ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র ১ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : অতি সম্প্রতি চীনের দুটি যুদ্ধ জাহাজ জাপানের টোকিও নিয়ন্ত্রিত সেনকাকু দ্বীপের জলসীমায় প্রবেশ করে। বেইজিং এর কাছে দ্বীপটি দিয়াউস নামে পরিচিত। এই দ্বীপটিতে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দু’বার অভিযান পরিচালনা করেছিল। কিন্তু দুটি অভিযানেই চীন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে তারা আবার অভিযান পরিচালনা করলো এবং সফল হলো।
ক. শাহনামা কী?
খ. সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিযানের সাথে প্রাক-সালতানাত যুগের কোন অভিযানের বৈশিষ্ট্যগত সাদৃশ্য রয়েছে? বুঝিয়ে লিখ।
ঘ. উদ্দীপকের তৃতীয় অভিযানের সফলতা কি মুহাম্মদ বিন কাসিমের অভিযানের সফলতার অনুরূপ? ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : ইয়াসিন ‘ক’ সাম্রাজ্যের ইতিহাস পাঠ করে জানতে পারে, সম্রাট M ও Z সম্রাট এর মৃত্যুর পর সমগ্র সাম্রাজ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এসব রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা বিদ্যমান ছিল। এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে কোন প্রকার রাজনৈতিক ঐক্য বিদ্যমান ছিল না। তখন দেশে কোন প্রকার কেন্দ্রীয় সরকার ছিল না, ফলে তারা কোন প্রকার বহ্যিক্রমণের শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
ক. সুলতান মাহমুদ কত সালে সোমনাথ বিজয় করেন?
খ. সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের অর্থনৈতিক কারণসমূহ লিখ।
গ. ইয়াছিনের গঠিত ‘ক’ সাম্রাজ্যের ইতিহাসের সাথে তোমার পঠিত মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ?
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোর কী কী ব্যবস্থা নিলে বহিরাক্রমণের শক্তির প্রতিরোধ করতে পারত বলে তুমি মনে কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : বিশাল সাম্রাজ্য ও প্রচণ্ড ক্ষমতার অধিকারী রাজা দ্বিতীয় জফস এর মৃত্যুর সাথে সাথেই সাম্রাজ্যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যোগ্য উত্তরাধিকারী না থাকায় বিশাল সাম্রাজ্য ক্ষুদ্র ক্ষুণ্ন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এসব রাজ্যগুলোর মধ্যে পরস্পরিক শত্রুতা বিদ্যমান থাকায় কোন বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। রাজনৈতিক অরাজকতার পাশপাশি জীবনেও নেমে আসে দুর্ভোগ। বর্ণ বৈষম্যের কষাঘাতে নিম্নশ্রেণির মানুষ ছিল অারিত। পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হতে দেয়া হতো না।
ক. সম্রাট হর্ষবর্ধনের সমসাময়িক বাংলার শাসনকর্তা কে?
খ. ভারতবর্ষকে নৃতত্ত্বের জাদুঘর’ বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সমাজজীবনের সাথে মুসলিম বিজয়পূর্ব ভারতের সামাজিক অবস্থার কী মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে মুসলিম বিজয়পুর উত্তর ভারতের রাজনৈতিক অবস্থার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : সিংহজানির রাজা জামালপুরের শাসনকর্তার নিকট ৮ ট্রাক উপহার সামগ্রী পাঠান। কিন্তু নন্দীপুরের নিকট দিয়ে আসার সময় ডাকাতেরা ট্রাকের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জামালপুরের শাসনকর্তা মির্জা মনি ডাকাতদের প্রত্যার্পণ অথবা লুটকৃত মালামাল ফেরত দিতে নন্দীপুরের রাজা নন্দলালের নিকট দূত পাঠান। নন্দীপুরের রাজা এতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে জামালপুরের শাসনকর্তা মন্ত্রীপুর দখল করার জন্য সেনাপতি প্রেরণ করেন এবং ইহা দখল করেন।
ক. সুলতান মাহমুদ কোথাকার সুলতান ছিলেন।
খ. সুলতান মাহমুদ মন্দির আক্রমণ করেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে তোমার পাঠ্য বই এর কোন বিষয়ের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য আছে? সংক্ষেপে বিজয়ের কারণগুলো লিখ।
ঘ. উদ্ভ বিজয় কী নিষ্ফল বিজয় ছিল? বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : রশিদপুরের সুলতান “ক” কম্পপুরের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিয়ান করেন এবং চন্দ্রার প্রান্তরে উভয় পক্ষের তুমুল যুদ্ধ হয়। এতে রশিদপুরের রাজা চরমভাবে পরাজিত হন। এই যুদ্ধকে চন্দ্রার ১ যুদ্ধ বলে। পরের বছর রশিদপুরের রাজা আবার যুদ্ধাভিযান করেন এবং চন্দ্রার প্রান্তরে যুদ্ধে কম্পপুরের রাজাকে পরাজিত করে কম্পপুর অধিকার করেন।
ক. ভারতের প্রথম মুসলিম সুলতান কে ছিলেন?
খ. সুলতান মাহমুদ ও মুহাম্মদ ঘুরীর ভারত আক্রমণের মধ্যে প্রকৃতিগত পার্থক্য কী?
গ. উদ্দীপকের যুদ্ধের সাথে পাঠ্যবইয়ের কোন যুদ্ধের মিল আছে? আলোচনা কর।
ঘ. উক্ত সুলতানের ভারত বিজয়ের বিবরণ দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর এলাকায় বাদল মিয়ার লোকেরা সিলেটের চা ব্যবসায়ী তাহের মহাজনের চা বোঝাই ৮টি ট্রাক ছিনতাই করে। তাহের মহাজন তা ফেরত চাইলে বাদল মিয়া তার দায় অস্বীকার করে। এতে তাহের মহাজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। তবে বাদল মিয়ার সাথে তার আগে থেকেই কিছু বিষয়ে বিরোধ ছিল।
ক. ভারতে মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
খ. সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের সাথে সিন্ধু অভিযানের কোন দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মতো উক্ত অভিযানের কি পরোক্ষ আরও কারণ ছিল? বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : কেশবপুরের শাসনকর্তা খায়রুজ্জামান পার্শ্ববর্তী দেশ খড়মপুর বারবার আক্রমণ চালিয়ে প্রতিটি অভিযানে জয়লাভ করে। কিন্তু স্থায়ীভাবে রাজ্য দখল করা কিংবা শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা কোনোটাই তার উদ্দেশ্য ছিল না। তার আসল উদ্দেশ্য ছিল খড়মপুর থেকে টাকা-পয়সা, মণিমুক্তা সংগ্রহ করে নিজ দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করা।
ক. দেবল বন্দর কোথায় অবস্থিত?
খ. তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. কেশবপুরের শাসনকর্তা খায়রুজ্জামানের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন শাসকের যুদ্ধাভিযানের সাদৃশ্য পাওয়া যায়? বিশ্লেষণ কর।
ঘ. কেশবপুরের শাসকের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন শাসকের তুলনা করবে? মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : আরিফ ‘ক’ সাম্রাজ্যের ইতিহাস পাঠ করে জানতে পারে যে, সম্রাট ‘M’ ও সম্রাট ‘Z’ এর মৃত্যুর পর সমগ্র সাম্রাজ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এসব রাজার মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা বিদ্যমান ছিল। এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে কোনো প্রকার রাজনৈতিক ঐক্য বিদ্যমান ছিল না। তখন দেশে কোনো প্রকার কেন্দ্রীয় সরকারও ছিল না। ফলে তারা কোনো প্রকার বহিরাক্রমণের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
ক. কে সিন্ধু ও মুলতান জয় করেন?
খ. আরবদের সিন্ধু অভিযানের প্রাক্কালে ভারতের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল?
গ. আরিফের পঠিত ‘ক’ সাম্রাজ্যের ইতিহাসের সাথে তোমার পঠিত মুসলিম বিজয়ের প্রাক্কালে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলো কী কী ব্যবস্থা নিলে বহিঃ আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারত বলে তুমি মনে কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : সম্প্রতি চীনের দুটি যুদ্ধ জাহাজ জাপান নিয়ন্ত্রিত সেনকাকু দ্বীপের অলসীমায় প্রবেশ করে। চীনের কাছে দ্বীপটি দিয়াস নামে পরিচিতি এবং এটিকে তারা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য দু’বার অভিযান প্রেরণ করে। কিন্তু এ অভিযান দুটিতে তারা ব্যর্থ হয়েছিল দু’বছরের পরাজয়ের মানি মুছে ফেলার জন্য তারা আবার অভিযান প্রেরণ করে এবং এই অভিযানে সফল হয়।
ক. হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন?
খ. আরবদের ভারত অভিযানের প্রাক্কালে কনৌজ-এর অবস্থা কেমন ছিল?
গ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত অভিযানের ঘটনাবলি ভারতের ইতিহাসে কোন ঘটনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত অভিযানের ফলে ব্রাহ্মণ্যবাদ, আল্যের ও মুলতানের পড়ন ঘটেছিল? বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : রাজশাহীর ছেলে আখতার জয়পুরহাটের বন্ধু শ্যামলের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে লক্ষ করা সেখানে সমাজে বর্ণপ্রথা খুবই প্রকট। সমাজ চারটি বর্গে বিভক্ত। তন্মধ্য দুটি বর্ণের প্রভাব প্রতিপত্তি খুব বেশি। সে এক নিম্ন শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে জানতে পারে যে, ধর্মশাস্ত্র শুনলে বা পাঠ করলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। এছাড়া হিন্দু সমাজে আখতার এক শ্রেণির লোক দেখতে পায় যারা অস্পৃশ্য বলে পরিচিত। শ্যামলের সমাজে অনেক মেয়েকে ১২ বছর বয়সে বিবাহের পিঁড়ায় বসতে হয় এবং অনেক পুরুষকে ৪/৫ টা বিবাহ করতে দেখা যায়। শামসের সমাজব্যবস্থা আখতারকে পীড়া দেয়।
ক. মুহম্মদ বিন কাশিম কত সালে সিন্ধু অভিযান চালান?
খ. সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযান বলতে কী বোঝায়?
গ. আখতারের দেখা শ্যামলের সমাজব্যবস্থার সাথে মুসলিম বিবায়ের প্রাক্কালে ভারতের সামাজিক ব্যবস্থার কি মিল লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সমাজব্যবস্থা কেমন হলে আখতার দুঃখ না পেয়ে বরং খুশি হতো? মতামত দাও।
উপরে দেয়া বাটনে ক্লিক করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ২য় পত্র ১ম অধ্যায় প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post