বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ ঔষধ হচ্ছে আই পিল। এই পিল ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। এই ঔষধটি জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও অনেকেরই আই পিল সম্পর্কে কোন ধারণা নাই। তাই, আই পিলের নাম শুনে থাকলেও আই পিল খাওয়ার নিয়ম না জানার কারণে আই পিল ব্যবহার করতে পারেন না।
আই পিলকে তথা ইমার্জেন্সি পিলকে মর্নিং আফটার পিল বলা হয়। মর্নিং আফটার পিল বলতে যে সকালে খেতে হবে এমনটা নয়। আই পিল খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। প্রয়োজন মোতাবেক যে কোন সময় এই পিল খাওয়া যায়।
আই পিল স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়। শুধুমাত্র অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্ক কিংবা শারীরিক সম্পর্কের সময় কোন প্রকার প্রটেকশন ব্যবহার না করলে এই পিল ব্যবহার করতে হবে। আই পিল তথা ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী না খেলে এই পিল ছোট হতে বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে।
আই পিল খাওয়ার নিয়ম
আই পিল কয়েক প্রকারের রয়েছে। ধরনের উপর ভিত্তি করে পিল খাওয়ার নিয়ম কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। পিল খাওয়ার নিয়মের ব্যতিক্রম হলে গর্ভধারণ হয়ে যেতে পারে। আবার, ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণে মাসিকে বিলম্বতা হয়ে থাকে। তবে, নিয়ম অনুযায়ী খেলে শরীরে পিল খাওয়ার অপকারিতা গুলো প্রকাশ পায় না।
আই পিল তথা ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম—
১. প্রতি ঋতুস্রাবে একটির বেশী আই পিল খাওয়া করা যাবে না।
২. কোন প্রকার প্রটেকশনবিহীন শারীরিক সম্পর্কের পরে বা শারীরিক মিলনের পরে যদি গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে শুধুমাত্র তাহলে আই পিল খেতে হবে।
৩. অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেতে হবে।
৪. তবে সবচেয়ে বেশী ভালো হয় শারীরিক সম্পর্কের ৫০ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেলে।
৫. অনেক আই পিল ১২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে। এই ধরনের আই পিল শারীরিক মিলনের পরে ১২০ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হবে।
সবশেষে যা জানা দরকার
আই পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার পরেও শতকরা ২ জন মহিলা গর্ভধারণ করে থাকেন। এর মূল কারণ হচ্ছে জরায়ুতে শুক্রাণু অনেকদিন যাবত সক্ষম থাকা। আই পিল তথা ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি ও তীব্র মাথাব্যথা ও ঋতুস্রাব দেরিতে হওয়ার মতো সমস্যা হয়। তাই চেষ্টা করুন, অরক্ষিত সহবাসের পর যত দ্রুত সম্ভব আই পিল খাওয়ার।
Discussion about this post