তৈলচিত্রের ভূত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : ‘তৈলচিত্রের ভূত’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি কিশোর-উপযোগী ছোটগল্প। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘মৌচাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এ গল্পটি।
ভূতে বিশ্বাস নিয়ে মানুষের মধ্যে বিরাজমান কুসংস্কার যে ভিত্তিহীন, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এ গল্পে তা তুলে ধরেছেন। এ গল্পে তিনি দেখিয়েছেন বিজ্ঞানবুদ্ধির জয়। কুসংস্কারাচ্ছন্নতার কারণে মানুষ নানা অশরীরী শক্তির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
কিন্তু মানুষকে যদি বিজ্ঞানচেতনা দিয়ে ঘটনা-বিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করা যায় তাহলে ঐসব বিশ্বাসের অন্তঃসারশূন্যতা ধরা পড়ে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এ গল্পে নগেন চরিত্রের মধ্যে ভূত-বিশ্বাসের স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন । অন্যদিকে পরাশর ডাক্তার বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে স্পষ্ট করে তুলেছেন নগেনের বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ভিত্তিহীনতাকে।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল—১: রফিক সাহেব শীতের ছুটিতে ভাগ্নি সাহানাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে যান। রাতের আকাশ দেখার জন্য তারা খোলা মাঠে যান। অদূরেই দেখতে পান মাঠের মধ্যে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে উঠে তা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
ওটা কিসের আলো তা জানতে চাইলে সাহানার মামা বলেন, ভূতের! সাহানা ভয় পেয়ে তার মামাকে জড়িয়ে ধরে। মামা তখন তাকে বুঝিয়ে বলেন যে, খোলা মাঠের মাটিতে এক প্রকার গ্যাস থাকে, যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে। সাহানা বিষয়টা বুঝতে পেরে স্বাভাবিক হয়।
ক. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ কোন জাতীয় রচনা?
খ. পরাশর ডাক্তার নগেনকে ভর্ৎসনা করলেন কেন?
গ. উদ্দীপকের সাহানা আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের বিশেষ মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “রফিক সাহেব আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের পরাশর ডাক্তার উভয়কে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়”—উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ রচনাটি কিশোর উপযোগী ছোটগল্প।
খ. মামাকে সারাজীবন মিথ্যে ভক্তি ও ভালোবাসার ভান করে ঠকানোর জন্য নগেনের মনে দারুণ লজ্জা আর অনুতাপ জেগেছিল।
মামার বাড়িতে থেকে নগেন পড়ালেখা করত। মামা নগেনকে খুব বেশি আদর করতেন না। তবে মৃত্যুর পূর্বে নিজের ছেলেদের সমান সম্পত্তি নগেনকেও দিয়ে যায় তার মামা। নগেন মামার এ উদারতা কখনো কল্পনা করতে পারেনি। এ কারণে মামার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধায় তার মন ভরে ওঠে। নিজের আচরণের কথা ভেবে নগেন অনুতপ্ত হয়।
খ. পরাশর ডাক্তার নগেনকে ভর্ৎসনা করলেন কারণ নগেন অযথা আতঙ্কিত হয়ে
অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে ঘটনাটিকে প্রেতাত্মার উপস্থিতি বলে ধরে নিয়েছিল। নগেন তার মামার তৈলচিত্রে বিদ্যুতায়িত রুপার ফ্রেম ও ইলেকট্রিক সংযোগের বিষয়টি জানত না এবং নিজের কল্পনার ওপর ভিত্তি করে ভূতের ধারণা করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
পরাশর ডাক্তার এই বিষয়টি বুঝতে পেরেই তাকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি নগেনকে বোঝান যে সামান্য বৈদ্যুতিক শক থেকে এমন একটি অতিপ্রাকৃত কাহিনি বানানো বোকামি এবং বাস্তবিক কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা না করাটাই তার ভুল। এর মাধ্যমে পরাশর ডাক্তার নগেনের যুক্তিহীন চিন্তা ও অযথা ভয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গ. ভূত-বিশ্বাসের দিক দিয়ে উদ্দীপকের সাহানা আর ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের বিশেষ মিল রয়েছে।
‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পে পরলোকগত মামার প্রতি অনুশোচনা থেকে জেগে ওঠা শ্রদ্ধা ভক্তি প্রদর্শন করার জন্য মামার তৈলচিত্রের ফ্রেমে হাত রেখে প্রচ- ঝাড়া খেয়ে নগেন ভয় পায়। তার কাছে মনে হয় তার মামার আত্মা তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে নগেন বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টিকে ভূত মনে করেছিল।
উদ্দীপকে শীতের ছুটিতে মামা তার ভাগ্নি সাহানাকে গ্রামে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রাতের আকাশ দেখতে খোলা মাঠে যায়। তখন তারা মাঠে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে। কীসের আলো? সাহানার এমন প্রশ্নের উত্তরে মামা তাকে ভয় দেখানোর জন্য বললেন, এটা ভূতের আলো। এতে সাহানা প্রচ- ভয় পায়। তাই বলা যায়, অযথা ভূতের ভয়ে ভীত হওয়ার দিক দিয়ে সাহানা ও নগেনের মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধি দিয়ে কুসংস্কারকে জয় করার মানসিকতার দিক থেকে রফিক সাহেব এবং ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের পরাশর ডাক্তারকে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়।
‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পে লেখক পরাশর ডাক্তারের বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধির মাধ্যমে স্পষ্ট করে তুলেছেন নগেনের ভূতে বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ভিত্তিহীনতাকে। মৃত ব্যক্তির আত্মা ভূতে পরিণত হয়- এরূপ বিশ্বাস সমাজে প্রচলিত থাকায় নগেন বৈদ্যুতিক শককে ভূতের কাজ বলে সহজে বিশ্বাস করেছে। অন্যদিকে, পরাশর ডাক্তার সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করে বলে তার কাছে বৈদ্যুতিক শকের বিষয়টি সহজেই ধরা পড়েছে।
উদ্দীপকে রফিক সাহেব তার ভাগ্নি সাহানাকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে যান। খোলা মাঠে হঠাৎ এক প্রকার আলো জ্বলে উঠতে দেখে কৌতূহলবশত সাহানা জানতে চায় ওটি কীসের আলো। তার মামা ভূতের আলো বলে মজা করলে সাহানা ভয় পায়। পরে মামা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দেখিয়ে বলেন, মিথেন নামক এক প্রকার গ্যাসের সঙ্গে বাতাসের সংস্পর্শে এরকম আলো জ্বলে বলে তার মামা সাহানাকে জানায়। এতে সাহানা স্বাভাবিক হয়।
উদ্দীপকে রফিক সাহেবের মাঝে বিজ্ঞানসম্মত বিচারবুদ্ধি আছে বলেই খোলা মাঠের আলো জ্বলার কারণ তিনি জানতে পেরেছেন। আর গল্পে পরাশর ডাক্তার ছবির ফ্রেমে শক খাওয়ার কারণ নগেনকে বোঝাতে পেরেছেন। তাই তাদেরকে আধুনিক মানসিকতার অধিকারী বলা যায়।
সৃজনশীল—২: রিমন গোরস্তানের ধারে সবুজ ঘাসে গরুটিকে বেঁধে আসে। সে বিকালে গরুটি আনতে যেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসে না। সন্ধ্যায় গোরস্তানের পাশে তার মৃতদেহটি পাওয়া যায়। গ্রামের সবাই বলল ভূতে রিমনকে মেরেছে। তারা রিমনের মৃতদেহটি ধরতেও ভয় পেল। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর উপযোগী গল্পের সংখ্যা কত?
খ. নগেন অনুতপ্ত হয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের গ্রামবাসীর মধ্যে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেন চরিত্রের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের কুসংস্কার এবং ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের মৃত্যু যেন একই সূত্রে গাঁথা।”—উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
সৃজনশীল—৩: বৈশাখ মাসের খাঁ খাঁ দুপুরে গ্রামের বড় তেঁতুল গাছের নিচে পাতা কুড়াতে যায় আসমানি। প্রচ- রোদের তাপে হঠাৎ সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ঐ পথে বাড়ি ফেরা হাটুরে আমজাদ মিয়ার মাধ্যমে পুরো গ্রামে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীর সাথে সাথে আসমানির বাবাও ভাবে তেঁতুল গাছের নিচে যাওয়ায় ভূতে আসমানির এই অবস্থা করেছে। তাই মেয়ের সুস্থতার জন্য কবিরাজ ডেকে আনেন আসমানীর বাবা।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কত সালে?
খ. মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করার কথা নগেনের মনে হলো কেন?
গ. উদ্দীপকের আসমানি ও ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের মূল বিষয় উপস্থাপনে উদ্দীপকটি সহায়ক হয়েছে কী? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও।
সৃজনশীল—৪: পিয়ারী কিছুতেই শ্রীকান্তকে শ্মশানে যেতে দেবে না। তার দৃঢ়বিশ্বাস, শ্মশানে ভূত-প্রেতের বাস। শনিবারের অমাবস্যায় শ্মশানে গেলে প্রাণ নিয়ে আর ফিরে আসা যাবে না। কিন্তু শ্রীকান্তের ভীষণ জেদ। পিয়ারীর শত অনুনয় উপেক্ষা করে বন্দুক হাতে সে ভূতের সন্ধানে শ্মশানের দিকে রওনা হয়।
ক. ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
খ. নগেন তার মামার প্রতি মিথ্যে ভক্তি দেখাত কেন?
গ. উদ্দীপকের পিয়ারী চরিত্রটি কোন দিক থেকে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকের শ্রীকান্ত এবং পঠিত গল্পের পরাশর ডাক্তার একই চেতনার মানুষ’—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৫: সৃজনের মা মারা যাওয়ার পর থেকে সৃজন তার মামাবাড়ি থাকে। তার মামা অনেক বড়লোক অথচ কৃপণ। সৃজনকে আদর যতœ করলেও টাকা পয়সা দিত না। সৃজন তার মামাকে মনে মনে গালি দিলেও উপরে উপরে শ্রদ্ধা দেখাত। মামা যেন তার কাছে যমের মতো। কিন্তু সেই মামাই মৃত্যুর সময় সৃজনের নামে এক বিঘা সম্পত্তি উইল করে রেখে যান।
ক. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাঝির ছেলে’ কী ধরনের রচনা?
খ. নগেন তার মামাকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধাভক্তি করেনি কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের কোন ঘটনার সাদৃশ্য আছে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের শিক্ষণীয় দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে”—বিশ্লেষণ কর।
পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত প্রশ্নব্যাংক
সৃজনশীল—৬: কৃষক গনি মিয়ার বড় ছেলে ফটিক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে কবিরাজের কাছ থেকে পানি পড়া এনে খাওয়ায় এবং তাবিজ দরজায় ঝুলিয়ে রাখে। বাড়ির সবাইকে সাবধান করে বলে খোঁড়া কোনো প্রাণী দেখলে যেন তাড়িয়ে দেয়। তার ধারণা ডেঙ্গুজ্বর খোঁড়া প্রাণীর রূপ ধরে বাড়িতে আসে। কিন্তু গনি মিয়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়া ছোট ছেলে রবিন বাবার ধারণা ভুল প্রমাণ করতে তার বিজ্ঞান বইয়ের ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উদাহরণ দেয়।
ক. নগেনের মামার গায়ে কীসের পাঞ্জাবি ছিল?
খ. নগেন মামার তৈলচিত্রে প্রণাম করতে গেল কেন?
গ. উদ্দীপকের গনি মিয়ার ধারণাটি ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের যে দিকটি ফুটিয়ে তুলেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর রবিন পরাশর ডাক্তারের যথার্থ প্রতিনিধি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল—৭: আলিফের বাবা মারা যাওয়ার পর তার এক মামা ও এক চাচা তার দেখাশোনার দায়িত্ব নেন। আলিফের মামা আব্দুল আউয়াল স্বল্পশিক্ষিত ও পীরভক্ত মানুষ। অপরপক্ষে, তার চাচা আব্দুল মান্নান আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন শিক্ষক।
একদিন আলিফ ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায় এবং সন্ধ্যায় জ্বর নিয়ে বিছানায় পড়ে। আলিফের মামা চায় পীরের পানিপড়া খাওয়াতে এবং চাচা চায় ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়াতে। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার নির্দেশিত ওষুধের পাশাপাশি পীরের পানি পড়াও আলিফ খায়। এক সপ্তাহ পর আলিফ সুস্থ হয়। আব্দুল আউয়ালের বিশ্বাস, পীরের পানিপড়া খেয়েই আলিফ সেরে উঠেছে।
ক. পরাশর ডাক্তার প্রকা- লাইব্রেরিতে বসে কী করছিলেন?
খ. মামার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তিতে নগেনের মন ভরে উঠল কেন?
গ. আব্দুল আউয়ালের সাথে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আব্দুল মান্নানকে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের পরাশর ডাক্তারের প্রতিরূপ বলা যায় কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—৮: দীর্ঘদিন যাবৎ মিতুলদের বাড়ির পাশে একঘর হিন্দু পরিবারের বসতি ছিল। গত চৈত্র মাসে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে সবাই পরপারে চলে গেলে বাড়িটিতে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। এলাকার যে কেউ রাতের বেলা এ বাড়িটির পাশ দিয়ে গেলে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। সবার ধারণা মৃতদের আত্মা ভূত হয়ে কাঁদে- এ নিয়ে এলাকার সবার মধ্যে একটি অস্থির ও অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ক. নগেনের মামা কত বছর লাইব্রেরির পেছনে একটি পয়সাও খরচ করেনি?
খ. সমস্ত সকালটা নগেন মড়ার মতো পড়ে রইল কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের বৈসাদৃশ্যগত দিকটি চিিহ্নত কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের সমগ্র বিষয়ের প্রতিফলন ঘটেছে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—৯: সমুদ্রসৈকতে সৌন্দর্যতৃষ্ণা মেটানোর পর সজিব ও পিয়াস যখন হোটেলে নিজেদের রুমে প্রবেশ করল তখন দুজনই ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় চিৎকার করে রুমের বাইরে এলো। কারণ তারা রুমে একজন মানুষের ছায়ার মতো কিছু একটা দেখল।
সজিব এই ছায়াকে অলৌকিক কিছু একটা মনে করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু পিয়াস দমে যাওয়ার পাত্র নয় সে বিভিন্নভাবে চিন্তাভাবনা ও ঐ রাতে হোটেলে অবস্থানরত মানুষের কাছে খোঁজ নিয়ে প্রমাণ করল ছায়াটি অলৌকিক কিছু নয়। হোটেলের দারোয়ান রুমের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তার ছায়াটিই সজিবদের রুমে পড়েছিল।
ক. নগেনের মামার ছবি কীসের ফ্রেম দিয়ে বাঁধানো হয়েছিল?
খ. নগেন পরাশর ডাক্তারের সাথে দেখা করেছিল কেন?
গ. পিয়াসের সাথে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেনের বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. বিজ্ঞানবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে সজিবের মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব কিনা—‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের আলোকে এ ব্যাপারে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
সৃজনশীল—১০: নাতাশা মায়ের মৃত্যুর পর সৎ মায়ের সংসারে বড় হয়। সৎ মায়ের সঙ্গে নাতাশার সম্পর্ক ছিল খুব দূরের। আপন মায়ের স্থানে সে সৎ মাকে বসাতে পারেনি। তাদের মধ্যে কথাবার্তাও খুব কম হতো। নাতাশাকে মা কোনো টাকা পয়সা দিত না। সৎ মায়ের মনে কোথায় যেন একটি স্নেহধারা তার জন্য ছিল, যা নাতাশা অনুভব করতে পারেনি। একদিন নাতাশার প্রচ- জ্বর হলে ওই সৎমা নাতাশার পাশে সারারাত জেগে থেকে তার সেবাশুশ্রƒষা করে। নাতাশা তখন মায়ের প্রতি অশ্রদ্ধার জন্য অনুতপ্ত হয়।
ক. কে সমস্ত সকালটা মড়ার মতো বিছানায় পড়ে রইল?
খ. নগেন কেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে?
গ. উদ্দীপকের নাতাশা চরিত্রটির সাথে ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গল্পের নগেন চরিত্রের কী সাদৃশ্য রয়েছে? নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকে নগেন চরিত্রের সবটুকু প্রকাশিত হয়েছে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে তৈলচিত্রের ভূত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post