বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নির্মিতি লেখার অংশে দিনলিপি লিখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তি, ভাষার উপস্থাপন এবং সময় ব্যবস্থাপনার প্রতিফলন ঘটায়। পরীক্ষায় একজন শিক্ষাবিদের দিনলিপি লিখন একটি সম্ভাব্য প্রশ্ন হিসেবে প্রায়ই দেখা যায়। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এই টপিকটি অনুশীলন করা অত্যন্ত জরুরি।
কোর্সটিকায় আমরা পরীক্ষাভিত্তিক ও সহজবোধ্যভাবে সাজিয়ে দিয়েছি এই বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর, যা লেখার ধরন ও কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেবে। পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে এখনই শুরু করো দিনলিপি অনুশীলন—কোর্সটিকায়।
একজন শিক্ষাবিদের দিনলিপি লিখন
একজন শিক্ষাবিদের দিনলিপি
মার্চ, ২০২৫
ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠলাম। পত্রিকা পড়া এবং চা খাওয়া শেষ করে যথারীতি ৭টায় পড়তে বসলাম। ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার দু’শো বছর’ বই থেকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘শিক্ষার লক্ষ্য’, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘লোক শিক্ষা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ’, প্রমথ চৌধুরীর ‘আমাদের শিক্ষা ও বর্তমান জীবন সমস্যা’ চারটি প্রবন্ধ পড়লাম। আমার এ পড়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন, কেন পড়ি? মনে মনে বলি, না পড়ে লিখব কী করে? বই পড়ে যেমন নিজেকে জানতে পারি, তেমনি জানতে পারি অন্যকে, জানতে পারি চারপাশের পরিবেশ আর প্রকৃতিকে। এ জানা চাক্ষুষ জানা নয়— মন দিয়ে, হৃদয় দিয়ে জানা। আত্মার পরিব্রজনে বই আমার একই সঙ্গে পথ ও পাথেয়।
আজও সকাল ১০টায় কলেজে গেলাম। পর পর তিনটি ক্লাস নিয়ে বাসায় ফিরলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। ‘কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব’ বিষয়ক প্রবন্ধ লেখার জন্য কিছু বিষয় নোট করলাম। আমার মনে হলো কাজের প্রতি আমাদের দৃষ্টি কোনোকালেই খুব স্বচ্ছ ছিল না; ফলে কর্মমুখী শিক্ষার প্রতিও আমাদের দৃষ্টি খুব স্বচ্ছ নয়। দেশে কৃষি ছাড়া যদি শিল্পেরও বড় ধরনের কোনো বিকাশ ঘটত, বিশেষ করে সেগুলো যদি দেশজ কাঁচামাল, শ্রম, প্রজ্ঞা ব্যবহারের ওপর জোর দিত, তবে এই কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজন সর্বত্র অনুভূত হতো। ফলে দেশের অর্থনীতিতে একটি সুফল বয়ে আনত। কর্মমুখী মানুষ হাতাশায় ভোগে না; সমাজের উন্নতিকল্পে এদের বিকল্প নেই।
শিক্ষার সঙ্গে জীবন ও পরিবেশের যোগাযোগ রক্ষা করা দরকার। না হলে শিক্ষা অর্থবহ হয়ে উঠবে না। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ থেকে ‘ডিগ্রির অভিশাপ’ পড়লাম। ‘বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা’ প্রবন্ধ লিখলাম। রাতে খাবার খেয়ে পরবর্তী দিনের কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় নোট লিখলাম। আমার কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলাম। রাত ১১টায় ঘুমাতে গেলাম।
আরও দেখো—এইচএসসি বাংলা ২য় পত্রের উত্তরসহ সাজেশন
দিনলিপি লিখন অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয় না, বরং লেখার স্বাভাবিকতা ও অভিব্যক্তির ক্ষমতাও বাড়ায়। “একজন শিক্ষাবিদের দিনলিপি” একটি সময়োপযোগী ও চর্চিত বিষয় হওয়ায়, এর কাঠামো ও বিষয়বস্তুর সঠিক উপস্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোর্সটিকায় আমরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বুঝে নিয়মিত পরীক্ষাভিত্তিক অনুশীলনী প্রকাশ করে থাকি, যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। তাই প্রস্তুতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখো, নিয়মিত প্র্যাকটিস করো এবং দিনলিপি লিখনে দক্ষতা অর্জন করো—কোর্সটিকার সাথেই।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের জন্য চূড়ান্ত সাজেশন হিসেবে একজন শিক্ষাবিদের দিনলিপি লিখন আলোচনা করা হয়েছে। শতভাগ কমন পাওয়ার জন্য এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post