ইসলাম শিক্ষা ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় : হিজরি সনের তৃতীয় শতাব্দীকে বলা হয় হাদিস সংকলনের স্বর্ণযুগ । হিজরি তৃতীয় শতক ছিল হাদিস সংকলনের চরম উন্নতিও বিকাশের শতক। এ সময়ে পূর্ণ সনদসম্পন্ন হাদিসসমূহ স্বতন্ত্রভাবে সজ্জিত ও বিন্যস্ত হয়। এ সময়ে সনদের তারতিব ও বিশুদ্ধতার ওপর পূর্ণমাত্রায় গুরুত্বারোপ করা হয়। ইলমুল জারাহ ওয়াত তাদীল এবং তানকীদুল হাদিস শীর্ষক হাদিস নিরীক্ষার সুক্ষ তত্ত্ব আলাদা বিভাগ হিসেবে গড়ে ওঠে। এ শতাব্দীতেই হাদিস সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ও সংস্কৃতি জগতের এক একটি অক্ষয় পিরামিড “সিহাহুস সিত্তাহ” প্রণীত হয়।
ইসলাম শিক্ষা ২য় পত্র ৫ম অধ্যায়
১. প্রফেসর আমিনুল ইসলাম তীর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন- ইসলামের বিস্তৃতিতে নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হলে এর সমাধানকল্পে ইসলামি. পন্ডিতগণ কঠোর সাধনা করে বিভিন্ন মাসয়ালা উদ্ভাবন করেন। কিন্তু নানা বিষয়ে তারা একমত হতে না পারায় কয়েকটি ধারার সৃষ্টি হয়। এদের একদল ছিলেন সিদ্ধান্ত গ্রহণে রক্ষণশীল। তারা কুরআন হাদিসের পাশপাশি মদিনাবাসী সাহাবাদের আমলকে গুরুত্ব দিতেন!
ক. ইমাম শাফেয়ি (র) কখন জন্মগ্রহণ করেন?
খ. ইমাম আবু হানিফা ফিক্হশাস্ত্রের পথিকৃৎ’ – ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে কোন মাযহাবের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত মুসলিম পণ্ডিতদের সাধনা ইসলামি শরিয়ায় কীরূপ প্রভাব ফেলে? বিশ্লেষণ করো ।
২. জনাব আলিম দৈনিক ফজর নামাজের পর অর্থসহ কুরআন অধ্যয়ন করেন। তার পিতা তাকে বলেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কুরআনের পাশাপাশি এর সম্পূরক শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত দ্বিতীয় উৎসও রীতিমত অধ্যয়ন করতে হবে। তবেই ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ ও মুক্তি পাওয়া যাবে। অপরদিকে জনাব হালিম কুরআন-হাদিস গবেষণা করে তার বিধি-বিধান সংক্রান্ত পাণ্ডলিপি রচনা করে প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং এর আলোকে নিজ জীবন পরিচালনা করে। অধ্যাপক সালাম বলেন, ‘তার গবেষণা কর্মীটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আল্লাহ তাকে সূক্ষ্ম জ্ঞানদান করেছেন। তাই সে আল্লাহর কল্যাণ লাভ করবে।”
ক. মাযহাব কী?
খ. সিহাহ সিত্তাহ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে জনাব আলিমের পিতার উপদেশে কোন বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে জনাব হালিমের কর্মীট চিহ্নিত করে অধ্যাপক সালামের মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।
৩. জনাব আহনাফ ও জনাব মিজান ফিকহশাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করছিলেন। জনাব আহনাফ বলেন, ইসলামি বিধি-বিধান ও মূলনীতির প্রধান উৎস কুরআন মজিদ ও হাদিস। কিন্তু এ উৎস দুটিতে ইসলামি আইন কানুন ধারাবাহিকভাবে বিন্যস্ত হয়নি। সরাসরি কুরআন ও হাদিস থেকে সাধারণ মানুষ ও অনারবদের জন্য বিধান গ্রহণ অসম্ভব হয়ে দেখা দিয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে মুসলিম মনীষীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতাপূর্ণ গবেষণায় ইসলামি আইনবিজ্ঞান স্বতন্ত্ররূপে যাত্রা শুরু করে। জনাব মিজান হানাফি ফিকহের কিছু বৈশিষ্ট্য আলোচনা করলেন।
ক. মাযহাব কয়টি?
খ. ফিকহশাস্ত্র বলতে কী বোঝায়?
গ. জনাব মিজান বর্ণিত বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. জনাব আহনাফ কোন বিষয়ের প্রতি ইঞ্জিত করেছেন? বিষয়টির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
৪. সাম্প্রতিককালের অধিকাংশ আধুনিক উচ্চশিক্ষিত দীনদার মানুষ মনে করে যে এখন কোনো মাযহাব অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই। কারণ কুরআন হাদিসে তো সবকিছুরই বর্ণনা রয়েছে। আবার অনেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ না করার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন। কিছু হান্কানি আলেম বলেন কুরআন হাদিস বুঝে পড়া এবং এর অন্তর্নিহিত বিধান উদঘাটন করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তারা মাযহাবের অনুসরণ ও তার স্বপক্ষে অনেক যুক্তি প্রদান ও বাস্তবতা তুলে ধরেন।
ক. ইসলামি শরিয়তের উৎস কয়টি?
খ. প্রসিদ্ধ মাযহাব কয়টি? বর্ণনা কর।
গ. মাযহাব বিরোধিতাকারীদের যুক্তিকতটুকু বাস্তবসম্মত? যুক্তি দাও।
ঘ. তুমি কি হাক্কানি আলেমগণের বক্তব্য সমর্থন করো? ব্যাখ্যা কর।
৫. রহমাতুল্লাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র । সে অধ্যয়নরত বিষয়টিতে কুরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে উদ্ভাবিত ইসলামের ব্যাবহারিক মাসয়ালাসমুহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। তার বিভাগের দুজন শিক্ষক ইমামদের মতপার্থক্য আছে এমন মাসয়ালায় মদিনাবাসী ইমামকে অনুসরণ করেন। অবশিষ্ট সকল শিক্ষক একটি মাযহারেব অনুসারী, যেটিতে এক স্বর্ণ মুদ্রার কম অর্থ চুরি করলে হাত না কাটার বিধান রয়েছে।
ক. মাযহাব কয়টি ও কী কী?
খ. ‘ফিকহচর্চার মজলিশ ষাট বছরের ইবাদত থেকে উত্তম’ – ব্যাখ্যা কর।
গ. রহমতুল্লাহ কোন বিষয়ে পড়াশুনা করছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বিভাগের শিক্ষকদের অনুসৃত দুটি মাযহাবের মধ্যে কোনটিকে তুমি অধিক মিরর মনে কর? মাযহাব দুটি চিহ্নিতপূর্বক তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।
৬. সালিহা তার বাবাকে কুরআন হাদিসের পর শরিয়তের ফিকহের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। প্রত্যুত্তরে তার বাবা বলল, সালাতে যদি তোমার কোন ভুল হয় অথবা কোন আমল ছুটে যায়, তাহলে সহিহ হয়েছে কিনা, কিভাবে তার প্রতিকার করতে হবে, এরকম অনেক বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা কুরআন ও হাদিসে নেই। থাকলেও সর্ব সাধারণের জন্য বের করা অসম্ভব। অথচ এ ধরনের সমস্যার সমাধান অত্যাবশ্যক। আর এসব বিষয়েরই সমাধানের জন্য ইলমে ফিকহের প্রয়োজন রয়েছে।
ক. ফিকহ শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
খ. ফিকহ শব্দের সংজ্ঞা দাও।
গ. সালিহার প্রশ্নের উত্তরে তার বাবার মন্তব্যটি যথার্থপূর্ণ- ব্যাখ্যা করে।
ঘ. শরয়ি যাবতীয় বিষয় কুরআন হাদিসে থাকলেও সর্ব সাধারণের জন্য বের করা অসম্ভব- এ উত্তির মূল্যায়নে ফিকহের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করো।
৭. রিসাত আহমেদ জীবনে অনেক অন্যায় কাজ করেছেন। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে এখন তার মনে অনুশোচনার সৃস্টি হয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন দীর্ঘদিন অন্যায় করতে করতে তার আত্মাও কুলষিত হয়ে পড়েছে। তিনি এখন অন্যায় ও পাপাচারমুক্ত জীবনযাপন করতে চান।
ক. হযরত হাসান বসরি (রা) কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ. শরিয়ত ও তাসাউফ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল কেন?
গ. রিসাত আহমেদ কীভাবে তার আত্মাকে সুস্থ ও পবিত্র করে তুলতে পারেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. পাপাারমুক্ত জীবনযাপন করতে হলে রিসাত আহমেদ তার জীবনচারণে শরিয়ত ও তাসাউফের সমন্বয় ঘটাতে হবে। বিশ্লেষণ করো।
৮. হতেন রাসুল (স) এর সময় ওহি নাজিল হত। ফলে সাহাবিগণের মাঝে কোন সমস্যা দেখা দিলে নবিজি (স.) নিজেই ওহির আলোকে সমাধান দিতেন। কিন্তু রাসুল (স.) এর ইন্তেকালের পর মুসলমানরা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করেন। এই পদ্ধতিতে ফিকহশাস্ত্রের উদ্ভব হয়।
ক. ফিকহশান্ত্র কাকে বলে?
খ. মাযহাব কখন উৎপত্তি লাভ করে?
গ. উদ্দীপকের ঘটনার আলোকে ফিকহশাস্ত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. ইসলামি বিধিবিধান পালনে ফিকহশাস্তরের প্রয়োজনীয়তা কুরআন-হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
৯. সাইফুল্লাহ আল কুরআন ও সুন্নাহর উপর যথাযথ জীবন পরিচালনা করতে চান। এ জন্য তিনি একজন ইসলামি চিন্তাবিদের শরণাপন্ন হয়। ইসলামি চিন্তাবিদ তাকে কুরআন ও সুন্নাহ মেনে চলার পাশাপাশি ইসলামি বিধি-বিধান সম্পর্কিত একটি শান্ত সম্পর্কে জ্ঞান লাভের পরামর্শ দেন।
ক. ইসলামি আইনশাসনতন্ত্রের প্রবর্তক কে?
খ. ইজমার উৎপত্তি কীভাবে হয়েছেঃ ব্যাখ্যা করো।
গ. ইসলামি চিন্তাবিদ কোন শাস্ত্র জ্ঞান লাভের পরামর্শ দেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের উল্লেখিত শাস্ত্র অধ্যয়নে বাস্তব জীবনে কীরূপ প্রভাব পড়বে? বিশ্লেষণ করো।
১০. ইসলাম শিক্ষার ক্লাসে শ্রেণি শিক্ষক বলেন, ইসলাম যখন দিগ-দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ে তখন নতুন নতুন সমস্যার উত্তব ঘটে। সমস্যা সমাধানে একদল গবেষক কঠোর পরিশ্রম করেন এবং সৃষ্টি হয় নতুন এক শাস্ত্র। তবে তারা সমস্যা সমাধানে যে সব মাসআলা দেন, তাতে তারা সবাই একমত হতে পারেনি। ফলে নতুন কয়েকটি পথ বা ধারা সৃষ্টি হয়।
ক. মুয়াতা গ্রন্থের প্রণেতা কে?
খ. হাদিস শান্তর স্বর্ণযুগ কোনটি?
গ. সমস্যা সমাধানে গবেষকদের সৃষ্ট নতুন শান্ত কোনটি? ‘এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ বাক্যটিতে কোন পথসমূহের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
►► আরো দেখো: ইসলাম শিক্ষা ১ম ও ২য় পত্রের নোট ও সাজেশন
শিক্ষার্থীরা, ওপরে ইসলাম শিক্ষা ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় থেকে ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। তবে তোমরা আরো একাধিক সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ ফাইলে সংগ্রহ করতে পারো। ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করে এ অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post