ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র ৫ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : রাজা আলমগীর তার সাম্রাজ্যে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। কেন্দ্রীয় টাকশাল স্থাপন করে নির্দিষ্ট মানের মুদ্রা চালু করেন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে উপকৃত হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটে। তিনি প্রচলিত ডাক ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেন। সাম্রাজ্যের সৌন্দর্যৃদ্ধির জন্য সুরম্য প্রাসাদ, নান্দনিক স্মৃতিফলক প্রভৃতি নির্মাণ করেন, যা সকলের দৃষ্টি কাড়ে । এভাবে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রাখেন।
ক. “কুব্বাতুস-সাখরা’ কী?
খ. খলিফা আবদুল মালিক কর্তৃক আরবী ভাষা জাতীয়করণের বিষয়ে ধারণা দাও।
গ. উদ্দীপকের রাজা আলমগীরের মুদ্রা সংস্কার খলিফা আবদুল মালিকের মুদ্রা সংস্কারের অনুরূপ-ব্যাখ্যা করো।
ঘ. স্থাপত্য শিল্পের উন্নয়নে উদ্দীপকের রাজার তুলনায় আবদুল মালিকের কৃতিত্ব ছিল অনেক বেশি- উক্তিটির যথার্থতা যাচাই করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রাজা ধর্মপাল রাজস্ব ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধ করেছিলেন। তবে তার পুত্র দেবপাল ক্ষমতায় আরোহণ করে রাজ্য বিস্তারে মনোযোগী হন। তিনি পূর্ব ও দক্ষিণে অনেকগুলো সফল অভিযানের মাধ্যমে বিশাল পাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। দেবপালের প্রতিটি অভিযানে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছিলেন তার দুইজন বিশ্বস্ত মন্ত্রী ও কিছুসংখ্যক দক্ষ সেনাপতি।
ক. কাকে আরব বিশ্বের প্রথম রাজা বলা হয়?
খ. খলিফা আবদুল মালিককে রাজেন্দ্র বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রাজ ধর্মপালের সাথে খলিফা আবদুল মালিকে কোন কর্মকাণ্ডের সামঞ্জস্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের রাজা দেবপালের মতোই খলিফা ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক শ্রেষ্ঠ বিজেতা ছিলেন- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : জনাব আলী আজম দয়ালু, সদাশয় ও প্রজাবৎসল খলিফা। তিনি চারিত্রিক দিক দিয়ে ছিলেন সরল, অনাড়ম্বর, ধর্মানুরাগী ও কর্তব্যপরায়ণ। তিনি খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন। কর ব্যবস্থার সংস্কার করে তিনি শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি সাধন করেন। তিনি ভিন্ন মতাবলম্বীদের শাসনকার্যে নিয়োগ করে এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার বৈদেশিক নীতি ছিল শান্তি শৃঙ্খলা ও সংহতি বিধান।
ক. উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
খ. খলিফা সুলাইমানকে আশীর্বাদের চাবি বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে কোন খলিফার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে উক্ত খলিফার বৈদেশিক নীতি পর্যালোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : উসমানের প্রতিষ্ঠিত এশিয়া মাইনরের ছোট উসমানীয় রাজ্যকে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ এক বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত করেন। তার সৌভাগ্য যে, বেশ কিছু রণনিপুণ সেনাপতির কর্মক্ষমতা তিনি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি তার সাম্রাজ্যকে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় বিস্তুত করে সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে তার এই রাজ্য বিজয়ে দেশের যে স্থিতিশীলতা এবং অর্থের প্রয়োজন ছিল, তার ব্যবস্থা পূর্ববর্তী সমাট তার পিতা করে রেখে গিয়েছিলেন।
ক. সিন্ধু বিজয়ী নেতার নাম কী?
খ. সিন্ধু বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণটি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের পিতার সাথে কোন উমাইয়া খলিফার কাজের সামঞ্জস্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ, তুমি কি মনে কর উদ্দীপকের দ্বিতীয় মুরাদের সাম্রাজ্য বিস্তারে সেনাপতিদের অবদানের মতোই খলিফা আল-ওয়ালিদও সুযোগ্য সেনাপতিদের সহায়তা পেয়েছিলেন? তোমার উত্তরের সপক্ষে ব্যাখ্যা দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : ‘ক’ নামক একজন শাসক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। অত্যন্ত সুচতুরও ছিলেন। নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য গণতান্ত্রিক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পূর্ববর্তী শাসকদের আদর্শিক নীতি বর্জন করে নিজস্ব নিয়মে রাজ্য পরিচালনা করেন। এমনকি তিনি রাজক্ষমতাকে আকড়ে ধরার জন্য তার অযোগ্য ও অকর্মণ্য পুত্র ‘খ’ কে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। ‘খ’ এর দুঃশাসন ও অধার্মিক কার্যকলাপের জন্য রাজ্যে চরম সংকট দেখা দেয়। যার পরিণতিতে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে।
ক. জিজিয়া কী?
খ. সুলায়মানকে আশীর্বাদের চাবি বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ নামের শাসক উমাইয়া যুগের কোন খলিফাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘খ’ কে উত্তরাধিকার নির্বাচনের ফলে যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছিল, ইতিহাসে তার কি প্রভাব পরেছিল? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : আরিফা ও জোহরা উমাইয়া খিলাফতের এক বাসিন্দা নিয়ে কথা বলছিল। আরিফা জোহরাকে জানায় উমাইয়া খিলাফতের এক প্রখ্যাত খলিফার উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো সরকারি অফিসে আরবি ভাষার প্রবর্তন। আরবি বর্ণলিপির উন্নতি সাধন ও আরবি মুদ্রার প্রচলন । জোহরা আরিফার সাথে একমত পোষণ করে এবং বলে উত্ত সংস্কার ছাড়াও খলিফার আরো সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড রয়েছে।
ক. জিম্মি কারা?
খ. কারবালার হত্যাকাণ্ডকে বিষাদময় ঘটনা বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে আরিফা কোন খলিফার কথা বলেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জোহরার মতামতটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : সম্রাট অশোক একজন বিখ্যাত রাজা ছিলেন। তিনি ভারতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোকে জয় করে এক বিশাল সায়াজ্যে পরিণত করে। তার সৌভাগ্য যে বেশ কিছু রণনিপুণ সেনাপতির কর্ম তিনি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি বিশাল ভারতকে একত্রিত করে এক শক্তিধর শাসক হন। এ কারণে আজও ভারতীয়গণ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
ক. জাবালুত তারিক কী?
খ. Dome of the Rock কেন নির্মাণ করা হয়?
গ. উদ্দীপকে কোন উমাইয়া খলিফার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর উদ্দীপকের সম্রাট অশোকের সম্রাজ্য বিস্তারে সেনাপতিদের অবদানের মতোই উমাইয়া খলিফাও সুযোগ্য সেনাপতির সহায়তা পেয়েছিল? বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : ভাষার জন্য বাঙালিরা জীবন দিয়েছিল। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার বাংলা ভাষাকে সরকারি অফিস-আদালতের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেয়। তাছাড়া বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে। বিভিন্ন পণ্ডিতদের সহায়তা নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলা ভাষার নানাবিধ সমস্যা দূর করায় ভাষার উচ্চারণ ও ব্যাকরণ রীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়।
ক. উমাইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতার নাম কী?
খ. আব্দুল মালিককে রাজেন্দ্র বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলা ভাষার দাপ্তরিক ব্যবহার চর্চা আব্দুল মালিকের কোন কার্যক্রমের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তার ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধিতে আব্দুল মালিকের অবদান উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানি মুদ্রা প্রচলিত ছিল। কিন্তু ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গাবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টাকশাল স্থাপন করে বাংলাদেশি জাতীয় মুদ্রা প্রচলন করেন। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে এবং দেশ এগিয়ে যায়।
ক. আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়ের কোন যুদ্ধে মারা যান?
খ. ময়ূর বাহিনী বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের ঘটনার সাথেতোধার পাঠ্যবইয়ের কোন উমাাইয়া শাসকের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত শাসক আর কোন কোন ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদ গড়ে তোলেন? ব্যাখ্যা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : ১৩৩৮ সালে ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ সোনারগাও এর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাংলার একটি অংশ তখনও তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। পরবতীতে হাজী ইলিয়াস বাংলা ভাষাভাষী সকল অঞ্চলকে একত্রিত করে এঁক্যবদ্ধ বাংলা গঠন করেন। বাংলাকে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন, নিজ নামে খুতবা পাঠ ও নিজস্ব মুদ্রা চালু করে তিনি বাংলাকে সুসংহত করেন। ফলে ২০০ বছর বাংলা দিল্লির অধীনতামুক্ত ছিল।
ক. উমাইয়া খলিফাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিজেতা কে ছিলেন?
খ. মুয়াবিয়াকে প্রথম রাজা বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের ঘটনার সাথেতোধার পাঠ্যবইয়ের কোন উমাাইয়া শাসকের মিল খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত খলিফা কেবল একজন দক্ষ শাসকই ছিলেন স্থাপত্যশিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসাবেও তার খ্যাতি ছিল- পাঠ্যবইয়ের আলোকে মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : সমির সাহেব একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হলেও দেশ শাসন করতে গিয়ে তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, ত্যাগ করে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের উদ্ভ করেন। তিনি জ্ঞোষ্ঠ পুত্রকে তার উত্তরাধিকারী মনোনিত করে জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করেন। এতে তিনি ধর্মের সাধারণতান্ত্রিক আদর্শের মূলে কুঠারাঘাত করেন ।
ক. আল ওয়ালিক কাকে পূর্বাঞ্চলের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন?
খ. অবরুদ্ধ কারবালায় ইমাম হোসেনের পরিণতি ব্যাখ্যা কর।
গ. সমির সাহেবের সাথে মিল রয়েছে এমন একজন শাসকের খিলাফত লাভের উপায় পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সমির সাহেবের মতই এক ব্যক্তি মুসলিম জাহানের অধিপতি হতে চেয়েছিলেন- বিশ্লেষণ কর।
উপরে দেয়া বাটনে ক্লিক করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ১ম পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post