স্ক্রিনে প্রদর্শিত যেকোনো বিকল্প নির্বাচন করতে বলতে পারেন, যদি আপনি নিশ্চিত না হন যে পর্দায় কী আছে আপনি সিরিকে “নাম্বার দেখান” বা “নাম দেখান”।
ভয়েস কন্ট্রোল সক্ষম করতে আপনাকে সেটিংসে যেতে হবে এবং অ্যাক্সেসিবিলিটি নির্বাচন করতে হবে। এখন ভয়েস কন্ট্রোল সিলেক্ট করুন, তারপর ভয়েস কন্ট্রোল সেটআপ সিলেক্ট করুন।
১০. অন্যান্য
আইফোনকে বিশ্লেষণ বলেন কিংবা আইফোনের ফিচার নিয়ে বলতে গেলে অনেক কিছুই আছে। আপনি আপনার আইফোন ব্যবহার করে একটি ভিডিও কল করছেন, একটি জিনিস জরুরি আমাদের তা হল কোথায় দেখতে হবে তা জানা।
আইফোন ১২ এর সামনের ক্যামেরা এক জায়গায়, পর্দার ছবি অন্য কোথাও, তাহলে আপনার চোখ কোথায় যাচ্ছে? এটির ক্ষেত্রে আপনি সেটিং এ গিয়ে ফেসটাইম সিলেক্ট করে ➤আই কনটাক্ট অপশন সিলেক্ট করে রাখতে পারেন। এটি আপনাকে এমনভাবে দেখাতে দেয় যেন আপনি সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছেন।
আইফোন ১১ এর মতো, আইফোন ১২ ip68 রেটযুক্ত, যার অর্থ এটি ৩০ মিনিটের জন্য পানিতে ডুবে থাকতে পারবে। কিন্তু এ বছর, অ্যাপল নিমজ্জিতের গভীরতা দ্বিগুণ করেছে, এটি গভীরতার দিক দিয়ে 3 মিটার থেকে 6 মিটার গভীরতায় পৌঁছেছে।
আইফোন ১২ এর দাম কত?
অ্যাপলের ইভেন্টে জানানো হয়েছে, আইফোন-১২ মিনির দাম শুরু হচ্ছে ৬৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আর আইফোন-১২, আইফোন-১২ প্রো এবং আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্সের দাম শুরু হচ্ছে যথাক্রমে ৭৯৯, ৯৯৯ ও ১০৯৯ মার্কিন ডলার থেকে।
লাল, সাদা, নীল, সবুজ এবং কালো— এই পাঁচটি রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১২ এবং আইফোন ১২ মিনি। ৬৪, ১২৮ এবং ২৫৬ জিবি— এই তিনটে ভ্যারিয়ান্টেই ফোনগুলো মিলবে। আইফোন ১২-এর এই তিনটি মডেলের ভারতীয় দাম যথাক্রমে ৭৯ হাজার ৯০০, ৮৪ হাজার ৯০০ এবং ৯৪ হাজার ৯০০ টাকা। আইফোন ১২ মিনির এই তিনটি মডেলের দাম যথাক্রমে ৬৯ হাজার ৯০০, ৭৪ হাজার ৯০০ এবং ৮৪ হাজার ৯০০ টাকা।
আর্টিকেল স্পন্সর: প্রিয় মোবাইল, ছবি: GSMarena
Discussion about this post