নবম দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর : কম্পিউটার হচ্ছে কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ (হার্ডওয়্যার) ও সফটওয়্যারের সমন্বিতরূপ। সুতরাং এর থেকে ভালো সেবা (সার্ভিস) পেতে হলে একে অবশ্যই পরিচর্যা করতে হবে। বাইরের বিভিন্ন নিয়ামক যেমন: আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, বিদ্যুৎক্ষেত্র, চুম্বকক্ষেত্র, ধূলিকণা, ধোঁয়া, পানি ইত্যাদির প্রভাব থেকে কম্পিউটারকে রক্ষা করতে হবে।
পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারও আপডেট রাখতে হবে। কাজেই কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কম্পিউটারকে কাজের উপযোগী করে ভাল অবস্থায় রাখার প্রচেষ্টাকে বুঝায়। কম্পিউটারের রক্ষণাবেক্ষণ দুই প্রকারের হতে পারে।
নবম দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
১. টেম্পোরারি ফাইল বেশি হলে কী ঘটে?
● কম্পিউটার স্নো হয়ে যায়
খ. কম্পিউটারের গতি বেড়ে যায়
গ. এন্টিভাইরাস কাজ করে না
ঘ. ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যায় না
২. সিডি, ডিভিডি বা পেন ড্রাইভ থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল করতে গেলে কোন প্রোগ্রামটি প্রথমে চালু হয়?
ক. Setup
খ. Autorun
গ. Read me
ঘ. Restart
৩. কোনটি আধুনিক পৃথিবীর সম্পদ?
● তথ্য
খ. উপাত্ত
গ. কম্পিউটার
ঘ. ইন্টারনেট
৪. সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে-
i. হার্ডওয়্যার সেটিকে সাপোর্ট করে কিনা
ii. এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি বন্ধ করা হয়েছে কিনা
iii. এডমিনিস্ট্রেটরের অনুমতি আছে কিনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
● i, ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫ ও ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
ইকরাম সাহেব দেখছেন কয়েকদিন ধরে তার কম্পিউটার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় আবার চালু হয়। আরও লক্ষ করলেন কম্পিউটারটির কাজের গতিও কমে গেছে। তার মনে পড়লো বন্ধুর পেনড্রাইভ থেকে একটি গান কপি করার পর থেকে এটা শুরু হয়েছে।
৫. কম্পিউটারের এ অবস্থার জন্য কোনটি দায়ী?
ক. অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার
● ভাইরাস সফটওয়্যার
গ. ইউটিলিটি সফটওয়্যার
ঘ. এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
৬. এর ফলে ইকরাম সাহেবের কম্পিউটারে-
i. অপ্রত্যাশিত কোনো বার্তা প্রদর্শন করতে পারে
ii. রাখা ফাইলগুলোর আকার বেড়ে যেতে পারে
ii. মেমোরি কম দেখাতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
● i, ii ও i
কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা
৭. তোমার এক বন্ধু প্রায়ই কম্পিউটারে গেমস খেলে। এতে তার কী কী ক্ষতি হতে পারে? বর্ণনা কর।
উত্তর: যদি তোমার বন্ধু অতিরিক্ত কম্পিউটারে গেমস খেলে, তবে এটি তার শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক জীবনে নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
শারীরিকভাবে, দীর্ঘসময় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকার ফলে চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা, পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা এবং স্থূলতা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলার অভাবে তার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ক্লান্তি ও অবসাদ বাড়তে পারে। মানসিকভাবে, গেমের প্রতি আসক্তি তৈরি হলে পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, মনোসংযোগের অভাব এবং ধৈর্য কমে যাওয়া দেখা দিতে পারে। সহিংস গেম বেশি খেলার ফলে তার আচরণ আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে এবং বাস্তব জীবনে ধৈর্যশীলতা ও সহমর্মিতার অভাব দেখা দিতে পারে।
সামাজিকভাবে, যদি সে অতিরিক্ত সময় গেম খেলায় ব্যয় করে, তবে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং বাস্তব জীবনের কাজকর্মে আগ্রহ হারাতে পারে। অনেক সময় গেমের জন্য অতিরিক্ত ইন্টারনেট বা ডিভাইস ব্যবহারের কারণে খরচ বেড়ে যায়, যা পরিবারের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে তার উচিত গেম খেলার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া, শারীরিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। ব্যালান্স বজায় রেখে গেম খেলা গেলে ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায় এবং সে সুস্থ ও সফল জীবনযাপন করতে পারবে।
৮. ‘কম্পিউটারের সাধারণ ট্রাবলশ্যুটিং জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’—উক্তিটি যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘কম্পিউটারের সাধারণ ট্রাবলশ্যুটিং জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’—উক্তিটি যথার্ত।
বর্তমান যুগে কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। পড়াশোনা, অফিসের কাজ, বিনোদন কিংবা যোগাযোগ—সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বিভিন্ন সময় কম্পিউটার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া, ধীরগতিতে কাজ করা, ইন্টারনেট সংযোগ সমস্যা বা সফটওয়্যারজনিত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যার সমাধান বা ট্রাবলশ্যুটিং সম্পর্কে পূর্বে ধারণা থাকলে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয় এবং কাজের বিঘ্ন কমে।
যদি কেউ সাধারণ ট্রাবলশ্যুটিং না জানে, তবে সামান্য সমস্যার জন্যও বিশেষজ্ঞ বা টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিতে হতে পারে, যা অতিরিক্ত সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে গেলে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলা, র্যাম পরিষ্কার করা কিংবা ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্ট করা জানতে পারলে সহজেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আবার, ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হলে রাউটার রিস্টার্ট দেওয়া, ক্যাবল চেক করা বা ব্রাউজারের ক্যাশ ক্লিয়ার করা সাধারণ ট্রাবলশ্যুটিংয়ের অংশ।
এছাড়া, যদি কোনো সফটওয়্যার কাজ না করে, তবে সেটি পুনরায় ইনস্টল করা, আপডেট করা বা কম্প্যাটিবিলিটি চেক করা জানা থাকলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়। সাধারণ ট্রাবলশ্যুটিং জানার ফলে কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, সময় বাঁচে এবং প্রযুক্তির প্রতি আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে। তাই, কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য সাধারণ ট্রাবলশ্যুটিং জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও দেখো— নবম দশম শ্রেণির ICT সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের আইসিটি মূল বই থেকে নবম দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ২য় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post