আমি হব আমার স্থপতি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় : জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যা বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকি। এসব সমস্যা বা পরিস্থিতি কেউ সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে, আবার অনেকে ঘাবড়ে গিয়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে।
যেমন রেগে গিয়ে কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলা, ভয় পেয়ে কোনো ভালো কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, দুঃখ বা কষ্ট পেলে স্বাভাবিক জীবনযাপন না করে ভেঙে পড়া প্রভৃতি। এ সকল সমস্যা বা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজন হয় সুপার পাওয়ার/গুণের। যা প্রতিটি মানুষের মাঝেই লুক্কায়িত রয়েছে।
আমি হব আমার স্থপতি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায়
তাই শিক্ষার্থীরা যেন খুব সহজেই তাদের মাঝে লুক্কায়িত সুপার পাওয়ার/গুণ আবিষ্কার করতে পারে এবং বাস্তব জীবনে যেন এ সকল সমস্যা বা পরিস্থিতি খুব সহজেই মোকাবিলা করতে পারে সে লক্ষ্যে এ অধ্যায়ে সুপার পাওয়ার/গুণ সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
অভিজ্ঞতা-১ মূল বই: পৃষ্ঠা ৯৩ ও ৯৪
তোমার কয়েকটি সুপার পাওয়ার/গুণ নিচের ম্যাজিক বক্সে লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৯৩ ও ৯৪)
উত্তর : আমার কয়েকটি সুপার পাওয়ার/গুণ নিচে ম্যাজিক বক্সে লেখা হলো- (বিশেষ দ্রষ্টব্য: উত্তরটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
অভিজ্ঞতা-২ মূল বই: পৃষ্ঠা ৯৫
নিচে কিছু অনুভূতির ছবি ও নাম এলোমেলোভাবে দেওয়া আছে। নাম দেখে সঠিক অনুভূতিগুলো খুজে বের কর ও দাগ টেনে মিলিয়ে নাও। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৯৫)
উত্তর : নিচের অনুভূতি ও ছবির নাম দাগ টেনে মিলিয়ে দেওয়া হলো- (বিশেষ দ্রষ্টব্য: উত্তরটি পিডিএফ উত্তরমালায় দেখানো হয়েছে)
অভিজ্ঞতা-৩ মূল বই: পৃষ্ঠা ৯৬ ও ৯৭
তোমার মানসিক চাপ ও ভয়ের পরিস্থিতিগুলো লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৯৬ ও ৯৭)
উত্তর : আমার মানসিক চাপ ও ভয়ের পরিস্থিতি এবং সেই মুহূর্তে কী করি তা ছকে লেখা হলো-
কোন কোন বিষয়ে বা পরিস্থিতিতে আমার মানসিক চাপ ও ভয় হয় :
- যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে।
- পরীক্ষার পূর্বে।
- বুলিইং করে এমন কোন বন্ধু/সহপাঠীকে দেখলে।
- Home Work না করলে
- প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে।
- পড়া না পারলে।
- দেরি করে বাড়িতে ফিরলে
- কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জন সম্ভব না হলে।
যখন মানসিক চাপ ও ভয় হয় তখন আমি কী করি
- নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করি।
- প্রিয়জনের সাথে মানসিক চাপ বা ভয় পাওয়ার বিষয়টি শেয়ার করি।
- কাজটি করার পূর্বে বারবার অনুশীলন করি।
- নিজেকে উৎসাহিত করি।
- নিজের সাহস বৃদ্ধি করার চেষ্টা করি।
অভিজ্ঞতা-৪ মূল বই: পৃষ্ঠা ৯৮
তোমার বন্ধু ও কাছের মানুষের কাছ থেকে মানসিক চাপ ও ভয় সম্পর্কে জ্ঞান এবং সেই অভিজ্ঞতাগুলো নিচে লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৯৮)
উত্তর : আমার কয়েকজন বন্ধু, ভাইয়া এবং আপুর কাছ থেকে মানসিক চাপ ও ভয় সম্পর্কে জানলাম, তাদের অনুভূতিগুলো নিচে দেওয়া হলো-
তারা কখন মানসিক চাপ অনুভব করে?
- বাড়িতে নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে।
- যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে।
- অতিরিক্ত কাজের চাপ হলে ।
- প্রিয়জন কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে।
- বুলিইং করে এমন কাউকে দেখলে।
মানসিক চাপ হলে তারা কী করে?
- নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করে।
- পুষ্টিকর খাবার খায় ও পরিমিত ঘুম দেয়।
- নিজেকে উৎসাহিত করে।
- মানসিক চাপের বিষয়টি কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করে।
তারা কখন ভয় অনুভব করে?
- অন্ধকারে ভয় অনুভব করে।
- ভূতুড়ে কোনো কিছু দেখলে বা শুনলে।
- অপরিচিত মানুষ দেখলে।
- হিংস্র প্রাণী দেখলে।
- উঁচু স্থানে উঠলে।
ভয় হলে তারা কী করে?
- মনে মনে সাহস যোগায়।
- ভয়ের বিষয়টি কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করে।
- বেশি মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করে।
- ভয় পাওয়ার কারণ ভুলে যেতে চায়।
অভিজ্ঞতা-৫ মূল বই: পৃষ্ঠা ৯৯
কেউ রেগে আছে তা তুমি কীভাবে বুঝ? এবং তখন তুমি কী কর তা লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ৯৯)
উত্তর :
কেউ রেগে আছে তা আমি কীভাবে বুঝি
- চোখ বড় বড় করে তাকায়।
- চেহারা শক্ত হয়ে যায়।
- আঙুল তুলে কথা বলে
- বারবার হাত ছোড়াছুড়ি করে।
- চোখ লাল হয়ে যায়
- হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে।
- কপাল কুচকে ফেলে।
- কান লাল হয়ে যায়।
- গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।
- চিৎকার করে।
তখন আমি কী করি
- শান্ত থাকার চেষ্টা করি।
- তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি।
- তাকে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বলি।
- নিজের বা অন্যের ক্ষতি যেন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখি।
- যদি আমার ভুল হয় তাহলে তার কাছে ক্ষমা চাই।
অভিজ্ঞতা-৬ মূল বই: পৃষ্ঠা ১০০
তোমার জীবনের রাগের একটি ঘটনা বা পরিস্থিতি মনে কর। এসব পরিস্থিতিতে রাগ হলে যে আচরণ কর এবং ঐ বিষয়ে রাগ করে তোমার সমস্যার সমাধান হয়েছে কি-না তা ছকে লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ১০০)
উত্তর : আমার জীবনের রাগের একটি ঘটনা এবং ঐ ঘটনাতে আমার আচরণ নিচে উপস্থাপন করা হলো :
রাগের ঘটনা বা পরিস্থিতি
বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে গিয়ে একটি ভিডিও গেমস অনেক পছন্দ হয়। বাবার কাছে ঐ ভিডিও গেমসটি কিনে দেওয়ার কথা বললেও বাবা কিনে দেয়নি। তখন আমার খুবই রাগ হয়েছিল।
আমি হব আমার স্থপতি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায়
কীভাবে রাগ প্রকাশ করি
- চুপচাপ হয়ে যাই।
- কপাল কুচকে ফেলি।
- কান লাল হয়ে ওঠে।
- চোয়াল শক্ত হয়ে যায়।
- গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।
- কান্না করি।
আমি যেভাবে রাগ প্রকাশ করি, তা নিয়ে কি আমি সন্তুষ্ট? এতে কি আমার সমস্যার সমাধান হয়?
আমি যেভাবে রাগ প্রকাশ করি তাতে আমি সন্তুষ্ট নই। আমার এই রাগ করার ফলে আমার সমস্যার সমাধান হয় না।
অভিজ্ঞতা-১০ মূল বই: পৃষ্ঠা ১০৪
তোমার সহপাঠীদের কাছ থেকে তাদের সাক্ষাৎকার বিষয়ে জান এবং নিচের ছকটি পূরণ কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ১০৪)
উত্তর : আমার সহপাঠীর কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করা হলো-
রাগের অভিজ্ঞতা
লাবিব ক্রিকেট খেলায় ব্যাটিং ও বোলিং-এ খুবই পারদর্শী। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় সে কয়েকবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গ্রহণ করেছে। কিন্তু এবারের আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার দিন তার সাথে অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থাকার কারণে তাকে বোলিং দেওয়া হয়নি এবং ব্যাটিং-এও নামতে দেওয়া হয়নি।
আচরণ
- চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছিল।
- কান লাল হয়ে গিয়েছিল।
- গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল।
- হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখছিল।
- চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল।
- কপাল কুঁচকিয়ে রাখছিল।
- বারবার হাত ছোড়াছুড়ি করছিল।
অভিজ্ঞতা-১১ মূল বই: পৃষ্ঠা ১০৫, ১০৬, ১০৭ ও ১০৮
নিচে দুঃখ-কষ্ট নিয়ে চারটি কেস বা ঘটনা দেওয়া হলো। কেস বা ঘটনা পড়ে তার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই: পৃষ্ঠা ১০৫, ১০৬, ১০৭ ও ১০৮)
কেস ১ : আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনালে সপ্তম শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী ‘ক’ এবং ‘খ’ মুখোমুখি হয়। দুজনেই প্রতিযোগিতার প্রতিটি ম্যাচ দাপটের সাথে জয়লাভ করে ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নেয়। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ‘ক’ জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, ‘ক’ ও তার বন্ধুরা প্রায়ই ‘খ’ এর সাথে সকলের সামনে এটি নিয়ে ঠাট্টা করে। সময়-অসময়ে ‘খ’ এর সামনে গিয়ে হাসাহাসিও করে।
শুধু তাই নয়, তারা স্কুলের দেয়ালে ‘খ’ কে বিদ্রুপ করে নানা কথা লিখে রাখে। এতে ‘খ’ প্রচন্ড কষ্ট পায়, কারণ ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে দাবাড়ু হওয়ার এবং নিজের দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার। কিন্তু সহপাঠীর বিপক্ষে পরাজিত হয়ে সে মানসিকভাবে ভেড়ে পড়ে। সে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয় এবং দুঃখে নিজের দাবার সেট ভেঙে ফেলে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি লক্ষ করেন। পরবর্তীতে তার অভিভাবকেরা বিদ্যালয় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রশ্ন : ‘ক’ ও তার বন্ধুরা যে আচরণ করেছিল তুমি কি তার সাথে একমত, নাকি একমত নও? কেন?
উত্তর : ‘ক’ ও তার বন্ধুরা ‘খ’ এর সাথে যে আচরণ করেছিল তার সাথে আমি একমত নই। কারণ এতে ‘খ’ খুবই কষ্ট পেয়েছে। মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। তার যে দাবাড়ু হওয়ার স্বপ্ন ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : তুমি ‘খ’ এর জায়গায় থাকলে কী করতে?
উত্তর : আমি ‘খ’ এর জায়গায় থাকলে ‘ক’ ও তার বন্ধুদের বিনয়ের সহিত বলতাম এরকম ঠাট্টা না করতে। আমি আরও ভালোভাবে দাবা অনুশীলন করতাম এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতাম। নিজেই নিজেকে বোঝাতাম খেলায় হার জিত থাকবেই এবং লোকেরা পিছনে অনেক কথা বলবে। এ কথাগুলো ইতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
কেস ২ : রহিম ও করিম একে অপরের ভালো বন্ধু। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের সাথে যুক্ত থাকায় রহিম নাচে ও গানে পারদর্শী হয়ে ওঠে। বিদ্যালয়ের সকলের কাছে সে পরিচিত মুখ। রহিম এসব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে করিম এ ধরনের কোনো সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত না করায় সে এসবের থেকে পিছিয়ে পড়ে।
করিমের অন্য কোনো বন্ধু না থাকায় করিম নিজেকে বন্ধুহীন মনে করে এবং রহিমের প্রতি তার একধরনের অভিমান তৈরি হয়। সে রহিমের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করে। মাঝে মাঝে রহিমের সাথে নিজের অজান্তেই দুর্ব্যবহার করে বসে এবং এর সাথে আর বন্ধুত্ব রাখবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রশ্ন : রহিমের প্রতি করিমের আচরণকে তুমি কীভাবে দেখছ?
উত্তর : রহিমের প্রতি করিমের আচরণকে আমি নেতিবাচক আচরণ হিসেবে দেখছি।
প্রশ্ন : তুমি করিমের জায়গায় থাকলে কী করতে?
উত্তর : আমি করিমের জায়গায় থাকলে রহিমের সাথে সাথে নিজেকেও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত করে নিতাম। দুই বন্ধু মিলে সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে সব জায়গায় সুনাম অর্জন করার চেষ্টা করতাম। আমি না পারলেও সবসময় রহিমের পাশে থেকে তাকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করতাম।
কেস ৩ : ফাতিমা গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে নানার বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে তার মামা তাকে একটি টিয়া পাখি উপহার দেন। প্রথমে সে পাখিটির প্রতি আকৃষ্ট না হলেও দিনকে দিন পাখিটি তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে ওঠে। দিনের অধিকাংশ সময় সে পাখিটির সাথে কাটায়। পাখিটির খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল করানো, কথা শেখানো সবকিছুই সে দেখাশোনা করতে শুরু করে।
পাখিটিকে নিয়ে ফাতিমা অনেক পরিকল্পনা করে- পাখির জন্য সুন্দর খাঁচা বানাবে, তাকে নিজের বাসায় নিয়ে যাবে, বন্ধু-বান্ধবদের দেখাবে আরও কত কি! হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে যে পাখিটি মারা গেছে। এই বিষয়টি কোনোভাবেই সে মানতে পারে না, অনেক কান্নাকাটি করে, এমনকি খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে সে নিজের রুমে বসে থাকে। কারো সাথে কথাবার্তা বলে না। তার বাবা তাকে আরেকটি টিয়া পাখি এনে দেন। কিন্তু তারপরেও সে মন খারাপ করে অন্যমনস্ক হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : ফাতিমা কেন পাখিটির মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না?
উত্তর : ফাতিমা টিয়া পাখিটির মৃত্যু মেনে নিতে পারছিল না কারণ পাখিটি ছিল তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সে তার সাথে সারাদিন সময় কাটাতো। পাখিটি নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা/স্বপ্ন ছিল। পাখিটির মৃত্যুতে ফাতিমার সব পরিকল্পনা, স্বপ্ন ও কাছের বন্ধু শেষ হয়ে গেল। তাই সে মেনে নিতে পারছিল না।
প্রশ্ন : এমন তিনটি পরিস্থিতির কথা লিখি যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
উত্তর : ১। জন্ম, ২। মৃত্যু, ৩। প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
কেস ৪ : মনিকা গোমেজ প্রতিদিন বিদ্যালয়ে হেঁটে হেঁটে যাতায়াত করে। একদিন সে তার বাবার কাছে একটি সাইকেলের বায়না ধরল। তার বাবা তাকে বললেন, যদি সে এবার বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে পাস করে, তবেই তাকে সাইকেল কিনে দেবেন। মনিকাতো বেশ খুশি। সে বরাবরই ভালো ছাত্রী। সে খুব উৎসাহ নিয়েই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্টের দিন দেখা গেল তার ফলাফল আশানুরূপ হয়নি।
রেজাল্ট আশানুরূপ না হওয়া সত্ত্বেও বাবা তার জন্য সাইকেল কিনে আনলেন। তবু তাকে খুশি দেখা গেল না। সে দিনকে দিন পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে যেতে লাগল। তার মনে হতে লাগল- সে আর কখনোই ভালো কিছু করতে পারবে না। মনিকা সারাদিন নিজের ঘরে থাকা শুরু করল, সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল, এমনকি কষ্ট পেয়ে সে নিজের পছন্দের কাজগুলো করা বা পছন্দের জিনিসগুলো নিয়ে খেলা বন্ধ করে দিল।
প্রশ্ন : মনিকার এই আচরণ কি তাকে ভবিষ্যতে ভালো ফল এনে দেবে?
উত্তর : মনিকার এই আচরণ তাকে ভবিষ্যতে ভালো ফল এনে দিবে না। কারণ সে অল্পতেই ভেঙে পড়ে।
প্রশ্ন : তুমি মনিকার জায়গায় থাকলে কী করতে?
উত্তর : আমি মনিকার জায়গায় থাকলে আগের থেকে আরও অনেক ভালো পড়াশোনা করতাম। কাক্সিক্ষত রেজাল্ট পাওয়ার জন্য শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যেতাম। মন খারাপ করে থাকতাম না এবং আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতাম ।
আরো দেখো: ৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সকল অধ্যায়ের সমাধান
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, উপরে আমরা আমি হব আমার স্থপতি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৭ম শ্রেণি ৬ষ্ঠ অধ্যায় সমাধান শেয়ার করেছি। তোমাদের মূল বইতে যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা ঠিক সেভাবেই উত্তরগুলো তৈরি করেছি। উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post