আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ‘আম আঁটির ভেঁপু’ শীর্ষক গল্পটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাস থেকে সংকলন করা হয়েছে। গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের আনন্দিত জীবনের আখ্যান নিয়ে গল্পটি রচিত হয়েছে।
অপু ও দুর্গা হতদরিদ্র পরিবারের শিশু। কিন্তু তাদের শৈশবে দারিদ্র্যের সেই কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি । গ্রামীণ ফলফলাদি খাওয়ার আনন্দ এবং বিচিত্র বিষয় নিয়ে তাদের বিস্ময় ও কৌতূহল গল্পটিকে মানুষের চিরায়ত শৈশবকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়।
এই গল্পের সর্বজয়া পল্লি-মায়ের শাশ্বত চরিত্র হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে শিশুর আনন্দপূর্ণ শৈশব এবং প্রকৃতির সম্পর্ক দেখিয়েছেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। এ গল্প শিশু-কিশোরকে প্রকৃতিমুখী হওয়ার প্রেরণা জোগায় ।
আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—১: একই পরিবারের মকবুল, আবুল, সুরত সবাই বেশ পরিশ্রমী। নিজেদের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কখনো অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের স্ত্রীরাও বসে নেই। ভাগ্যের উন্নতির জন্য পাতা দিয়ে পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। কোনো রকমে জীবন চলে যাচ্ছে তাদের।
ক. দুর্গার বয়স কত?
খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলো না কেন?
গ . উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপুর’ কোন দিক ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ বুঝিয়ে লিখ।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. দুর্গার বয়স দশ-এগারো বছর।
খ. বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হতে পারল না আত্মসম্মানবোধ ও পাওনাদারদের ভয়ে এসে বলত টাকা দাও, নইলে যেতে দেবো না।
মাসিক ৮ টাকা মাইনের গোমস্তার কাজ করে হরিহর। সামান্য ভিটে বাড়িটি ছাড়া আর কিছুই নেই হরিহরের। দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছে সে। ধার শোধ দিতে পারছে না। তাই বামুন হয়ে বসবাসের প্রস্তাবটি তার জন্য সোনায় সোহাগা হলেও সে তা তখনই গ্রহণ করতে পারেনি পাওনাদারদের ভয়ে। তার ভয় পাওনাদাররা খবর পেলে হট্টগোল বাধিয়ে দেবে। তাছাড়া সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলে তার মর্যাদারও হানি ঘটত বলে সে মনে করেছে।
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার চিত্রটি ফুটে উঠেছে।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে মূলত গ্রামীণজীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের আনন্দিত জীবনের ঘটনাবলি বর্ণিত হয়েছে। অপু ও দুর্গা দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও গল্পে দারির্দ্যের সেই কষ্ট প্রধান হয়ে ওঠেনি।
গ্রামের ফলমূল আহারের আনন্দ, শিশুর দুরন্তপনা, বিস্ময় ও কৌতূহল আমাদের চিরায়ত গ্রামীণ শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। দরিদ্র গৃহিণী সর্বজয়ার সংসার নিয়ে ব্যতিব্যস্ততা, হাড়ভাঙা খাটুনি, দুগ্ধ দোহন, সন্তানদের সাথে চেঁচামেচি ইত্যাদি একেবারেই গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি।
উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে গ্রামের নিম্নবিত্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি। মকবুল, আবুল, সুরত আলী পরিশ্রমী মানুষ। সবাই জীবনসংগ্রামে ব্যস্ত। তাদের নিজের জমি নেই, অন্যের জমি বর্গা চাষ করে। লাকড়ি কেটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কামলা খেটে তারা অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ করে। বসে নেই তাদের স্ত্রীরাও।
পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে কোনোমতে দিন পার করে। উদ্দীপকে তাই ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে উলিস্নখিত হরিহর ও সর্বজয়ার জীবনযাপনের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। উভয় স্থানেই নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনসংগ্রাম আমরা লক্ষ্য করি।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে আংশিক ধারণ করে। কারণ এতে দুই ভাই-বোনের আনন্দ-বেদনার দিকটি গল্পের মতো ফুটে ওঠেনি।
মানুষ জীবনব্যাপী নিজেকে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে চেষ্টা করে। সে যেখানে থাকে, সেখানেই সে স্বপ্ন দেখে সুখের, শান্তির। সেই স্বপ্ন পূরণে লড়াই করে নিজের সঙ্গে, পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে। চলার পথে সে পথ হারায়, আশাহত হয়। স্বপ্নভঙ্গের হতাশা তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। তার পরও সে হাল ছাড়ে না, জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যায়।
উদ্দীপকে কৃষক, শ্রমিক, মাঝি, দিনমজুর প্রভৃতি পেশাজীবী মানুষের দুঃখ-কষ্টে দিনাতিপাত করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে গ্রামীণ জীবনের একদল পেশাজীবী মানুষের জীবনসংগ্রাম প্রতিফলিত হয়েছে।
তারা অন্যের জমিতে চাষ করে, অন্যের নায়েও কামলা দেয় এবং তাদের স্ত্রীরা নানা রকম শাকসবজি উৎপাদন করে, শাপলার ডাঁটা বাজারে বিক্রি করে কোনোরকমে জীবন চালায়। এই বিষয়টি আলোচ্য গল্পের হরিহর এবং তার স্ত্রী সর্বজয়ার জীবনযাপনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ হরিহরও রায়বাড়িতে সামান্য বেতনে গোমস্তার কাজ করে সংসার চালায়।
‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পটি গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাই-বোনের জীবনালেখ্য। এই দুই ভাই-বোন অপু ও দুর্গা। তাদের শৈশবের আনন্দ মানুষের চিরায়ত শৈশবের আনন্দের প্রতীক। উদ্দীপকে এই বিষয়টি নেই।
সেখানে গ্রামীণ জীবনের চিরায়ত যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে তা কেবল ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের ঐ শিশু দুটির অভিভাবক হরিহর ও তার স্ত্রী সর্বজয়ার জীবনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কারণেই উদ্দীপকটি আলোচ্য গল্পের মূলভাবকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি। এদিক বিবেচনায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সৃজনশীল প্রশ্ন—২: প্রকা- একটা ঢাউস ঘুড়ি লইয়া বোঁ বোঁ শব্দে উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ, ‘তাইরে নাইরে নাইরে না’ করিয়া উচ্চঃস্বরে স্বরচিত রাগিনী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদী তীর, দিনের মধ্যে যখন-তখন ঝাঁপ দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বীনী চিত্তকে চঞ্চল করিত।
ক. হরিহর কাজ সেরে কখন বাড়ি ফিরল?
খ. দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে অপু দ্বিধা করছিল কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকের ইঙ্গিত লক্ষণীয়?
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রতা স্পর্শ করেছে কি? তোমার মতামত যাচাই করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৩: মমতার অভাবের সংসার। সে চৌধুরীবাড়িতে রান্নার কাজ করে। মমতার সংসারের অভাবের কথা জেনে গৃহকর্ত্রী মমতাকে সপরিবারে তাদের বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে ঐ বাড়িতে মর্যাদা কমে যাবে ভেবে মমতা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
ক. গরুর দুধ দোহন করতে এসেছিল কে?
খ. অপু দাঁত টকে যাওয়ার কথা বললে দুর্গা ইশারায় তাকে থামিয়ে দেয় কেন?
গ. উদ্দীপকের মমতার সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের সাদৃশ্য রয়েছে কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে না।”—উক্তিটি যাচাই করো।
আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন—৪: দুঃখিনী রাহেলার দিন কাটে খুব কষ্টে। দুধের ছেলেটিকে মানুষ করার জন্য পরের বাড়িতে কাজ করতে হয়। তার বেকার স্বামী তার জমানো টাকা চুরি করে নেশা করে। রাহেলার কষ্টে ব্যথিত হয়ে গৃহকর্ত্রী তাকে স্বামীসহ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
আগ্রহের অভাব না থাকলেও রাহেলা কারও দয়ার বশবর্তী হয়ে বাঁচতে চায় না বলে জানিয়ে দেয়। স্বামীর স্বভাব খুব ভালো ভাবেই জানা আছে তার। রাহেলা জানে এ বাড়িতে এলে চোর, নেশাখোর স্বামীর কারণে তাকে অনেক অপদস্থ হতে হবে।
ক. আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের রচয়িতা কে?
খ. মায়ের ডাকে দুর্গা উত্তর দিতে পারল না কেন?
গ. উদ্দীপকের রাহেলার সিদ্ধান্তের সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের গৃহিত সিদ্ধান্তের অমিল দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকের রাহেলা ও ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহর দুজনেই দরিদ্র হলেও আত্মসম্মান ও বিবেচনাবোধ বিসর্জন দেয়নি— উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৫: শহরের বুকে বিশাল এক বাড়িতে রানু ও রানাদের বসবাস। সারা দিন এঘর ওঘর আর বাড়ির সামনের বাগানে ছোটাছুটি করে তারা। রানু ও রানার মা আফরোজা বানু ওদের সব আবদার পূরণের জন্য সচেষ্ট থাকেন। মাঝে মাঝে ওদের দুষ্টুমি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। দুষ্টুমি করতে গিয়ে ওরা না আবার হাত-পা ভেঙে বসে।
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. “ইচ্ছে করে একদিকে বেরিয়ে যাই”—সর্বজয়া কেন এ কথা বলেছে?
গ. উদ্দীপকের আফরোজা বানু কোন দিক থেকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সমগ্রভাব ধারণ করে কি? বিশ্লেষণী মতামত দাও।
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল প্রশ্ন—৬: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় প্রকৃতি কেবল প্রকৃতিরূপেই আবির্ভূত হয়নি, বরং প্রকৃতি ও মানবজীবন একীভূত হয়ে অভিনব রসমূর্তি ধারণ করেছে। প্রকৃতির লতাপাতা, ঘাস, পোকামাকড় সবকিছুই গুরুত্বের সঙ্গে স্ব স্ব ভাবে তাঁর রচনায় স্থান পেয়েছে। তাঁর রচনায় নির মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনচিত্র ও সমকালের আর্থসামাজিক বাস্তবতা সমভাবে উন্মোচিত হয়েছে।
ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন উপন্যাসের জন্য রবীন্দ্র-পুরস্কারে ভূষিত হন?
খ. সম্মুখ দুয়ার দিয়ে দুর্গার বাড়িতে ঢোকার সাহস হলো না কেন?
গ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ রচনার ক্ষেত্রে কতখানি সত্য? আলোচনা করো।
ঘ. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্প এবং উদ্দীপকের আলোকে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্মের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৭:
১ম অংশ: হে সূর্য তুমি তো জানো,
আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!
সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে
এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে
কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই।
২য় অংশ: আমারে চেনো না? আমি যে কানাই!
ছোকানু আমার বোন।
তোমার সঙ্গে বেড়াবো আমরা।
মেঘনা, পদ্মা, শোন!
ক. ‘কালমেঘ’ কী?
খ. হরিহর সদগোপদের প্রস্তাবে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হলো না কেন?
গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে আম-আঁটির ভেঁপু” গল্পের যে ভাবটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উক্ত প্রতিফলিত ভাবটি উদ্দীপকের ২য় অংশের সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সাদৃশ্যপূর্ণ ভাবকে স্পর্শ করতে পারেনি”— মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৮: উপল ও নিধি ভাইবোন। নিধি বড়ো, উপল ছোটো। তাদের দু’জনের বয়সের পার্থক্য পাঁচ। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় তারা খেলছিল। তাদের মা উঠানে বসে তরকারি কাটছিলেন। তিনি ঘরে ঢুকতেই উপল ও নিধি ছুটে গেল টকটকে লাল জামরুল কুড়াতে। মা দেখে তাদের শাসন করছিলেন। মা রান্নাঘরে যেতেই তারা বাইরে বেরিয়ে গেল। মা রান্না করে, কাপড় কেচে গোসল করতে গেলেন। দ্বিপ্রহর হলেও নিধি ও উপল ফিরে আসেনি।
ক. ‘পিঁজরাপোলের আসামি’ কী?
খ. ‘তখনি কী রাজি হতে আছে’—ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের উপল ও নিধির সাথে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের যোগসূত্র ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের মা সর্বজয়া চরিত্রকে পুরোপুরি ধারণ করেনি”—মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন—৯: বুদ্ধদেব বসুর ‘নদীর স্বপ্ন’ কবিতায় কানাই ও ছোকানু নামে দুই ভাইবোনের পরিচয় পাওয়া যায়। এখানে কানাই তার ছোট বোন ছোকানুর প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ করে। নৌকা ভ্রমণে গিয়ে সে সবসময় ছোকানুকে চোখে চোখে রাখে। এছাড়া ছোকানু ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলে সে মাঝিকে অনুরোধ করে তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য ।
ক. দুর্গা আঁচলের খুঁট খুলে কী বের করল?
খ. অপু ও দুর্গার আম খাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটল কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের সম্পৃক্ততা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. কানাই ও দুর্গাকে কি পরস্পরের প্রতিবিম্ব বলা যায়? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন—১০: আমি মেলা থেকে
তালপাতার এক বাঁশি কিনে এনেছি।
বাঁশি কই আগের মতো বাজে না,
মন আমার তেমন কেন সাজে না?
ক. ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দুর্গার বয়স কত?
খ. দশঘরার লোকটির অনুরোধে হরিহর তৎক্ষণাৎ সেখানে যেতে রাজি হলো না কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের যে দিকের ইঙ্গিত করেছে তা ব্যাখ্যা করো?
ঘ. “উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের একটি দিক উঠে এলেও গ্রামীণ দরিদ্র পারিবারিক জীবনের দুর্দশার চিত্র অনুপস্থিত।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে আম আঁটির ভেঁপু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post