The number of ads you can show has been limited. লাইনটি সত্যিই খুব ভয়ঙ্কর তাই না? সবকিছুই ঠিকঠাক, হঠাত করে গুগলের এমন একটি মেইল আসলে সত্যিই মাথায় হাত দেয়ার মতো অবস্থা। তাই নয় কি? এ্যাডসেন্স এ্যাড লিমিট… হুম। এ্যাডসিভে আজ আমরা কথা বলবো গুগল এ্যাডসেন্স এ্যাড লিমিট নিয়ে। কি কি কারণে এ্যাডসেন্সে এ্যাড লিমিট হয়, এর সমাধান কি এসকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো আজ।
অনেকেই আছন যারা হঠাৎ একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট পেলে খুব হুজুগে হয়ে যায়। কি করবে, কত টাকা ইনকাম করবে, সেই দিক-ঠিকানা থাকে না। প্রাথমিক পর্যায়ে গুগল এ্যাডসেন্সে কম ইনকাম হয়ে থাকে। আর এটাই স্বাভাবিক। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যত বাড়বে, আপনার ইনকাম তত বৃদ্ধি পাবে।
►► আরো দেখুন: গুগল এ্যাডসেন্স কত প্রকার?
►► আরো দেখুন: গুগল এ্যাডসেন্স কেন এ্যাপ্রুভ হয় না? কারণটা কি?
►► আরো দেখুন: এ্যাডসেন্সে এ্যাড লিমিট কেন হয়? জানা আছে কি?
►► আরো দেখুন: এ্যাডসেন্স এ্যাড ইউনিট: সর্বোচ্চ কয়টি এ্যাড ইউনিট বসাতে পারবেন?
►► আরো দেখুন: গুগল এ্যাডসেন্স নিয়ে কমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
►► আরো দেখুন: Adsense Ad Placements: কোথায় Ad বসাবেন, কোথায় বসাবেন না?
►► আরো দেখুন: সেরা ১০ টি এ্যাড নেটওয়ার্ক : এ্যাডসেন্সসহ আরো অনেক
কিন্তু হুজুগে বাঙালি সেই অপেক্ষা করতে নারাজ। খুব অল্প সময়েই তারা এ্যাডসেন্স থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকামের চিন্তা করে। একটা পর্যায়ে গিয়ে এরা নিজেদের একাউন্টের বিপরীতে ওয়েবসইটে এমন কিছু কাজ করে বসে, যখন গুগল তার ওয়েবসাইটে এ্যাড লিমিট করে দেয়।
গুগল এ্যাডসেন্স এ্যাড লিমিট কি?
ব্লগ বা নিউজভিত্তিক ওয়েবসাইট তৈরির পরে প্রাথমিকভাবে পাবলিশাররা এ্যাডসেন্স এ্যাড নেটওয়ার্ককেই বেছে নেয় এবং সর্বাধিত গ্রহণযোগ্য মনে করেন। এ্যাডসেন্স পাওয়ার পর এ্যাড কোড নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রয়োগ করার পর থেকেই বিজ্ঞাপন প্রদর্শন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে কিছু সময়ের জন্য গুগল এই বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই সময়টিতে ওয়েবসাইটে আগের তুলনায় কম এ্যাড বা বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। এটাই মূলত এ্যাডসেন্সের এ্যাড লিমিট।
এ্যাডলিমিট হলে সমস্যা কি?
আপনার ওয়েবসাইটটি যদি গুগল দ্বারা মনিটাইজড হয়ে থাকে তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় আপনি এ্যাডসেন্স ব্যবহার করছেন। এ্যাডসেন্স এ্যাপ্রুভ হলেই একটি ওয়েবসাইট গুগলের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। আর তখন থেকেই তার এ্যাডসেন্স ভিত্তিক উপার্জন শুরু হয়ে যায়।
কিন্তু এডসেন্স যদি লিমিটেড এড শো করে অর্থাৎ, গুগল যদি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমিয়ে দেয়, তাহলে এটি অবশ্যই আপনার জন্য ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। সাইটে এ্যাড কম দেখানো মানে হচ্ছে আপনার উপার্জনও কমে যাওয়া। শুধু তাই নয়, একটি একাউন্টে লাগাতার এ্যাড লিমিট লেগে থাকলে ওই এ্যাডসেন্স একাউন্টটি ডিজেবল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল।
এ্যাডসেন্সে কেন এ্যাড লিমিট হয়?
এ্যাড লিমিট হলেই আমরা দুঃশ্চিন্তা শুরু করে দেই। কিন্তু গুগল কেন একটি ওয়েবসাইটে এ্যাড লিমিট দেয়, এটি কি কখনো ভেবে দেখেছি? গুগল একটি জায়ান্ট কোম্পানি এবং নামের স্বার্থকতা রাখতে তাদের সার্ভিসও গুণগত মানসম্পন্ন হওয়া চাই। আর এজন্য গুগল সর্বদা এটা নিশ্চিত করতে চায়, তাদের এডসেন্স এড নেটওয়ার্কে যেন স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
বিজ্ঞাপনদাতা এবং ওয়েবসাইট মালিকের মধ্যে ভালো একটি সম্পর্ক তৈরির জন্যই তারা মূলত এ্যাড লিমিট করে দেয়। এর ফলে একজন বিজ্ঞাপনদাতা যেমন ফ্রড বা প্রতারকের হাত থেকে বাঁচে একইভাবে ইউজাররাও ভালো এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে পারে। এ্যাডসেন্সে বিভিন্ন কারণে এ্যাড লিমিট হতে পারে। যেমন ইনভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স এবং ইনভ্যালিড ক্লিক। এগুলো বলতে আসলে ঠিক কি বোঝায়? চলুন জানি।
১. ইনভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স: আপনি যদি অবৈধ কোন উপায়ে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর বা ট্রাফিক নিয়ে আসেন, গুগলের মতে এটাই ইনভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স। ইনভ্যালিড ট্রাফিকের সুনির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। ফেইক কিংবা বট ট্রাফিক ইনভ্যালিড ট্রাফিক সোর্সের অন্যতম। বট ট্রাফিকে সাধারণত রোবট ব্যবহার করে একটি ওয়েবপেজকে দ্রুততম সময়ে অনেক ভিউ দেয়া হয়।
আবার আপনি যদি কারো মাধ্যমে ট্রাফিক এক্সচেঞ্জ বা বিনিময় করেন, অথবা কোন মাধ্যম থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক কিনে থাকেন, গুগলের চোখে এটিও কিন্তু ইনভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স। পাশাপাশি একই ট্রাফিককে বার বার ওয়েবসাইটে এ ঘুরানো অথবা ট্রাফিক ওয়েবসাইটে আসে এবং সাথে সাথেই চলে যায়, বেশিক্ষণ থাকে না বা ওয়েবসাইটের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। এমনটি ঘটলে তাও ইনভ্যালিড ট্রাফিক সোর্স।
২. ইনভালিড ক্লিক: ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত এ্যাডে ক্লিক করার ক্ষেত্রে যদি আপনার কোন সম্পৃক্তা থাকে, তাহলে সেটি খুবই ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। ইনভালিড ক্লিক হচ্ছে নিজের ওয়েবসাইটের এ্যাডে নিজেই ক্লিক করা, কাউকে ক্লিক করতে বলা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে ক্লিক এ্যাডসেন্স করা। এখানে উল্লেখ্য, ভুলবশত কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়ে যাওয়াও ইনভ্যালিড ক্লিক হিসেবে ধরা হয়।
এছাড়াও জোরপূর্বক কাউকে এ্যাড দেখতে বাধ্য করা, কৌশলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে নেওয়া অথবা এমন কোন লিংক লুকিয়ে রেখেছেন যাতে লিংক ভেবে ক্লিক করলে মূলত এ্যাডে ক্লিক হয় ইত্যাদি ইনভালিড ক্লিকের উদাহরণ। পাশাপশি পূর্বে বর্ণিত ইনভালিড ট্রাফিকের সব এ্যাক্টিভিটিই ইনভালিড বলে গণ্য হবে।
এ্যাড লিমিট হলে কি করবেন?
আপনার ওয়েবসাইটে এ্যাড লিমিট হওয়া মানেই আপনার এ্যাডসেন্সটি বাতিল হয়ে যাওয়া নয়। এটি একটি সতর্কবার্তা মাত্র। এ্যাড লিমিট দেয়া স্বত্ত্বেও আপনি আপনার একাউন্ট এক্সেস করতে পারবেন এবং সেখানের সব তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
সাধারণত এ্যাড লিমিট হলে অফিসিয়ালী আপনার কিছুই করার থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এ্যাড লিমিট হলে করণীয় কি? কি করলে বিরক্তিকর এই এ্যাড লিমিট চলে যাবে? এর একটিই উত্তর; “কিছু না”। হুম… এ্যাড লিমিট হলে আপনার বসে থাকা ছাড়া কিছুই করণীয় নেই। এ্যাড লিমিট কিছুদিন পরে এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।
তবে হ্যাঁ, এই সময়টি কি আপনি আপনার ওয়েবসাইট বন্ধ করে রাখবেন? অবশ্যই না। অনেকেই আছেন যারা এই সময়টিতে ওয়েবসাইট থেকে এ্যাড কোড সরিয়ে রাখে। এটা সম্পূর্ণরূপে ভুল একটি কাজ। এই সময়টিতে গুগল আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এবং মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু রাখারই পরামর্শ দেয় এবং স্বাভাবিকভাবে তাই করা উচিত।
তবে অবশ্যই তা গুগল এ্যাডসেন্সের নীতিমালা মেনেই করতে হবে। এই সময়ে প্রথমেই এ্যাডসেন্স প্রোগ্রাম পলিসিগুলো একবার ভালো করে পড়ে নিন এবং এটি নিশ্চিত হোন যে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের সকল নীতিমালা অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে।
মনে রাখুন, গুগল এ্যাডসেন্স একটি ওয়েব বেজ এ্যাপ্লিকেশন। এটি একটি রোবট। এ্যাডসেন্স পাওয়ার পরে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি এ্যাক্টিভিটিই সার্বক্ষণিক নজরে রাখে এ্যাডসেন্স। তাই এমন কিছু করবেন না, যাতে করে এ্যাড লিমিটের মতো পরিস্থীতিতে পরতে হয়।
এ্যাড লিমিট হওয়ার আগে কি করবেন?
কারো ওয়েবসাইটেই যেন এ্যাড লিমিট না হয়, আমরা এই প্রার্থনাই করি। কিন্তু তবুও এ্যাড লিমিট যাতে না হয় আগে থেকেই তার সতর্কতা অবলম্বন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি না যে এগুলো অনুসরণ করলে কখনোই আপনার এ্যাড লিমিট হবে না। তবে বিষয়গুলো যেহেতু ইতিবাচক, সুতরাং এগুলো অনুসরণ করলে আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।
১. অর্গানিক ট্রাফিক আনুন
আপনার ওয়েবসাইটের ভালোর জন্য অর্গানিক ট্রাফিকের বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিজিটর আসবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে মোট ট্রাফিকের বড় একটি অংশ যেন গুগল সার্চ থেকে আসে।
এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি এ্যাড লিমিটে পরার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যাবে।
পাশাপাশি গুগল থেকে যত অর্গানিক ট্রাফিক আসবে, আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কও ততবৃদ্ধি পাবে। একটা সময় আসবে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিংক শেয়ার না করলেও আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসতে থাকবে। কিভাবে ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক আনবেন, তা জানতে পড়ে নিন (আসছে)।
২. এ্যাডে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন
এ্যাডসেন্স এ্যাপ্রুভড ওয়েবসাইটে নিজের এ্যাডে নিজেই ক্লিক করার অর্থ হচ্ছে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। নিজের এ্যডে নিজে কখনেই ক্লিক করবেন না বা কাউকে ক্লিক করতে বাধ্যও করবেন না। কৌশলে বিজ্ঞাপনে ভিজিটরদের থেকে বিজ্ঞাপনের ওপর ক্লিক নেয়া থেকেও বিরত থাকুন। এমন কোন লিংক তৈরি করবে না, যাতে ক্লিক করলে মূলত এ্যাডে ক্লিক হয়ে যায়। সর্বপরী এ্যাডে ক্লিক হতে পারে এমন সকল ধরনের কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
এটি যেমন গুগল এ্যাডসেন্সের নীতিমালার বাইরে, একইভাবে এটি কিন্তু নৈতিকতা বিরোধী একটি কাজ। কারণ, একজন বিজ্ঞাপনদাতা কিন্তু তার প্রকৃত ক্রেতা বা গ্রাহক খোঁজার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি অবৈধভাবে সেখানে ক্লিক করে বিজ্ঞাপনদাতার হক নষ্ট করছেন।
৩. ক্লিক এক্সচেঞ্জ করবেন না
ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে, যারা ক্লিক এক্সচেঞ্জের কাজ করে থাকে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে তারা তাদের এ্যাডসেন্সের ইনকাম অনেকগুণ বাড়িয়ে নেয়। এগুলো থেকে সর্বদা ১০০ হাত দূরে থাকুন।
মনে রাখুন হঠাৎ করে আপনার এ্যাডসেন্সের ইনকাম বেড়ে গেলে হঠাৎ করেই এটি ডিজেবল হয়ে যাবে। তখন এর থেকে খারাপ আর কিছুই হবে না। সুতরাং এ্যাডসেন্সের ইনকামকে প্রাকৃতিকভাবে বাড়তে দিন। জাদুর রাজহংসীর সেই গল্পের লোভী মালিকের কথা মনে আছে তো?
শেষ কথা
গুগলকে ফাঁকি দিয়ে কোনো কাজ করার চিন্তা মাথায় আনবেন না। গুগল একটি জায়ান্ট কোম্পানি। তাদের টেকনোলোজির সাথে আপনার আমার বুদ্ধি প্রতিযোগিতায় পারবে না। যদি আপনি গুগলের নীতিমালা বিরোধি কিছু করে থাকেন তাহলে আজ থেকেই তা বাদ দিন। দীর্ঘদিন এ্যাডসেন্সের থেকে ইনকাম করতে চাইলে গাইডলাইন মেনে চলুন।
►► আরো দেখুন: গুগল এ্যাডসেন্স কত প্রকার?
►► আরো দেখুন: গুগল এ্যাডসেন্স কেন এ্যাপ্রুভ হয় না? কারণটা কি?
►► আরো দেখুন: এ্যাডসেন্সে এ্যাড লিমিট কেন হয়? জানা আছে কি?
►► আরো দেখুন: এ্যাডসেন্স এ্যাড ইউনিট: সর্বোচ্চ কয়টি এ্যাড ইউনিট বসাতে পারবেন?
►► আরো দেখুন: গুগল এ্যাডসেন্স নিয়ে কমন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
►► আরো দেখুন: Adsense Ad Placements: কোথায় Ad বসাবেন, কোথায় বসাবেন না?
►► আরো দেখুন: সেরা ১০ টি এ্যাড নেটওয়ার্ক : এ্যাডসেন্সসহ আরো অনেক
আমরা আছি ইউটিউবেও। গুগল এ্যাডসেন্সের ওপর বাংলায় টিউটোরিয়াল ও আপডেট পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি Subscribe করতে পারেন এই লিংক থেকে।
Discussion about this post