গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় mcq : স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। প্রতিটি মানুষের যেমন দৈহিক স্বাস্থ্য আছে তেমনি মনেরও স্বাস্থ্য আছে। শরীর ভাল না থাকলে আমরা মনের দিক থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আমাদের আচরণের মাধ্যমে।
বাস্তব জীবনে ইতিবাচক আবেগীয় অবস্থা এবং মানসিক তৃপ্তি লাভের মধ্যে দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব হয়। আর প্রজনন স্বাস্থ্য হচ্ছে মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি অংশ বিশেষ। মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে একটি শিশুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও প্রৌঢ়জীবন বিকাশের প্রতিটি স্তরেই প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত।
সুস্থ, স্বাভাবিক, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষেরই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থাকতে হবে। আমাদের দেশে মানসিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে তাই প্রতিটি মানুষের মানসিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষা সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক।
গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় mcq
১. প্রত্যেক মানুষেরই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে মৌলিক ধারণা থাকা প্রয়োজন কেন?
ক. মানসিক সুস্থতার জন্য
খ. সমৃদ্ধ জীবনের জন্য
গ. দীর্ঘজীবনের জন্য
● নিরাপদ ও উন্নত জীবনের জন্য
২. প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কাদের জন্য প্রয়োজন হয়?
● সব বয়সিদের
খ. তরুণ-তরুণীদের
গ. শিশুদের
ঘ. কিশোর-কিশোরীদের
৩. মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ কোনটি?
● দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়
খ. প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে পারে না
গ. অসামাজিক আচরণে লিপ্ত থাকে
ঘ. উপযোজন ও অভিযোজনে বাধার সম্মুখীন হয়
৪. মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তির অন্যতম লক্ষণ কোনটি?
ক. সফলতা
● মানসিক তৃপ্তি
গ. মানসিক শান্তি
ঘ. হতাশা
৫. কোনটি মানসিক জটিলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনুপস্থিত?
ক. মানসিক অশান্তি
খ. হতাশা
● মানসিক তৃপ্তি
ঘ. বিষণ্ণতা
৬. মানসিক সুস্থতার জন্য কোনটি আবশ্যক?
● শারীরিক সুস্থতা
খ. ধনসম্পদের প্রাচুর্যতা
গ. সৃজনশীলতা
ঘ. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা
৭. মানসিক স্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তি প্রতিকূল ও সমস্যাসংকুল পরিবেশে কীভাবে তার কার্যক্রম চালায়?
ক. খিটখিটে মেজাজে
খ. ভীত মনে
● দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সাথে
ঘ. উত্তেজিত হয়ে
৮. মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ ব্যক্তির আচরণে কিসের পরিচয় পাওয়া যায়?
ক. অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্বের
● খিটখিটে মেজাজের
গ. উত্তেজিত মেজাজের
ঘ. আত্মতৃপ্তির
৯. মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মেজাজ কীরূপ হয়ে থাকে?
ক. আত্মবিশ্বাসী
● খিটখিটে প্রকৃতির
গ. আত্মতৃপ্তির অধিকারী
ঘ. অনুকূল মনোভাব
১০. মানসিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তির কাজের মধ্যে কী ধরনের?
ক. প্রতিকূল মনোভাব
খ. আগ্রহের অভাব
গ. হতাশাগ্রস্ততা
● যথাযথ আগ্রহ ও অনুকূল মনোভাব
১১. সামাজিক পরিবেশে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের আচরণ কীরূপ হয়?
● নিজেকে গুটিয়ে রাখে
খ. আত্মবিশ্বাসী হয়
গ. আত্মমূল্যায়ন ক্ষমতাসম্পন্ন হয়
ঘ. নিজেকে সবার সামনে প্রকাশ করে
১২. বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের ক্রোড়পত্র (২০১১) অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর কত শতাংশ মানসিক রোগে আক্রান্ত?
ক. ১৪.২%
● ১৬.১%
গ. ১৮.৫%
ঘ. ২০.৩%
১৩. বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের ক্রোড়পত্র (২০১১) অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর কত শতাংশ নিউরোটিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত?
ক. ৮.২%
● ৮.৪%
গ. ৮.৮%
ঘ. ৮-১০%
১৪. ঢাকা বিভাগে পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী কত শতাংশ শিশু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে?
ক. ১৫.৫%
খ. ১৬.৮%
● ১৮.৪%
ঘ. ২০.৫%
১৫. মানসিক স্বাস্থ্য ব্যক্তির কী ধরনের ক্ষমতা?
● মানসিক
খ. শারীরিক
গ. আর্থিক
ঘ. আবেগীয়
১৬. কোনটির দ্বারা ব্যক্তি সমাজের সাথে সংগতি বিধান করে চলতে পারে?
● শারীরিক স্বাস্থ্য
খ. মানসিক স্বাস্থ্য
গ. আবেগ
ঘ. সৃজনশীলতা
১৭. মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি দিক কোনটি?
ক. শারীরিক স্বাস্থ্য
● মানসিক স্বাস্থ্য
গ. দৃঢ় আত্মবিশ্বাস
ঘ. আত্মমর্যাদা
১৮. মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা ও স্বাভাবিকতার প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়গুলোকে কী বলা হয়?
ক. মানসিকতা
● মনোভাব
গ. মানসিক স্বাস্থ্যের উপাদান
ঘ. মানসিক ক্ষমতা
১৯. ব্যক্তির বংশগত, শারীরিক সামগ্রিক সুস্থতা ও পুষ্টি ব্যবস্থা কিসের অন্তর্ভুক্ত?
ক. আবেগের
খ. পরিবেশের
গ. ব্যক্তিত্বের
● দৈহিক স্বাস্থ্যের
২০. বংশগতির নির্ধারক কোনটি?
ক. সামাজিক পরিবেশ
● জিন
গ. পুষ্টিকর খাদ্য
ঘ. নিউরোন
২১. শিশুর দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা কোন পরিবেশে বিকশিত হয়?
ক. কৃত্রিম
খ. পরিচ্ছন্ন
গ. প্রাকৃতিক
● সুষ্ঠু
২২. মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় কোনটি?
ক. পুষ্টিকর খাদ্য
খ. ধর্মীয় শিক্ষা
● ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠু বিকাশ
ঘ. পর্যাপ্ত চিত্তবিনোদন
২৩. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কীরূপ হবে?
ক. প্রতিযোগিতাপূর্ণ
● বিশ্বাসপূর্ণ
গ. অসহযোগিতাপূর্ণ
ঘ. কলহপ্রবণ
২৪. শিশুদের প্রকৃতি কেমন হয়?
ক. অস্থিতিশীল
খ. অশান্ত
● অনুকরণপ্রিয়
ঘ. সহানুভূতিহীন
২৫. শিশুর প্রথম সামাজিক পরিবেশ কোনটি?
● গৃহ
খ. বিদ্যালয়
ঘ. খেলার মাঠ
ঘ. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
২৬. পিতামাতার কোন ধরনের আচরণ শিশুর স্বাধীন আগ্রহ ও ইচ্ছাশক্তি দমন করে?
ক. আস্থাহীন আচরণ
খ. উদাসীন আচরণ
● অতি রক্ষণশীল আচরণ
ঘ. অতিমাত্রায় স্বীকৃতিসূচক আচরণ
২৭. পিতামাতার অতি রক্ষণশীল আচরণে শিশুরা কেমন প্রকৃতির হয়?
ক. সত্যবাদী
● পরনির্ভরশীল
গ. দায়িত্ববান
ঘ. আবেগী
২৮. পিতামাতার অতিমাত্রায় স্বীকৃতিসূচক মনোভাব শিশুর আচরণে কীরূপ প্রভাব ফেলে?
ক. দায়িত্ববান করে তোলে
খ. পরনির্ভরশীল করে তোলে
গ. ভীতু করে তোলে
● স্বার্থপর ও জেদি করে তোলে
২৯. শাকির মা-বাবা সবসময় তাকে শাসনের মধ্যে রাখেন। কোনো কাজ করতে চাইলে বাধা সৃষ্টি করেন। মা-বাবার এরূপ আচরণ লাকির ওপর কীরুপ প্রভাব ফেলবে?
ক. স্বার্থপর করে তুলবে
● কোধ বৃদ্ধি করবে
গ. দায়িত্বহীন করবে
ঘ. নির্ভরশীল করবে
৩০. প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রয়োজন কেন?
ক. দীর্ঘ জীবনের জন্য
● দেহ ও মনের সুস্থতার জন্য
গ. সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য
ঘ. সুষ্ঠু বিকাশের জন্য
৩১. কোন সময় থেকে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের পরিচর্যা শুরু করা উচিত?
ক. গর্ভধারণের সময়
● ঋতুস্রাবের সময়
গ. বিবাহের পর
ঘ. শৈশবকাল থেকে
৩২. পুরুষের ক্ষেত্রে কত বছর পর থেকে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা উচিত?
● ১২-১৩ বছর
খ. ১৪-১৫ বছর
গ. ১৬-১৭ বছর
ঘ. ১৭-১৮ বছর
৩৩. বাংলাদেশ প্রজনন স্বাস্থ্য জরিপ অনুযায়ী কত শতাংশ মেয়ের বিয়ে ১৮ বা তার কম বয়সে হয়?
ক. ৬০
খ. ৭০
● ৮০
ঘ. ৯০
৩৪. সন্তান জন্মদানের সময় বাংলাদেশে প্রতি লাখে কত জন মায়ের মৃত্যু হয়?
ক. ১২০ জন
খ. ২২০ জন
● ৩২০ জন
ঘ. ৪২০ জন
৩৫. বাংলাদেশে যেসব নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাদের বেশিরভাগের বয়স কত?
ক. ১–১২ বছর
উ.১২-১৯ বছর
গ. ১৯-২৫ বছর
ঘ. ২০-৩০ বছর
৩৬. ইউএনএফপি-এর ২০০৫ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ কত শতাংশ নারী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে?
ক. ৩০
খ. ৪০
● ৫০
ঘ. ৬০
৩৭. প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কাদের জন্য প্রয়োজন হয়?
ক. তরুণ-তরুণীদের
খ. কিশোর-কিশোরীদের
গ. শিশুদের
● সব বয়সিদের
৩৮. মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত অস্বাভাবিকতা ও রোগ কয় ধরনের হয়?
ক. দুই
● তিন
গ. চার
ঘ. পাঁচ
৩৯. কোনটি যৌনবাহিত রোগ?
ক. হাম
খ. কলেরা
● গনেরিয়া
ঘ. ক্যান্সার
৪০. মেয়েদের জন্য কত বছরের পূর্বে গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ?
● ২০ বছর
খ. ২৪ বছর
গ. ২৮ বছর
ঘ. ৩০ বছর
৪১. কত বছরের পর গর্ভধারণ ঝুঁকিপূর্ণ?
ক. ২০ বছর
খ. ২৫ বছর
গ. ৩০ বছর
● ৩৫ বছর
৪২. জরায়ুর মুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে কোনটি করা উচিত?
ক. স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
● টিকা দেওয়া
গ. রক্ত পরীক্ষা করা
ঘ. ইঞ্জেকশন দেওয়া
৪৩. পারুলের ২০ বছর বয়সে বিয়ে হয়। পরের বছরই সে গর্ভধারণ করে। পারুল কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে?
● গর্ভপাত
খ. যৌন রোগে আক্রান্ত
গ. ক্যান্সারে আক্রান্ত
ঘ. কৌষ্ঠকাঠিন্য
৪৪. প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মেয়েদের কত বছরের পূর্বে গর্ভধারণ করা উচিত নয়?
ক. ১৭ বছর
খ. ১৮ বছর
গ. ১৯ বছর
● ৩৫ বছর
৪৫. শিশুর জন্মপূর্ব যত্ন বলতে কী বোঝায়?
ক. গর্ভস্থ সন্তানের যত্ন
খ. জন্ম পরবর্তী শিশুর যত্ন
● গর্ভবতী মায়ের যত্ন
ঘ. শিশু গর্ভে আসার মায়ের যত্ন
৪৬. জন্মের পর থেকে কত দিন বয়স পর্যন্ত শিশুকে নবজাতক বলা হয়?
ক. ১০ দিন
খ. ১২ দিন
● ১৪ দিন
ঘ. ১৬ দিন
৪৭. নারীরা সাধারণত কত বছর বয়স পর্যন্ত গর্ভধারণ ও প্রজননে সক্ষম?
ক. ১৫-৩০ বছর
খ. ২০-৪০ বছর
গ. ২০-৪৫ বছর
● ১৫-৫৫ বছর
৪৮. মেনোপজের সময় কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
ক. পারিবারিক
খ. অর্থনৈতিক
● শারীরিক
ঘ. সামাজিক
৪৯. কোন সময় ছেলেমেয়েরা প্রজননক্ষম হয়ে ওঠে?
ক. যৌবনে
খ. বিয়ের পর
গ. শৈশবে
● বয়ঃসন্ধিকালে
৫০. প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কখন থেকে ছেলেমেয়েদের এ সম্পর্কিত বিধিবিধান মেনে চলতে হয়?
ক. শৈশব
খ. জন্মের পর
● বয়ঃসন্ধিকাল
ঘ. যৌবনকাল
আরো দেখো: HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে আমরা তোমাদের জন্য গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ২য় পত্র ৮ম অধ্যায় mcq প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করেছি। তোমাদের পরীক্ষার যেমন হবে, এটি সেই আলোকেই তৈরি করা হয়েছে। উপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে মডেল টেস্টের উত্তর সংগ্রহ করে নাও।
ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post