জীবন ও বৃক্ষ গল্পের সৃজনশীল সাজেশন : মানুষ পৃথিবীতে আর দশটি প্রাণীর মতো নয়। তাকে বিকশিত জীবনে উত্তীর্ণ হতে হলে সমাজের অনেক রকম দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়। অনুকূল পরিবেশ ব্যতিরেকে মানুষ মানুষের মতো মার্জিত ও পরিশীলিত হয়ে উঠতে পারে না। মানুষকে বাইরে থেকে ও ভেতর থেকে মানুষ হওয়ার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা সমাজের বড় কাজ। তাহলে মানুষ সুন্দর সভ্য সহমর্মী সমাজের সদস্য হয়ে গড়ে উঠবে। এ কাজটি মানুষের জন্য করে দিতে সমাজ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
জীবন ও বৃক্ষ গল্পের সৃজনশীল সাজেশন
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
জামিল সাহেব সুন্দরবন ভালোবাসেন। আর জলিল সাহেব নদী ভালোবাসেন। এ নিয়ে দুই বন্ধুর প্রায়ই ঝগড়া হয়। বৃক্ষের অপরূপ সৌন্দর্য্যরে মধ্যে জামিল সাহেব হারিয়ে যান। আর জলিল সাহেব নদীর ঢেউ দেখে পাগল হয়ে যান। জলিল সাহেবের মতে, নদীর গতিতে জীবনের গতি।
ক. কীসের পানে তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ অন্তরের সৃষ্টিধর্ম উপলব্ধি করেছেন?
খ. তপোবন প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ কেন নদীর মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান?
গ. উদ্দীপকের জামিল সাহেব ও জলিল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্রভাবকে তুলে ধরেছে”-উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বৃক্ষের পানে তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ অন্তরের সৃষ্টিধর্ম উপলব্ধি করেছেন।
খ. নদীর গতিতে মনুষ্যত্ব দেখতে পান বলে নদীর মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান তপোবন প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ।
বৃক্ষের ফুল ফোটার চেয়ে নদীর গতির মধ্যেই মানুষের বেদনা উপলব্ধি সহজ বলে মনে করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি মনে করেন, ফুল ফোটা অনেক সহজ প্রক্রিয়া। কিন্তু নদীর গতি সহজ নয়- তাকে অনেক বাধা পেরিয়ে সমুদ্রে গিয়ে মিশতে হয়। নদীর গতিতে মনুষ্যত্বের দুঃখ স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে মনে করেছেন রবীন্দ্রনাথ।
গ. উদ্দীপকের জামিল সাহেব ও জলিল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের রবীন্দ্রনাথ ও মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টিভঙ্গি এক।
উদ্দীপকে জামিল সাহেব সুন্দরবন ভালোবাসেন। তিনি বৃক্ষপ্রেমিক। বৃক্ষের অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে তিনি জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। আর তার বন্ধু জলিল সাহেব ভালোবাসেন নদী। নদীর ঢেউ দেখলে তিনি পাগল হয়ে যান। নদীর ঢেউয়ের গতিতে তিনি জীবনের গতি খুঁজে পান।
‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধেও রবীন্দ্রনাথ নদীর গতির মধ্যে মনুষ্যত্বের সাদৃশ্য খুঁজে পান। তিনি মনে করেন, নদীর গতিকে অনেক কষ্ট করে, অনেক বাধা পেরিয়ে সাগরে গিয়ে মিশতে হয়। অন্যদিকে, মোতাহের হোসেন চৌধুরী বৃক্ষের মধ্যে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি করেন এবং জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। তিনি মনে করেন, নদী সাগরে পতিত হওয়ার দৃশ্য আমরা প্রত্যহ দেখতে পাই না, কিন্তু বৃক্ষের ফুল ফোটানো, ফল ধরা-সব আমরা প্রত্যহ দেখতে পাই। বৃক্ষের নীরব সাধনা আমরা আমাদের অনুভূতি দিয়ে বুঝতে পারি। প্রশ্নোক্ত উক্তিতে যে-কথা বলা হয়েছে তা সঠিক ও যথার্থ।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’প্রবন্ধের সমগ্রভাবকে তুলে ধরেছে।
উদ্দীপকে জামিল সাহেব ও জলিল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। দুই বন্ধু প্রায়ই ঝগড়া করেন। কারণ দুজনের পছন্দ ভিন্ন। একজন বৃক্ষকে পছন্দ করেন আর একজন নদীকে।
‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ও মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে আমরা জীবনের সার্থকতার চিত্র দেখতে পাই। রবীন্দ্রনাথ নদীকে মানুষ্যত্বের প্রতীক ও সার্থকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইলেও মোতাহের হোসেন চৌধুরী বৃক্ষকেই জীবনের সার্থকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বৃক্ষ আমাদের জীবনে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর শিক্ষা দেয়। নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সাধনার যে গান শোনায় তা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে আমাদের আত্মিক বিকাশ ঘটাই। শুধু দৈহিক বিকাশ নয়, আত্মিক বিকাশ ঘটিয়ে জীবনে সফল হওয়া যায়। আর সে শিক্ষা আমরা বৃক্ষ থেকেই লাভ করি।
বৃক্ষ আমাদেরকে জীবনের গূঢ় অর্থ সম্পর্কে সচেতন হতে সহায়তা করে। আমরা বৃক্ষের দিকে তাকিয়েই জীবন-সাধনার শিক্ষা লাভ করতে পারি। বৃক্ষের শান্তি ও সেবার বাণী থেকে আমরাও মানবকল্যাণের শিক্ষা পাই। আমরা আমাদের জীবনের প্রশান্তির ইঙ্গিত পাই। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে- কথাটি সঠিক।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
সিরাজের অল্প বয়সে মা মারা যায়। কেউ তাকে আদর-যত্ন করেনি। স্কুলেও তাকে কখনো পাঠায়নি। সে টোকাই ছেলেদের সাথে ঘুরে-ফিরে বড় হয়ে উঠেছে। সে টাকা পেলে বোমাবাজি, খুনখারাবি সবকিছুই করতে পারে। সে পেশিশক্তির পূজারি। সে ভালো মানুষের সংস্রববঞ্চিত, তার কাছে দয়া-মায়া মানসিক গুণাবলি অনর্থক বিষয়। প্রেম-সৌন্দর্য বঞ্চিত একটা দানব ছাড়া সে আর অন্য কিছু নয়।
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জন্ম কত সালে?
খ. মানুষের জন্য সমাজের কাজ কী? বুঝিয়ে বল।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের কোন অংশের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. ‘প্রেম-সৌন্দর্য বঞ্চিত মানুষ নিষ্ঠুর ও দানব প্রকৃতির হয়।’ মূল্যায়ন কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর জন্ম ১৯০৩ সালে।
খ. মানুষের জন্য সমাজের কাজ হলো টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বড় করে তোলা এবং বিকশিত জীবনের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা।
মানুষ পৃথিবীতে আর দশটি প্রাণীর মতো নয়। তাকে বিকশিত জীবনে উত্তীর্ণ হতে হলে সমাজের অনেক রকম দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হতে হয়। অনুকূল পরিবেশ ব্যতিরেকে মানুষ মানুষের মতো মার্জিত ও পরিশীলিত হয়ে উঠতে পারে না। মানুষকে বাইরে থেকে ও ভেতর থেকে মানুষ হওয়ার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা সমাজের বড় কাজ। তাহলে মানুষ সুন্দর সভ্য সহমর্মী সমাজের সদস্য হয়ে গড়ে উঠবে। এ কাজটি মানুষের জন্য করে দিতে সমাজ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের প্রেম-সৌন্দর্য বঞ্চিত মানুষের অমানবিক কদর্য চরিত্রের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
মানুষকে মানুষ হওয়ার জন্য সমাজে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। প্রেম-প্রীতি-স্নেহ-মমতা ইত্যাদি মানবিক গুণ মানুষ সুষ্ঠু- সুস্থ সামাজিক পরিবেশ থেকে লাভ করে। প্রেম-স্নেহবঞ্চিত মানবশিশুকে আকারে মানুষের মতো দেখালেও কখনো কখনো তার ভেতর অন্যরকম হিংস্র পশু জন্ম নেয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, শৈশবে মাতৃহারা, সমাজের আদর-স্নেহ-মমতাবঞ্চিত সিরাজ টাকার বিনিময়ে সব ধরনের অপকর্ম দ্বিধাহীনচিত্তে করে। সমাজ তার ওপর নজর দেয়নি। সমাজ তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করেনি। ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের প্রথমাংশে দেখা যায়, স্বপ্রাণ বুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার তথা সমাজ ভরে ওঠে। তারা সমাজকে এবং সমাজের মানুষকে পদে পদে বিঘ্ন সৃষ্টি করে পেছনে ঠেলে দেয়। তারা অন্যের জীবনের সার্থকতার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রেম ও সৌন্দর্যবঞ্চিত মানুষ নিষ্ঠুর ও বিকৃতবুদ্ধির হয়। তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। এ কথাই উদ্দীপকে একই সুরে ধ্বনিত হয়েছে।
ঘ. ‘প্রেম-সৌন্দর্যবঞ্চিত মানুষ নিষ্ঠুর ও দানব প্রকৃতির হয়য়’ উক্তিটি যথাযথ।
মানুষকে মানুষে পরিণত হতে হলে সমাজের ভালো মানুষ থেকে তার দেহ-মনে প্রেম ও সৌন্দর্যের স্পর্শ আরোপ করতে হয়। তা না হলে সমাজে আদরবঞ্চিত-অবহেলিত শিশুরা মানুষ নামের অমানুষরূপে বেড়ে ওঠে। উদ্দীপকেও ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে সে কথারই বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের সিরাজ প্রেম-সৌন্দর্য্যরে স্পর্শবঞ্চিত শিশু। জন্মের পর তার মা মারা যায়। সে সমাজের কাছে উপেক্ষার শিকার হয়। টোকাই শিশুদের সাথে বেড়ে ওঠে। কোনোরকম ভালো শিক্ষা সে জীবনে পায়নি। সে টাকার জন্য বোমাবাজি, খুন-খারাবি সবকিছুই দ্বিধাহীনভাবে করতে পারে। সে পেশিশক্তির পূজারি। তার কাছে দয়া-মায়া অনর্থক বিষয়। সে একটি মানবরূপী দানবে পরিণত হয়েছে। ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের প্রথম অংশ বৈশিষ্ট্যপূর্ণভাবে এই মানুষের অমানুষ হয়ে ওঠার দিকটি আলোকপাত করা হয়েছে।
‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের বর্ণনায় মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতার কথা যুক্তিনিষ্ঠ ভাষায় বলা হয়েছে। প্রেম-সৌন্দরে্যর স্পর্শবঞ্চিত মানুষরাই নিষ্ঠুর ও বিকৃতবুদ্ধির হয়ে থাকে। তারা দানবের মত আচরণ করে। উদ্দীপকেও এ কথা সাদৃশ্যপূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে, তবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। উদ্দীপকের সিরাজ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি তাই যথাযথ।
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মামুন পড়ার টেবিলের পাশের জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকায়। সে দেখতে পায় একটি ডালিম গাছ। তাতে লাল লাল ফুলের সমারোহ। এ গাছের চারাটি তিন বছর আগে বৃক্ষমেলা থেকে কিনে এনেছিল। মাত্র কয়েকটি বছরের মধ্যে গাছটি ফুল ফল দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল। মামুন ভাবে গাছটি মাটির রস টেনে, আর বাতাস থেকে শক্তি সংগ্রহ করে নিজেকে বড় করে তুলেছে। সে তো ফল উৎপাদন করে নিজে খাবে না। পাখি খাবে, মানুষে খাবে। গাছটির জন্ম তাহলে অপরের সেবায়, নিজের জন্য নয়। সে নিজের দিকে তাকায়, তার পড়ালেখাও তো নিজের জন্য নয়, অন্যের তথা মানবকল্যাণের জন্য। সে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে সাধক পুরুষদের, সৃজনশীল শিল্পীদের মানবকল্যাণের কথা ভাবে।
ক. আত্মাকে মধুর ও পুষ্ট করা হয় কার উপভোগের জন্য?
খ. রবীন্দ্রনাথের সাথে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দর্শনের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?
গ. উদ্দীপকের মামুনের সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির যে মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের মূল সুর অভিন্ন”মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
শিল্পী হাশেম খান শিল্পকলার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও বিশ্বের ভাষা সৃষ্টির মধ্যে ঐক্য খুঁজে ফিরেছেন। বিশ্বচরাচরের সবকিছুই এক সুতোয় বাঁধা, এক সুরে যেন কথা কয় নীরব ভাষায়। আর তা তিনি যেন শিল্পীর দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেয়েছেন। শিশুদের তিনি খুবই ভালোবাসতেন, সাহিত্য শিল্পকলার সাধনার মধ্যদিয়ে তিনি একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর মতে, মানুষকে উদার প্রেমিক, রুচিশীল মানুষ বানাতে শিল্পকলা চর্চার বিকল্প নেই।
ক. সাধনার ব্যাপারে প্রাপ্তি একটা কেমন জিনিস?
খ. বৃক্ষ যে কেবল বৃদ্ধির ইশারা, তা নয়-প্রশান্তিরও ইঙ্গিত। কেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’প্রবন্ধের সাথে কীভাবে বৈসাদৃশ্য?
ঘ. “রুচিশীল মানুষ সৃষ্টিতে শিল্পকলা চর্চার বিকল্প নেই।-মন্তব্যটি যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—৫: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
সমাজ মানুষের প্রধান আশ্রয়স্থল। এখানে সবার সাথে মিলেমিশে বাস করতে হয়। কিন্তু সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকে, যারা সবসময় ভালো কাজের সমালোচনা করে ব্যক্তির বিকাশকে স্তিমিত করে দেয়। ফলে এ সমস্ত ব্যক্তি সফলতার পথে প্রধান অন্তরায়। সৎ চিন্তা ও মহৎ গুণাবলির অভাবই তাদের মনকে সংকীর্ণ করে রেখেছে।
ক. স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে কী পরিপূর্ণ?
খ. স্বল্পপ্রাণ স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবের ধারক নয়।”-মন্তব্যটির সত্যাসত্য নিরূপণ কর।
আরও দেখো: ১০০% কমন বাংলা সৃজনশীল এবং MCQ প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সাজেশন হিসেবে জীবন ও বৃক্ষ গল্পের সৃজনশীল সাজেশন আলোচনা করা হয়েছে। এখানে পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে। আমি আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো প্রাকটিস করলে তোমরা পরীক্ষার জন্য শতভাগ কমন পেয়ে যাবে। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহের জন্য উপরে ‘ANSWER SHEET’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post