ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৯ সেশন ১ : বৈচিত্র্য বলতে আমি বুঝি বিভিন্নতা। ষষ্ঠ শ্রেণিতে আমরা বাংলাদেশের আটটি বিভাগ সম্পর্কে জেনে একটি স্থানীয় বৈচিত্র্যপত্র অর্জন করেছিলাম। এবার আমরা একটি আঞ্চলিক বৈচিত্র্যপত্র অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করব। অঞ্চল বলতে আমরা বুঝি একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা কোনো স্থানের নির্দিষ্ট পরিধি এটি অনেক ছোট হতে পারে আবার অনেক বড়ও হতে পারে।
যেমন, একটি গ্রামের যেমন নির্দিষ্ট অঞ্চল হয়, তেমনি বিশ্বেরও নির্দিষ্ট অঞ্চল হতে পারে। আমরা এবার বিশ্বের একটি অঞ্চল- দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং সফলভাবে জানতে পারলে আমরা একটি আঞ্চলিক বৈচিত্র্যপত্র অর্জন করতে পারব। এ ছাড়াও বৈচিত্র্যপত্র অনুমোদন দেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষক এই বইয়ের শুরু থেকে আমরা যে যে প্রকল্প করেছি, সবগুলোর মূল্যায়নে গুরুত্ব দেবেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৯ সেশন ১
নিচে দক্ষিণ এশিয়ার একটি মানচিত্র দেওয়া হলো। মানচিত্রটি দেখে কি আমরা বলতে পারি কোনোটি কোনো দেশ?
দেশগুলো হচ্ছে-
- বাংলাদেশ
- ভারত
- পাকিস্তান
- শ্রীলঙ্কা
- নেপাল
- ভূটান
- আফগানিস্তান
- মায়ানমার
মানুষের মধ্যে যেমন মিল রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু অমিল ৷ জন্মগতভাবে মানুষ কিছু মৌলিক ভিন্নতা নিয়ে জন্মায়, যেমন গায়ের রং, দেহের আকৃতি, চেহারার ভিন্নতা। আমারা একসঙ্গে বা আলাদা ভাবে বড় হওয়ার কারণে মানুষের আচার-আচরণে কিছু মিল ও অমিল তৈরি হয়।
যেমন আমাদের দেশের মধ্যেই এক এক জেলার মানুষ ভিন্ন ভিন্নভাবে বাংলায় কথা বলে, আবার বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ভিন্ন ভাষায় কথা বলে; কিন্তু যখন আমরা দেশকে নিয়ে কিছু চিন্তা করি, তখন আবার সবাই প্রায় একই রকম করে দেশকে ভালোবেসে চিন্তা করি।
আমি দশ বছর পর বাংলাদেশের যে পরিবর্তন দেখতে চাই, তা এক বাক্যে লিখি: (মূল বইয়ের ১৪১ নম্বর পৃষ্ঠা)
আগামী দশ বছর পরে আমি বাংলাদেশকে এমন একটি পরিবর্তিত অবস্থায় দেখতে চাই, যেখানে তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা থাকবে এবং ছোট-বড়, ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনকে সহজতর করতে পারবে।
উপরের লাইনে আমার এবং আমার বন্ধুর বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা মিলিয়ে দেখলে দেখব আমরা অনেকে একই রকম ভাবনা লিখেছি, আবার অনেকে ভিন্ন কিছু লিখেছে। বিভিন্ন কারণে আমাদের আচরণ ও চিন্তাভাবনার মধ্যে ভিন্নতা তৈরি হতে পারে। মনে করি, ১০০ বছর আগের একজন মানুষ যে বাংলাদেশের যে অঞ্চলে আমি এখন বসবাস করছি, সে অঞ্চলে ১০০ বছর আগে বসবাস করতেন। আমি এবং সে ১০০ বছর আগের একজন মানুষ, আমরা দুজন একই জায়গায় বসবাস করেও আমাদের আচরণ ও চিন্তাভাবনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যগুলো কী হতে পারে বলতে পারো?
১০০ বছর আগের একজন মানুষ এবং আমার মধ্যে আচরণ ও চিন্তাভাবনার পার্থক্যগুলো লিখো: (মূল বইয়ের ১৪২ নম্বর পৃষ্ঠা)
আমার আচরণ ও চিন্তাভাবনা:
১. আমি বিদ্যুতের আলো ব্যবহার করে রাতে পড়তে বসি।
২. আমি মোটরচালিত গাড়িতে চড়ি।
৩. আমি মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করি।
৪. আমি টেলিভিশনে সংবাদ দেখি।
৫. আমি বৈদ্যুতিক ফ্যান বা এসির বাতাসে শরীর শীতল করি।
৬. আমি বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না করি।
৭. আমি বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে পড়া শিখি।
৮. আমি সুউচ্চ ভবনে বসবাস করি।
৯. আমি মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলি।
১০. আমি বাসায় বসে ভিডিও কলে বন্ধুদের সাথে কথা বলি।
১০০ বছর পূর্বের মানুষটির আচরণ ও চিন্তাভাবনা:
১. তার সময়ে বিদ্যুৎ ছিল না।
২. তিনি হয়তো গরুর গাড়িতে চড়তেন।
৩. তার সময়ে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চিঠি ব্যবহার করা হত।
৪. তার সময়ে টেলিভিশন ছিল না। ফলে মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে যেত।
৫. তার সময়ের মানুষেরা হাতপাখার বাতাস উপভোগ করত।
৬. তার সময়ের মানুষেরা মাটির চুলায় রান্না করত।
৭. তার সময়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা ছিল না। শিক্ষার্থীরা পাঠশালায় যেত।
৮. তার সময়ের মানুষ সুউচ্চ ভবনে বাস করত না, গ্রামের কুড়ে ঘরে বাস করত।
৯. শিশু-কিশোররা মাঠে খেলাধুলা করত।
১০. তার সময়ে ভিডিও কলের ব্যবস্থা ছিল না।
আগামী সেশনের প্রস্তুতি
উপরের খালি জায়গায় আমার আর ১০০ বছর আগের মানুষের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে বলে মনে হয় তা লিখব। পার্থক্যগুলো লেখার সময় লক্ষ্য রাখব সেগুলো যেন আচরণ ও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে পার্থক্য হয়। তার এবং আমার বাহ্যিক রুপ (দেখতে কেমন ) নিয়ে পার্থক্য লিখতে হবেনা ।
আরো দেখো: ডিজিটাল প্রযুক্তি সবগুলো অধ্যায়ের উত্তর
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে তোমার ডিজিটাল প্রযুক্তি ৭ম শ্রেণি শিখন অভিজ্ঞতা ৯ সেশন ১ উত্তর সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post