কুলি মজুর কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর : কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি মানবসভ্যতার যথার্থ রূপকার শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে কলম ধরেছেন। যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরের মতো লক্ষকোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদেরই অক্লান্ত শ্রমে ও ঘামে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি চলছে।
গড়ে উঠেছে দালানকোঠা, কলকারখানা। এদের শোষণ করেই ধনিকশ্রেণি হয়েছে বিত্ত-সম্পদের মালিক। কিন্তু যুগ যুগ ধরে সমাজে এই কুলি-মজুররাই সবচেয়ে বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। এক শ্রেণির হৃদয়হীন স্বার্থান্ধ মানুষ এদের শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বিত্ত- সম্পদের সবটুকুই ভোগ করছে, অথচ এদের তারা মানুষ হিসেবে গণ্য করতেও নারাজ।
কুলি মজুর কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর
১. কবি শ্রমজীবী মানুষকে বলেছেন-
ক. শিব
খ. ব্রহ্ম
গ. বিষ্ণু
ঘ. দধীচি
২. কার রক্তে রাঙা? ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি ইটে আছে লিখা’- এ বাক্যে ভুল শব্দ কোনটি?
ক. রক্তে
খ. রাঙা
গ. ঠুলি
ঘ. ইটে
৩. ‘কুলি-মজুর’ কোন জাতীয় কবিতা?
ক. সমালোচনামূলক
খ. অধিকার চেতনা বিষয়ক
গ. উপদেশমূলক
ঘ. সাহিত্য বিষয়ক
৪. কুলি-মজুরদের আত্মত্যাগের নিদর্শন হিসেবে নিচের কোনটি চিহ্নিত করা যায়?
ক. সভ্যতার উন্নতি
খ. স্বদেশের স্বাধীনতা
গ. শিক্ষার বৃদ্ধি
ঘ. ধনীর বিড়ম্বনা
৫. কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুলি-মজুর’ কবিতা লেখার উদ্দেশ্য কী?
ক. শ্রমজীবীদের গুরুত্ব ও অবদান তুলে ধরা
খ. ধনিক শ্রেণীর জয়গান করা
গ. অন্যায়কে সমর্থন করা
ঘ. শ্রমজীবী মানুষের বেতন বাড়ানো
৬. ঠেলে কে কাকে নিচে ফেলে দিয়েছিল?
ক. বাবু সাব কুলিকে
খ. কুলি-বাবু সাবকে
গ. বাবু সাব চেকারকে
ঘ. চেকার বাবু সাবকে
৭. “এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?”-এখানে দুর্বল বলা হয়েছে কাকে?
ক. কৃষককে খ. কুলিকে
গ. দধীচিদের
ঘ. দরিদ্রদের
৮. কার চোখ ফেটে জল এলো?
ক. কুলির
খ. কবির
গ. বাবু সাহেবের
ঘ. দধীচির
৯. কাদের হাড় দিয়ে বাষ্প-শকট চলে?
ক. কুলি-মজুরের খ. কৃষকের
গ. দধীচিদের ঘ. গরুর
১০. কারা বাষ্প শকটে চড়ে?
ক. মজুররা
খ. বাবু সাবরা
গ. কৃষকেরা
ঘ. ছাত্ররা
১১. বাষ্প শকটে কারা পিষ্ট হয়?
ক. কুলিরা
খ. সাধারণ মানুষ
গ. মাঝিরা
ঘ. কৃষকেরা
১২. “কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত ক্রোর পেলি বল?”- লাইনটির তাৎপর্য কী?
ক. শ্রমজীবীদের অবমূল্যায়ন
খ. শ্রমজীবীদের প্রতি ঘৃণা
গ. শ্রমজীবীদের প্রতি অবজ্ঞা
ঘ. শ্রমজীবীদের প্রতিবাদমুখরতা
১৩. শুভ ট্রেনে করে দাদাবাড়ি যাচ্ছে। ‘কুলি-মজুর’ কবিতার আলোকে যানবাহনটি কাদের দানের ফসল?
ক. শ্রমজীবী মানুষের
খ. ধনিক শ্রেণির
গ. মধ্যবিত্ত শ্রেণির
ঘ. কৃষক শ্রেণির
১৪. ‘ঠুলি খুলে দেখ, প্রতি ইটে আছে লিখা’- ‘কুলি-মজুর’ কবিতার এই চরণের তাৎপর্য কী?
ক. শ্রমজীবীদের অবদান গাথা
খ. ধনীদের অবদান গাথা
গ. ছাত্রদের অবদান গাথা
ঘ. মধ্যবিত্তদের অবদান গাথা
১৫. “তুমি জান নাকো কিন্তু পথের প্রতি ধূলিকণা জানে”-পথের প্রতি ধূলিকণা কী জানে?
ক. ধনীদের অনাচার
খ. শ্রমজীবীদের অবদান
গ. ছাত্রদের অবদান
ঘ. দরিদ্রদের হাহাকারের ইতিহাস
কুলি মজুর কবিতার mcq প্রশ্ন উত্তর
১৬. “দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ” – এখানে কাদের ঋণ শোধের কথা বলা হয়েছে?
ক. শ্রমজীবীদের
খ. ধনীদের
গ. মজুরদের
ঘ. রিকশাচালকদের
১৭. “পাহাড় কাটা সে পথের দু-পাশে পড়িয়া যাদের হাড়”- চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
ক. ধনীদের সুবিধাভোগের প্রেক্ষাপট
খ. অভাবগ্রস্তদের সংগ্রামের কাহিনী
গ. শ্রমজীবীদের শ্রমের ইতিহাস
ঘ. নিম্নবিত্তদের নীরব বেদনার আর্তি
১৮. “তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি” এখানে কাদের সেবা করার কথা বলা হয়েছে?
ক. ধনীদের
খ. মধ্যবিত্তদের
গ. নিম্নবিত্তদের
ঘ. গুরুজনদের
১৯. দিনমজুর হাফিজ মিয়া প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে ইট ভাঙে। কিন্তু দিনের শেষে ন্যায্য পাওনা পায় না সে। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় তার জন্য কবি কীভাবে সুসংবাদ দিয়েছেন?
ক. ধনিক শ্রেণির অনুতপ্ততায়
খ. ঋণ শোধের সুদিনের আগমনের প্রত্যাশায়
গ. পরিশ্রমের ইতিহাস উন্মোচন করে
ঘ. শ্রমজীবীদের মাহাত্ম্য বর্ণনায়
২০. “তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান” – এই চরণে কবি কাদের গান গেয়েছেন?
ক. ছাত্রদের
খ. কৃষকদের
গ. শ্রমজীবীদের
ঘ. মাঝিদের
২১. “তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান” এখানে নব উত্থান বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক. নবজাগরণ
খ. নগরায়ণ
গ. সচেতনতা বৃদ্ধি
ঘ. অর্থনৈতিক বিকাশ
২২. মানবসভ্যতা কীভাবে গড়ে উঠেছে?
ক. শিক্ষকদের হাত ধরে
খ. বুদ্ধিজীবীদের প্রচেষ্টায়
গ. ধনীদের সহায়তায়
ঘ. শ্রমজীবীদের পরিশ্রমে
২৩. “যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প-শকট চলে” -লাইনটির তাৎপর্য কী?
ক. দধীচি মুনির আত্মত্যাগ
খ. দধীচি মুনি বাষ্প-শকট তৈরির প্রবক্তা
গ. বাষ্প-শকট দধীচি মুনির কষ্টার্জিত ফল
ঘ. বাষ্প-শকটে দধীচি মুনির হাড় রয়েছে
২৪. কবি কেন শ্রমজীবীদের জয়গান গেয়েছেন?
ক. শ্রমজীবীরা যেন প্রাপ্য সম্মান পায়
খ. শ্রমজীবীদের সম্মান দিতে
গ. শ্রমজীবীরা পৃথিবীকে সুন্দর ও সুশোভন করেছে
ঘ. শ্রমজীবীরা অসীম ধৈর্যশীল বলে
২৫. যুগ যুগ ধরে কুলি-মজুরের মতো লক্ষ-কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে কী গড়ে উঠছে?
ক. ইতিহাস
খ. যন্ত্রসভ্যতা
গ. জীবন পদ্ধতি
ঘ. মানব সভ্যতা
২৬. সভ্যতা বলতে কোনটিকে বোঝায়?
ক. আধুনিক জীবনযাত্রা নির্বাহের পদ্ধতি
খ. আধুনিক সমাজের লোকাচার
গ. সভ্য জাতির জীবনযাত্রা নির্বাহের পদ্ধতি
ঘ. যান্ত্রিক জীবনযাত্রা নির্বাহের পদ্ধতি
২৭. মানবতাবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৃঢ় বিশ্বাস কী?
ক. শ্রমজীবীদের সুদিন এসেছে
খ. শ্রমজীবীদের কথা বলার দিন এসেছে
গ. শ্রমজীবীদের সংঘবদ্ধ উত্থানের দিন এসেছে
ঘ. শ্রমজীবীদের আন্দোলনের সময় এসেছে
২৮. ‘কুলি-মজুর’ কবিতা থেকে আমাদের শিক্ষণীয় কী?
ক. শ্রমজীবীদের সম্মান করা
খ. কর্মময় জীবন গড়ে তোলা
গ. সভ্য সমাজ নির্মাণ করা
ঘ. সংগ্রামী চেতনাকে জাগ্রত করা
২৯. “দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা”-এখানে ‘দেনা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক. শ্রমজীবীদের বঞ্চনা ও শোষণের মাত্রা
খ. ধনিক শ্রেণির কাছে শ্রমজীবীদের পাওনা
গ. শ্রমজীবীদের বঞ্চনার বিপরীতে অর্জিত সম্পদ
ঘ. দরিদ্র মানুষের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ
৩০. ‘কুলি-মজুর’ কবিতার মৌলিক তাৎপর্য কোনটি?
ক. মানব সমাজের ইতিহাস
খ. ধনিক শ্রেণির উদার মানসিকতা
গ. শ্রমজীবীদের জয়গান
ঘ. নব সমাজ প্রতিষ্ঠা
আরও দেখো—সপ্তম শ্রেণির বাংলা গল্প-কবিতার সমাধান
সপ্তম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের সপ্তবর্ণা বাংলা বই থেকে কুলি মজুর কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায় থেকে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য ৩০টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হয়েছে। Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তরগুলো সংগ্রহ করে নাও। এছাড়াও অধ্যায়ভিত্তিক অনুধাবনমূলক, জ্ঞানমূলক এবং সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান পেতে উপরে দেওয়া লিংকে ভিজিট করো।
Discussion about this post