জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা। অনার্স বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাবিজ্ঞান সাজেশন ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর। বিষয়: ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাবিজ্ঞান। বিষয় কোড: ২৪১০১৫।
ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাবিজ্ঞান সাজেশন
ক-বিভাগ: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. ধ্বনিতত্ত্বের কয়টি শাখা?
উত্তর : ধ্বনিতত্ত্বের তিনটি শাখা।
২. দুই স্বরতন্ত্রীর মধ্যবর্তী স্থানের নাম কী?
উত্তর : দুই স্বরতন্ত্রীর মধ্যবর্তী স্থানের নাম স্বরতন্ত্রীর মধ্যবর্তীপথ (glottis)।
৩. মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কী কী?
উত্তর : মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। যথা : ই, এ, অ্যা, আ, অ, ও, উ।
৪. কোন মৌলিক স্বরধ্বনিটি উচ্চারণে আছে অথচ বর্ণমালায় নেই?
উত্তর : এ্যা মৌলিক স্বরধ্বনিটি উচ্চারণে আছে অথচ বর্ণমালায় নেই।
৫. ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আব্দুল হাই এর মতে বাংলা মূল স্বরধ্বনি কয়টি?
উত্তর : ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আব্দুল হাই এর মতে বাংলা মূল স্বরধ্বনি আটটি।
৬. বাংলায় কোন মৌলিক স্বরধ্বনির চিহ্ন নাই?
উত্তর : বাংলায় অ্যা মৌলিক স্বরধ্বনির চিহ্ন নাই।
৭. স্বরধ্বনি বিচারের মাপকাঠি কয়টি?
উত্তর : স্বরধ্বনি বিচারের মাপকাঠি তিনটি। যথা :
১. জিহ্বার যে অংশ উঁচু করা হয় তা দেখা।
২. জিহ্বার যে অংশ উঁচু করা হয় তার পরিমাপ।
৩. ঠোঁট ও চোয়ালের অবস্থা বিচার।
৮. উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনি কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনি প্রধানত সাত প্রকার। যথা : ওষ্ঠ্য, দন্ত্য, দন্তমূলীয়, মূর্ধন্য, তালব্য, কণ্ঠ্য ও কণ্ঠনালীয় ।
৯. মুনীর চৌধুরীর মতে অর্ধ স্বরধ্বনি কয়টি?
উত্তর : মুনীর চৌধুরীর মতে বাংলায় অর্ধ স্বরধ্বনির চারটি। যথা : ই, এ, ও, উ।
১০. বাংলায় নিয়মিত দ্বি-স্বরধ্বনি কয়টি?
উত্তর : বাংলায় নিয়মিত দ্বি-স্বরধ্বনি উনিশটি।
১১. বাংলায় পার্শ্বিক ধ্বনি কোনটি?
উত্তর : বাংলায় পার্শ্বিক ধ্বনি— ‘ল’।
১২. উষ্ম ধ্বনি কয়টি ও কী কী?
উত্তর : উষ্ম ধ্বনি তিনটি। যথা : শ্ স্ হ্।
১৩. বাংলা মূলধ্বনি ‘ল’ এর মহাপ্রাণ বর্ণরূপটি লেখ।
উত্তর : বাংলা মূলধ্বনি ‘ল’ এর মহাপ্রাণ বর্ণরূপ হলো (লহ্)।
১৪. IPA-এর পূর্ণরূপ লেখ।
উত্তর : IPA-এর পূর্ণরূপ International Phonetic Alphabet.
১৫. শ্বাসাঘাত কী?
অথবা, শ্বাসাঘাত কাকে বলে?
উত্তর : রূপমূল উচ্চারণের সময় বিভিন্ন অক্ষরের ওপর জোরের পরিমাপই শ্বাসাঘাত।
১৬. স্বরসঙ্গতি কী?
উত্তর : একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটাই হলো স্বরসঙ্গতি।
১৭. পাণিনি রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের পূর্ণ নাম কী?
উত্তর : পাণিনি রচিত ব্যাকরণ গ্রন্থের পূর্ণ নাম অষ্টাধ্যায়ী।
১৮. ‘মহাভাষ্য’ কার রচনা?
উত্তর : ‘মহাভাষ্য’ রচনা করেন সংস্কৃত বৈয়াকরণিক পতঞ্জলি।
১৯. ভূয়া শব্দ কাকে বলে?
উত্তর : লোকনিরুক্তির বশে অথবা অন্য কারণে এমন নতুন শব্দ সৃষ্টি হতে পারে যার বাস্তবিক কোনো মূল্য নেই। এরূপ শব্দকে ভূয়া শব্দ (Ghost Word) বলে।
২০. সঙ্কর শব্দের একটি উদাহরণ দাও ।
উত্তর : সঙ্কর শব্দের একটি উদাহরণ হলো মাস্টারি।
২১. ‘আধুনিক ভাষাতত্ত্ব’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘আধুনিক ভাষাতত্ত্ব’ গ্রন্থটির রচয়িতা আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ।
২২. অর্থের অবনতির একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : অর্থের অবনতির একটি উদাহরণ হলো মহাজন।
২৩. ‘উৎ+লাস = উল্লাস’—শব্দে কোন নিয়মে ধ্বনি পরিবর্তন হয়েছে?
উত্তর : ‘উৎ+লাস = উল্লাস’—শব্দে পরাগত সমীভবনের নিয়মে ধ্বনি পরিবর্তন হয়েছে।
২৪. পৃথিবীর সর্বপ্রধান ভাষাবংশের নাম কী?
উত্তর : পৃথিবীর সর্বপ্রধান ভাষাবংশের নাম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ।
২৫. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভাষাতত্ত্ববিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভাষাতত্ত্ববিষয়ক গ্রন্থের নাম ‘The Origin and Development of the Bengali Language’.
২৬. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ কয়টি?
উত্তর : ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ সাধারণভাবে দুটি। যথা : কেন্তম ও শতম।
২৭. গৌতম বুদ্ধের পাঠ কোন ভাষায় প্রণীত?
উত্তর : গৌতম বুদ্ধের পাঠ পালি ভাষায় প্রণীত।
২৮. বাংলার উপভাষাসমূহের শ্রেণিবিন্যাস প্রথম কে করেছিলেন?
উত্তর : বাংলা উপভাষাসমূহের শ্রেণিবিন্যাস প্রথম করেছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
২৯. আধুনিক ভাষাতত্ত্ববিদের নাম লেখ।
উত্তর : দুজন আধুনিক ভাষাতত্ত্ববিদের নাম— হুমায়ুন আজাদ, জীনাত ইমতিয়াজ আলী।
৩০. কার সম্পাদনায় বাংলা উপভাষার ‘আঞ্চলিক অভিধান’ প্রথম প্রকাশিত হয়?
উত্তর : বাংলার একমাত্র আঞ্চলিক অভিধান ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
খ-বিভাগ: সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. বাক্প্রত্যঙ্গ হিসেবে স্বরযন্ত্রের সচিত্র বর্ণনা দাও।
অথবা, বাকপ্রত্যঙ্গ কাকে বলে? স্বরযন্ত্রের বর্ণনা দাও।
২. স্বরধ্বনির সংজ্ঞাসহ বাংলা মৌলিক স্বরধ্বনিসমূহ চিহ্নিত কর।
৩. স্বরধ্বনি বিচারের মাপকাঠি কয়টি ও কী কী?
৪. উদাহরণসহ ঘোষধ্বনির সংজ্ঞা দাও।
৫. উদাহরণসহ পার্শ্বিক ধ্বনির সংজ্ঞা লেখ।
অথবা, বাংলা পার্শ্বিক ধ্বনি গঠনে বাকপ্রত্যঙ্গের অবস্থান বিশ্লেষণ কর।
৬. ব্যঞ্জনধ্বনি বিচারের মাপকাঠি কয়টি ও কী কী? আলোচনা কর।
৭. সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি বলতে কী বুঝায়?
অথবা, সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি কী? সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
৮. আন্তর্জাতিক ধ্বনিতাত্ত্বিক বর্ণমালায় (IPA) রূপান্তর কর :
নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি।
৯. নিচের কবিতাংশটি IPA তে রূপান্তর কর :
রথযাত্রা লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,
মূর্তি ভাবে আমি দেব- হাসে অন্তর্যামী।
১০. পাঠ-প্রতিকল্পন প্রথা অনুসরণ করে বাংলা মূল স্বরধ্বনি নির্ণয় কর।
১১. ভাষার সংজ্ঞাসহ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
১২. অর্থ প্রসারণ বলতে কী বুঝ?
১৩. বাগর্থতত্ত্ব (Semantics) কী? শব্দের অর্থ পরিবর্তনের ধারা আলোচনা কর।
১৪. অর্থ পরিবর্তনের চারটি প্রক্রিয়া উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা, অর্থ পরিবর্তনের চারটি প্রক্রিয়া লেখ।
১৫. গ্রিমের সূত্রটি বর্ণনা কর।
গ-বিভাগ: রচনামূলক প্রশ্ন
১. বাকপ্রত্যঙ্গ কাকে বলে? চিত্রসহ বিভিন্ন প্রকার বাকপ্রত্যঙ্গের পরিচয় দাও।
অথবা, বাগধ্বনি কী? বাপধ্বনি উচ্চারণে সাহায্যকারী বাক প্রত্যলগুলোর সচিত্র বিবরণ দাও।
২. স্বরধ্বনি বিচারের মাপকাঠি কয়টি ও কী কী? এই মাপকাঠি অনুসারে স্বরধ্বনির শ্রেণিবিন্যাস কর।
অথবা, স্বরধ্বনির সংজ্ঞা দাও। স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিহ্বার ভূমিকা লেখ।
৩. অর্ধ-স্বরধ্বনি কাকে বলে? অর্ধ স্বরধ্বনির স্বরূপ বুঝিয়ে দিয়ে বাংলা অর্থ-স্বরধ্বনির পরিচয় দাও।
অথবা, অর্ধ-স্বরধ্বনি বলতে কী বুঝ? বাংলা অর্থ-স্বরধ্বনিসমূহের পরিচয় দাও।
৪. দ্বি-স্বরধ্বনি কাকে বলে? দ্বি-স্বরধ্বনির স্বরূপ বুঝিয়ে দিয়ে বাংলা নিয়মিত ও অনিয়মিত দ্বি-স্বরধ্বনির পরিচয় দাও।
৫. ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনিসমূহের শ্রেণিবিন্যাস কর।
৬. স্পষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে? বাংলা স্পষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোর ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিচয় দাও।
৭. আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার বিকাশধারা আলোচনা কর এবং বাংলা স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনিকে আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় রুপান্তর কর।
৮. শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে? শব্দের অর্থ পরিবর্তনের কারণগুলো আলোচনা কর।
৯. সাদৃশ্য কাকে বলে? সাদৃশ্যগত পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা কর।
১০. সাদৃশ্যমূলক পরিবর্তনের ধারণা দাও। সাদৃশ্যের প্রভাবে ভাষায় কীভাবে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে, তা উদাহরণসহ বর্ণনা দাও।
১১. ভাষা বিচারে তুলনামূলক পদ্ধতির উপযোগিতা ও সীমাবদ্ধতা আলোচনা কর।
১২. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পর্যন্ত ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ আলোচনা কর।
১৩. ভাষার বংশানুক্রমিক শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর একটি বংশপীঠিকা তৈরি কর।
১৪. গ্রিমের সূত্রের পটভূমি তুলে ধরে তার সূত্রটি বুঝিয়ে দাও।
১৫. ভাষা পরিবর্তনের সূত্র বলতে কী বুঝ? প্রসঙ্গক্রমে গ্রিম, গ্রাসম্যান ও ভার্নারের সূত্র আলোচনা কর।
আরো দেখো : বাংলা ৪র্থ বর্ষের সকল বিষয়ের উত্তরসহ সাজেশন
অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার্থীরা, কোর্সটিকায় তোমরা এ সাজেনটি উত্তরসহ সংগ্রহ করতে পারবে। ওপরে দেওয়া Answer Sheet অপশনে ক্লিক করে অনার্স বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাবিজ্ঞান সাজেশন সংগ্রহ করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post