জাগো তবে অরণ্য কন্যারা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : জাগো তবে অরণ্য কন্যারা কবিতাটি সুফিয়া কামালের “উদাত্ত পৃথিবী” কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। প্রকৃতির রুপ-সচেতন কবি চারপাশের অরণ্য-নিধন লক্ষ্য করে ব্যথিত। তাই মৌসুমি ফুলের গান আর তার কণ্ঠে জাগে না।
বরং চারপাশে সবুজ প্রকৃতির বিলীন হওয়া দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। কবি তাই অরণ্য-কন্যাদের জাগরণ প্রত্যাশা করেন। তিনি চান দিকে দিকে আবার সবুজ বৃক্ষের সমারোহের সৃষ্টি হোক; ফুলে ও ফসলে ভরে উঠুক পৃথিবী; মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা পাক বিপন্নতার হাত থেকে।
জাগো তবে অরণ্য কন্যারা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১. দোয়েল পাখি বাসা বেঁধেছে জবা গাছে। সোহেল তার নতুন ঘর তোলার জন্য আঙিনার অন্যান্য গাছের সাথে জবা গাছও কেটে ফেলে। দোয়েলের চোখে-মুখে বাসা হারানোর বেদনা। দোয়েল আর গান গায় না। ফুলের সাথে খেলা করে না। অন্যদিকে নিলয় তার বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগায়। গাছগুলোকে সে নিজের মতো ভালোবাসে। তার বাগান দেখে সকলের চোখ জুড়ায়। পাখিরা তার বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন ফলের গাছ থেকে খাদ্য জোগাড় করে, ফুলের সাথে খেলা করে, গান গায়। দিনের শেষে নিশ্চিন্ত মনে বাসায় ফিরে ঘুমায়। নিলয়কে দেখে অনেকেই গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়।
ক. গাছের নতুন পাতাকে কী বলে?
খ. ‘বৃক্ষের বক্ষের বহ্নিজ্বালা’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
গ. দোয়েলের অভিব্যক্তিতে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছেভ বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
২. সিডরের খবর শুনে তিয়ার ভীষণ মন খারাপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ ঘর-বাড়ি হারা, খাবার নেই। কী ভীষণ বিপন্ন মানুষ। অথচ এর জন্য মানুষই অনেকটা দায়ী। মানুষ গাছ কেটে বন উজাড় করছে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। এসব দেখে তিয়া অনুভব করে একটা কিছু করবে। সে তার বন্ধুদের নিয়ে বাড়ির খালি আঙিনায়, ছাদে গাছ লাগানোর জন্য মানুষকে সচেতন করে তোলে। তাছাড়া গাছ কেটে বন উজাড় করার বিরুদ্ধে সে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সে ভাবে এই সুন্দর বনই অনেক বেশি ক্ষতির হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছে। তিয়া স্বপ্ন দেখে ফুলে-ফলে ভরা সতেজ-সবুজ প্রকৃতির।
ক. কবি সুফিয়া কামাল এখন আর কীসের গান শুনতে পান না?
খ. ‘ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. তিয়ার মন খারাপের বিষয়টির সাথে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কোন দিকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘তিয়া যেন কবির সেই অরণ্য কন্যা’- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
৩. রাকা স্কুল থেকে ফিরে দেখে আসবাব বানানোর জন্য জামগাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। রাকা অভিমান করে বলল, জামগাছটায় সকালে দুটি সুন্দর হলদে পাখি এসে বসে, আমি নির্মল বাতাসে দোলনায় দোল খাই- সেটা তুমি কেটে ফেললে বাবা! রাকার অভিমান উপলব্ধি করে বাবা বাড়ির আঙিনায় বেশ ক’টি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ক. কবি সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
খ. মাটি অরণ্যের পানে চায় কেন?
গ. উদ্দীপকের রাকার মাঝে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কবির যে চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রাকার বাবার উপলব্ধি যেন কবি সুফিয়া কামালের উপলব্ধিকেই অনুসরণ- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৪. মৌরি একদিন বাবার কাছে বায়না ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যাবে। বাবা তাকে নিয়ে গেলে নানা জাতের ফুল-ফলের সমারোহ দেখে সে অভিভূত হয়। দীর্ঘদিন সে যেসব ফুল-ফলের নাম শুনেছে সেগুলো আজ নিজ চোখে দেখে খুবই আনন্দিত হয়। আর তখনি সে সিদ্ধান্ত নেয়- বাড়ির আঙিনায় ছোট একটি বাগান করবে এবং ফুলে-ফলে চারদিক শোভিত করে তুলবে।
ক. ‘ম্লান’ শব্দের অর্থ কী?
খ. কবি অরণ্য কন্যাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন কেন?
গ. মৌরির অভিব্যক্তিতে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে মৌরির সিদ্ধান্তের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। – বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
৬. গ্রামে একসময় বলা যায় কোনো গাছই ছিল না। সারাদিন কাজ শেষে ক্লান্ত গ্রামবাসী বিশ্রামের জন্য কোনো গাছের ছায়া পাচ্ছে না দেখে কিশোর আফাজ উদ্দিন রাস্তার ধারে, বাজারের আশপাশে, খোলামাঠসহ আরও অনেক জায়গায় গাছ লাগাতে শুরু করেছিলেন। কিশোর বয়সের সে কাজটি বৃদ্ধ আফাজ উদ্দিন আজও করে যাচ্ছেন। তার ফলে ‘বৃক্ষ গ্রাম’ নামে পরিচয় পেয়েছে আফাজ উদ্দিনের নাগরপুর।
ক. মাটি কীসের পানে চায়?
খ. মৌসুমি ফুলের গান কবির কণ্ঠে আর জাগে না কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত আফাজ উদ্দিনের গ্রামের প্রথম অবস্থা ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কোন দিক নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “আফাজ উদ্দিন যেন কবি সুফিয়া কামালের প্রত্যাশা পূরণে তৎপর।”Ñ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার আলোকে মন্তব্যটির বিশ্লেষণ কর।
৬. আলিফ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রতিদিন পাখির কলকাকলিতে তার ঘুম ভাঙে। আলিফের ভালো লাগে পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ। একটা কোম্পানি কারখানা গড়ে তোলার জন্য বড় বড় গাছ কাটতে শুরু করেছে, তা দেখে আলিফের মন খুবই বিষণ্ন হয়ে পড়ে। পাখিরা আর এখানে ডাকবে না। এভাবেই হয়তো পৃথিবীর এ সবুজ অরণ্য শেষ হয়ে যাবে।
ক. মর্মরে মর্মরে কী বেজে ওঠে?
খ. কবিকণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান জাগে না কেন?
গ. উদ্দীপকটির সাথে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ. “আলিফের বিষণœতার কারণ আর ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কবির বিষণ্নতা যেন একই সূত্রে গাঁথা।” – বিশ্লেষণ কর।
৭. বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। প্রাণী মাত্রই খাদ্যের মুখাপেক্ষী। মানুষের খাবারে বিভিন্নতা আছে। যেমন : মাছ, মাংস, শাকসবজি। এই তিন প্রকার খাদ্যের সঙ্গেই গাছের সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষভাবে এসব খাদ্য গাছের ওপর নির্ভরশীল, যাকে খাদ্যচক্র বলা হয়। গাছের সংখ্যা যত কমবে, খাদ্যের পরিমাণও তত কমবে। কিন্তু চাহিদা কমবে না বরং বাড়তে থাকবে। খাদ্য যত কমবে, পরিবেশের ভারসাম্য তত খারাপ হবে, যা বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। সুতরাং প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ও বিশ্বশান্তি রক্ষা করতে হলে পৃথিবীতে বৃক্ষের সংখ্যা আরও অনেক বাড়াতে হবে।
ক. ক্ষুধার্ত ভয়ার্ত দৃষ্টি কেমন?
খ. ‘ফুলের ফসল নেই’- চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছেÑ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার সমগ্রভাব প্রকাশ পায়নি” উক্তটির যথার্থতা বিচার কর।
৮ আহা! আজি এ বসন্তে
এত ফুল ফোটে
এত পাখি গায়
এত বাঁশি বাজে…
এ গান যখন লেখা হয়েছিল, তখন বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে গানের বেশ সংগতি ছিল। কিন্তু বর্তমান বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে এ গান বেমানান। বাংলার বুকে বসন্ত আসে ঠিকই, কিন্তু ফুলের মেলা বসে না, পাখির কলকাকলিতে প্রভাত মুখর হয় না। কারণ, বাংলার প্রকৃতিতে ভাটা এসেছে, সবুজের ভাটা। প্রতিনিয়ত বৃক্ষ নিধন এই ভাটার মূল কারণ। বৃক্ষহীনতায় শুধু ফুল আর পাখির সংখ্যা কমেনি। মানুষের আনন্দও কমেছে, কমেছে বসন্তের তাৎপর্য। বসন্তের আনন্দঘন বাসন্তী দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে হলে প্রচুর গাছ লাগানোর মাধ্যমে বাংলার প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দিতে হবে হারানো সবুজের প্রাচুর্য।
ক. মাটি কার পানে চায়?
খ. ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’Ñব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের গানের কলি দুটির সঙ্গে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. প্রমাণ কর যে, উদ্দীপক ও ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতা একই বিষয় নির্দেশ করে।
৯. ধুলো ঢাকা পথ, ধূসর আলোয় পাড়ি দিতে দিতে
আমার দৃষ্টি ধূসর হয়ে আসে
কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাগরে
আমার ফুসফুস এক টুকরো অক্সিজেন খোঁজে।
ইটভাটার কালো পৃথিবীতে
আমার দু’চোখ কুয়াশা চায়।
আমায় সবুজ পৃথিবী দাও
আমায় আরও অক্সিজেন দাও
আমায় একটু কুয়াশা দাও
না হয় তোমাদের ধূসর পৃথিবী
আমায় হারিয়ে ফেলবে।
ক. কার জন্য খাদ্য আনতে বলা হয়েছে?
খ. ‘জাগাও মুমূর্ষু ধরা-প্রাণ’- কথাটা বলা হয়েছে কেন।
গ. ‘আমায় সবুজ পৃথিবী দাও আমায় আরও অক্সিজেন দাও’- উদ্দীপকের এ চরণ দুটির সাথে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’- কবিতার সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রমাণ কর যে, উদ্দীপক ও ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতা একই যন্ত্রণার ফসল।
১০. গাছ যে মানুষকে শুধু অক্সিজেন দেয়, তা নয়। গাছের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী দৈনন্দিন। সবখানেই কাঠের ব্যবহার হয়। জ্বালানিতে কাঠ লাগে, ঘর সাজাতে কাঠ লাগে, আবার চিতাও কাঠের দ্বারাই সাজানো হয়। অর্থাৎ কাঠ ছাড়া পৃথিবীর মানুষের একদণ্ড চলে না। সুতরাং গাছ আমাদের কাটতেই হবে। এক্ষেত্রে আমরা কার্পণ্য করি না। অতি উৎসাহ নিয়ে গাছ কাটি। কিন্তু পৃথিবীর বুক যে খালি করি, তা পূরণে উৎসাহ পাই না। এই পৃৃথিবী বিশ্ববাসীর আবাসন। এই আবাসনের যত্ন আমাদেরকে নিতে হবে। একটা বৃক্ষনিধন করলে অন্তত তিনটা গাছ রোপণ করতে হবে, আমরা পৃথিবীর চাহিদা মেটালে পৃথিবীও আমাদের চাহিদা মেটাবে।
ক. আনন্দ কীসের জন্য প্রয়োজন?
খ. কবি কেন আত্মার জন্য আনন্দ আনতে বলেছেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার পরোক্ষ সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. দেখাও যে, উদ্দীপক ও ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতা একই সার্থকতা বহন করে।
গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সুফিয়া কামাল কোথায় জন্মগ্রহণ?
উত্তর : সুফিয়া কামাল বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কার কণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান জাগে না?
উত্তর : কবির কণ্ঠে মৌসুমি ফুলের গান জাগে না।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কবি চারদিকে কী শোনেন?
উত্তর : কবি চারদিকে হাহাকার শোনেন।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ ফুলের কী নেই?
উত্তর : ফুলের ফসল নেই।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সব মুখ কী?
উত্তর : সব মুখ ম্লান।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ কোথায় স্নেহ পল্লবের নিবিড় ছায়া ক্ষরিত হচ্ছে?
উত্তর : অরণ্যে স্নেহ পল্লবের নিবিড় ছায়া ক্ষরিত হচ্ছে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কবি কাদের জাগতে বলেছেন?
উত্তর : কবি অরণ্য কন্যাদের জাগতে বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ কবি কাদের মর্মরে মর্মরে বেজে জেগে উঠতে বলেছেন?
উত্তর : কবি অরণ্য কন্যাদের মর্মরে মর্মরে বেজে জেগে উঠতে বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ লেলিহান শিখা মেলে কাদের জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়েছে?
উত্তর : অরণ্য কন্যাদের লেলিহান শিখা মেলে জেগে ওঠার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মুমূর্ষু প্রাণ কীভাবে জাগাতে বলা হয়েছে?
উত্তর : কঙ্কণে ছন্দ তান তুলে মুমূর্ষু প্রাণ জাগাতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ ফুলের জন্য কী আনতে বলা হয়েছে?
উত্তর : ফুলের জন্য ফসল আনতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ কবি সুফিয়া কামাল কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ ‘সাঁঝের মায়া’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা।
উত্তর : ‘সাঁঝের মায়া’ কাব্যগ্রন্থটি কবি সুফিয়া কামালের লেখা।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতায় কবি কী লক্ষ করে ব্যথিত হয়েছেন?
উত্তর : ‘জাগো তবে অরণ্য কন্যারা’ কবিতার কবি নির্বিচারে অরণ্য নিধন লক্ষ্য করে ব্যথিত হয়েছেন।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ ‘ধরা-প্রাণ’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : ধরা-প্রাণ কথাটির অর্থ হলো পৃথিবীর জীবন।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ ক্ষরিছে শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ক্ষরিছে শব্দটির অর্থ হচ্ছে চুয়ে চুয়ে পড়ছে।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ কঙ্কণ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : কঙ্কণ শব্দের অর্থ হলো কাঁকন, নারীর হাতের অলঙ্কার বিশেষ।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় কারা ভীত?
উত্তর : বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় মানুষ ভীত।
গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ “মেলি লেলিহান শিখা তোমরা জাগিয়া ওঠো বলো!” – চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘মেলি লেলিহান শিখা তোমরা জাগিয়া ওঠো বলো!”-চরণটি দ্বারা কবি তরুকন্যাকে আহ্বান জানিয়েছেন আগুন রাঙা ফুল ফুটিয়ে আকাশে শাখা বিস্তার করতে। সুফিয়া কামাল তার কবিতায় বর্তমান সময়ে বৃক্ষনিধনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাই মৌসুমি ফুলের গান আর তার কণ্ঠে জাগে না। বরং চারপাশের সবুজ প্রকৃতির বিলীন হওয়া দেখে তার মন হাহাকার করে ওঠে। এ অবস্থা থেকে বৃক্ষকে কবি জেগে উঠতে বলেছেন। ফুলের সমারোহে আকাশ রঙিন করতে বলেছেন আলোচ্য চরণ দ্বারা এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কবি কঙ্কণে ছন্দ তুলে কী করতে বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কবি কঙ্কণে ছন্দ তুলে মরণাপন্ন পৃথিবীর জীবন জাগিয়ে তুলতে বলেছেন।
প্রকৃতিতে ফুল ও ফসলের সম্ভার কমে যাওয়ায় সবুজ-শ্যামল পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। কবি তাই তরুকন্যাকে আগুনের লেলিহান শিখার মতো জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। কঙ্কণে ছন্দ তুলে বিপন্নতার হাত থেকে প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ‘ছড়াও প্রভাত আলো তোমাদের মুঠি ভরে ভরে’- এ আহ্বানের মাধ্যমে কবি কোথায় আলো ছড়াতে বলেছেন?
উত্তর : বিনিদ্র চোখে যারা জেগে আছে, কবি তাদের জন্য আলো ছড়িয়ে দিতে বলেছেন।
কবি তরুকন্যাকে জেগে উঠতে বলেছেন, ফসল আনতে, ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য আনতে। নির্ঘুম চোখে যারা জেগে আছে কবি তাদের মধ্যে আলো ছড়িয়ে দিতে বলেছেন।
►► আরো দেখো: ৮ম শ্রেণি বাংলা সব গল্পের প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে জাগো তবে অরণ্য কন্যারা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post