গন্তব্য কাবুল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই সেপ্টেম্বর পিতার কর্মস্থল আসামের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বৃহত্তর সিলেট জেলায়। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ সিকান্দার আলী। মুজতবা আলীর শিক্ষাজীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে শান্তিনিকেতনে। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আফগানিস্তানের কাবুলে কৃষিবিজ্ঞান কলেজে কিছুকাল অধ্যাপনা করেন তিনি । এছাড়াও দেশে-বিদেশে বহুস্থানে তিনি কর্মসূত্রে গমন করেছেন। আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, ফরাসি, জার্মানসহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর দক্ষতা ছিল। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রসাহিত্যের বিশেষ অনুরাগী। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে তাঁর ছিল বিশেষ পাণ্ডিত্য। সাহিত্যিক রসবোধ সৈয়দ মুজতবা আলীর রচনার মুখ্য প্রবণতা । তাঁর রচনায় বিচিত্র জীবনপ্রবাহের নানা অনুষঙ্গ কৌতুক ও ব্যঙ্গে রসাবৃত হয়ে উপস্থাপিত হয়। সৈয়দ মুজতবা আলীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : ‘দেশে বিদেশে’, ‘পঞ্চতন্ত্র’, ‘চাচাকাহিনি’, ‘শবনম’, ‘কত না অশ্রুজল’ প্রভৃতি। সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
গন্তব্য কাবুল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
পাঠ-পরিচিতি: সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত “গন্তব্য কাবুল” শীর্ষক ভ্রমণকাহিনিটি তাঁর ‘দেশে বিদেশে’ (১৯৪৮) গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই রচনাটির মধ্য দিয়ে আমরা সৈয়দ মুজতবা আলীর অসাধারণ ভ্রমণ-সাহিত্যের সঙ্গেই শুধু পরিচিত হই না, অধিকন্তু তাঁর জীবনবোধ, সাহিত্যরুচি ও নিজস্ব শিল্প-বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারি । সৈয়দ মুজতবা আলী বিচিত্র এক জীবন যাপন করেছেন। কত জনপদ, কত মানুষ আর কত ঘটনার সঙ্গে যে তিনি এক জীবনে পরিচিত হয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। আর সেই জনপদ, সেই মানুষ আর সেই সব ঘটনাকেও তিনি দেখেছেন কখনো রসিকের চোখে, কখনো ভাবুকের চোখে এবং কখনোবা বিদগ্ধ পাণ্ডিত্যের মনন ও নিষ্ঠার চোখে।
ফলে অনিবার্যভাবেই তাঁর সব সৃষ্টির মতো ভ্রমণ-সাহিত্যও হয়ে উঠেছে তুখোড় এক জীবনচাঞ্চল্যে ভরপুর কথামালা। “গন্তব্য কাবুল” তার ব্যতিক্রম নয়। হাওড়া স্টেশন থেকে কাবুলের উদ্দেশে যে যাত্রাটি তিনি শুরু করেছিলেন তাতে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ রসঘন এক অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়ের প্রতিটি পর্বে কত যে কৌতুক, কৌতূহল, হাসি-ঠাট্টা, রম্য-রসিকতা আর প্রজ্ঞা ও মনন পাঠকের জন্য অপেক্ষা করে তার কোনো তুলনা চলে না। যাত্রার শুরুতেই গাড়িতে উঠতে গেলে একজন ইংরেজ হাঁক দিয়ে বলেছিলেন “ওটা ইয়োরোপিয়ানদের জন্য”।
এই একটি মাত্র উক্তির মধ্যে ব্রিটিশশাসিত দুইশ বছরের ইতিহাসের একটি মাত্রা অনুভব করা যায়। আবার সেই ফিরিঙ্গির সঙ্গেই যখন শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ যাত্রা শুরু হয় আর ভাগ-বাঁটোয়ারা করে খাওয়া হয় নিজেদের সঙ্গে করে আনা বিচিত্র খাবার তখন অন্য এক ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটে। সেই ইতিহাস মানবিকতার, সাম্যের, সৌন্দর্যের। এই বিচিত্র মানুষ-জনের সঙ্গে মিলেমিশে আছে নানা ধরনের প্রকৃতি, ভূগোল, ইতিহাস ও নানা সংস্কৃতি। এই রচনায় সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতার একটি অতি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়ের পরিচয় তুলে ধরেছেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : মানুষ যে কেবল নিজেকেই জানিতে চায় তাহাই নহে, বাহিরের জগতের আহ্বানে প্রতিনিয়তই তাহাকে টানিতেছে। এই আহ্বানে প্রলুব্ধ হইয়া অনেক লোক দেশভ্রমণে বহির্গত হয়। নানা দেশ, নানা জাতি, তাহাদের এতিহ্য ও সংস্কৃতি বিভিন্ন জনের নিকট বিভিন্ন রূপে ধরা দেয়। বাহিরের এই বস্তুসত্তাকে লেখক মানসরসে প্রত্যক্ষ করিয়া তথ্যসংবলিত গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এই জাতীয় গ্রন্থে বস্তুসত্তার প্রাধান্য থাকিলেও উহার মধ্যে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকিতে পারে।
ক. ফিরিঙ্গি কী?
খ. সর্দারজিকে লেখকের ভালো লাগার কারণ কী?
গ. “গন্তব্য কাবুল” রচনায় উদ্দীপকের কোন সত্তাটি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উপর্যুক্ত সত্তাটি “গন্তব্য কাবুল” রচনার শেষ কথা নয় ।_ বিশ্লেষণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আসে। এ অঞ্চলে পর্তুগিজদেরই ফিরিঙ্গি বলা হয়।
খ. গন্তব্য কাবুল’ গল্পে সর্দারজিকে লেখকের ভালো লাগার কারণ হল, সর্দারজি চরিত্রটি অত্যন্ত সাহসী, দৃঢ়চেতা এবং মানবিক গুণাবলীর অধিকারী। সর্দারজি একজন সরল, নিরহঙ্কার ব্যক্তি যিনি নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুঃসাহসিক কাজ করেন, কিন্তু তার মধ্যে কোনো অহংকার বা দম্ভ নেই। লেখকের কাছে এই চরিত্রটি বিশেষভাবে আকর্ষণীয় এবং শ্রদ্ধার কারণ, কারণ সর্দারজির মধ্যে যে আধ্যাত্মিকতা, মনের শক্তি এবং নৈতিক দৃঢ়তা রয়েছে, তা তাকে একটি নিখুঁত চরিত্রে পরিণত করেছে।
গল্পের পটভূমিতে সর্দারজির কাবুল যাওয়ার উদ্দেশ্য এবং তার কঠিন যাত্রার মধ্যে যে সাহস, শৌর্য এবং নিজস্ব কর্তব্যবোধের পরিচয় পাওয়া যায়, তা লেখকের কাছে অত্যন্ত প্রভাবিত করেছে। তার মানবিক গুণাবলী এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সর্দারজিকে লেখকের কাছে বিশেষভাবে প্রিয় ও ভালো লাগার মতো একটি চরিত্রে পরিণত করেছে।
গ. ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনায় উদ্দীপকের যে সত্ত্বাটি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে, তা হল বাহিরের জগতের আহ্বান এবং দেশভ্রমণের মাধ্যমে সেই বাহ্যিক সত্তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া। উদ্দীপকে বলা হয়েছে যে, মানুষ কেবল নিজেকেই জানার চেষ্টা করে না, বরং বাহিরের জগতের প্রতি তার আকর্ষণও থাকে, এবং এটি প্রলুব্ধ করে মানুষকে দেশভ্রমণের জন্য। সর্দারজি, যিনি কাবুলের দিকে যাত্রা করেন, তার মধ্যে এই বাহ্যিক জগতের প্রতি আকর্ষণ এবং নতুন পৃথিবী সম্পর্কে জানার ইচ্ছা ফুটে উঠেছে।
গল্পে, সর্দারজি তার দেশভ্রমণটি কেবল শখের জন্য করেননি, বরং তিনি এই ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কাবুলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, মানুষের জীবনযাত্রা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। এই বোধ ও আকর্ষণই তাকে কাবুলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে প্রলুব্ধ করে। তার যাত্রার মধ্যে বাইরের পৃথিবী এবং তার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার গভীর আগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া, লেখক কাবুলের বাস্তবতাকে একদিকে যেমন তথ্যসমৃদ্ধভাবে বর্ণনা করেছেন, তেমনি তা সর্দারজির দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যক্তিগত অনুভূতির সাথে মিশিয়ে উপস্থাপন করেছেন। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি গল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, যা উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি’র প্রতি ইঙ্গিত দেয়। সর্দারজির চোখে কাবুলের যাত্রা, সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং তার অভিজ্ঞতা, সবই লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এভাবে, উদ্দীপকের কথা অনুযায়ী, ‘গন্তব্য কাবুল’-এ বাহিরের জগতের আহ্বান এবং ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশিত হয়েছে, যা সর্দারজির দেশভ্রমণের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ঘ. উদ্দীপকটির আলোকে ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার শেষ কথা বিশ্লেষণ করলে, তা স্পষ্টভাবে বাহিরের জগতের আহ্বান এবং ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয় প্রদর্শন করে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষের বাহ্যিক পৃথিবী সম্পর্কে জানার আকাঙ্ক্ষা তাকে দেশভ্রমণে প্রলুব্ধ করে এবং এই অভিজ্ঞতা থেকে লেখক তথ্যসংবলিত গ্রন্থ রচনা করেন। তবে, এই গ্রন্থে সঠিক তথ্যের পাশাপাশি লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতার ছাপও থাকে। ‘গন্তব্য কাবুল’-এর শেষ কথা একইভাবে সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
গল্পটির শেষ অংশে, সর্দারজির কাবুলে পৌঁছানোর পরের পরিস্থিতি এবং তার অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কাবুলের যে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক দৃশ্যপট দেখেন, তা শুধু এক দৃষ্টিকোণ থেকেই প্রতিফলিত হয় না; বরং তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি, অনুভূতি এবং মূল্যবোধও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্দারজি কেবল কাবুলের বাহ্যিক সত্তা—যেমন শহরের অবকাঠামো, মানুষের জীবনযাত্রা এবং রাজনৈতিক অবস্থা—এগুলি পর্যবেক্ষণ করেন না, বরং তার অনুভূতির সাথে সেগুলি মিলিয়ে দেখেন।
গল্পের শেষের দিকে সর্দারজি উপলব্ধি করেন যে, তিনি কাবুলে শুধু তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি, বরং সেই তথ্যের মাঝে তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও মূল্যবোধের ছাপও স্পষ্ট হয়েছে। লেখক কাবুলের বর্ণনায় ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব দিয়েছেন, যেখানে একে সরাসরি তথ্যসমৃদ্ধ হিসেবে নয়, বরং সর্দারজির অনুভূতি, চিন্তা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন যে, বাহ্যিক পৃথিবী সম্পর্কে জানার পরেও, তার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এইভাবে, ‘গন্তব্য কাবুল’-এর শেষ কথা শুধুমাত্র একটি তথ্যভিত্তিক উপসংহার নয়, বরং এটি সর্দারজির ব্যক্তিগত উপলব্ধি এবং অভিজ্ঞতার প্রতিফলন, যা উদ্দীপকের সেই সত্ত্বারই প্রকাশ—বাহ্যিক সত্তার সাথে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির মিশ্রণ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২: সকালে অফিসে যাওয়ার পথে জমির সাহেব প্রথম রিকশায় উঠলেন। কিছুদূর যেতেই রিকশার টায়ার যাওয়ার জন্য এবার তিনি হন্তদন্ত হয়ে পাঠাও রাইড ধরলেন। ধরতেই তলায় উঠলেন। কিছুদূর যেতেই রিকশার টায়ার কেঁদে পেল। আতা তিনি প্রমথটে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির শাবো। দেশ-বিদেশের ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র, জনজীবন, অরণ্য প্রকৃতিসহ নানা জিনিসের সাথে প্রহণকারীর পরিসা ঘটে। পরিচিত হতে পেরে সে একজন অরণ্য নাম
ক. ‘টাঙা’ কী?
খ. সায়েবের বের করা খাবারগুলো দেখে লেখকের চোখ দুটো জমে যেতে লাগল কেন?
গ. উদ্দীপক (র)—এ ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার যে দিকটি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপক (রর) এবং ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার সারকথা একইরকম।’ মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩: ইবনে বতুতা তাঁর সময়ে সর্বাধিক ভ্রমণ করা ব্যক্তিদের একজন। ১৩২৫ সালে মরক্কো থেকে ১৯ বছর বয়সে তিনি পবিত্র হজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। তিনি স্থল হতে মক্কা যান। তিনি উত্তর আফ্রিকার তটরেখা দরে আবদ-আল ওয়াদিদ এবং হাফাসিদ-এর রাজ্য হয়ে যান। ১৩২৬ সালের বসন্তে প্রায় ৩৫০০ কি.মি. ভ্রমণ শেষে তিনি আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে আসেন।
ক. সর্দারজির মতে, কোন এলাকায় শিলওয়ার বানাতে সাড়ে সাত গজ কাপড় লাগে?
খ. ‘এও তো তাজ্জব কি বাত।’—সর্দারজি এ কথা বলেছে কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘লেখক যেন ইবনে বতুতার আধুনিক সংস্করণ।’—উদ্দীপক ও ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪: বিপ্লবের চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে বেড়াতে গিয়ে বাঁধল মহা বিপত্তি। গেটের চেকপোস্টে গাড়ি ঘামানো হলো। কারণ সবার জন্য ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত নয়। পরিচয়পত্র দেখিয়ে যার কাছে যাবে তার নাম বলার পর গেট খুলে দেওয়া হলো। ভিতরে দুধারে সবুজ অরণ্যের মাঝে চমৎকার মসৃণ রাস্তা। বিস্তীর্ণ সেই রাস্তায় পায়ে হাঁটা মানুষের কষ্ট হলেও যানবাহনে যাতায়াতকারীদের কোনো কষ্ট হয় না।
ক. পাঠান মুল্লুকের কোহাট খাইবারে কোন কাপড় দিয়ে শিলওয়ার বানানো হয়?
খ. ‘পেশাওয়ার স্টেশনে এক গাড়ি বাঙালি নামে না।’—কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘গন্তব্য কাবুল’-এর কোন ঘটনার সাথে মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকে ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার সামগ্রিক ভাব প্রকাশিত হয়নি।’—উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫: মিতু বিদেশে গিয়ে পরিচিত হয় একজন আফ্রিকান মহিলার সঙ্গে। মহিলা অত্যন্ত ভালো ও আন্তরিক। পরিচয় থেকে আলাপ। অতঃপর খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় উভয়েই। একদিন দুপুরে খাওয়ার সময় হলে আফ্রিকান মহিলা তার ব্যাগ খুলে কিছু খাবার বের করেন। মায়ের হাতের রান্না করা বলে মিতুকে খেতে বলায় মিতু তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সানন্দে আফ্রিকান মহিলার খাবার গ্রহণ করে।
ক. বুড়ো বয়সেও মাঝে মাঝে বায়োস্কোপে যায় কে?
খ. কোন বিষয়ে লেখকের ঈষৎ উদ্বেগ রয়েছে? বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের আফ্রিকান মহিলার সাথে ‘গন্তব্য কাবুল’-এর কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার খন্ডাংশ মাত্র।’ উদ্দীপক ও ‘গন্তব্য কাবুল’ রচনার আলোকে তোমার মতামত দাও।
◉ আরও দেখ: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সকল গল্প-কবিতার CQ-MCQ সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা মূল বই থেকে গন্তব্য কাবুল সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। একই সাথে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য আরও অতিরিক্ত ৪টি প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। সবগুলো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ আকারে সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post