এসআই নিয়োগ পরীক্ষা : বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ‘সাব-ইন্সপেক্টর’ বা এসআই পদে প্রতিবছরই বড়সংখ্যক জনবল নিয়োগ হয়। আর বিশাল এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রশাসনে ক্যারিয়ার গড়তে চাওয়া চাকরী সন্ধানীদের উৎসাহেরও কমতি থাকে না। এসআই বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বও অনেক।
তাই এমন একটি পদে যোগ্য হিসেবে নির্বাচিত হতে গেলে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই তার উপযুক্ততার প্রমাণ দিতে হয়। বাংলাদেশে এসআই নিয়োগের পরীক্ষা বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পর্কে আলোচনা, প্রস্তুতি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আজ আমরা কোর্সটিকায় আলোচনা করবো।
এসআই নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতি
►► আরো দেখুন: ডেবিট কার্ড কি? কীভাবে পেতে পারেন?
►► আরো দেখুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বই পিডিএফ ডাউনলোড
►► আরো দেখুন: Downloads পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্ন PDF File (2021)
১. প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি
সাধারণত প্রতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলের দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে থাকে। স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রিধারীরাই এসআই পদে আবেদনের সুযোগ পান। নিয়োগের বাছাই পরীক্ষা হয় মূলত ৪ টি ধাপে। (ক) শারীরিক পরীক্ষা, (খ) লিখিত পরীক্ষা (২২৫ নম্বর), (গ) মৌখিক পরীক্ষা (১০০) এবং সব শেষে (ঘ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন (ভিআর)। সর্বশেষ ধাপ পর্যন্ত সফলভাবে টিকে থাকতে পারলেই একজন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে এসআই হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
২. শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষা:
বাংলাদেশে এসআই নিয়োগে শারীরিক যোগ্যতাকে প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে ধরা হয়। গত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি। অপরদিকে একজন নারীর ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে।
প্রার্থীর বয়স ও উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ওজনের ভারসাম্য থাকতে হবে। প্রার্থীকে দৌড়, জাম্পিং ও রোফ ক্লিম্বিংয়ে অংশ নিতে হবে। এই ধাপগুলোতে উত্তীর্ণ হলে প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হবেন। এখানে আরো উল্লেখিত থাকে যে, প্রার্থীর অবিবাহিত হওয়া এসআই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অন্যতম প্রধান শর্ত।
৩. লিখিত পরীক্ষা
বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা শেষ হলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মুখোমুখি হতে হয় লিখিত পরীক্ষার। লিখিত পরীক্ষা কয়েকটি বিষয়ের ওপর হয়। যেমন: (ক) ইংরেজি ও বাংলা রচনা, কম্পোজিশনে ১০০ নম্বর (খ) সাধারণ জ্ঞান ও পার্টি গণিতে ১০০ নম্বর (গ) মনস্তত্ত্বে ২৫ নম্বর। সব মিলিয়ে মোট ২২৫ নম্বরের পরীক্ষা। লিখিত এই পরীক্ষাগুলো ৩ দিনে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। তাই এই পরীক্ষায় ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আপনিও হতে পারেন বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর একজন সাব-ইন্সপেক্টর।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: এসআই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। সাধারণত একটি রচনায় ১৫ নম্বর, ভাবসম্প্রসারণে ১০, এককথায় প্রকাশে ৫, অর্থসহ বাক্যরচনায় ৫ ও বাংলা অনুবাদে ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে।
বাংলা: বাংলা অংশে ভালো করতে হলে ব্যাকরণ অংশে বেশি জোর দেয়া প্রয়োজন। আর এ জন্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইগুলো পড়া যেতে পারে। ব্যাকরণ অংশে কারক, বিভক্তি, শব্দ, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, সমাস, সমার্থক শব্দ, এক কথায় প্রকাশ, অনুবাদ, বানান শুদ্ধি, বাগধারা এবং বাক্যসংকোচন—এই অধ্যায়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ব করলে বেশ কাজে দেবে।
ইংরেজি: ইংরেজিতেও থাকে ৫০ নম্বর। যেখানে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর একটি Essay, Letter বা Fill in the Blank থাকতে পারে। এ ছাড়া গ্রামার অংশ থেকে প্রশ্ন থাকবে। এ জন্য অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজী গ্রামার বইগুলো থেকে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিতে পারেন।
Tense, Voice, Article, Parts of Speech, Correct Spelling, Antonym, Narration, Translation, Noun এই অধ্যায়গুলো চর্চা করলে ইংরেজিতে ভালো করা যাবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় বিষয়েই অনুবাদে তুলনামূলক বেশি নম্বর বরাদ্দ থাকে। তাই অন্যান্য টপিকের চেয়ে অনুবাদে বাড়তি জোর দেয়া প্রয়োজন। অনুবাদের প্রস্তুতির জন্য মহিউদ্দীনের লেখা ‘Translations for Competitive Exams বইটা বেশ কাজে দেবে। এ ছাড়া ইংরেজির প্রস্তুতির জন্য পিসি দাশের গ্রামার বইটি পড়া যেতে পারে।
সাধারণ জ্ঞান: সাধারণ জ্ঞানের জন্য বরাদ্দ ৫০ নম্বর। সাধারণ জ্ঞানে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে প্রশ্ন থাকে। এ অংশে ভালো করতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়া, দেশি-বিদেশি সমসাময়িক খবরগুলো নিজের আয়ত্তে নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষার এই অংশে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা ও রচনা লিখতে হয়। এ অংশের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, পুলিশ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন টপিক জানা থাকতে হবে।
আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা রাখা বাঞ্চনীয়। সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিভিন্ন জেলার আয়তন, অর্থনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। আর আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, সাম্প্রতিক ঘটনা এসব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এই অংশে ভালো প্রস্তুতির জন্য বাজারের মানসম্মত গাইড বইয়ের পাশাপাশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোও নিয়মিত পড়তে হবে।
গণিত: পার্টিগণিতে বরাদ্দ রয়েছে ৫০ নম্বর। গণিতে ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বইগুলো বারবার চর্চা করলে প্রস্তুতি পাকাপোক্ত হবে।
মনস্তত্ত্ব দক্ষতা: অনেকই মনস্তত্ত্ব দক্ষতা পরীক্ষাটিকে সহজ বলে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এটি আদৌ অতটা সহজ নয়। কারণ নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস না থাকায় বেশির ভাগ প্রার্থীই এ বিষয়ে খারাপ করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এ অংশে সাধারণত ভাষা ও সাহিত্য, সাদৃশ্য বিচার, সাংকেতিক বিন্যাস বা পুনর্বিন্যাস, সম্পর্ক ও বিশেষত্ব নির্ণয়, অসম্ভাব্যতা বিচার, বর্ণবিন্যাস ও শব্দ গঠন, গাণিতিক যুক্তি, জ্যামিতির মৌলিক বিষয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়।
এছাড়া সংখ্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যার সমাধান, সাধারণ জ্ঞান (পূর্ণ রূপ, সংক্ষিপ্ত টীকা, সঠিক উত্তর), সম্পর্ক নির্ণয় ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
মনস্তত্ত্বের প্রস্তুতির জন্য বাজারের ‘পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার গাইড’ বইগুলো অনুশীলন করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ইউটিউব থেকে মনস্তাত্ত্বিক দক্ষতার বিষয়গুলো অনুশীলন করলে কাজে লাগবে।
৪. মৌখিক পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, সংবিধান ও পুলিশ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সংস্থা, জাতিসংঘ সম্পর্কে সাধারণত প্রশ্ন থাকে মৌখিক পরীক্ষায়। ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য অনুবাদও জিজ্ঞেস করা হয়। এ ছাড়া প্রার্থীকে নিজ জেলার খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে, যেমন—নিজ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, তাদের কর্মজীবন, দর্শনীয় স্থান (সেখানে কী কী আছে) ইত্যাদি।
মৌখিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস থাকে না। সাধারণত প্রার্থী স্নাতক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন ওই বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দেশি-বিদেশি কোনো ঘটনা, বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় জানা থাকলে মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করা যাবে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- নিজ জেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে জানা, যেমন— কোন কোন স্থানে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, নিজ পরিবারে কোনো মুক্তিযোদ্ধা আছেন কি না, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ইত্যাদি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যত বেশি জানাশোনা থাকবে, মৌখিকে ভালো করার সম্ভাবনা তত বেশি।
মৌখিক পরীক্ষায় নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনেরও আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। সুন্দর করে কথা বলা এবং মার্জিত পোশাক উপস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়েও নিখুঁতভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. স্বাস্থ্য ও ভিআর পরীক্ষা
সব শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ভিআর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন (ভিআর) ফরম পূরণ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত যেসব প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য ও পুলিশ ভেরিফিকেশনে (ভিআর) ঠিকঠাক হবেন, তাঁদেরই সারদায় (রাজশাহী) এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে।
৬. সুযোগ-সুবিধা
পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর বাংলাদেশ সরকার থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। পুলিশের এসআই পদটিকে সেকেন্ড ক্লাস গেজেটেড অফিসার হিসেবে গণ্য করা হয়। এসআইকে পুলিশ বাহিনীর মেরুদণ্ড বলা যায়। কারণ, তারা তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলাকালে তাদের মাসিক এক হাজার টাকা ভাতার পাশাপাশি বিনা খরচে খাওয়া, বাসস্থান ও ইউনিফর্ম দেওয়া হয়।
একজন সাব-ইন্সপেক্টর ‘সরকারি বেতন স্কেল-২০১৫’ অনুযায়ী দশম গ্রেডের বেসিক ১৬,০০০ থেকে ৩৮,৬৪০ টাকা হারে বেতন পান। এছাড়া বিনামূল্যে পোশাক, রেশন, ঝুঁকিভাতা, চিকিত্সাভাতা, যাতায়াতভাতা এবং মামলা তদন্ত ভাতা মিলিয়ে প্রথম দিকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন।
এ ছাড়া বছরে পহেলা বৈশাখ, ঈদ কিংবা পূজায় উত্সবভাতা পান। বেতন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারলে বিদেশে মিশনে যাওয়ারও সুযোগ মিলতে পারে। জাতিসংঘের ফরমড পুলিশ ইউনিটের (এফপিইউ) মিশনে গেলে বছরে ১৫-২০ লাখ টাকার মতো ভাতা পাওয়া যায়। সাব-ইন্সপেক্টর থেকে পদোন্নতি পেয়ে অ্যাডিশনাল এসপি বা অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হওয়া যায়।
►► আরো দেখো: গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণগুলো কি?
►► আরো দেখো: সিজারের পরে সহবাস কিভাবে করবেন?
►► আরো দেখো: গর্ভবতী হওয়ার আগে ভুলেও যা করা যাবে না
সবশেষে কিছু কথা
এসআই বাংলাদেশ পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বও অনেক। সুতরাং এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ যে কিছুটা কঠিন হবে এটাই স্বাভাবিক। কোর্সটিকায় প্রকাশিত এই পরামর্শগুলো ইন্টারনেটের বিভিন্ন সূত্র থেকে সংরক্ষণ করা। যারা পুলিশের এসআই হিসেবে নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন. তাদের জন্য এ পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে। এই পরীক্ষায় ভালো করে আইনশৃংখলা বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হয়ে দেশসেবার সুযোগ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
Discussion about this post