দশম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে এবং সমষ্টিগতভাবে বেঁচে থাকার বিজ্ঞানসম্মত উপায়সমূহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা, বিশ্লেষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে সাধারণভাবে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বলা হয়। আর স্বাস্থ্য বলতে আমরা শারীরিক সুস্থতা অর্থাৎ শরীরের সুস্থ অবস্থাকে বুঝি।
কিন্তু ব্যাপক অর্থে, কেবলমাত্র শারীরিক সুস্থতাই স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়, শরীরের সাথে মনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন। স্বাস্থ্যের ন্যায় মূল্যবান সম্পদ লাভ করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান আমাদের সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে যেমন ধারণা দেয় তেমনি রোগগ্রস্ত হলে তা থেকে পরিত্রাণ লাভের পন্থাও জানিয়ে দেয়।
তাই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সচেতন হওয়া, বিদ্যালয় ও গৃহে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলা, পুষ্টির অভাব পূরণে স্কুলে টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা, স্কুলে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবামূলক কর্মসূচি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিপূরক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দশম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ক ॥ স্বাস্থ্যনীতি কাকে বলে?
উত্তর : স্বাস্থ্যবিষয়ক যেসব নীতি মেনে চললে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা যায় তাকে স্বাস্থ্যনীতি বলে। যেমন- সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
প্রশ্ন ॥ খ ॥ স্বাস্থ্যরক্ষা কী?
উত্তর : শরীরের গঠন ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা এবং নীরোগ থাকাই হচ্ছে স্বাস্থ্যরক্ষা। স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টি দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থের সাথে সম্পৃক্ত।
প্রশ্ন ॥ গ ॥ সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো কী?
উত্তর : সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা বলতে শরীর রোগাক্রান্ত হওয়াকে বোঝায়। পুষ্টিহীনতা, বিশুদ্ধ পানির অভাব, স্বাস্থ্য সমস্যা ও বাসগৃহ না থাকা, যোগ্য চিকিৎসক ও ওষুধপত্রের অভাব, মা ও শিশুর উচ্চ মৃত্যুহার, অসচেতনতা প্রভৃতি আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সমস্যাকে জটিল করে তুলেছে।
রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ক ॥ মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রামের উপকারিতা বর্ণনা কর।
উত্তর : একজন শিক্ষার্থী দিনে ৭-৮ ঘণ্টা স্কুলে অবস্থান করে। এত দীর্ঘসময় ধরে স্কুলে থাকার প্রাক্কালেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্ষুধার্ত থাকে। ফলে পড়ালেখায় তারা মনোযোগী হতে পারে না। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রয়োজন মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রাম।
মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রামের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। মধ্যাহ্নকালীন টিফিন পেলে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারে। মধ্যাহ্নকালীন টিফিন পাওয়াতে শিক্ষার্থীদের মনের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়ে যায় বিধায় সহজেই তারা পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে পারে। এতে তাদের পড়ালেখার মানও উন্নত হয়।
স্কুলে এ প্রোগ্রাম চালু করলে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তান স্কুলে পাঠাতে উৎসাহী হবেন এবং এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তির পর ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন দুপুরে স্কুলে পুষ্টিকর টিফিন পেলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে উন্নতি করবে। পরিশেষে বলা যায়, প্রতিটি স্কুলেই মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা উচিত।
প্রশ্ন ॥ গ ॥ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়গুলো বর্ণনা কর।
উত্তর : শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। কারণ শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন সুস্থ থাকলে পড়ালেখা এবং অন্যান্য বিষয়ে সহজেই মনোযোগী হতে পারবে। তাই যথাসম্ভব বিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো :
১. বিদ্যালয় গৃহ : শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের ওপর বিদ্যালয় গৃহের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। বিদ্যালয় গৃহের অবস্থান হবে উঁচু স্থানে খোলামেলা জায়গায় যেখানে চারদিক থেকে অবাধে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে এবং সহজে যাতায়াত করা যায়।
২. খেলার মাঠ : উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য খেলার মাঠ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার্থীদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত খেলাধুলা করা আবশ্যক। তাই বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠ থাকতে হবে।
৩. স্যানিটারি পায়খানা ও প্রস্রাবখানা : উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিদ্যালয়ের পাশেই স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি পায়খানা ও প্রস্রাবখানার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. বিশুদ্ধ পানি : শিক্ষার্থীদের দেহ সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। পানি ফুটিয়ে অথবা নলকূপের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
৫. শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবপত্র : শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবপত্র। লক্ষ রাখতে হবে শ্রেণিকক্ষ এবং বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র যেন অস্বাস্থ্যকর না হয়। পরিশেষে বলা যায়, উপরিউক্ত বিষয়সমূহ নিশ্চিত করতে পারলেই শিক্ষার্থীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে।
অতিরিক্ত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান কী সম্পর্কে আলোচনা করে?
উত্তর : স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ব্যক্তিগতভাবে এবং সমষ্টিগতভাবে বেঁচে থাকার বিজ্ঞানসম্মত উপায়সমূহ সম্পর্কে আলোচনা কর।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ শিক্ষার্থীর পুষ্টির অভাব পূরণে স্কুলে কোন প্রোগ্রাম চালু করা দরকার ?
উত্তর : শিক্ষার্থীর পুষ্টির অভাব পূরণে স্কুলে টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা দরকার।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কোন অবস্থার প্রভাব রয়েছে?
উত্তর : আমাদের স্বাস্থ্যের উপর পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থার প্রভাব রয়েছে।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ কিসের মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনা যায়?
উত্তর : উন্নত ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমিয়ে আনা যায়।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সুস্বাস্থ্য গঠনের প্রধান অন্তরায় কোনটি?
উত্তর : সুস্বাস্থ্য গঠনের প্রধান অন্তরায় হলো স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও উদাসীনতা।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ শারীরিক সুস্থতা কিসের পূর্বশর্ত?
উত্তর : শারীরিক সুস্থতা আনন্দময় জীবনের পূর্বশর্ত।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর : সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের জন্য নিজেকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ স্বাস্থ্যহীন দেহকে কী করে তোলা কঠিন?
উত্তর : স্বাস্থ্যহীন দেহকে সুস্থ ও সবল করে তোলা কঠিন।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা কী?
উত্তর : নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা, স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ এবং এ বিষয়ের সকল নিয়মকানুন মেনে চলাকেই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা বলে।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ কোন সময় পর্যন্ত মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে?
উত্তর : শিশুকাল থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত একজন মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ স্বাস্থ্যবিধি কী?
উত্তর : স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তোলার ভিত্তি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়মকানুন, যা স্বাস্থ্যবিধি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার মৌলিক বিষয় কোনটি?
উত্তর : মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার একটি মৌলিক বিষয় হলো হাসি-খুশি ও প্রফুল্ল থাকা।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি?
উত্তর : সময়ানুবর্তিতা স্বাস্থ্যরক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ সর্বজনীন সাক্ষরতা অর্জনের সভা কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর : সর্বজনীন সাক্ষরতা অর্জনের জন্য থাইল্যান্ডের জমতিয়েন নামক বিশ্ব সম্প্রদায়ের এক আন্তর্জাতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনটি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে?
উত্তর : রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে আত্মসচেতনতা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে।
অতিরিক্ত অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ দূষিত পানি কীভাবে রোগ বিস্তারে সহায়তা করে?
উত্তর : গৃহস্থালির আবর্জনা, রোগীর মলমূত্র, কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করে। দূষিত পানি নানা রকম পানিবাহিত রোগ যেমন : ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস ইত্যাদি রোগে বিস্তার ঘটায়। দূষিত পানিতে গোসল করলে নানা রকম চর্ম রোগ সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ স্বাস্থ্যরক্ষা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : শরীরের গঠন ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা এবং নীরোগ থাকাই হচ্ছে স্বাস্থ্যরক্ষা। নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা, স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও এ বিষয়ে সকল নিয়মকানুন মেনে চলাকেই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষা বলে। স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টি দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। শিশুকাল থেকে যৌবনকাল পর্যন্ত একজন মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক উন্নতি ঘটে। তাই এ সময় সবাইকে বয়স উপযোগী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কীভাবে দেহ ও মনকে সুস্থ রাখা যায়?
উত্তর : সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস গড়ে তোলার ভিত্তি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিষয়ক নিয়মকানুন, যা স্বাস্থ্যবিধি নামে পরিচিত। স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা যেমন : বাড়ি, বিদ্যালয়, আশপাশের রাস্তাঘাট প্রভৃতির পরিচ্ছন্নতা, প্রয়োজনীয় ও পরিমিত ব্যায়াম, বিশ্রাম ও ঘুম, প্রয়োজনীয় পরিমাণে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত খেলাধুলা করা ইত্যাদি। এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দেহ ও মনকে সুস্থ ও সবল রাখা যায়।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ সুস্বাস্থ্য গঠনের অন্তরায়সমূহ লেখ।
উত্তর : স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তবে চাইলেই যে কেউ সুস্বাস্থ্য গঠন করে সুখী ও আনন্দময় জীবনযাপন করতে পারে না। কারণ সুস্বাস্থ্য গঠনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অন্তরায় রয়েছে। নিচে সেসব অন্তরায় উল্লেখ করা হলো :
১. দূষিত বায়ু ও পানি।
২. পচা, বাসি ও খোলা খাবার।
৩. গৃহবর্জ্য ও মলমূত্র নিষ্কাশন অব্যবস্থা।
৪. অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
৫. স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও উদাসীনতা।
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রান্তীয় জনগোষ্ঠী দরিদ্র বিধায় তারা তাদের সন্তানদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না। স্কুল পড়–য়া এসব শিক্ষার্থীর অনেকেই আধপেটা অথবা অভুক্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসে। তারা অপুষ্টিতে ভোগে, পড়াশোনায় মন বসে না এবং অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। এসব অসুবিধা দূর করার জন্য বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্নকালীন টিফিন প্রোগ্রাম চালু করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ শিক্ষার্থীদের জন্য কেন পুষ্টিকর টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে?
উত্তর : বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষাথীকে ৭-৮ ঘণ্টা অবস্থান করতে হয়। এই দীর্ঘ সময়ে তারা স্বাভাবিকভাবে ক্ষুধার্ত থাকে। তাই এই সময় তাদেরকে যদি টিফিন সরবরাহ করা হয় তাহলে তা খেয়ে তাদের ক্ষুধা নিবৃত্ত হবে, অবসাদ ও ক্লান্তি দূর হবে। ফলে বিদ্যালয়ের পরবর্তী পাঠসমূহে তারা মনোনিবেশ করতে পারবে। তাদের লেখাপড়ার মান উন্নত হবে। দুপুরের এই খাবারের মান যত ভালো হবে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে তত ভালো বোধ করবে। তাই তাদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে কেন?
উত্তর : আমাদের চারপাশে নানা রকম জীবাণু প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই রোগজীবাণু নানা উপায়ে আমাদের দেহে প্রবেশ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে রোগজীবাণু দ্বারা শরীর আক্রান্ত হয় এবং শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ আমাদের দেশের সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সমস্যা বহুমুখী। দেশে বসন্ত, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমলেও কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়সহ নানাবিধ পেটের পীড়ার বিস্তার অনেক বেশি। পুষ্টিহীনতা, বিশুদ্ধ পানির অভাব, স্বাস্থ্য সমস্যা ও বাসগৃহ না থাকা, যোগ্য চিকিৎসকের ও ওষুধপত্রের অভাব, মা ও শিশু মৃত্যুর উচ্চহার, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যনীতি সম্পর্কে অসচেতনতা প্রভৃতি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাকে জটিল করে তুলেছে।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ কেন প্রয়োজন?
উত্তর : বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থাকলে শিক্ষার্থীরা সারাবছর সেখানে পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে খেলাধুলাও করতে পারে। এতে তাদের শরীর ও মন ভালো থাকে। ফলে তারা পড়ালেখায় মনোযোগী হয়। এজন্য বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকা প্রয়োজন।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কার্যক্রম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত ঋতুতে নানাবিধ পীড়ায় আক্রান্ত হয়। পূর্ব থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এসব পীড়া থেকে সহজেই আরোগ্য লাভ করা যায়। বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কার্যক্রম থাকলে শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রমের আওতায় সাধারণ পীড়া থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা (সবগুলো অধ্যায়)
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে দশম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর PDF ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post