দুই বিঘা জমি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : দুই বিঘা জমি একটি কাহিনী-কবিতা। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “কথা ও কাহিনী” কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। দরিদ্র কৃষক উপেন অভাব-অনটনে বন্ধক দিয়ে তার প্রায় সব জমি হারিয়েছে। বাকি ছিল মাত্র দুই বিঘা জমি। কিন্তু জমিদার তার বাগান বাড়ানোর জন্য সে জমির দখল নিতে চায়।
কিন্তু সাত পুরুষের স্মৃতি বিজড়িত সে জমি উপেন দিতে না চাইলে জমিদারের ক্রোধের শিকার হয় সে । মিথ্যে মামলা দিয়ে জমিদার সে জমি দখল করে নেয়। ভিটেছাড়া হয়ে উপেন বাধ্য হয় পথে বেরুতে। সাধু হয়ে সে গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘোরে । কিন্তু পৈতৃক ভিটের স্মৃতি সে ভুলতে পারে না।
এই কবিতার মাধ্যমে কবি দেখাতে চেয়েছেন, সমাজে এক শ্রেণির লুটেরা বিত্তবান প্রবল প্রতাপ নিয়ে বাস করে। তারা সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে সম্পদশালী হয়। তারা অর্থ, শক্তি ও দাপটের জোরে অন্যায়কে ন্যায়, ন্যায়কে অন্যায় বলে প্রতিষ্ঠা করে। দুই বিঘা জমি কবিতাটিতে কবি এদের স্বরুপ তুলে ধরেছেন।
দুই বিঘা জমি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গাজীপুর চৌরাস্তার কাছে মতিন মিয়ার ছোট্ট এক চায়ের দোকান। আর দোকানের পাশেই ‘ক’ হাউজিং সোসাইটির বিশালাকার অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে উঠেছে। একদিন সকালে মতিন দেখে, তার দোকান অ্যাপার্টমেন্টের সীমানা প্রাচীরের মধ্যে আটকে গেছে। সে বুঝে গেল আর কিছুই করার নেই। উপায়ান্তর না দেখে সে রাস্তায় রাস্তায় ফ্লাক্সে করে চা বিক্রি করে সংসার চালায় আর উদাস দৃষ্টিতে গগনচুম্বি অট্টালিকাগুলোর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার পান?
খ. ‘রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. ‘ক’ হাউজিং সোসাইটির কার্যক্রমে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার বাবু সাহেব চরিত্রের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের মতিন ‘দুই বিঘা জমি’র শোষিত উপেনের সার্থক প্রতিনিধি কি না, সে বিষয়ে তোমার মতামত যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩০খ্রিষ্টাব্দে (সাহিত্যে) নোবেল পুরস্কার পান?
খ. ‘রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি’ চরণটি সমাজের ক্ষমতাশালী ও ধনী শ্রেণির দ্বারা দরিদ্রদের শোষণের প্রতিচিত্র তুলে ধরে। কবিতায় দেখা যায়, ঋণের দায়ে দরিদ্র উপেনের দুই বিঘা জমি অন্যায়ভাবে দখল করা হয়, যা ক্ষমতাশালীদের শোষণের প্রতীক। এখানে ‘রাজা’ বলতে শুধু শাসক নয়, বরং সমাজের ধনী ও প্রভাবশালী শ্রেণিকে বোঝানো হয়েছে, যারা দরিদ্রদের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেয়।
এটি বাস্তব জীবনের সেই নির্মম সত্যকে তুলে ধরে যেখানে ধনীরা বিভিন্ন উপায়ে গরিবদের সম্পদ আত্মসাৎ করে, আর দুর্বলরা অসহায় হয়ে পড়ে। কবির এই চরণ শুধু তাঁর ব্যক্তিগত দুঃখ নয়, বরং চিরকালীন সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।
গ. ‘ক’ হাউজিং সোসাইটির কার্যক্রমে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার বাবু সাহেব চরিত্রের যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা হলো ক্ষমতার দাপট, শোষণ ও দরিদ্রদের প্রতি নিষ্ঠুর অবহেলা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতায় বাবু সাহেব একজন ধনী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, যিনি দরিদ্র কৃষক উপেনের মাত্র দুই বিঘা জমি নিজের বিলাসিতার জন্য দখল করে নিতে চান। উপেন যতই অনুনয়-বিনয় করুক, বাবু সাহেব তাতে কর্ণপাত করেন না; বরং প্রভাব খাটিয়ে জমিটি কেড়ে নেন এবং উপেনকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেন। এখানে অর্থ ও ক্ষমতার অন্যায়ের জয় এবং দরিদ্রের অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে ওঠে।
একইভাবে, উদ্দীপকের ‘ক’ হাউজিং সোসাইটি বিশালাকার অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে তোলার সময় মতিন মিয়ার ছোট্ট চায়ের দোকানটিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে এবং সেটিকে তাদের সীমানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। ফলে মতিন মিয়া তার চায়ের দোকান হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে চা বিক্রি করতে বাধ্য হয়। তার উদাস দৃষ্টি আর দীর্ঘশ্বাস প্রকাশ করে তার অসহায়ত্ব, যেমনটি উপেন অনুভব করেছিল তার জন্মভিটা হারিয়ে।
এই দুই ঘটনার মধ্যে স্পষ্ট মিল রয়েছে—একদিকে ধনী ও ক্ষমতাশালীরা নিজেদের স্বার্থে গরিবের সম্পদ কেড়ে নিচ্ছে, অন্যদিকে গরিবরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এতে সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বাস্তবতা প্রকাশ পায়। কবিতার বাবু সাহেব এবং উদ্দীপকের হাউজিং সোসাইটির চরিত্র একই মানসিকতা বহন করে—তারা গরিবদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তাদের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেয়।
ঘ. উদ্দীপকের মতিন ‘দুই বিঘা জমি’র শোষিত উপেনের সার্থক প্রতিনিধি—এই বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ একমত। উভয়ের জীবনেই শোষণ, অন্যায় ও ক্ষমতাবানদের অবিচার প্রকাশ পেয়েছে, যা সমাজের ধনী-গরিব বৈষম্যের প্রকট চিত্র তুলে ধরে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতায় উপেন একজন দরিদ্র কৃষক, যার পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি বাবু সাহেব অন্যায়ভাবে কেড়ে নেন। ঋণের দায়ে সে জমি হারিয়ে পথে বসে এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। বহুদিন পর সে যখন নিজের গ্রামে ফিরে আসে, তখন দেখে তার চিরচেনা ভিটে পরিণত হয়েছে বিত্তশালীদের সম্পত্তিতে। তার অধিকারহীনতা, নিঃস্বতা ও বঞ্চনার বেদনা পুরো কবিতায় ফুটে উঠেছে।
একইভাবে, উদ্দীপকের মতিন মিয়া গাজীপুর চৌরাস্তার কাছে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালাত, যা তার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন ছিল। কিন্তু ‘ক’ হাউজিং সোসাইটি বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের সময় তার দোকানটি নিজেদের সীমানার মধ্যে নিয়ে নেয়, ফলে মতিন তার ব্যবসা হারায় এবং বাধ্য হয়ে রাস্তায় চা বিক্রি করে। সে দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে গগনচুম্বী অট্টালিকার দিকে, যার নির্মাণ তাকে নিঃস্ব করেছে।
উপেনের মতোই মতিনও ক্ষমতাশালীদের শোষণের শিকার। তারা দু’জনেই সর্বস্বান্ত হয়েছে, দু’জনেই নিজের পরিচিত জায়গা হারিয়ে নতুন পরিবেশে জীবনযুদ্ধ চালাতে বাধ্য হয়েছে। তাদের দুঃখ, বঞ্চনা ও সমাজের বৈষম্যপূর্ণ বাস্তবতা একই রকম। তবে একমাত্র পার্থক্য হলো—উপেন দেশত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়, আর মতিন পেটের দায়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় চা বিক্রি করে।
তাই বলা যায়, মতিন ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার উপেনের সার্থক প্রতিনিধি, কারণ সে একই ধরনের শোষণ, নিঃস্বতা ও ক্ষমতাশালীদের অত্যাচারের শিকার হয়েছে, যা দরিদ্রদের প্রতি ধনী শ্রেণির অবিচারের বাস্তব প্রতিফলন।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
i. বহুদিন পরে মনে পড়ে আজি পল্লি মায়ের কোল
ঝাউশাখে সেতা বনলতা বাঁধি হরষে খেয়েছি দোল।
ii. পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা আমার এ দেশ ভাইরে
ধানের মাঠে ঢেউ খেলানো মেন কোথাও নাইরে।
ক. উপেন কত বছর পরে দেশে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করে?
খ. ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।’ উপেনের একথা বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? বুঝিয়ে লেখ।
ঘ. উদ্দীপকের অংশ দুটি কি ‘দুই বিঘা জমি’—কবিতার সমগ্রতাকে ধারণ করে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. উপেন পনের-ষোলো বছর পরে দেশে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করে।
খ. নিজ ভিটেতে ফিরে এসে কুড়িয়ে নেওয়া আমের কারণে চোর হিসেবে চিহ্নিত হলে উপেন উদ্ধৃত উক্তিটি করে।
বাগান বাড়ানোর জন্য জমিদার মিথ্যা ঋণের দায়ে উপেনের কাছ থেকে জোর করে তার শেষ সম্বল দুই বিঘা জমি কেড়ে নেয়। দীর্ঘ দিন সন্ন্যাসী জীবন কাটানোর পর দেশে ফিরে সে শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত আমগাছের তলায় এসে আম পায়। কিন্তু সে কুড়িয়ে পাওয়া আমের ওপরও তার আর কোনো অধিকার নেই। তাই সে আজ জমিদারের চোখে চোর বলে বিবেচিত। উক্তিটিতে উপেনের মনে সে ক্ষোভই প্রকাশ পেয়েছে।
গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার সাত পুরুষের স্মৃতিবিজড়িত পৈতৃক ভিটের কথা মনে পড়ার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
জন্মভূমির সাথে থাকে নাড়ির বন্ধন। এ বন্ধন মায়ার বন্ধন। কোনোমতেই এ বন্ধন ছিন্ন হয় না। দূরে গেলে বরং সে মায়া আরও বেড়ে যায়। প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদে সে মায়ার টান বুকের মধ্যে গুমরে কাঁদে।
উদ্দীপকের ১ম অংশে পল্লি মায়ের কথা মনে পড়ার উল্লেখ রয়েছে। এ পল্লি মায়া মমতায় ঘেরা। আপনজনদের স্নেহ-ছায়ায় উচ্ছল। প্রিয় সাথিদের সাথে হেসেখেলে বেড়ানোর।
কতোশতো স্মৃতিঘেরা প্রিয় পল্লি। ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতায় অনুরূপ দিকের হাজারো স্মৃতির উল্লেখ রয়েছে। জমিদারের রোষানলে পড়ে ভিটেছাড়া উপেন পথে পথে ঘোরে। কিন্তু পৈতৃক ভিটের স্মৃতি সে ভুলতে পারে না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ১ম অংশে কবিতার এ দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। যা উদ্দীপক ও কবিতায় অভিন্ন।
ঘ. উদ্দীপকের অংশ দুটি ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার সমগ্রতাকে ধারণ করে না।
‘দুই বিঘা জমি’ কবিতায় একটি পুরো কাহিনীর রয়েছে। কাহিনীতে রয়েছে মাত্র দুবিঘা জমির মালিক উপেন। সে শোষকশ্রেণির নিষ্ঠুর শোষকের শিকায়। পরধনলোভী জমিদারের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ঐ দুইবিঘা জমির ওপর। সাত পুরুষের স্মৃতিবিজড়িত এ ভিটেমাটি উপেন দিতে না চাইলে সে জমিদারের ক্রোধের অনলে নিঃস্ব হয়ে যায়। সর্বস্বান্ত হয়ে উপেন পথে পথে ঘুরতে থাকে। কিন্তু পৈতৃক ভিটের কথা সে ভুলতে পারে না। একদিন চির-পরিচিত গ্রামে ফিরে এলেও চোর অপবাদ পায়।
উদ্দীপকের অংশ দুটিতে গ্রাম ও দেশের অপরূপ বর্ণনা রয়েছে। রয়েছে অনেক স্মৃতির রোমন্থন। স্মৃতির সে গ্রাম হাতছানি দিয়ে ডাকে। মন ছুটে যেতে চায় অবারিত সে মাঠ-প্রান্তরে, ঢেউ খেলানো ধানের খেতে। এ বর্ণনা ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার আংশিক মাত্র। কোনোভাবেই সমগ্রতায় ধারেকাছে নয়।
উদ্দীপক ও কবিতার বিশ্লেষণে বলা যায়, কবিতায় একটি জীবনের পুরো কাহিনী বিমূর্ত হয়ে উঠেছে। উদ্দীপকে কেবল কিশোর বযস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিষয়টি উঠে এসেছে যা কোনোমতেই কবিতার সমগ্রতাকে ধারণ করে না। অতএব প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
দুই বিঘা জমি কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ছোটবেলার গল্প করতে গিয়ে দাদু বললেন, গ্রামের পাঠশালায় আমরা দলবেঁধে যেতাম। হৈ হৈ রৈ রৈ করে দলবেঁধে ফিরে আসতাম। মাথায় তখন দুরন্তপনার ষোলোকলাই পূর্ণ ছিল। কখনো নদীতে সাঁতার কাটতাম। কখনো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে আমলকী কুড়াতে যেতাম। ভাদ্রে তাল কুড়াতে বেশ ভালো লাগত। আর জ্যৈষ্ঠ মাসে রাতে ঘুম হতো না। পাকা আমের স্বাদ জিভে লেগেই থাকত। আর ‘কালবৈশাখী আসত’ আশীর্বাদ নিয়ে। তখন অন্ধের মতো ছুটতাম আমতলায়। এখন অনেক বড় হয়ে গেছি। বয়সের সাক্ষ্য দিচ্ছে পাকা চুল। একান্তে শুধু মনে বাজে শৈশব স্মৃতি। এখনো শুনতে পাই; সেই দুরন্ত পদধ্বনি।
ক. কে উপেনকে সপ্তম সুরে গালি দিতে লাগল?
খ. রাজার কথা শুনে উপেনের চোখে জল আসে কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার একটি দিক প্রস্ফুটিত করলেও উভয়ের মধ্যে ভাবগত ভিন্নতা রয়েছে”—মন্তব্যটি বিচার কর।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিয়ত মানসধামে একরূপ ভাব
জগতের সুখ-দুখে সুখ দুখ লাভ ॥
পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ
সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের কোষ ॥
নাহি চায় আপনার পরিবার সুখ
রাজ্যের কুশল কার্যে সদা হাস্যমুখ ॥
কেবল পরের হিতে প্রেম লাভ যার
মানুষ তারেই বলি মানুষ কে আর?
ক. ‘দুই বিঘা জমি’ কী ধরনের কবিতা?
খ. ‘স্নেহের সে দানে বহু সম্মানে বারেক ঠেকানু মাথা’।—ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের মানুষের গুণাবলির সাথে ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার মহারাজের চরিত্রের বৈসাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. ‘দুই বিঘা জমি’র মহারাজ উদ্দীপকের গুণে গুণান্বিত হলে উপেনের এই পরিণতি হতো না।—উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে দুই বিঘা জমি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post