ইমকন ১ হলো ইমার্জেন্সি পিল। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধে ইমকন ১ পিল ব্যবহার করা হয়। অনেকে ইমার্জেন্সি পিলের নাম ও কাজ জানা সত্ত্বেও ইমকন ১ পিল খাওয়ার নিয়ম না জানার কারণে ইমার্জেন্সি পিল ব্যবহার করতে পারে না।
অনাকাঙ্খিত সহবাসের ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তখন একমাত্র উপায় থাকে ইমার্জেন্সি পিল। সঠিক নিয়মে ইমকন ১ জাতীয় ইমার্জেন্সি পিলগুলো খেলে তা খুবই কার্যকর। আবার, নিয়মের ব্যতিক্রম করলে অনাকাঙ্খিতভাবে গর্ভধারণ হয়ে যেতে পারে।
ইমকন ১ পিলের উপকারিতার পাশাপাশি ইমকন ১ পিলের অপকারিতা রয়েছে। নিয়ম মোতাবেক ইমকন ১ পিল খাওয়ার পরেও স্বল্পমেয়াদী কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে তা খুব দ্রুত সেরে যায়। আবার, ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে হতে পারে বড় ধরনের সমস্যা। যেমন: মাসিক দেরিতে হওয়া ও গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া।
ইমকন ১ পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমকন ১ সহ প্রায়ই সকল প্রকার ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম একই। তবে, ইমার্জেন্সি পিলের ধরনের উপর ভিত্তি করে এগুলোর প্রভাব ৩ হতে ৫ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইমকন ১ পিলের কার্যকারিতা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত। ইমকন ১ পিল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—
১. প্রতি মাসিকে সর্বোচ্চ ১টি ইমকন ১ পিল খাওয়া যাবে।
২. অনাকাঙ্খিত সহবাস কিংবা সহবাসের ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, গর্ভধারণ করতে চান না তখন ইমকন ১ পিল খেতে হবে।
৩. সহবাস করার পরে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত ইমকন ১ পিল খাওয়া যায়।
৪. ঝুঁকি নিতে না চাইলে ১২-৫০ ঘণ্টার মধ্যে এই পিল খেতে হবে।
ইমকন ১ পিল ব্যবহার করার পরেও শতকরা ২জন মহিলা গর্ভধারণ করে থাকে। শতকরা ২ জন মহিলা গর্ভধারণ করার কারণ হচ্ছে গর্ভাশয়ে শুক্রাণু গুলো অনেক সময় যাবত সক্রিয় থাকে। আবার দেরিতে ইমকন ১ পিল খাওয়ার কারণেও এমনটি হয়ে থাকে। তাই অনাকাঙ্খিত সহবাসের পর যত দ্রুত সম্ভব ইমকন ১ পিল খেতে হবে। তাহলে ইমকন ১ পিল কাজ করার সম্ভাবনা সর্বাধিক।
সবশেষে যা জানা দরকার
ইমকন ১ পিল খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার পরেও শরীরে ইমকন পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে ইমকন পিল গ্রহণের পরে মাসিকে বিলম্বতা। এই পিল যতটা কার্যকরি ঠিক ততটাই ক্ষতিকর। সেজন্য, নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। নিয়মের ব্যতিক্রম হলেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
Discussion about this post