একুশের গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন : ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত “একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনে “একুশের গান’ প্রথম ছাপা হয়। এখানে ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত ভাষা-আন্দোলনে বাঙালি ছাত্র-জনতার আত্মোৎসর্গের স্মৃতিম্মরণ করা হয়েছে। ভাষা-আন্দোলনের রক্তদান কিছুতেই বিস্মৃত হওয়া যায় না। এখানে অন্যায়ভাবে গুলিবর্ষণকারী তৎকালীন পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির জাগ্রত প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে।
একুশের গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে নিরস্ত্র বাঙালির প্রধান অস্ত্র ছিল সংস্কৃতি, যে সংস্কৃতির প্রধান অংশ ছিল ভাষা, যার মুখ্য অঙ্গ ছিল গান- বাঙালির মুক্তির গান। কার থেকে মুক্তি? কিসের থেকে? পাকিস্তানের শাসন ও শোষণ থেকে।
ক. ‘একুশের গান’ প্রথম কত সালে ছাপা হয়?
খ. জালিমের কারাগার’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের চেতনার সাথে ‘একুশের গান’ কবিতার চেতনার সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. ‘একুশের গান’ কবিতাটি বাঙালিকে অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে অনুপ্রেরণা যোগায়। মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘একুশের গান’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ :
ওড়া কেড়ে নিতে চায় বুকের স্বপ্ন, মায়ের মুখের ভাষা
ঝরিয়ে রক্ত, ভাইয়ের প্রাণ, হৃদয়ের ভালোবাসা
জেগে ওঠো আজ সাহসী যৌবন, আনো নব উত্থান
স্নেহের আগুনে পোড়াও ওদের, গাও বিজয়ের গান।
ক. ‘একুশের গান’ কবিতায় উল্লিখিত কোথায় বীর ছেলে বীর নারী মারা যায়?
খ. ‘শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘একুশের গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকটি ‘একুশের গান’ কবিতার সমগ্রভাব ধারণ করেনি।”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :
১. ‘‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়
ওরা ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতে-পায়ে।”
২. ‘‘শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়;
জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়!”
ক. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলনের সম্পাদনা কে করেন?
খ. ‘‘জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখিরা’’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপক: ১-এ ‘একুশের গান’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘একুশের গান’ কবিতায় উদ্দীপক-২-এ প্রকাশিত ভাবটির প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।”- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ :
ধন্য সবাই ধন্য
অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে মাতৃভূমির জন্য
ধরল যারা জীবন বাজি হলেন তারা শহিদ গাজী
লোভের টানে হয়নি যারা ভিনদেশিদের পণ্য।
ক. ‘ফেব্রুয়ারিকে ‘অশ্রু-গড়া বলা হয়েছে কেন?
খ. ‘‘এমন সময় ঝড় এলো এক, ঝড় এলো ক্ষ্যাপা বুনো।”- চরণটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘একুশের গান’ কবিতার প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘একুশের গান’ কবিতার বিষয়বস্তুকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে কি? তোমার যুক্তিপূর্ণ মতামত তুলে ধর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ :
‘সাভারে গিয়াছ স্মৃতিসৌধের পাশে-
তিরিশ লক্ষ শহিদের স্মৃতি ভাসে।
সেখানে সাহসী বীরযোদ্ধার দম্ভ/ তাদের রক্তে এই সৌধের স্তম্ভ।
ইতিহাসে তাঁরা হৃদয়ে সমুজ্জ্¦ল/ তোমরা সেখানে শ্রদ্ধায় উচ্ছল।
ক. ‘একুশের গান’ কবিতাটি কোন সালে প্রকাশিত হয়?
খ. ‘দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়’- কথাটি দ্বারা ‘একুশের গান’ কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘একুশের গান কবিতার যে দিক দিয়ে মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপক এবং ‘একুশের গান’ কবিতায় শুধু সাদৃশ্য নয়, বৈসাদৃশ্যও রয়েছে।’- মন্তব্যটি সঠিক কি না বিচার কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ :
১. মায়ের ভাষায় কথা বলতে/ স্বাধীন আশায় পথ চলতে
হাসি মুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ/ সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান।
২. ভাইয়ের বুকে রক্ত আজিকে/ রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা/ কণ্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে।
ক. ‘একুশের গান’ কবিতাটি কোন শহিদের স্মরণে লেখা হয়েছে?
খ. ‘‘দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়’’ – কারা এবং কীভাবে?
গ. উদ্দীপক: ১-এ ‘একুশের গান’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপক: -২-এর মূলভাবে ‘একুশের গান’ কবিতার বিশেষ একটি দিক প্রতিফলিত হয়েছে”- মন্তব্যটির যথার্থতা নির্ণয় কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : বখাটে ছেলেদের উৎপত অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। কিন্তু সাহস করে কেউ কিছু বলে না। একদিন কলেজছাত্র সাদমান একাই রুখে দাঁড়ায়, প্রতিবাদ করে। এতে বখাটেরা সাদমানকে মারধর করতে থাকে। যে এলাকাবাসী এতদিন ভয়ে সব অত্যাচার নীরবে সহ্য করেছে, তারাই প্রতিবাদী সাদমানের উপর ও অত্যাচারে যেন ক্ষিপ্ত হয়ে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে বখাটেদের উপর। তারা বখাটেদের ধরে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়।
ক. ‘অলকনন্দা’ কী?
খ. ফেব্রুয়ারিকে ‘মায়ের অশ্রু গড়া’ বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের বখাটেরা ‘একুশের গান’ কবিতার কাদের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকে এলাকাবাসীর জাগরণই ‘একুশের গান’ কবিতার কবির প্রত্যাশ্যা’- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ :
কথা বলছো, হাসছো, গল্প করছো বাংলায়
ইতিহাস শুনেছো?
গান শুনেওছা, কবিতা লিখেছো, ছড়া পড়েছো বাংলায়
ইতিহাস পড়েছো?
তর্ক করেছো, বক্তৃতা দিচ্ছো, উত্তর লিখছো বাংলায়
ইতিহাস দেখেছো?
বাদ দাও ইতিহাস!
প্রতিটা বর্ণচিরে দেখ তপ্ত হাতে
দেখবে তাজা রক্ত এখনও গড়িয়ে পড়ছে।
ক. অলকনন্দা কী?
খ. ‘সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা’- একথা কেন বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘একুশের গান’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশটি এবং ‘একুশের গান’ রচিত হয়েছে একই আবেগ থেকে- বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ :
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে,
হাসি মুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ,
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান।
ক. ‘…তবু তোরা পার পাবি?’ চরণটির শূন্যস্থানে কী বসবে?
খ. ‘এমন সময় ঝড় এল এক’ ঝড় এলো ক্ষ্যাপা বুনো’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘একুশের গান’ কবিতার কোন দিকটির মিল রয়েছে?
ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশটির প্রকাশিত চেতনাই ‘একুশের গান’ কবিতার মূল চেতনা- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ :
সাবাস বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়/ জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।/ এবার লোকের ঘরে ঘরে যাবে
সোনালি নয়কো, রক্ত রঙিন ধান/ দেখবে সকলে সেখানে জ¦লছে
দাউ দাউ করে বাংলাদেশের প্রাণ।
ক. ‘ক্রান্তি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. কবি কেন একুশে ফেব্রুয়ারিকে জেগে উঠতে আহ্বান করেছেন?
গ. উদ্দীপক ও ‘একুশের গান’ কবিতার মধ্যে যে দিক থেকে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘একুশের গান’ কবিতার বিষয়বস্তুর আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ কার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি?
উত্তর : আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কাকে ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু-গড়া বলা হয়েছে?
উত্তর : ফেব্রুয়ারিকে ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রুগড়া বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কেমন দেশের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি?
উত্তর : সোনার দেশের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারি।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কী হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা।
উত্তর : শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ নীল গগনের বসনে কখন চাঁদ চুমো খেয়েছিল?
উত্তর : নীলগগনের বসনে শীতের শেষে চাঁদ চুমো খেয়েছিল।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কবি হাটে-মাঠে, ঘাটে-বাঁকে মানুষের কোন শক্তিকে কাজে লাগাতে চান?
উত্তর : কবি হাটে-মাঠে, ঘাটে-বাঁকে মানুষের সুপ্ত শক্তিকে কাজে লাগাতে চান।
গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ‘শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা’- চরণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করার আন্দোলনে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে বাঙালিরা এমনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়–ক যেন সমস্ত বসুন্ধরা কেঁপে ওঠে। বাংলা ভাষার দাবিতে বাংলার দামাল ছেলেরা রাজপথে মিছিল বের করলে পাকিস্তানি হায়েনারা মিছিলের ওপরে গুলি ছুঁড়ে অসংখ্য বাঙালিকে হত্যা করে। যারা শহিদ হয়েছিল তারা সকলেই কোনো না কোনো মায়ের সন্তান। আর মায়ের কাছে সন্তান সকল সময় শিশু। তাই এই শিশু হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য লেখক সমগ্র বাঙালি জাতিকে এমনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন যাতে সমস্ত বসুন্ধরা কেঁপে ওঠে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ‘ওরা গুলি ছোড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবিকে রোখে’- কারা, কেন গুলি ছোড়ে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : এখানে পাকিস্তানি হায়েনাদের ভাষা আন্দোলনকে রুখতে জনতার প্রতি গুলি ছোড়ার কথা বলা হয়েছে।
পশ্চিমা শাসকদের খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে বাংলার জনগণ তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। কেননা পাকিস্তানি পশুরা বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নিয়ে উর্দুকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাংলার দামাল ছেলেরা তা মানতে না পেরে তীব্র প্রতিবাদ করে এবং রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা দাবি করে রাজপথে মিছিল বের করে, যা দেখে পাকিস্তানি জালিমরা গুলি ছোড়ে এদেশের প্রাণের দাবিকে রুখতে।
►► উত্তর ডাউনলোড : ভাব ও কাজ
►► উত্তর ডাউনলোড : অতিথির স্মৃতি
►► উত্তর ডাউনলোড : পড়ে পাওয়া
►► উত্তর ডাউনলোড : তৈলচিত্রের ভূত
►► উত্তর ডাউনলোড : এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
►► উত্তর ডাউনলোড : আমাদের লোকশিল্প
►► উত্তর ডাউনলোড : সুখী মানুষ
►► উত্তর ডাউনলোড : বাংলা নববর্ষ
►► উত্তর ডাউনলোড : মংডুর পথে
►► উত্তর ডাউনলোড : বাংলা ভাষার জন্মকথা
শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন সাজেশান্স ও নোট পেতে আমাদের Facebook Page এ Like দিয়ে রাখো। । আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post