কী করে বুঝব আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর : ছ-বছরের বুকু তাদের বাড়ির বাইরের উঁচু চাতালে খেলা করছিল। এমন সময় একটি রিকশা এসে থামে তাদের বাড়ির সামনে। রিকশা থেকে দুজন বেশ মােটাসােটা মহিলা এবং একটি বুকুরই বয়সি ছেলে নেমে তাদের বাড়িতে আসে। তারা বুকুকে জিজ্ঞাসা করে, তার মা বাড়িতে আছে কি না এবং তাকে খবর দিতে বলে যে, উত্তরপাড়া থেকে ছেনু মাসিরা এসেছেন।
মা শুনে তাে খুব রেগে গেলেন এবং বিরূপ মন্তব্যও করে বসলেন। অথচ বাইরে এসে খুব আনন্দের সঙ্গে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে লাগলেন। বুকু আর চুপ করে না-থেকে মায়ের বিরূপ মন্তব্যগুলি অতিথিদের সামনে প্রকাশ করে দিল। ছেনু মাসিদের সঙ্গে আসা ছেলেটি আলমারি ভেঙে বই বের করে ছড়ালে তাকেও বেশ কয়েকটি কথা শুনিয়ে দেয় বুকু। বাবা অফিস থেকে ফিরে অতিথিদের সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছেন, তাও বুকু সবাইকে জানিয়ে দেয়।
মা নানাভাবে তাকে থামানাের চেষ্টা করলেও বুকু থামেনি। আসলে বুকুর মা আজই তাকে পইপই করে শিখিয়েছে, সর্বদা সত্য কথা বলতে হয় এবং কোনাে কিছু গােপন করতে নেই। অথচ তার সামনে সত্য-মিথ্যা দুটি ঘটনাই ঘটে চলেছে। তাই সে সব সত্য কথাগুলিকে বলে চলেছে। অতিথিরা চলে গেলে মা ও বাবা তাকে বেদম প্রহার করতে থাকলে সে এক সময় ডুকরে কেঁদে উঠে বলে মা তাে তাকে সত্য কথা বলতে শিখিয়েছে। সে কী করে বুঝবে, যে “আসলে কী করতে হবে?”
কী করে বুঝব আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর
১. হাতে কলমে
১. আশাপূর্ণা দেবীর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখাে।
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম হল ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ ও ‘সুবর্ণলতা।
২. আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য কোন কোন্ বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’, ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার’, ‘লীলা পুরস্কার’ ও ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।
২. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. বুকু কোথায় বসে খেলা করছিল?
উত্তর : বুকু বাড়ির বাইরের রােয়াকে বসে খেলা করছিল
২. রিকশা থেকে কারা নামলেন?
উত্তর : রিকশা থেকে নামলেন দুটি বেজায় মােটাসােটা ভদ্রমহিলা আর বুকুর বয়সেরই একটি ছেলে সম্পর্কে তাঁরা বুকুর মায়ের ছেনুমাসি, বেনুমাসি এবং বেনুমাসির ছেলে ডাম্বল।
৩. ডাম্বল আলমারি ভেঙে কার বই নামিয়েছিল?
উত্তর : ডাম্বল আলমারি ভেঙে বুকুর সেজোকাকার বই নামিয়েছিল।
৪. বুকুর মা-র কী কেনা ছিল?
উত্তর : বুকুর মার সিনেমার টিকিট কেনা ছিল।
৫. বুকু আর বুকুর সেজো খুড়িমা অতিথিদের জন্যে কী কী খাবার নিয়ে আসে?
উত্তর : বুকু আর বুকুর সেজো খুড়িমা অতিথিদের জন্য বড়াে বড়াে রাজভােগ, ভালাে ভালাে সন্দেশ, শিঙাড়া, নিমকি আর চা নিয়ে আসে।
৬. বুকু কোন্ স্কুলে ভরতি হয়েছিল
উত্তর : বুকু ‘আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হয়েছিল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
১. বুকু খেলতে খেলতে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায় কেন?
উত্তর : বুকু তাদের বাড়ির বাইরের সামনের চাতালে বসে খেলা করছিল। হঠাৎ তাদের বাড়ির সামনে একটি রিকশা এসে থামে। বুকু দ্যাখে, সেই রিকশা থেকে দুজন খুব মােটাসােটা মহিলা এবং তাদের সঙ্গে বুকুর মতাে বয়সেরই একটি ছেলে নামল। বুকু এত মােটা-সােটা মহিলা আগে কখনও দেখেনি। অদৃশ্যপূর্ব অদ্ভুতদর্শন মানুষগুলিকে দেখে সে খেলতে খেলতে তাকিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিল।
২. সিঁড়ি ভেঙে আর উঠতে পারব না বাবা’ -কারা একথা বলেছেন? তাঁরা সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারবেন না কেন?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত “কী করে বুঝব’ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশটি বুকুদের বাড়িতে উত্তরপাড়া থেকে বেড়াতে আসা বুকুর মায়ের পাতানাে ছেনুমাসি ও বেণুমাসি বলেছেন।
শারীরিকভাবে খুব মােটাসােটা বা ভারিক্কি ধরনের হওয়ায় সিঁড়ি ভেঙে ওপরে ওঠা তাঁদের পক্ষে খুব কষ্টসাধ্য। তা ছাড়া তাঁরা অনেক পথ কষ্ট করে এসেছেন। বিশেষ করে দু-তিন বার বাস বদল করে শেষে রিকশা করে তাঁরা এখানে এসে পৌঁছেছেন। ফলে তাঁরা খুবই পরিশ্রান্ত। এ কারণে তারা সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতে পারবেন না।
৩. ‘ও কী! কী কাণ্ড করেছ তুমি’-কে, কী কাণ্ড করেছে?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর রচিত ‘কী করে বুঝব’ গল্প থেকে গৃহীত উধৃতাংশটিতে বুকুদের বাড়িতে বেড়াতে আসা তারই বয়সি ছেলে ডাম্বল কাণ্ডটি করেছে। বুকুদের বাড়ির একটি ঘরের দেয়ালে সাঁটিয়ে রাখা বইয়ের আলমারিটার একটি পাল্লা ধরে ডাম্বল এমন জোরে হ্যাচকা টান মেরেছে যে, চাবি বন্ধ কলটি বন্ধ অবস্থাতেই পাল্লার সঙ্গে খুলে বেরিয়ে এসেছে। তারপর, সেখানে সাজানাে বইগুলি থেকে একসঙ্গে তিন-চারটি বই নামিয়ে-তাতে ছবি নেই বলে ঘৃণাভরে সেগুলিকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।
৪. বুকু অবাক হয়ে ফ্যালফ্যালিয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়েছিল কেন?
উত্তর : উত্তরপাড়া থেকে ছেনুমাসিদের অপার খবরটি বুকু যখন তার মাকে দেয়, তখন তার মা শুনে খুব বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, অসময়ে লােকজনের বাড়িতে আসাকে তিনি একদম ভালােবাসেন না। কিন্তু আবার তাঁদের সামনে এসে তিনিই আনন্দে হইহই করে আপ্যায়ন শুরু করেন। শুধু তাই নয়, কিছুটা অভিমানের সুরে তাঁদের অনেক দিন না-আসার জন্য অনুযােগ জানান।
অথচ কিছুক্ষণ আগে যে খবরটায় মা অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বিশ্রি মনােভাব দেখিয়েছিলেন। মায়ের এই দুরকম আচরণের ব্যাপারটি ছােট্ট বুকুর মাথায় ঢােকেনি। একারণেই বুকু অবাক হয়ে ফ্যালফেলিয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়েছিল। একই বিষয়ে মায়ের এই দু-রকম ব্যবহার তার কাছে। খুব গােলমেলে লাগছিল বলেই বুকু ফ্যালফ্যাল করে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়েছিলেন।
৫. “ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত” “ছেলের কথা শুনে বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত হল কেন?
উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘কী করে বুঝব’ গল্পে বুকুর মুখে উত্তরপাড়া থেকে ছেনু মাসিরা এসেছেন শুনে বুকুর মা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, অসময়ে বাড়িতে লােকের বেড়াতে আসা তিনি একদম পছন্দ করেন না। কিন্তু অতিথিদের সামনে এসে তিনি ভীষণ আনন্দের সঙ্গে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান এবং এতদিন আসেননি।
কেন তা নিয়ে অভিমান প্রকাশ করতে থাকেন। মায়ের এই পরিবর্তন দেখে বুকু হঠাৎ সবার সামনে মায়ের সেই বিরূপ মন্তব্যগুলিকে বলতে শুরু করলে লজ্জায়, অপমানে তার মায়ের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হয়।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষার উত্তর দাও :
১. গল্পে বুকুর আচরণ তাঁর মাকে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। বুকুর এই আচরণ কি তুমি সমর্থন করাে? বুকু কেন অমন আচরণ অতিথিদের সামনে করেছিল?
উত্তর : বুকুর এই আচরণকে পুরােপুরি সমর্থন করা যায় না। উপযাজক হয়ে অতিথিদেরকে সে কথাগুলি না শােনাতেই পারত। বিশেষ করে যে কথাগুলি সঙ্গে পিতা-মাতার সম্মান জড়িয়ে আছে, তা প্রকাশ করা সন্তানের পক্ষে উচিত নয়। পিতা-মাতার সম্মান রক্ষা করা প্রতিটি সন্তানের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু যেহেতু সে ছ-বছরের ছােট্ট ছেলে তাই তার এই আচরণকে খুব অপরাধ বলে ভাবা যাবে না। তা ছাড়াও তার পিতামাতারও তাকে স্থান-কাল-পাত্র অনুযায়ী কেমন ব্যবহার করতে হয়, তার শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিল।
বুকুকে দুপুরবেলা তার মা একশােবার ধরে বুঝিয়েছে, সব সময় সত্য কথা বলতে হবে এবং কারও কাছে কোনাে কিছু গােপন করা উচিত নয়। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী কোথায় কেমন আচরণ করা উচিত তিনি তার শিক্ষা দেননি। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেদিনই বাড়িতে অতিথি আসে এবং তাঁর মা ঘরে-বাইরে দু-রকম মন্তব্য করে বসেন। ফলে সদ্য শেখা শিক্ষাটিকে একটু প্রয়ােগ করে দেখতে গিয়েই বুকু এই সমস্যার সৃষ্টি করে ফেলে।
৩. কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে’– গল্পে বুকু এই কথা বলেছিল।আসলে কী করা উচিত বলে তােমার মনে হয়?
উত্তর : বুকু মা-বাবার কাছে প্রচণ্ড মারধর খেয়ে শেষে বলতে বাধ্য হয়েছিল—“কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে?” আসলে সে বুঝতেই পারেনি, তার সদ্য শেখা শিক্ষার প্রয়ােগের ফলে এই পরিণাম হবে। বুকুর উচিত ছিল, মায়ের বকুনি খেয়ে বিষয়টিকে চেপে যাওয়া।
অতিথিদের সামনে অপ্রিয় সত্য কথাগুলি তার বলা উচিত হয়নি। অতিথিরা চলে যাওয়ার পর সে মাকে জিজ্ঞাসা করতে পারত কেন তিনি ঘরে এবং বাইরে দু-রকম কথা ও আচরণ করলেন। তার উচিত ছিল, বড়ােদের কথার মধ্যে কথা না-বলা।
৫. একই অর্থযুক্ত শব্দ গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখাে : সংবাদ, পুস্তক, সন্তুষ্ট, কোমল, আপ্যায়ন।
- সংবাদ = খবর।
- পুস্তক = বই।
- সন্তুষ্ট =খুশি।
- কোমল = মােলায়েম।
- আপ্যায়ন = অভ্যর্থনা।
৬. নীচের শব্দগুলির সন্ধি বিচ্ছেদ করাে : ইত্যবসরে, বজ্রাঘাত, ব্যাকুল, নিশ্চয়, রান্না, দুরন্ত, সন্দেশ।
- ইত্যবসরে = ইতি + অবসরে।
- বজ্রাঘাত = বজ্র + আঘাত।
- ব্যাকুল = বি + আকুল।
- নিশ্চয় = নিঃ + চয়।
- রান্না =রাঁধ + না।
- দুরন্ত = দুঃ + অন্ত।
- সন্দেশ = সম্ + দেশ।
৭. নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোটি বিশেষণ খুঁজে নিয়ে লেখাে। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখাে : মন, শিক্ষা, অবস্থা, গম্ভীর, শাসন, শয়তান, লাল, সর্বনেশে, ঘর, সুন্দর, দুরন্ত, মুখ, কথা, হ্যাংলা।
- মন (বিশেষ্য ) ⟶ মানসিক (বিশেষণ)
- শিক্ষা (বিশেষ্য) ⟶ শিক্ষিত (বিশেষণ)
- অবস্থা (বিশেষ্য) ⟶ অবস্থিত ( বিশেষণ)
- গম্ভীর (বিশেষণ) ⟶ গাম্ভীর্য (বিশেষ্য)
- শাসন (বিশেষ্য) ⟶ শাসিত (বিশেষণ)
- শয়তান(বিশেষ্য) ⟶ শয়তানি(বিশেষণ)
- লাল (বিশেষ্য) ⟶ লালচে(বিশেষণ)
- সর্বনেশে (বিশেষণ) ⟶ সর্বনাশ(বিশেষ্য)
- ঘর (বিশেষ্য) ⟶ ঘরোয়া(বিশেষণ)
- সুন্দর (বিশেষণ) ⟶ সৌন্দর্য(বিশেষ্য)
- দুরন্ত(বিশেষণ) ⟶ দুরন্তপনা(বিশেষ্য)
- মুখ (বিশেষ্য) ⟶ মৌখিক( বিশেষণ)
- কথা (বিশেষ্য) ⟶ কথিত(বিশেষণ)
- হ্যাংলা (বিশেষণ) ⟶ হ্যাংলামি(বিশেষ্য)
৮. নীচের প্রতিটি উপসর্গ দিয়ে পাঁচটি করে নতুন শব্দ তৈরি করে লেখাে : অ, বি, বে, আ, প্র, অব।
- অ = অজয়, অচল, অলক, অমর, অবেলা।
- বি = বিহার, বিজয়, বিচার, বিবেক, বিমাতা।
- বে = বেরসিক, বেচাল, বেইমান, বেবাক, বেসামাল।
- আ = আবাদ, আগমন, আজীবন, আলুনি, আজন্ম।
- প্র = প্রশান্ত, প্রতাপ, প্রভাত; প্রচুর; প্রদীপ।
- অব = অবদান, অবকাশ, অবধান, অবতার, অবশ।
৯. সমােচ্চারিত/প্রায় সমােচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে আলাদা আলাদা বাক্য রচনা করাে : আসা, আশা । সোনা ,শোনা । হাড় , হার । মার, মাড় । মাস , মাষ । জ্বালা , জালা ।
আসা = (আগমন)—আপনার আসার খবর আমরা আগেই পেয়েছি।
আশা = (আকাঙ্ক্ষা)—মানুষের আশার শেষ নেই।
সােনা = (সুবর্ণ)— সােনার বাজার এখন খুব তেজি।
শােনা = (শ্রবণ করা)—কথক ঠাকুরের কথাগুলি শােনার মতােই।
হাড় = (অস্থি)—আজ ফুটবল খেলার সময় রমেনের পায়ের হাড় ভেঙেছে।
হার = (গলায় পরার অলংকার)—আমার ইচ্ছা, জীবনের প্রথম মাইনের টাকায় মা-কে একটা সােনার হার কিনে দেব।
মার = (প্রহার)—চোরটিকে মারতেই সে সত্য স্বীকার করল।
মাড় = (ভাতের ফ্যান) — কাপড়ে মাড় দিয়ে ধােপা ইস্ত্রি করে।
মাস = (বছরের বারাে ভাগের এক ভাগ)—আশ্বিন মাসের মেঘ দেখলেই বােঝা যায় পুজো এসে গেছে।
মাষ = (ডাল শস্য বিশেষ)—মাষ-কলাই খুবই প্রােটিনযুক্ত খাদ্য।
জ্বালা =(যন্ত্রণা অর্থে)—আগুনে হাতটা পুড়ে গিয়ে খুব জ্বালা করছে।
জালা = (মাটির বড়াে পাত্র)—গরমের দিনে জালায় জল রাখলে তা খুব ঠান্ডা থাকে।
১০. এই গল্পে অজস্র শব্দদ্বৈত ব্যবহৃত হয়েছে। শব্দগুলি গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখাে : (দুটি শব্দ খুঁজে দেওয়া হল) খুকখুক, তােড়জোড়।
উত্তর : হাসতে হাসতে; হাঁপাতে, হাঁপাতে ,সাজানাে-গােছানাে, ড্যাব ড্যাব, গমগম, মুছতে মুছতে; হই হই, ছেণু-বেণু, চালতা চালতা, গাদা গাদা, রুটি-টুটি, পড়তে উড়তে, পাকা পাকা, চাষ বাস, কাঁদো কাঁদো, ভাজা ভাজা, পাগলা টাগলা, পিছন পিছন, ঝন ঝন, হা হা, বড়াে বড়াে, ভালাে ভালাে, বেছে বেছে, হায় হায়, শুধু শুধু। হালকা হালকা, মােটা সােটা,
১১. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক/পূরণবাচক শব্দ খুঁজে বার করাে :
১. মা তাে সেই তিনতলার ছাতে।
তিন-সংখ্যাবাচক শব্দ।
২. দুই বােনের দুই-দু-গুণে চারটি চোখ কপালে উঠে গেছে।
দুই, চার-সংখ্যাবাচক শব্দ
৩. সাত বছরের ছেলের স্কুলের মাইনে সাত টাকা।
সাত-সংখ্যাবাচক শব্দ।
৪. নিজেই তাে দুপুরবেলা একশাে বার করে বললে সবসময় সত্যি কথা বলবি।
একশাে—সংখ্যাবাচক শব্দ।
১২. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করাে :
১. বুকু ছুটে ওপরে চলে যায়। (জটিল বাক্যে)
উত্তর : বুকু নামের যে ছেলে সে ছুটে উপরে চলে যায় ।
২. ছেনুমাসি আর অন্যটির নাম বেণুমাসি। (সরল বাক্যে)
উত্তর : ছেনুমাসির মতাে অন্যটির নাম বেণুমাসি ।
৩. যত বড়াে হচ্ছে তত যেন যা-তা হয়ে যাচ্ছে। । (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর : বড়াে হচ্ছে এবং যা-তা হয়ে যাচ্ছে।
৪. ছেলের কথা শুনেই বুকুর মার মাথায় বজ্রাঘাত। (জটিল বাক্যে)
উত্তর : ছেলের যা কথা তা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত।
১৩. পাকা, মাথা—এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখাে :
পাকা = (অভিজ্ঞ)-সুবীরবাবু খুব পাকা মাথার লােক।
পাকা = (পিচ, সিমেন্ট বা ইট বাঁধানাে রাস্তা)-রহিম পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
মাথা = (রাস্তার প্রান্তে)—সুজয় প্রতিদিন সকালে চৌমাথার চায়ের দোকানে খবরের কাগজ পড়তে যায়।
মাথা = (মগ ডালে) — কমল আম পাড়তে গাছের মাথায় উঠেছে।
আরো দেখো: ৮ম শ্রেণীর বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্নোত্তর
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বাংলা বোর্ড বই থেকে কী করে বুঝব আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর class 8 উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তোমরা চাইলে পিডিএফে এই সম্পূর্ণ নোটটি ডাউনলোড করে নিতে পারো। এর জন্য ওপরে দেওয়া Answer Sheet বাটনে ক্লিক করো। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post