ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : প্রকৃতি ও পরিবেশের সম্পর্ক এবং পাহাড়ি ঝরনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিচয় তুলে ধরেছেন। কবি এই কবিতায় ঝর্ণার চঞ্চল গতিময়তা, চমৎকার ধ্বনি-মাধুর্য এবং নিথর পাথরের বুকে পদচিহ্ন রেখে যাওয়া মনোমুগ্ধকর ও মনোহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য অবলোকনে কবি মানসিক শান্তি ও কর্মস্পৃহাকে শাণিত করার প্রয়াস পেয়েছেন।
ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : অনিন্দ্য সুন্দর দেশ বাংলাদেশ । এদেশের কোথাও পাহাড়, কোথাও সমুদ্র আবার কোথাওবা বিভোল চিত্তে ছুটে চলা ঝরনা । বাংলার এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য শুভ্র এবং তার বন্ধুরা সেবার ছুটে গিয়েছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানে । সেখানে তারা দেখেছে পাহাড়ের গা বেয়ে ছিটকে পড়া চলমান ঝরনার জলধারা । ঝরনার অবিরাম জলধারা মানব হৃদয়ে এক অনির্বচনীয় আনন্দের সঞ্চার করে । পতিত এ জলরাশির ধ্বনিমাধুর্ধ ও বর্ণবৈভব এক কথায় অপূর্ব । শুভ্রর ভাবনায়, প্রকৃতির অমলিন সৌন্দর্যের আধার ঝরনা ।
ক. বাংলা সাহিত্যে “ছন্দের রাজা’ বলে কে পরিচিত?
খ. “শঙ্কা নাই, সমান যাই’ -বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ.উদ্দীপকের সঙ্গে “ঝর্ণার গান” কবিতার সাদৃশ্যগুলো তুলে ধরো ।
ঘ. “ঝর্ণার গান’ কবিতার মুলভাব প্রকাশ করায় উদ্দীপকের সাফল্য বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে পলাশ সাহেব গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্লিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্য-পিপাসু মানুষ মাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে । ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে আনন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখ্য। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি এ কাজে অগ্রসর হয়েছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ।
ক. ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে?
খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে “ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি “বর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে বিচিত্র উপাদানে সজ্জিত করেছেন। এর অন্যতম নিদর্শন হল ঝারনা। ঝরনা পুলকিত গতিময় ছন্দে পৃথিবীর বুকে পদচিহ্ন একে ছুটে চলে । তার চঞ্চল ও আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসে সাদা জলরাশি । পাহাড় থেকে পতিত এই জলরাশি পৃথিবীর বুকে এক মোহনীয় আবেশ সৃষ্টি করে। সত্যিই, পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর এক উপাদান ঝর্ণা।
ক. ‘তত্তবোধিনী” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কে?
খ. কেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে “ছন্দের রাজা’ বলা হয়?
গ. কোন দিক দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মিল রয়েছে? – আলোচনা করুন।
ঘ. “উদ্দীপকে “ঝর্ণার গান’ কবিতাটির একটি বিশেষ দিক প্রকাশিত হয়েছে, পুরো অংশের প্রতিফলন ঘটেনি।” – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ :
ঝর্ণা, ঝর্ণা, সুন্দরী ঝর্ণা
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন বর্ণা।
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে
তনু ভরি ‘যৌবন’ তাপসী অপর্ণা।
ক. বিজন দেশে কী নেই?
খ. ‘চকোর চায় চন্দ্রিমায়’-কথাটি বুঝিয়ে বল।
গ. উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার আলোকে ঝরনার সৌন্দর্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আফিফ-রুনা দম্পত্তির ঘর আলো করে ফুটফুটে রুমি এলো ঘরে ।দেখতে দেখতে বড় দুরন্ত আর চঞ্চল হয়ে উঠল মাত্র বছরখানেকের মধ্যেই ।যেখানে মা-বাবা পর্যন্ত রাশভারী দাদুর ঘরে যেতে ভয় পায় সেখানে রুমির যেন চিন্তার বালাই নেই ।সে তুলতুলে পায়ে,হরিণ শাবকের মত দাদুর ঘরে ঢুকে পড়ে । তারপরই শোনা যায় দাদুর হাক ডাক__ “এই আমার চশমাটা ভাঙ্গলে, এই আমার টুপিটা ফেলে দিল রে!ওরে,ও বৌমা,বলি তোমরা মেয়েকে সামলাও । আমার ঘরে যে একেবারে বর্গির হামলা শুরু হলো ।”
ক. বর্না কীসের গান গায়?
খ. শঙ্কা নাই,সমান যায়” চরণ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের রুমি চরিত্রের সাথে ‘ঝর্ণার গান” কবিতার সাদৃশ্য বর্ণনা কর ।
ঘ. উদ্দীপকের রুমি চরিত্রে “ঝর্ণার গান’ কবিতার প্রাণচাঞ্চল্য প্রকাশ পেলেও পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন” মূল্যায়ন কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : শুকুর মিয়া একজন কৃষক এবং এলাকায় লোককবি হিসেবে পরিচিত। তিনি কাজের অবসরে পুঁথি ও আঞ্চলিক গান রচনা করেন। সারাদিনের কাজ শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি বাড়ির আঙিনায়া বসে পুঁথি পাঠ করেন। তার এই আসরে অনেকের সমাগম ঘটে। কেবল দিতে তিনি নতনু নতুন গান ও পুঁথি লেখেন।
ক. ছন্দেও রাজা বলা হয় কাকে?
খ. ঝর্ণা কীভাবে ছুটে চলে বর্ণনা কর?
গ. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বেসাদৃশ্য কতটুকু? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মানুষকে আনন্দ দেওয়ার বেলায় নতুন সৃষ্টির ক্ষেত্রে উদ্দীপকের শুকুর মিয়া ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝরনা যেন একে অন্যের পরিপূরক।”- বক্তব্যের যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. ‘শঙ্কা নাই, সমান যাই’ – ঝর্ণা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর : পাহাড়ের বাধাকে উপেক্ষা করে ঝর্ণা আপন বেগে ছুটে চলে বলে ঝর্ণা আলোচ্য কথাটি বলেছে। শিথিল পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা আনন্দিত চিত্তে ছুটে যায়। পথে ঝুম পাহাড় ঝর্ণাকে ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়। কিন্তু ঝর্ণা তাতে ভীত না হয়ে একই গতিতে ছুটে চলে। পাহাড়ের শঙ্কাকে পরোয়া না করে ঝর্ণা নিজের চলমানতা বজায় রাখে-এই প্রসঙ্গটিই উঠে এসেছে আলোচ্য চরণে।
২. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’ – ঝর্ণা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর : সৌন্দর্যপিপাসুর সঙ্গ লাভ করার জন্য ঝর্ণার প্রত্যাশার কথা প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে। ঝর্ণার সৌন্দর্য তুলনারহিত। এর চলার পথটি যেমন আনন্দে ঘেরা তেমনি পথের চারপাশের সৌন্দর্যও অপূর্ব। তা দেখে সৌন্দর্যপিপাসুর মনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মুগ্ধ চোখে তারা চেয়ে থাকে ঝর্ণার দিকে। এমন বিহ্বল ও প্রশংসাসূচক দৃষ্টির প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে আলোচ্য চরণে।
৩. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার, আমরা ধাই তার আশেই।’ – কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : সৌন্দর্যপিপাসুদের সঙ্গ লাভের জন্য ঝর্ণার আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে আলোচ্য চরণে। ঝর্ণার চলা গতিময়, নির্ভয়। তার চলার পথে সে সৃষ্টি করে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। ঝর্ণার প্রত্যাশা, তার সৌন্দর্যে সকলে মুগ্ধ হবে। যারা তাকে দেখবে তাদের চোখে থাকবে মুগ্ধ দৃষ্টি। নিসর্গপ্রেমী সত্তার মনে ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টির জন্য ঝর্ণা বিরামহীন ছুটে চলে।
৪. ‘পাতকুয়ায় যাক না সেই’ – ঝর্ণা কেন এ কথা বলেছে?
উত্তর : বিশুদ্ধ জল পাওয়ার জন্য যারা আগ্রহী ঝর্ণা তাকে পাতকুয়ায় যেতে বলেছে। শুদ্ধতার চেয়ে ঝর্ণার বেশি মনোযোগ সৌন্দর্যের দিকে। কণ্ঠে যার তৃষ্ণা সে বিশুদ্ধ পানি চায়। ঝর্ণার সৌন্দর্যের তুলনায় সে ঝর্ণার পানির শুদ্ধতার প্রতি বেশি আগ্রহী। কিন্তু ঝর্ণা এ ধরনের মানসিকতার ব্যক্তিদের সঙ্গ লাভে উৎসাহী নয়। তাদেরকে সে পাতকুয়া থেকে জল সেঁচে তৃষ্ণা মেটাতে বলেছে।
৫. ‘দুল দোলাই মন ভোলাই।’ – চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : আলোচ্য চরণে ঝর্ণার চলায় ছন্দ ও সৌন্দর্য সৃষ্টির বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে। ঝর্ণার চলার পথটি পুলকিত গতিময়। স্তব্ধ পাথরের বুকে সে আনন্দের চিহ্ন রেখে ছুটে চলে। এই জলধারার যে সৌন্দর্য তা তুলনারহিত। পাথরের বুকে আঘাত হেনে ঝর্ণা ছন্দের দোলা ও মনোহর সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটায়। এই দৃশ্য সহজেই সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষের মনকে হরণ করে নেয়।
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সুভা
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ঝর্ণার গান
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বই পড়া
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : অভাগীর স্বর্গ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পয়লা বৈশাখ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : আমার পরিচয়
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পল্লিসাহিত্য
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : নিমগাছ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : মমতাদি
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : আম আঁটির ভেঁপু
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : প্রবাস বন্ধু
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বহিপীর
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : কাকতাডুয়া
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : একাত্তরের দিনগুলি
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : পল্লি জননী
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : জীবন সঙ্গীত
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : সেইদিন এই মাঠ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : কপোতাক্ষ নদ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বঙ্গবাণী
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : রানার
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : মানুষ
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : জুতা আবিষ্কার
►► সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
এসএসসি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে জয়েন করো HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post