দৈত্য ও জেলে গল্পের প্রশ্ন উত্তর : কল্পকাহিনি ‘আলিফ লায়লা’ আরবীয় গল্প হলেও কাহিনিগুলোর আবেদন সর্বজনীন। ১০০১টি কাহিনিভিত্তিক আরব্যরজনীর গল্প লোকের মুখে মুখে ফিরত। এগুলোর অধিকাংশই সংগৃহীত হয়েছে বাগদাদের খলিফা হারুন অর রশীদের আমলে। এই লোককথাগুলো এক হাতে, একসময়ে, এমনকি এক দেশে লেখা হয়নি। প্রাচীন পারসিক ভাষায় হাজার আফসানা বা হাজার গল্প নামে এই গল্পগুলো প্রথম লিখিত রূপ পেয়েছিল। মোঘল আমলে এ কাহিনিগুলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে এ দেশে এসেছে। গল্পগুলো এখন বিশ্বসাহিত্য জগতের সম্পদ।
দৈত্য ও জেলে গল্পের প্রশ্ন উত্তর
৩. শূন্যস্থান পূরণ করি।
ক. সে প্রতিদিন নদীতে পাঁচ বার করে জাল ফেলত।
খ. বলতে বলতে জেলে শেষ বারের মতো জালটা পানিতে ছুঁড়ে মারল।
গ. তোমার জন্য জব্বর একটা খবর নিয়ে এসেছি।
ঘ. কেন তুমি আমাকে মারতে চাইছ?
ঙ. দৈত্য এবার বলল, তোমার গোস্তাকি কী শুনবে?
৪. ডান দিক থেকে শব্দ বেছে নিয়ে বাম দিকের শব্দের সঙ্গে মেলাই।
বাম ডান
গরিব—জেলে
মাটির—দাঁত
কাচের—খবর
কুণ্ডলি—লোকজন
জব্বর—বিগড়ে
বাদশাহর—জালা
কড়মড়—পাকিয়ে
মেজাজ—টুকরো
৬. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলি ও লিখি।
ক. জেলের সংসার কীভাবে চলত?
উত্তর: জেলের সংসার কষ্টকর ছিল। সে প্রতিদিন নদীতে পাঁচ বার জাল ফেলত এবং যে মাছ পেত তা বেচে সংসারের খরচ চালাত। এতে তার দিন কেটেই যেত, তবে সংসারে সচ্ছলতা ছিল না, কেবল কষ্টের মধ্যেই দিন গুজরান হতো।
খ. জালা দেখে জেলে কী ভাবল?
উত্তর: জালা দেখে জেলে প্রথমে কিছুটা আশাবাদী হয়। সে ভাবল, হয়তো এতে কিছু মূল্যবান ধনরতœ থাকবে, কারণ এতে বাদশাহ সুলেমানের নাম খোদাই করা ছিল। জেলে আশা করছিল যে তার দুর্ভাগ্য হয়তো এবার দূর হবে এবং সে কিছু মণিরতœ পাবে।
গ. জালা থেকে কী বের হয়ে আসল?
উত্তর: জালা থেকে এক অতিকায় দৈত্য বের হয়ে আসে। ধোঁয়ার কু-লি থেকে সেই দৈত্য তৈরি হয় এবং তার চেহারা খুবই ভয়ংকর ছিল।
ঘ. দৈত্যটি দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর: দৈত্যটির মাথা বিশাল ঝুড়ির মতো ছিল এবং তার মাথায় একটিও চুল ছিল না। তার চোখ দুটি আগুনের গোলার মতো ভয়ঙ্কর এবং মুখে শ্বেত পাথরের দাঁত ছিল। দৈত্যের দৈত্যাকার শরীর এবং গম্ভীর গলা তাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছিল।
ঙ. বাদশাহ কেন দৈত্যকে বন্দি করেছিলেন?
উত্তর: বাদশাহ সুলেমান দৈত্যকে বন্দি করেছিলেন কারণ দৈত্য বাদশাহের হুকুম অমান্য করেছিল। সে বাদশাহর নির্দেশ পালনে অস্বীকার করেছিল, তাই বাদশাহ তার শাস্তি হিসেবে তাকে তামার জালায় বন্দি করে দিয়েছিলেন।
চ. দৈত্য কেন জেলেকে মারতে চেয়েছিল?
উত্তর: দৈত্য জেলেকে মারতে চেয়েছিল কারণ সে জানত, তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সে তখনই শপথ করেছিল যে, যেই তাকে মুক্তি দেবে, তাকে সে মেরে ফেলবে। কারণ দৈত্য বহু বছর ধরে বন্দি ছিল এবং তার রাগ এবং হতাশা ছিল প্রবল।
ছ. জেলে কেমন করে দৈত্যের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করল?
উত্তর: জেলে দৈত্যের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। সে দৈত্যকে প্রমাণ করতে চাইল যে, তার অত বড় শরীরটি এত ছোট জালায় থাকতে পারে না। তখন দৈত্য তাকে প্রমাণ করতে চাইল, এবং তার গর্বে মেতেই সে আবার জালায় ফিরে গেল। সেই মুহূর্তে জেলে দ্রুত জালার ঢাকনা বন্ধ করে দেয় এবং দৈত্যকে আবার বন্দি করে ফেলে।
৭. গল্পটি পড়ে কী শিখলাম, তা লিখি।
উত্তর: গল্পটি থেকে আমি শিখলাম যে, সাহস, বুদ্ধিমত্তা এবং ধৈর্য্য যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হতে পারে। একদিকে, দৈত্যের অহংকার এবং রাগ তাকে ক্ষতি করে, অন্যদিকে, জেলের বুদ্ধিমত্তা ও সাহস তার জীবন রক্ষা করে। এছাড়া, দুর্ভাগ্য বা বিপদে পড়লে আমাদের ধৈর্য্য এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা উচিত।
আরও দেখো—পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা বই থেকে দৈত্য ও জেলে গল্পের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো। এছাড়াও বাংলা বইয়ের বহুনির্বাচনি, শূন্যস্থান, মিলকরণ ইত্যাদি প্রশ্নোত্তরের জন্য উপরের লিংকটি অনুসরণ করো।
Discussion about this post