ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৬ সেশন ৪ : বন্ধুরা, গত বছর আমরা বিদ্যালয় শিখন নেটওয়ার্ক বানিয়েছিলাম। এবার আমরা সেই বিদ্যালয় শিখন নেটওয়ার্ককে আরও নিরাপদ করব। ধরো তুমি তোমার বন্ধু রাহাতের জন্মদিনে তাকে অবাক করে দেওয়ার জন্য আরেক বন্ধু তারেকের সঙ্গে মিলে একটি উপহার বানাচ্ছ।
তুমি চাও পরিকল্পনাটি শুধু তোমার এবং তারেকের মধ্যেই থাকে । কোনোভাবেই যেন রাহাত বুঝতে না পারে। এখন তুমি কীভাবে তোমাদের এই বিষয়টি গোপন রাখবে এবং কাজটি করবে? নিশ্চয় কোনো গোপন সংকেতের মাধ্যমে। আমাদের বন্ধু নেটওয়ার্কের নিরাত্তার জন্য আমরা এমন একটি নিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করব।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৬ সেশন ৪
এবারে আমাদের বন্ধু নেটওয়ার্কের কাজ হবে আমাদের সকল প্রয়োজনীয় বাড়ির কাজ এবং অন্যান্য সকল জরুরি তথ্য নিজেদের মধ্যে গোপনীয়ভাবে পাঠানো । আচ্ছা, আমরা আগে জেনে নিই কীভাবে নেটওয়ার্কের মধ্যমে তথ্য নিরাপদ রেখে পাঠানো যায়। প্রত্যেক নেটওয়ার্কের রয়েছে কিছু গোপন সংকেত।
এই সংকেত যদি আরেকটি যন্ত্র না জানে, তাহলে সেই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে না। নির্দিষ্ট যন্ত্র যদি সেই গোপন সংকেতটি জানে, তাহলেই সেই নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে । তাই তথ্য গোপন করে পাঠানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত নেটওয়ার্কগুলো অনেক বেশি নিরাপত্তাযুক্ত করা হয, যেন অন্য কেউ গোপনীয় তথ্য পেয়ে না যায় এবং ক্ষতি না করতে পারে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিনা তারে গোপন তথ্য আদান প্রদান করা হতো। জার্মানি ও তাঁর বন্ধরাষ্ট্র এবং মিত্রশক্তির মধ্যে জয়পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল এরকম গোপন বার্তার অর্থ উদ্ধারের মাধ্যমে । বড় ক্লাসে উঠলে তোমরা আরও ভালোভাবে জানবে।
আমরা গত বছর নেটওয়ার্কের বিভিন্ন অংশ যেমন প্রেরক, প্রাপক, সার্ভার, রাউটার ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছিলাম, এবার আমাদের তৈরি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সেই অংশগুলোর তুলনা করব। কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমরা যেন নেটওয়ার্কের গোপনীয়তা ঠিক রাখতে পারি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৬ সেশন ৪
এটি অনেকটা ফুলটোক্কা খেলার মতো, যেখানে আমরা আমাদের বন্ধদের কোনো একটি গোপন নাম দিয়ে ডাকি এবং তারপর চোখ বন্ধ করে রাখা আরেকটি বন্ধুর কপালে টোকা দিতে বলি, তারপর চোখ বাঁধা বন্ধুটির কাজ হয় সেই ছদ্ম নামে ডাকা বন্ধুকে খুঁজে বের করা।
প্রথমে আমরা ছয়টি দলে বিভক্ত হই। আমরা চারটি দল দুটি করে গোপন তথ্য পাঠাব আরেক দলের কাছে। আর বাকি দুটি দল হবে হ্যাকার । ওই দুই দল তথ্য চুরি করে জানতে চাইবে। কীভাবে গোপনীয় বার্তা পাঠাতে হয়, তার জন্য দরকার আমাদের এনকোড অর্থাৎ তথ্যকে গোপন করা ও ডিকোড অর্থাৎ গোপন তথ্যকে উদ্ধার করা । সেটি আমরা করব বিভিন্ন বর্ণকৈ একটির জায়গায় আরেকটি প্রতিস্থাপন করে। এখন পরের পাতার ছকটি ভালো করে দেখো।
এরপ প্রতিস্থাপন করে তোমরা কোড করলে। এখন “কাকা” শব্দটি হয়ে যাবে টাটা” যা অন্য দলের জন্য বোঝা অনেক কঠিন হবে। এভাবেই মূলত বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সাহায্যে তথ্য গোপন করে পাঠানো হয়। তোমাদের কাজ হবে এমন করে বার্তা লিখবে যেটি অন্য দল বুঝতে না পারে। প্রতিটি দলের বার্তা হ্যাকার দলের কাছে তিন মিনিট করে থাকবে৷
এর মধ্যে যদি তারা অর্থ উদ্ধার করতে না পারে, তাহলে যেই দলটি বার্তা লিখছিল তারা জিতবে। বন্ধুরা, এখন আমরা বুঝতে পারলাম নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা কীভাবে দেওয়া হয়। আমরা এবার নিজেরা বের করব কীভাবে নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখে।
নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা
নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আমরা তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিরাপদ রাখতে হলে সেই নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখতে হবে, যেন খারাপ মানুষের হাতে সেই তথ্য চলে না যায়। হ্যাকাররা অনেক সময় তথ্য নিয়ে অনেক ক্ষতি করতে পারে। যেমন ধর কোনো ব্যাংক এর নেটওয়ার্কের তথ্য নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করল। শুনে ফেলল এবং সেটি দিয়ে ক্ষতি করল। এরকম আরও নানা কারণে আমাদের নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখতে হয়।
আগামী সেশনের প্রস্তুতি
আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে যেভাবে বিদ্যালয় শিখন নেটওয়ার্ক ও অভিভাবক নেটওয়ার্ক বানিয়েছি সেভাবে একটি নেটওয়ার্ক বানাব (প্রয়োজনে ষষ্ঠ শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ছয় নম্বর অভিজ্ঞতা দেখে নিতে পারো) ।
আরো দেখো: ডিজিটাল প্রযুক্তি সবগুলো অধ্যায়ের উত্তর
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমার ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৬ সেশন ৪ উত্তর সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post