বর্তমান সময়কে বলা হয় বিশ্বায়নের যুগ বা Era of Global Village। আমরা এক অন্য রকম পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে নয়া দুনিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের গন্ডির বাইরের পুরো পৃথিবী হঠাৎ যেন ছোট হয়ে আসছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবস্থার অগ্রগতি আমাদের এই পথচলাকে করেছে আরও সহজ, সাবলীল এবং দ্রুত। এটি হোক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরস্পর যোগাযোগ রক্ষা, অনলাইন কেনা-বেচা, বা ই কমার্স এসইও এর মাধ্যমে ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে—সবক্ষেত্রেই ইন্টারনেট একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছে।
ব্যবসা করার যে আদি ধারনা ছিল, সেটিকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে ই-কমার্স। ব্যবসার পদ্ধতি, মার্কেটিং, সেলস—সবকিছুই আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন রূপ পেয়েছে। এই আধুনিক যুগে টিকে থাকতে হলে, আপনাকেও নিজের মার্কেটিং এবং সেলস কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে ই-কমার্স ব্যবসায় সফল হতে হলে ইকমার্স এসইও সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি। কারণ এসইও ছাড়া ই-কমার্স ব্যবসার সফলতা কল্পনা করাও ভুল হবে।
চলুন আজকে জানি, ই-কমার্স কীভাবে কাজ করে, ইকমার্স এসইও কী, কেন এটি প্রয়োজন, এবং কীভাবে এটি করবেন। সবকিছু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক!
ই কমার্স কি ও প্রকারভেদ?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পন্য ও সেবা কেনা বেচার আধুনিক পদ্ধতিই হল ই কমার্স। ই কমার্স মূলত ইলেক্ট্রনিক কমার্সের সংক্ষিপ্ত রুপ, ই কমার্সকে আমরা বাজারের সাথে তুলনা দিতে পারি তবে এখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই অনলাইনে তাদের কাজ পরিচালনা করে।
লেনদেনের উপর নির্ভর করে ই কমার্সকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
১. (B2B E-commerce) ব্যবসা থেকে ব্যবসা ই কমার্স: B2B পদ্ধতিতে সাধারনত একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আরেকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পন্য সরবরাহ করা হয়। শুধুমাত্র পাইকারী বিক্রেতা ও প্রস্ততকারকগন এই লেনদেনে যুক্ত থাকেন, এই পদ্ধতিতে খুচরা পন্য বিক্রি করা হয় না। পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় কিছু B2B E-commerce কোম্পানি হলঃ
- Salesforce
- HubSpot
- IBM
- WeWork
- Dropbox Business
২. (B2C E-Commerce) ব্যবসা থেকে ভোক্তা ই কমার্স: এই মডিউলে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ সরাসরি ভোক্তা দের সাথে পন্য ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। এই মডিউলে সাধারনত ক্রেতা – বিক্রেতা অনলাইনে সরাসরি যোগাযোগ করে থাকে। অনলাইনে পন্যের তথ্য, ছবি, ভিডিও ও পর্যোলচনা দেখে ক্রেতা অর্ডার করে থাকেন এবং ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভোক্তার কাছে পন্যটি হস্তান্তর করে। জনপ্রিয় কিছু B2C E-commerce কোম্পানি হলঃ
- Amazon
- Nike
- Apple
- Starbucks
৩. (C2C E-Commerce) কাস্টমার থেকে কাস্টমার ই কমার্স: C2C E-Commerce এ ভোক্তাগন সরাসরি একে অপরের সাথে লেনদেন করে থাকে। এই মডিউলে ভোক্তাগনের মাঝে মধ্যস্থতা করার জন্য তৃতীয় পক্ষ থাকে যার মাধ্যমে লেনদেন সম্পাদিত হয়। এই তৃতীয় পক্ষ ভোক্তাগনকে একটি মার্কেটপ্লেস বা অনলাইন প্লাটফর্ম প্রদান করে, যেখানে তারা পারষ্পরিক লেনদেন করে থাকে। কিছু জনপ্রিয় C2C E-commerce কোম্পানি হলঃ
- eBay
- Airbnb
- Etsy
- Poshmark
- Craigslist
৪. (C2B E-Commerce) ভোক্তা থেকে ব্যবসা ই কমার্স: C2B E-Commerce মডিউলে ব্যাবসায়ীগন সরাসরি অথবা অনলাইনে নিলামের মাধ্যমে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা বা পন্য ক্রয় করে থাকে। এই ধরনের ই কমার্স মডিউলের ফলে নতুন নতুন ঊদ্যোক্তার সৃষ্টি হয় যা সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্তপুর্ন অবদান রাখে। পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় কিছু C2B E-commerce কোম্পানি হলঃ
- Fiverr
- Upwork
- Shutterstock
- Patreon
এতক্ষনে নিশ্চয় বুঝে ফেলেছেন, ই কমার্স কি? এবং কতভাবে ই কমার্স ব্যাবসা করা যায়, এখন আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন আসছে আপনি কিভাবে ই কমার্স ব্যাবসা শুরু করবেন?
দাঁড়ান ভাই, আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, একটু ধীরে চলেন, কথায় আছে না Slow and steady wins the race…
ই কমার্স ব্যাবসা তো অনেক ভাবেই করা যায়, তবে সব থেকে বেশি সহজ ও প্রচলিত ৫ টি বিজনেস মডিউল সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব:
১. ওয়েবসাইটে পন্য বিক্রি
এই মডিউলে ব্যাবসা শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন, যেখানে আপনি বিক্রয় যোগ্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট অ্যাড করবেন। কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে পছন্দমত প্রোডাক্ট অর্ডার করবে এবং আপনাকে প্রোডাক্ট ডেলিভেরি করতে হবে। এই ব্যাবসার জন্য আপনার অফলাইনে কোন দোকান দেয়ার প্রয়োজন নেই, তবে দিলে তা কাস্টমারদের কাছে আপনার নির্ভরতা বাড়াবে।
তবে শুধু ওয়েবসাইট বানালেন আর ই কমার্স ব্যাবসা শুরু হল, উড়া-ধুরা বিক্রি করলেন বিষয়টি এমন নয়; অনলাইনে আপনার কম্পিটেটরদের কে হারিয়ে গ্রাহকদের কাছে নিজের গ্রহনযোগ্যতা তুলে ধরতে হবে, মার্কেটিং করে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌছাতে হবে এবং সর্বাধিক গুরুত্তপুর্ন বিষয়; আপনার ওয়েবসাইটকে SEO ফ্রেন্ডলি করে Google এর SERP তে আপনার কম্পিটিটরদের বিট করতে হবে।
সব এখনই জানতে চাচ্ছেন, থাক একটু পর আলোচনা করি। আরো কিছু পদ্ধতিতে ই কমার্স ব্যাবসা পরিচালনা করা যায় আগে সেগুলো জানুন….
২. ড্রপ শিপিং
প্যারা বিহীন অনলাইন ব্যাবসা করতে চাচ্ছেন? আপনার জন্যই ড্রপ শিপিং। এই বিজনেস মডিউলে পন্য স্টক, প্যাকেজিং, ডেলিভারি সব করতে হয় তৃতীয় পক্ষের কোম্পানিকে। ভাবছেন আপনার কাজ কি? আপনার কাজ হল শুধুমাত্র অর্ডার কালেক্ট করা আর কিচ্ছু না। যত কাজ আছে সব ঐ তৃতীয় পক্ষই করবে, তবে এখানে একটা কিন্তু আছে!
আহহ, ঘাবড়িয়ে যাওয়ার মত কিছু না, অর্গানিক ভাবে অর্ডার পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েব সাইটকে SEO Friendly করতে হবে যাতে কাস্টমার অর্গানিকালি আপনার কাছে পৌঁছতে পারে, সাথে যদি একটু মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে তো পুরো জমে ক্ষির!!!
৩. ডিজিটাল পাইকারি ব্যবসা
এই ব্যাবসায় আপনাকে সরাসরি উৎপাদকের কাছে থেকে পন্য কিনে গুদামজাত করে, অনলাইনে পাইকারী বিক্রি করতে হবে। আপনার কাছ থেকে খুচরা ব্যাবসায়ীগন পন্য কিনে বিক্রি করবে।
৪. সাবস্ক্রিপশন মডেল
এই সাবস্ক্রিপশন মডেলে আপনি নির্দিষ্ট সময় পর পর নির্ধারিত পন্য বা সেবা প্রদানের জন্য গ্রাহকের সাথে চুক্তি বদ্ধ হবেন। অনেক ধরনের সাবস্ক্রিপশন বেজ ই কমার্স ব্যাবসা রয়েছে যেমনঃ Semrush, Ahref, Netflix, Starlink ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনার টারগেটেড কাষ্টমারদের কাছে আপনাকে পৌছাতে হবে এবং তাদের কাছে আপনার পন্যটি বিক্রি করতে হবে।
৫. হোয়াইট লেবেল
এই মডিউলে একটি তৃতীয় পক্ষের কোম্পানি থেকে পন্য কিনে নিজের লেবেলিং করে মার্কেটে বাজারজাত করা হয়। এই মডিউলে অনেক কম খরচে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়। তবে ব্র্যান্ড তৈরি করতে প্রচুর মার্কেটিং করতে হয় একই সাথে SEO করার মাধ্যমে কম্পিটেটরদের থেকে এগিয়ে নিজের ব্রান্ডের জন্য অর্গানিক ভাবে কাষ্টমার বেজ তৈরি করতে হয়।
আরেকটি বিষয় এই মডিউলে তৃতীয় পক্ষের কাজের উপর আপনার ব্রান্ডের ইমেজ টিকে থাকে, তাই সর্বদা তাদের মনিটরিং করতে হবে এবং ব্যাকাপ প্লান রেডি রাখতে হবে।
একটা কমন জিনিস লক্ষ্য করেছেন আপনি যে মডিউলেই ই কমার্স ব্যাবসা করেন না কেন, আপনার ব্র্যান্ড ভিজিবিলিটি বাড়াতে এবং অর্গানিক গ্রাহক পেতে ই কমার্স SEO এর বিকল্প নেই। চলুন ই কমার্স SEO এর আদ্যপান্ত জেনে নেয়া যাক….
জেনারেল এসইও vs ই কমার্স এসইও
এসইও (SEO) এর সরল অর্থ হল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা, সহজ ভাবে বললে, আপনার ওয়েবসাইটকে এমন ভাবে সাজানো যাতে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ডে রাঙ্ক পান। একবার রাঙ্ক পেয়ে গেলে আপনি অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া শুরু করবেন; মনে রাখবেন, যত বেশি ট্রাফিক তত বেশি কাষ্টমার।
তবে ই কমার্স এসইওতে সরাসরি পন্য সেল করার বিষয়টি মাথায় রেখে পুরো ওয়েবসাইটটি সাজাতে হয়। কি ওয়ার্ড রিসার্চ থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের ডিজাইন পর্যন্ত সব কিছু, কাষ্টমার ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করা হয় যাতে যেকোন বয়সী, যে কেউ অত্যান্ত সহজে পন্য অর্ডার করতে পারে। আরেকটু ভিতরে যাওয়া যাক…
ই কমার্সের জন্য কি ওয়ার্ড রিসার্চ
জেনারেল বা নিউজপেপার এসইও করার জন্য সাধারনত ইনফরমেশনাল কি ওয়ার্ড টার্গেট করা হয়, অপরদিকে ই কমার্সের এসইও করার জন্য সাধারনত প্রোডাক্ট কি ওয়ার্ড, ব্র্যান্ড কি ওয়ার্ড ও ট্রাঞ্জিকশনাল কি ওয়ার্ডকে টার্গেট করা হয়। কি ওয়ার্ড সিলেকশনের সময় লং টেইল ও শর্ট টেইল উভয় প্রকারের কি ওয়ার্ডই ইউজ করা হয়। কি ওয়ার্ড রিসার্চের সময় কিছু বিষয়ে নজর দিতে হয়ঃ
- কি ওয়ার্ড সার্চ ভলিউম
- কি ওয়ার্ড ডিফিকাল্টি
- কম্পিটিটর কি ওয়ার্ড
- ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি পেজের জন্য কি ওয়ার্ড রিসার্চ করুন
- গুগল সাজেস্টেড কি ওয়ার্ড ইউজ করুন
- লং টেইল কি ওয়ার্ড ব্যাবহার করুন
ই কমার্সের জন্য অন পেজ এসইও করা
সাধারনত অন পেজ এসইও করা হয়, যাতে সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার সহজেই ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট বুঝতে পারে ও দ্রুত সময়ের মাঝ ইন্ডেক্স করতে পারে। এছাড়াও অনপেজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ও ইউজার দের কাছে ওয়েবসাইটকে গুছিয়ে উপস্থাপন করা হয়। ই কমার্স অন পেজ এসিইও করার সময় কিছু বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয় যথাঃ
- কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট
- সঠিক ভাবে কি ওয়ার্ড ব্যাবহার
- মেটা টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করা
- প্রোডাক্টের ইমেজকে অপ্টিমাইজেশন করা ও .jpj ফরম্যাট ইউজ করা
- ভয়েস সার্চ কি ওয়ার্ড যুক্ত করা
- ইন্টারনাল লিঙ্কিং ও এক্সটারনাল লিঙ্কিং করা
- মোবাইল ফ্রেন্ডলি করা
ই কমার্সের জন্য অফ পেজ এসইও করা
একটি ওয়েবসাইটকে ব্রান্ডে রুপান্তর করতে ও ডোমেইন অথরিটি বাড়াতে অফ পেইজএর বিকল্প নেই। সাধারনত ওয়েব সাইটের বাইরে থেকে যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে ওয়েবসাইটের অপ্টিমাইজেশন করা হয় তাকে অফ পেজ এসিইও বলে। ই কমার্সের অফ পেজ এসিইও করতে হলে বেশ কিছু দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় যথাঃ
- ব্যাকলিঙ্ক করা
- লোকাল এসইও করা
- সোশ্যাল মিডীয়া পোসটিং করা
ই কমার্সের জন্য টেকনিক্যাল এসইও করা
টেকনিক্যাল এসিইও করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল সমস্যা সমূহ সমাধান করা হয়। টেকনিক্যাল সমস্যা না থাকলে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট দ্রুত ইন্ডেক্স হয় ও সার্চ ইঞ্জিনে সহজে রাঙ্ক পায়। ই কমার্সে বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় যথাঃ
- ওয়েবসাইটের স্পিড ও পারফরমেন্স ঠিক করতে হবে
- ই কমার্স ওয়েবসাইটকে মোবাইলে ভিজিট করার জন্য পারফেক্ট করে তুলতে হবে
- গুগল সার্চ কন্সোলে ভালো করে নজর দিতে হবে, কোন ইরোর থাকলে সমাধান করতে হবে
- Error 404 পেজ থাকলে তাকে অন্য পেজের রাথে Redirect করে দিতে হবে
- প্রোডাক্ট পেজের স্কিমা বা মার্কাপ করতে হবে
- ওয়েবসাইটের নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
উপসংহার
পুরো পৃথিবী জুড়ে ২০৩০ সালের মাঝে ই কমার্স বিজনেসের মার্কেট প্রায় $৪৭.৭৩ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে, অবিশ্বাস্য তাইনা! এখন কি করবেন ভাবছেন, রিস্ক তো নেয়াই যায়! প্রোপার প্লানিং করে নেমে পড়ূন, আর যদি মনে হয় আপনার ব্যাবসার জন্য কোন ধরনের প্লানিং বা সার্ভিসের প্রয়োজন রয়েছে; সাচ্ছন্দ্য আমাদের কে নক দিন। দরকার হলে মিটিং এ কিছু প্লান শেয়ার করেন আমাদের সাথে, আমাদের পরামর্শে আপনার বিজনেস স্টাব্লিশড হলে এটাই আমাদের সার্থকতা।
প্যারা নিয়েন না এই মিটিং করার জন্য আমরা আপনার কাছে কোন প্রকার চার্জ করব না। পুরো প্যাচাল ধৈর্যের সাথে পড়ার জন্য কলিজা পোড়া ভালোবাসা নিবেন, See you not for mind…. গুড বায়, শরিফ সিদ্দিকি, ফাউন্ডার অফ upgraph.io
Discussion about this post