কৈশোরের আনন্দযাত্রা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৪র্থ অধ্যায় : কৈশোরকাল আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় আমাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিছু অভিজ্ঞতা বেশ আনন্দের আবার কিছু বেশ চ্যালেঞ্জিং।
আনন্দের অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তোলার মাধ্যমে আনন্দময় জীবনযাপন যেমনি প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার দক্ষতা অর্জন।
কৈশোরের আনন্দযাত্রা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৪র্থ অধ্যায়
কারণ আনন্দ আমাদের মনের জোর বাড়ায় এবং চ্যালেঞ্জ আমাদের দক্ষ করে তোলে। যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ সামনে আসে তখনই আমরা চিন্তা করি কীভাবে তার, মোকাবিলা করব। ফলে আমাদের চিন্তাশক্তি, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা বাড়তে থাকে।
আমাদের সবার জীবনে চ্যালেঞ্জ এক রকম নয়। যার জীবনে যেমন চ্যালেঞ্জ আসে সেটির মোকাবিলা করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব, যেন একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে নিজের ও সমাজের জন্য অবদান রাখতে পারি।
অভিজ্ঞতা-১ মূল বই: পৃষ্ঠা ৫১
কৈশোরে তোমরা কীভাবে তোমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যতœ নিতে পার, তা জেনেছ। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে তোমাদের যার যার নিয়মিত চর্চাগুলো এবার ‘আমার যত্নে আমার কাজ’ শীর্ষক ছকে লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫১)
উত্তর : কৈশোরে আমার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে আমাদের নিয়মিত চর্চাগুলো ‘আমার যত্নে আমার কাজ’ শীর্ষক ছকে উপস্থাপন করা হলো-
আমার যত্নে আমার কাজ
বয়ঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। যেমন- বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে বীর্য উৎপাদন শুরু হয়। শরীরের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বীর্য কখনো আপনা-আপনি বেরিয়ে আসে। আমাদের সমাজে এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার রয়েছে। এসব কুসংস্কারের ফলে অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি হয়। এটা নিয়ে ভয় পেলে বিভিন্ন মানসিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে। কিন্তু এটি স্বাভাবিক বিষয়। এ জন্য নিয়মিত গোসল করা এবং শরীর পরিষ্কার রাখা দরকার।
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের মাসিকের সময় সম্ভব হলে স্যানিটারি ন্যাপকিন, সম্ভব না হলে পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করা। ব্যবহৃত কাপড় বা স্যানিটারি ন্যাপকিন দিনে ৩-৫ বার পরিবর্তন করা। ধোয়া কাপড় অবশ্যই রোদে, বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে শুকানো। কড়া রোদে শুকালে রোগজীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তলপেটে গরম পানির সেক দেওয়া যেতে পারে। তবে বেশি ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বয়ঃসন্ধিকালের সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। পাশাপাশি সঠিক পরিমাণ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে কচুশাক, লালশাক বা কলিজা ইত্যাদি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। মেয়েদের মাসিকের সময় লেবু, কমলা, আমলকী ও জলপাইয়ের মতো টকজাতীয় ফল এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল খেতে হবে।
বয়ঃসন্ধিকালে মনের যত্নের জন্য সঠিক তথ্য জানা দরকার। এ সময় কিশোর-কিশোরীদের তীব্র আবেগ ও অনুভূতি কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের পাশাপাশি মনের ভালো থাকার গুরুত্ব অনেক। যেসব কাজ মন ভালো রাখে সেগুলো করা, বিনোদন, শখের কাজ, নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া ইত্যাদি মনের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন। আমাদের ভালো লাগার, আনন্দের, মজার অনুভূতিগুলো মনে ও শরীরে শক্তি জোগায়।
অভিজ্ঞতা-২ মূল বই: পৃষ্ঠা ৫২
তোমরা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছ, শৈশব থেকে কৈশোরে পা দিয়েছ। বিভিন্ন অভিজ্ঞার মধ্য দিয়ে যাচ্ছ। তোমার কৈশোরের অভিজ্ঞতাগুলো নিচের ছকে উপস্থাপন কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫২)
উত্তর : আমরা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছি, শৈশব থেকে কৈশোরে পা দিচ্ছি। এ সময়ে আমাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। আমার কৈশোরের অভিজ্ঞতাগুলো নিচের ছকে উপস্থাপন করা হলো-
আনন্দময় অভিজ্ঞতা
- নিজের চাওয়া প্রকাশ করতে পারি।
- কখনো কখনো নিজের মত প্রকাশ করতে পারি।
- আমরা এখন নিজের মনের মতো করে নিজের বইপত্র ও পোশাক গুছিয়ে রাখতে পারি।
- নিজের যত্ন নিতে পারি।
- ছোট ভাইবোনকে কিছু কিছু ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি।
- আগে যে কাজগুলো পারব না বলে সবাই মনে করত, এখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দেয়।
চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা
- আগে সবার সাথে খেলাধুলা করতে পারতাম, এখন বড়রা নিষেধ করেন, বাধা দেন, তাই অনেকে আমরা খেলাধুলা করতে পারি না।
- আগে সবার সাথে সব জায়গায় যেতে পারতাম, এখন পরিবারের বাবা-মা এবং বড়রা নিষেধ করেন। যখন আমরা ছোট
- ছিলাম তখন এমনটি হতো না।
অভিজ্ঞতা-৩ মূল বই: পৃষ্ঠা ৫৩
তোমাদের এই বয়সে কী কী ধরনের ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হও তা নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা কর এবং নিচের ছকটি পূরণ কর। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৫৩)
উত্তর : বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের এই বয়সে আমরা কী কী ধরনের ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই তা নিচের ছকে আলোচনা করা হলো-
শারীরিক ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ
শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টিতে আমরা কেউ কেউ অস্বস্তিবোধ করি। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, দাড়ি-গোঁফ গজায় এবং মেয়েদের স্তনের বিকাশ হয়। এ পরিবর্তনগুলোকে আমাদের মধ্যে সহজভাবে গ্রহণ করা কারো জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। আবার এ পরিবর্তনগুলো না হওয়ার জন্যও কেউ কেউ বিভ্রান্ত বোধ করি। কখনো কখনো পরিবারে আমাদের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে বড় হতে হয়। কেউ কেউ বড়দের বকুনি ও শারীরিক শাস্তির শিকার হই।
মানসিক ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ
কারো হয়তো হঠাৎ উচ্চতা বা ওজন অনেক বেড়ে যায়। আবার কারো শারীরিক পরিবর্তন দেরিতে হয় অথবা তার পরিবর্তন অন্যদের মতো নয়। এসব নিয়ে সমবয়েসিরা অনেক সময় কৌতুক বা বিদ্রুপ করে। এতে অনেক সময় আমাদের মানসিক চাপ হয়।
ছেলেদের ক্ষেত্রে বীর্যপাত এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক হলে তার স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থাপনা জানা না থাকার কারণে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। সবার সাথে স্বাভাবিক মেলামেশা ব্যাহত হয়। নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবণতা কাজ করে। স্বাভাবিক মেলামেশা না করার জন্য অনেক সময় অভিভাবকরা রাগ ও বকাঝকা করেন।
হরমোনের প্রভাবে হঠাৎ হঠাৎ আবেগ-অনুভূতির পরিবর্তন হয়। আবার এর কারণ বুঝতে না পারা, অস্বস্তি শেয়ার করতে না পারা ফলে মানসিক চাপ হয়। এটি অনেক সময় অন্যদের সাথে আচরণে প্রভাব ফেলে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই আমরা বিপরীত লিঙ্গের অথবা একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি। এর ফলে কারো কারো মধ্যে আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
আমরা প্রতিনিয়ত মানসিক শাস্তি ও নিপীড়নের শিকার হই। যেমন- বকা, ছোট করে বা অপমান করে কথা বলা, তুলনা করা, গালিগালাজ করা, হুমকি দেওয়া, দোষ চাপিয়ে দেওয়া, ভয় দেখিয়ে কোনো কাজে বাধ্য করা ইত্যাদি।
সামাজিক ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ
বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের বড়দের মতো দায়িত্ব নিতে ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে, স্বাধীনভাবে চলতে ও নিজের মতো সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। এতে কখনো কখনো পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি। হয়। আবার এ সময় বড়দের কাছ থেকে যখন একটু বেশি আদর, মনোযোগ পেতে ইচ্ছা হয়, তখনো তারা কেউ কেউ বিরক্ত হন।
কোনো কোনো পরিবারে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে খাবার, পড়াশোনা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে পার্থক্য করা হয়। বিশেষ করে মেয়েদের প্রয়োজনের প্রতি মনোযোগের অভাব দেখা যায়। এতে আমরা যারা মেয়ে আছি তারা ক্ষতিগ্রস্ত হই। যেমন- অপুষ্টিতে ভোগি, পড়াশোনা শেষ করতে পারি না।
অনাকাক্সিক্ষত শারীরিক স্পর্শ, অশোভন কথা, অঙ্গভঙ্গি, ইঙ্গিত করা বা উত্ত্যক্ত করা, কুরুচিপূর্ণ আচরণ করা, নোংরা কুরুচিপূর্ণ ছবি দেখানো, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা বিদ্রূপ করা, ভয় দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা এবং এর ছবি বা ভিডিও তৈরি করা প্রভৃতি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন করে।
অভিজ্ঞতা-৫ মূল বই: পৃষ্ঠা ৬০
কোন কোন কৌশল ব্যবহার করে তুমি চ্যালেঞ্জের নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেকে যুক্ত রাখবে ‘আমার নিরাপদ থাকা চ্যালেঞ্জের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার কৌশল’ ছকে তা লিখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৬০)
উত্তর : কোন কোন কৌশল ব্যবহার করে আমি চ্যালেঞ্জের নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখব ‘আমার নিরাপদ থাকা : চ্যালেঞ্জের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার কৌশল’ ছকে তা দেখানো হলো-
কৈশোরের আনন্দযাত্রা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৪র্থ অধ্যায়
আমার নিরাপদ থাকা : চ্যালেঞ্জের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার কৌশল
- আমাদের কোনো প্রয়োজন, ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে লজ্জা বা ভয় না পেয়ে পরিবার, বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করব।
- বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিবর্তনগুলোকে সচেতনতার সাথে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নেব। এ বিষয়ে মানসিক চাপ হলে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করা বা সহযোগিতা চাইব।
- মন খারাপ, রাগ, হতাশা বা মানসিক চাপ থেকে নিজের বা অন্যের প্রতি ক্ষতিকর আচরণ বা আত্মহত্যার চিন্তা হলে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য কারো সহযোগিতায় অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর পরামর্শ নেব।
- বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ক সঠিক তথ্য জেনে শরীর ও মনের যতœ এবং পরিচর্যা করব।
- প্রযুক্তি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করব এবং ব্যক্তিগত কোনো তথ্য ও ছবি শেয়ার করব না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে ‘সাইবারে গোয়েন্দাগিরি’ অধ্যায়টির সাহায্য নেব।
- পড়াশুনা ও অন্যান্য পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে সমস্যা হলে যিনি সাহায্য করতে পারেন তার সহযোগিতা নিয়ে সমস্যার সমাধান এবং খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করব।
অভিজ্ঞতা-৬ মূল বই: পৃষ্ঠা ৬২
নিচের দুই পরিস্থিতিতে তোমরা কী করবে? ভেবে নিচের ছকে লেখ। (স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৬২)
উত্তর : নিচের দুই পরিস্থিতিতে আমরা কী করব তা ভেবে নিচের ছকে লেখা হলো-
আমার কিছু সমবয়েসি বন্ধু আমাকে মাদক সেবনে চাপ দিচ্ছে। নিজেকে মাদক থেকে বিরত রাখতে আমি কী করব?
- সমবয়েসি মাদক সেবক বন্ধুর সাথে চলাফেরা ও যাতায়াত বন্ধ করতে হবে।
- মাদক সেবন করব না নিজেই নিজের কাছে এমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
- মানসিক ও দৈহিক নিয়মিত শরীর চর্চার বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে।
- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিব।
- সমবয়েসি বন্ধুদের মাদকদ্রব্য সেবনের ভয়াবহতা সম্পর্কে বোঝাব এবং এর থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেব।
- নিয়মিত পড়াশুনা করব, স্কুলে যাব এবং শিক্ষকদের উৎসাহমূলক বাণি মনোযোগ দিয়ে শুনব।
- মাদক সম্পর্কিত বই বেশি বেশি পড়ব এবং এর কুফল সম্পর্কে জানব।
- নিয়মিত ধর্মীয় বিষয়ের চর্চা করব।
আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে মাদক থেকে বিরত রাখতে আমি কী করব?
- মাদক সেবনকারীদের সাথে চলাফেরা বন্ধুকে বাধা দেব এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বোঝানো চেষ্টা করব।
- মানসিক ও দৈহিক নিয়মিত শরীর চর্চার বিষয়ে যত্নশীল হওয়ার জন্য পরামর্শ দিব।
- মাদক সেবন করবে না নিজে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করাবো।
- বন্ধুকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মোতাবেক চলার জন্য তাগিদ দেব।
- যথাসম্ভব কন্ধুকে খেলাধুলা, আনন্দ-বিনোদনে সময় দেব।
- বন্ধুর পরিবারকে পরামর্শ দিব যতটা সম্ভব বন্ধুকে সময় দেওয়ার যেন বন্ধু কোনো প্রকার বিষন্ন তায় না ভোগে।
- বন্ধুকে নিয়মিত ধর্মীয় বিষয়ের চর্চা করার পরামর্শ দেব এবং মাদকের কুফল সম্পর্কিত লেখা বই উপহার দেব।
- পারিবারিক বন্ধন বাড়ানো পরামর্শ দেব।
- যারা মাদক সেবন করে না এমন বন্ধুদের সঙ্গ বেশি দেওয়ার পরামর্শ দেব।
আরো দেখো: ৭ম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সকল অধ্যায়ের সমাধান
সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, উপরে আমরা কৈশোরের আনন্দযাত্রা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৪র্থ অধ্যায় শেয়ার করেছি। তোমাদের মূল বইতে যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা ঠিক সেভাবেই উত্তরগুলো তৈরি করেছি। উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে উত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post