নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ২য় অধ্যায় : গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে হিন্দুধর্ম। বিশ্বাসসমূহের মধ্যে ঈশ্বরে বিশ্বাস হচ্ছে মৌল বিশ্বাস। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, সর্বত্র বিরাজিত, তিনি এক, অভিন্ন, অনন্য পরমসত্তা। তিনি একাধিক নন। এই যে, এক ঈশ্বরে বিশ্বাস, একেই বলে একেশ্বরবাদ। তিনি নিরাকার, তবে প্রয়োজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। যেমন- ঈশ্বরের অবতারগণ। এঁদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পূজা-অর্চনার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তিকে ঈশ্বর যখন আকার দেন, তখন তাঁকে দেবতা বা দেবদেবী বলে। তবে দেবদেবী ও অবতারগণ সবাই এক পরমেশ্বরের বিভূতি এবং শক্তির প্রকাশক। দেবদেবীর আরাধনার মধ্য দিয়ে ভক্ত ঈশ্বরের করুণা পেয়ে থাকে। কেননা, ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ হিসেবে দেবদেবীর আবির্ভাব আর অবতাররূপে তো স্বয়ং ভগবানই পৃথিবীতে নেমে আসেন। তাই বিভিন্ন অবতার, দেবদেবী একই ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের সাকার রূপ।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ২য় অধ্যায়
হিন্দুধর্মে জীবনকে সার্থক ও গৌরবময় করার জন্য ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস এই চতুরাশ্রম বা চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে। কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ-এর যেকোনো একটি নিষ্ঠার সঙ্গে অনুশীলন করলেই মানুষ মুক্তিলাভ করতে পারে। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা সাধন জীবনের এই স্তরগুলো জেনে অনুশীলন করে জীবনকে সুন্দর, সার্থক করে তুলতে পারেন।
১. দ্বিজেন্দ্রনাথ একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। তিনি সংসারে থেকেও অত্যন্ত সংযমী। তিনি সংসারের সমস্ত দায়িত্ব পুত্রের হাতে অর্পণ করে মন্দিরে মন্দিরে ঈশ্বর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। এতেও তাঁর আত্মতৃপ্তি হয় না বিধায় তিনি জীবনের পরম প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে সংসার ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
ক. একেশ্বরবাদ কী?
খ. প্রত্যাহার বলতে কী বোঝায়?
গ. দ্বিজেন্দ্রনাথ সংসারে থেকে জীবনের কোন স্তরে অবস্থান করছেন তা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘জীবনের পরম প্রাপ্তি লাভে দ্বিজেন্দ্রনাথের সিদ্ধান্তটি ছিল যৌক্তিক।’- তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
২. প্রশান্ত বাবু তাঁর সন্তানদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করেন। অতিথি সেবাসহ পরিবার ও সমাজের প্রতি তাঁর কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে সম্পাদন করেন। তাঁর প্রতিবেশী আশীষ বাবু সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কিছুকাল পর জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন থাকেন। [এসএসসি সকল বোর্ড-’১৫]
ক. মানুষ জীবনের প্রথম পঁচিশ বছরকে কী বলা হয়?
খ. বানপ্রস্থ আশ্রমের জীবন-যাপন প্রণালি বুঝিয়ে লেখ।
গ. আশ্রম ধর্মানুযায়ী প্রশান্ত বাবু কোন পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আশীষ বাবু কী ধর্ম নির্দেশিত পথে হাঁটছেন? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন কর।
৩. হিন্দুধর্মের একনিষ্ঠ সাধক জয়তী সান্যাল প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যদেবতার আরাধনা করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মন্দিরে গিয়ে দেবতাকে প্রসাদ দেয়। কালী, লক্ষ্মী সব দেবতার আরাধনা করে জয়তী। বহু দেবতার আরাধনা করলেও জয়তী এ আরাধনার মধ্য দিয়ে একজনের সন্তুষ্টি অর্জনেরই চেষ্টা করে। [পাঠ- ১ ও ২]
ক. কোনটিকে হিন্দুধর্মের মৌল বিশ্বাস বলা হয়?
খ. ‘একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তি’- কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. জয়তী সান্যালের আরাধনার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মের কোন বিশ্বাসটি প্রতিভাত হয়ে ওঠে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. হিন্দুধর্মাবলম্বীদের উক্ত বিশ্বাসী বলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে কর?
৪. সুবর্ণচর গ্রামে একটি ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মের ওপর একটি তত্ত্ব বিষয়ে বলা হয় যে, ব্রহ্মা বা ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়। অবতার ও দেব-দেবীগণ এক পরমেশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ ও শক্তির প্রকাশ। [পাঠ – ১ ও ২]
ক. অবতার শব্দের অর্থ কী?
খ. প্রত্যাহার বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের কোন তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে? পাঠবইয়ের আলোকে উক্ত তত্ত্বটি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৫. এলাকার গডফাদার সন্ত্রাসী কালা মানিকের অত্যাচার নির্যাতন এত মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল যে ঈশ্বর তাকে শাস্তি না দিয়ে পারলেন না। মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় আর নৈতিকতাবিরোধী সকল অন্যায়ের জবাব দিতে সিদ্ধার্থ নামের এক যুবককে পাঠালেন ঈশ্বর। সিদ্ধার্থ কালা মানিককে চিরতরে পৃথিবী থেকে পাঠিয়ে দিয়ে মানুষকে মুক্তি দিয়ে উধাও হয়ে গেল। [পাঠ- ৩ ও ৪]
ক. ঈশ্বরকে কোন ধরনের সত্তা বলা হয়?
খ. ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ- কথাটির তাৎপর্য লেখ।
গ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মের কোন বিশ্বাসের ধারণা দিচ্ছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটিতে উক্ত বিশ্বাসের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
৬. শ্যামনগর গ্রামের বটগাছতলায় রাসপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত পূজা উপলক্ষে সেখানে অষ্টকের দল এসেছে। তাদের এ অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নৃসিংহ, পরশুরাম ও বুদ্ধের মুখোশ পরিহিত কিছু মানুষের অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করা। এ অনুষ্ঠানের হিন্দুধর্মীয় বিভিন্ন উপাখ্যানের অংশবিশেষ মানুষের মাঝে প্রচার করা হয়। [পাঠ-৩ ও ৪]
ক. জগতের সৃষ্টি, লয় ও স্থিতিকে কোন অবতার বলা হয়?
খ. সমাধি বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের যে মতবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত মতবাদের সাথে একেশ্বরবাদের সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।
৭. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করে প্রশাসনের উচ্চপদে চাকরি নিয়েছেন মৃণাল ঘোষ। বাবা-মা ঠিক করলেন এবার তাকে বিয়ে করাবেন। গ্রামের উচ্চ শিক্ষিত মিনু দাসের সাথে বিয়ে দিলেন। সুখেই সংসার করছে তারা। মৃণাল স্ত্রী সন্তানের প্রতি যেমন দায়িত্ব পালন করছেন তেমনি বাবা-মার প্রতি তার শ্রদ্ধারও কমতি নেই। ঈশ্বরের প্রতি মৃণাল কৃতজ্ঞ যে পৃথিবীতে তিনি এত সুন্দরভাবে জীবন উপভোগ করতে পারছেন। [পাঠ-৫ ও ৬]
ক. অবতারবাদের সূচনা হয়েছে কোন যুগে?
খ. অবতারের পৃথিবীতে পদার্পণ করার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটির ঘটনা চতুরাশ্রমের কোন ধারণাটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি উক্ত বিষয়টির পূর্ণ রূপ নয় – বিশ্লেষণ কর।
৮. চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন শ্রী বিমল রায়। তাই তিনি জাগতিক কাজকর্ম থেকে বিরত থেকে একমাত্র ঈশ্বরের ধ্যানে নিমগ্ন থাকেন। সামান্য সময়ের জন্য তিনি মন্দিরে আশ্রয় নেন। তিনি দুপুরবেলায় অন্ন গ্রহণ করেন এবং বাকি দুবেলা ফল, দুধ খেয়ে জীবন ধারণ করেন। তার ধারণা এভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করলে তিনি মোক্ষলাভ করতে পারবেন। [পাঠ-৫ ও ৬]
ক. ধর্মের শাস্ত্রীয় সংজ্ঞা উল্লেখ কর।
খ. ব্রহ্মচর্যাশ্রম বলতে কী বোঝ?
গ. শ্রী বিমল রায়ের কাজে চতুরাশ্রমের কোন ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শ্রী বিমল দাসের কাজটিই চতুরাশ্রমের একমাত্র কাজ নয়Ñ মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
৯. স্বপন মণ্ডল ধর্মীয় নির্দেশমতে পরিবারের সবাইকে রেখে আশ্রমে এসে একাকী জীবনযাপন করেন। সংসার ত্যাগের সময় তার স্ত্রী শর্মিলা দেবী তার সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বলেন ধর্মীয় বিধিনিষেধ আছে। স্বপন মণ্ডল জাগতিক সকল কর্ম পরিত্যাগ করে কেবল ঈশ্বরের চিন্তাতেই মগ্ন থাকেন। এদিকে তার স্ত্রী শর্মিলা দেবী সংসারে থেকেও নিরাসক্তভাবে সংসারের কাজকর্ম করেন। [পাঠ – ৫ ও ৬]
ক. ভগবান কোন রূপে অবতীর্ণ হয়ে রাজা বলির দর্প চূর্ণ করেন?
খ. অবতার বলতে কী বোঝ?
গ. স্বপন মণ্ডল বর্তমানে কোন আশ্রম অনুশীলন করছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বর্তমান যুগের আলোকে শর্মিলা দেবীর চিন্তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন কর।
১০. মুক্তি লাভের বিশেষ উপায় হিসেবে আচার্য দেব যোগসাধনাকে গ্রহণ করেছেন। তিনি তার দৈনন্দিন আচার-আচরণের মাধ্যমে একজন সাধক হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি যেমন সবসময় সত্য কথা বলার চেষ্টা করেন তেমনি চুরি কিংবা জীব হত্যাকেও ঘৃণা করেন। শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য তিনি পদ্মাসনেরও অনুশীলন করেন। [পাঠ-৭ ও ৮]
ক. ‘যোগ’ শব্দটির সাধারণ অর্থ কী?
খ. ‘যোগঃ চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. আচার্য দেব যোগ সাধনার কোন উপায়গুলো অবলম্বন করেছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি যোগ সাধনার পরিপূর্ণ ধারণা দেয় কি? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।
১১. শংকর বেশ কিছুদিন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করে কোনো চাকুরি যোগাড় করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় তার ছোটবেলার বন্ধু দুর্জয় শংকরকে একটি আশ্রমে নিয়ে যায়। এ আশ্রমে কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদা বা সাহায্য নেওয়া হয় না। এরা নিজেদের অর্থের সংস্থান নিজেরাই করে। শংকর এ আশ্রমের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে।
ক. অবতারবাদ কী?
খ. একেশ্বরবাদ বলতে কী বোঝায়?
গ. শংকর কোন মহাপুরুষের মতাদর্শের দ্বারা প্রভাবিত হয়? তা তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে উক্ত মহাপুরুষের মতাদর্শের শিক্ষা মূল্যায়ন কর।
১২. ‘ক’ নামক সভ্যতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জনপদের সঙ্গে বহিরাগত ‘ঢ’ নামক একটি সম্প্রদায়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি নতুন ধর্মের বিকাশ ঘটে, যার নাম ণ। ঢ নামক সম্প্রদায়ের নিজস্ব আচার-আচরণ ধর্ম এবং সংস্কৃতির ‘ক’ নামক সভ্যতার ধর্মচর্চার সমন্বয়ের মাধ্যমে যে ধর্মটি বিকাশ লাভ করে তা বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে একটি স্থায়ী ধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। [পাঠ-১]
ক. কোন ধর্মটিকে প্রাচীন ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
খ. ‘যত মত, তত পথ; যত্র জীব, তত্র শিব’’-ঠাকুর রামকৃষ্ণের এ উপদেশ থেকে আমরা কী শিক্ষা পাই?
গ. উদ্দীপকের ‘ণ’ নামক ধর্মের উৎপত্তির সাথে কোন ধর্মের উৎপত্তির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোচনা উক্ত ধর্মের উৎপত্তির পূর্ণরূপ প্রকাশ করে কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
১৩. জীবের প্রতি স্নেহ, মায়া, মমতা প্রদর্শন জীবনে সমৃদ্ধি অর্জন এবং জগতের শান্তি কামনায় একদল পুরোহিত ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করছেন। তারা যজ্ঞক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মফল লাভের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। ঈশ্বর প্রাপ্তিতে নানা ধর্মানুষ্ঠানে যজ্ঞক্রিয়া সম্পাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এলাকার জনসাধারণকে যজ্ঞক্রিয়া সম্পাদনের নির্দেশ দেন। [পাঠ-১]
ক. হিন্দুধর্মের আদি ধর্মগ্রন্থের নাম কী?
খ. গীতায় কীভাবে ভক্তিবাদের পর্যায় লক্ষ করা যায়?
গ. উদ্দীপকের মাধ্যমে হিন্দুধর্ম বিকাশের কোন স্তরটির ধারণা পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের মাধ্যমে উক্ত স্তরের পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যায় কি? মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
১৪. নলডাঙ্গা গ্রামে কার্তিক পূজা উপলক্ষে একটি ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল- উক্ত অনুষ্ঠানে রাতুল গোস্বামী হিন্দু ধর্মের একটি যুগ নিয়ে কথা বলেছিলেন। এ যুগে চিন্তাজগতে ভক্তির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। ভক্তিকে অবলম্বন করে পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার যাত্রাপথে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রকাশ শুরু হয়। দেবতা একাধিক হওয়ার কারণে পরমব্রহ্মর স্থান নিয়ে বিভিন্ন দেবদেবীর ভক্তদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। পরবর্তীতে ভক্তির ধারা বিকাশ লাভ করে সমুজ্জ্বল হয়ে ওঠে শ্রীমদভগবদগীতা গ্রন্থে। [পাঠ-২]
ক. হিন্দুধর্মের মূলে কে রয়েছেন?
খ. বেদান্ত দর্শন বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে কোন যুগের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্ত যুগের বিভিন্ন ধর্মমত ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১৫. শ্রী লালচন্দ্র, বিমলচন্দ্র এবং তাপস কুমার তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। লালচন্দ্র শিবের পূজা করে পরমতত্ত্বে উপনীত হতে চায়। অন্যদিকে বিমল বিষ্ণুর পূজা করে এ তত্ত্বের মাহাত্ম্য অনুধাবন করতে চায়। আবার তাপস প্রকৃতির নানা শক্তির উপাসনা করে। পরমতত্ত্বে উপনীত হওয়ার জন্য তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায় প্রতিযোগিতা। আর এভাবে ভক্তিমার্গের মাধ্যমে তারা সবাই এক ঈশ্বরের আরাধনায় ব্যস্ত থাকে। [পাঠ -২]
ক. কোন যুগে হিন্দুধর্মের চিন্তা জগতে ভক্তিমার্গের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?
খ. ‘গীতা ভক্তিবাদে সমৃদ্ধ’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের তিন বন্ধুর কর্মকা- এবং বিশ্বাসে হিন্দুধর্ম বিকাশের কোন যুগের ধারণা পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের তিন বন্ধুর বিশ্বাসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
১৬. বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নয়নচন্দ্র আমাদের সমাজের খুঁটিনাটি দোষত্রুটি খুঁজে বের করে একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার জন্য সমাজ সংস্কারে আত্মনিয়োগ করেন। ধর্মীয় সংস্কারও ছিল তার কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একমাত্র ব্রহ্মর আরাধনা করতে তিনি হিন্দুদের আহ্বান জানান। একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী এই মানুষটি মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথ দেখিয়েছেন। [পাঠ – ৩]
ক. ‘যত মত, তত পথ’-উপদেশটির প্রবক্তা কে?
খ. মতুয়া ধর্মের মূলমন্ত্র ব্যাখ্যা কর।
গ. নয়নচন্দ্র কোন মহাপুরুষের মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত ব্যক্তি ধর্মীয় সংস্কারে কীভাবে অবদান রেখেছেন? উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১৭. স্কুলের পণ্ডিত শিক্ষক শংকর বাবু হিন্দুধর্মের ক্লাসে বলেন যে, উনবিংশ শতাব্দীতে এক মহামানব ভারতবর্ষে প্রেমভক্তি বিলিয়েছেন।
সকল ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ সকল মানুষকে ভালোবেসে তিনি বলেছেন- একমাত্র প্রেমপূর্ণ ভক্তি দিয়েই পরম আরাধ্য ভগবানকে লাভ করা যায়। তিনি ছিলেন আধুনিক যুগের ধর্মসংস্কারকদের মধ্যে অন্যতম। [পাঠ -৩]
ক. হিন্দুধর্মের প্রাচীন নাম কী?
খ. পৌরাণিক যুগ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে তোমার পাঠ্যবইয়ের যে ধর্মসংস্কারকের কথা বলা হয়েছে তাঁর প্রেমভক্তি আন্দোলনটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আধুনিক যুগের ধর্মসংস্কারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম-উদ্দীপকের এ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১৮. স্বাবলম্বী হয়ে জগতের কল্যাণ সাধনে ব্যাপৃত শ্রী তপন রায়-তার অনুসারীদের সহায়তায় গড়ে তোলেন মাতৃকল্যাণ সমিতি। ব্যক্তি চরিত্র গঠনের মাধ্যমে পরস্পর পরস্পরের কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সংগঠনটির কর্মসূচি এগিয়ে যাচ্ছে। [ পাঠ-৩]
ক. ‘সৎসঙ্গ’ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন কে?
খ. স্বামী বিবেকানন্দের বাণীগুলো কোন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিল।
গ. উদ্দীপকের সমিতির মধ্যে পাঠ্যবইয়ে বর্ণিত কোন সংগঠনটির আদর্শ ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. হিন্দুধর্মের বিকাশে উক্ত সংগঠনই কি একমাত্র ভূমিকা পালন করেছে? মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণি: অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশন
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post