বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নির্মিতি লেখার অংশে দিনলিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের দিনলিপি লিখন একটি চিত্তাকর্ষক ও পরীক্ষায় সম্ভাব্য বিষয়, যা শিক্ষার্থীদের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয়। বাস্তবভিত্তিক এই বিষয়টি সহজভাবে উপস্থাপন করতে হলে নির্দিষ্ট কাঠামো ও ভাষার উপর দক্ষতা দরকার।
তাই কোর্সটিকায় আমরা তুলে ধরেছি এই টপিকভিত্তিক নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর। এটি শিক্ষার্থীদের লিখনশৈলী গঠনে সহায়ক হবে এবং পরীক্ষায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিতে সাহায্য করবে। প্রস্তুতির শুরু হোক আজ থেকেই—কোর্সটিকায়।
কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের দিনলিপি লিখন
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
কক্সবাজার ভ্রমণে আজ দ্বিতীয় দিন। প্রাকৃতিক শোভায় সুশোভিত কক্সবাজার জেলায় রয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন স্থান। দু’দিনে এখানকার সব দর্শনীয় স্থান দেখা সম্ভব নয়। কক্সবাজারের স্থানীয় ছেলে আমার বন্ধু রিয়াদ সঙ্গে ছিল বলে অল্প সময়ে এখানকার প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থান দেখা সম্ভব হলো। গতকাল সকালে গেলাম সমুদ্রগর্ভে অবস্থিত মনোরম দ্বীপ সেন্টমার্টিন এ। এর পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে ১০-১৫ কি.মি. প্রবাল প্রাচীর। প্রায় ১৬ বর্গ কি.মি. জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা দেখে মুগ্ধ চোখ নিয়ে গেলাম ছেড়া দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত ভূখ-। মূল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে এটি বিচ্ছিন্ন বা ছিঁড়ে যায় বলে এর নাম ছেড়া দ্বীপ। এ দ্বীপের চারদিকের জল বড় স্বচ্ছ। ফলে জলের অনেক গভীরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, প্রবাল ও সামুদ্রিক শৈবাল খালি চোখে দেখতে পেলাম।
আরও দেখছি কক্সবাজার শহর থেকে ৯ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত হিমছড়ি ঝরনা। আজ দেখলাম মহেশখালীর ‘সোনাদিয়া’ দ্বীপ। দ্বীপটি সোনার মতো মূল্যবান সম্পদে সমৃদ্ধ ছিল বলে এর নাম সোনাদিয়া বা স্বর্ণবসতি। সবচেয়ে ভালো লাগল চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক দেখে। ৯০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে সংরক্ষিত বনভূমি ও বন্য জীবজন্তুর অভয়ারণ্য এটি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফিরে ইনানী সি বিচে এলাম। এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখে আমি কী যে আনন্দ পেলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। সময় স্বল্পতার জন্য পাতাবাড়ী বৌদ্ধবিহার, রাখাইন পাড়া, চিংড়ি রপ্তানি জোন, রামকোর্ট বৌদ্ধবিহার প্রভৃতি সুন্দর স্থান দেখা হলো না।
আরও দেখো—এইচএসসি বাংলা ২য় পত্রের উত্তরসহ সাজেশন
একটি দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি, অনুভূতি ও বর্ণনাশৈলী প্রকাশের একটি উপযোগী মাধ্যম। “কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের দিনলিপি” লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরতে শিখবে, তেমনি দিনলিপি লেখার কৌশলও আয়ত্ত করতে পারবে।
কোর্সটিকার এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলবে। যারা বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ভালো করতে চায়, তাদের জন্য এই চর্চা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই লেখার অনুশীলন শুরু করো আজ থেকেই—বিশ্বাস রাখো কোর্সটিকায়।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের জন্য চূড়ান্ত সাজেশন হিসেবে কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের দিনলিপি লিখন আলোচনা করা হয়েছে। শতভাগ কমন পাওয়ার জন্য এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post