নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৪র্থ অধ্যায় : আমাদের এই পার্থিব জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাচীন ঋষিরা ধর্মীয় আচার-আচরণ ও মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশ দিয়েছেন। এ উদ্দেশ্যে তারা রচনা করেছেন মনুসংহিতা, যাজ্ঞবন্ধ্যসংহিতা, পরাশরসংহিতা প্রভৃতি স্মৃতিশাস্ত্র। এগুলো হিন্দু ধর্মের বিধিবিধানের বিখ্যাত গ্রন্থ।
এ সকল খণ্ডে বর্ণিত বিধি-বিধানকে আশ্রয় করে হিন্দুদের সমগ্র জীবনে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন মালিক ক্রিয়া। মৃতজনের উদ্দেশে অস্তেষ্টেক্রিয়া, পারলৌকিক কৃত্য প্রভৃতি সম্পাদন করার বিধি-বিধানও হিন্দুধর্মের গ্রস্থাবলিতে বর্ণিত রয়েছে।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৪র্থ অধ্যায়
১. স্নাতক পরীক্ষা শেষে মিতার বাবা-মা তার বিবাহের দিন ধার্য করে। ঐদিন মিতাকে বস্ত্র ও অলংকার সজ্জিত করে তার বাবা তাকে বরের হাতে সম্প্রদান করেন। এ অনুষ্ঠানে পুরোহিত মন্ত্র পাঠ ও যজ্ঞের মাধ্যমে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করেন।
ক. সংস্কার কী?
খ. কেন অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান করা হয়?
গ. মিতার বিবাহ পদ্ধতিটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিতার বিবাহ কার্য সম্পাদনে যজ্ঞানুষ্ঠানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
২. তাপস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা অবস্থায় শিপ্রাকে ভালোবেসে মাল্যদানের মাধ্যমে বিয়ে করে। কিন্তু তার মা-বাবা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পড়ালেখা শেষে তাপস চাকরিতে যোগদান করলে তার মা-বাবা তাকে বিয়ের কথা বললে তাপস তাঁদেরকে সব কথা খুলে বলে। তখন তার মা-বাবা খুশিমনে শিপ্রাকে ঘরে তোলে। [এসএসসি স. বো. ’১৫]
ক. অধিবাস বিয়ের কয়দিন পূর্বে পালিত হয়?
খ. সোহাগজল কী? বুঝিয়ে লেখ।
গ. তাপস ও শিপ্রার বিষয়টি কোন প্রকারের তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তাপস ও শিপ্রা কি ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছিল? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন কর।
৩. গতকাল হঠাৎ করে ধীরেন্দ্র বাবু মারা গেলে তার পুত্ররা গ্রামবাসীর সহায়তায় পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে। নির্দিষ্ট সময় অশৌচ পালনের পর আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান ঘটা করে আয়োজন করে। [এসএসসি স. বো. ’১৫]
ক. মৃত্যু মানে কী?
খ. ‘জন্মভেদে নয়, বরং কর্মভেদেই বর্ণ বিভাজন’Ñকথাটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্রদের অশৌচ পালনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আদ্যশ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ধীরেন্দ্র বাবুর পুত্ররা তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেÑ তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
. নতুন জীবনের প্রত্যাশায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন নয়নতারা এবং শ্রীমান মুখার্জি। বছর যেতে না যেতেই তাদের কোলজুড়ে এলো ফুটফুটে কন্যা সন্তান। জন্মের সাথে সাথে কন্যার বাবা তার মুখে যব, যষ্টিমধু, ঘি দিয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করলেন। একাদশ দিনে নাম রাখা হলো তুলতুলি। দশম মাস পড়ার সাথে সাথে মেয়ের মুখে তুলে দিলেন অন্ন।
[পাঠ-১ ও ২]
ক. বিবাহ কী?
খ. মনুসংহিতা, পরাশরসংহিতা কী জাতীয় গ্রন্থ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে হিন্দুধর্মের কোন সংস্কারগুলোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটিতে হিন্দুধর্মের সংস্কারের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? মতামত দাও।
৫. জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার জন্য প্রাচীন ঋষিরা কিছু মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশনা দিয়েছেন। সপ্তমের বাবা তাই এ নির্দেশনানুসারে ছয়মাস বয়সের সময় তাকে নিয়ে যায় মন্দিরে। সেখানে গিয়ে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম তার মুখে ভাত তুলে দেয়। এ উপলক্ষে বৃদ্ধ কিছু ভিক্ষুককে ডেকে নিয়ে লোকনাথ মন্দিরে অন্নভোজন করান সপ্তমের মা। স্মৃতিশাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা আছে। [পাঠ-১ ও ২]
ক. কখন সমাবর্তন করা হতো?
খ. ‘বিবাহ’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি লেখ।
গ. উদ্দীপকের আলোচনায় যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত শাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা হয়েছেÑ এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত?
৬. মালা দাসের বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছেন একজন বিদ্বান, সদাচারী মানুষের সাথে। তিনি কন্যাকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন করে এবং অলংকার দ্বারা সজ্জিত করে বিদ্বান ও সদাচারী বরকে স্বয়ং আমন্ত্রণ করে মেয়েকে বরের হাতে সমর্পণ করলেন। মালা প্রবেশ করল এক নতুন জীবনে। নিজ পরিবার-সংসার জীবনের প্রতি বেড়ে গেল তার দায়িত্ব-কর্তব্য। দশবিধ সংস্কারের মধ্যে এটি অন্যতম একটি সংস্কার। [পাঠ-৩ ও ৪]
ক. বিবাহ শব্দের অর্থ কী?
খ. বিবাহ শব্দটি কীভাবে গঠিত হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের বিবাহের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে উক্ত সংস্কারের গুরুত্ব পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৭. সুচন্দা চক্রবর্তী নাতনির বিয়ের বরযাত্রী হয়েছেন। বিয়ের এই আয়োজন দেখে তার মনে পড়ে গেল আজ থেকে ৬০ বছর আগে সেই দিনটির কথা। সকল ঘৃণা, অহংকার, মান-অভিমানসহ অসাধু চিন্তারূপী ঘি-মাখা আমপাতা আগুনে আহুতি দেওয়ার কথা। মনে অজানা ভয়, পুলকিত, শিহরিত অন্তরাত্মা নিয়ে অজয় চক্রবর্তীর (স্বর্গত) পেছনে পরিক্রমণ করার কথা। আজ নেই সেই চিহ্ন যা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আজ তার নাতনি সেই গুরুত্বপূর্ণ একটি চিহ্ন বহন করতে যাচ্ছে। দু’চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। একি বেদনার, না আনন্দের? [পাঠ-৫, ৬ ও ৭]
ক. জšে§র পর পিতা যব, যষ্টিমধু ও ঘৃত দ্বারা সন্তানের জিহ্বা স্পর্শ করেন কোন সংস্কারে?
খ. বিবাহ বলতে কী বোঝ?
গ. সুচন্দা চক্রবর্তী কোন বিশেষ ঘটনার স্মৃতিচারণ করছিলেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সিঁথিতে বিবাহ চিহ্ন একজন হিন্দু রমণীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা’ উদ্দীপকের আলোকে বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৮. নিলিমার বাবা সমীরের হাতে কন্যাকে সম্প্রদান করেন। নিলিমার বিবাহ পর্ব শেষ হলে তার বাবা ঘর থেকে ফ্রিজ, ল্যাপটপসহ সংসারের বিভিন্ন জিনিস বের করে সমীরের বাবাকে বুঝিয়ে দিলেন। কিন্তু সমীরের বাবা এসব জিনিস গ্রহণ করতে আপত্তি জানালেন। কারণ তিনি মনে করেন এগুলো গ্রহণ করা এবং প্রদান করা দুটোই অপরাধ। [পাঠ-৮]
ক. ‘বহ্’ ধাতুর অর্থ কী?
খ. দশবিধ সংস্কার পালনের কারণ কী?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়টির ইঙ্গিত করেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘এগুলো গ্রহণ করা এবং প্রদান করা দুটোই অপরাধ’ উদ্দীপকের এই বাক্যটির প্রেক্ষিতে তোমার মতামত উপস্থাপন কর।
৯. প্রবীর তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। গতকাল সকালে হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোক করে তার বাবা মারা গেছেন। বাবার মৃতদেহের পাশে বসে সে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। পাশের বাড়ির রমেন কাকা এসে বললেন, অনেক কেঁদেছ আর কেঁদ না; এখন তোমার বাবার মৃতদেহ বস্ত্রাবৃত, মালা, চন্দনাদি দ্বারা বিভূষিত করে শ্মশানে নিতে হবে। [পাঠ-৯ ও ১০]
ক. মনুসংহিতায় কত প্রকার বিবাহ রয়েছে?
খ. মালাবদল বলতে কী বোঝ?
গ. প্রবীর কীভাবে তার বাবার সৎকার বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করেছিল পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রবীর এর কাজটির তাৎপর্য মূল্যায়ন কর।
১০. পিযুষ বাবুর বাবার মৃত্যুর পর দশদিন হবিষ্যান্ন খেয়ে জীবন ধারণ করেছেন। এরপর মাথা মু-ন করে ধর্মীয় বিধান অনুসারে অন্যান্য কাজ সম্পাদন করেছেন। প্রথম প্রথম তার মনটা খুব খারাপ থাকত এরপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। মনে স্থিরতার ভাব জেগে ওঠে। ফলে ঐ সময়ের ধর্মীয় কাজগুলো করতে তার সুবিধা হয়। [পাঠ-১১]
ক. অন্ত্যেষ্টি শব্দের অর্থ কী? ১
খ. মৃতদেহের সৎকার করা প্রয়োজন কেন?
গ. পিযুষ বাবু ও তার জ্ঞাতিরা কোন ধরনের অশৌচ পালন করেছেন? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পিযুষ বাবুর উক্ত কাজটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
১১. মায়ের মৃত্যুর একাদশ দিনে অশৌচ পালন করার পর প্রদীপ প্রজ্বলিত করে বাস্তুপুরুষ যজ্ঞেশ্বর ও ভূস্বামীর পূজা দিল নয়ন চাঁদ। তারপর মায়ের উদ্দেশে আসন, ছাতা, তাম্বুল উৎসর্গ করলেন তিনি। পরে পি-দান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটালেন। তার এ কাজে পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে সাধুবাদ জানাল। [পাঠ-১২]
ক. আদ্যশ্রাদ্ধের পূর্ণনাম কী?
খ. অশৌচের প্রকারভেদ লেখ।
গ. উদ্দীপকে কোন সংস্কারটির ধারণা দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নয়ন চাঁদের উক্ত কাজটিকে এলাকাবাসীর সাধুবাদ জানানোর কারণ বিশ্লেষণ কর।
১২. সুমন অফিসে বসে কাজ করছিল। দুপুরে সহকর্মী পলাশ জানতে চাইল সে খাবে কিনা। তখন সুমন বলল, আমার কাকীমা গত পরশু মারা গেছেন তাই আমি শরীরের পবিত্রতা অর্জন করছি। তখন পলাশ বলল, গতকাল ভাইয়ের ছেলে হয়েছে আমিও জননাশৌচ করছি। তখন তারা কিছু ফল খেয়ে দুপুরের আহার সম্পন্ন করে এবং বলে ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে
ক. মৃত্যুর পর তুলসি তলায় কী দিতে হয়?
খ. মানুষ মারা গেলে কীভাবে অশৌচ পালন করতে হয়?
গ. উদ্দীপকে উক্ত ব্যক্তিদের অশৌচ পালনের মধ্যকার তুলনামূলক ব্যাখা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত বাক্যটি বিশ্লেষণ কর।
১৩. গরিব কৃষক মোহন রায় অতি কষ্টে মেয়েকে বিএ পাস করিয়েছেন। এখন মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছেন। কিন্তু বিয়েতে বরপক্ষ দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছে। টাকা দিতে না পারলে মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাবে, লগ্নাভ্রষ্টা হবে মেয়ে সেই ভেবে মোহন রায় মেয়েকে না জানিয়ে ভিটেবাড়ি সব বিক্রি করে দেয়। নিঃস্ব হয়ে যায় মোহন লাল। মেয়ে কতটুকু সুখী হবে এটাই এখন তার একমাত্র ভাবনা।
ক. অধর্ম কী?
খ. কোন নীতি অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?
গ. উদ্দীপকটিতে সমাজ জীবনের কোন ব্যাধিটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. এ ব্যাধি নির্মূলে সচেতন সমাজের করণীয় বিশ্লেষণ কর।
১৪. নিঝুম অন্ধকার রাত। চারদিক থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁ পোকা আর ডাহুক পাখির ডাক। পুলিন দাস সঙ্গীদের নিয়ে শ্মশানে বসে আছে। কখন এসে শবদেহ পৌঁছাবে। রাতের মধ্যে দাহকার্য সম্পন্ন করতে হবে। হঠাৎ পুলিনের মনে পড়ল গুরুদেবের কথা। তিনি বলেছিলেন, শবদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া একটি ধর্মীয় বিধান হলেও এটি মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করে। [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
ক. অশৌচ কত প্রকার?
খ. সংস্কার বলতে কী বোঝায়?
গ. পুলিন দাস কীভাবে শবদাহ সম্পন্ন করবে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর
ঘ. পুলিনের গুরুদেবের মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
১৫. মোহন লাল আর পৃথিবীতে নেই। তার মৃত্যু সংবাদ শুনে জ্যেষ্ঠ ছেলে বাড়িতে গিয়ে বাবার মুখাগ্নি করল। অগ্নিদানের পূর্বে সে মন্ত্র পাঠ করল। এরপর সকল নিয়ম অনুসরণ করে শ্মশান থেকে বাড়ি ফিরল তারা।
ক. মৃতের চিতা কোন কাঠ দিয়ে সাজাতে হয়?
খ. মৃতদেহ সৎকারের সময় মন্ত্র পাঠ করা হয় কেন?
গ. মোহন লালের জ্যেষ্ঠ ছেলে মুখাগ্নি করার পর কোন নিয়মগুলো অনুসরণ করবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামাজিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
১৬. জীবনকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে গড়ে তোলার জন্য প্রাচীন ঋষিরা কিছু মাঙ্গলিক কর্মের নির্দেশনা দিয়েছেন। অনুভবের বাবা তাই এ নির্দেশনানুসারে তার ছয়মাস বয়সের সময় তাকে নিয়ে যায় স্বামীবাগ লোকনাথ বাবার মন্দিরে। সেখানে গিয়ে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম তার মুখে ভাত তুলে দেয়। এ উপলক্ষে বৃদ্ধ কিছু কিছু ভিক্ষুককে ডেকে নিয়ে মন্দিরের অন্নভোজন করান অনুভবের মা। স্মৃতিশাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা আছে।
ক. আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধে কতজন ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করা হয়?
খ. আদ্য একোদ্দিষ্ট শ্রাদ্ধ কী?
গ. উদ্দীপকের আলোচনায় যে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. স্মৃতিশাস্ত্রে এ ধরনের দশবিধ সংস্কারের কথা বলা হয়েছেÑ এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত?
১৭. বড় ছেলে ঢাকায় বড় চাকরি করছে, কবে তার সাথে দেখা হবে এমন দিন গুনতে গুনতে অবশেষে মৃত্যু পথে পাড়ি জমালেন হরিদাস পাল। ছেলে সেই বাড়িতে গেল কিন্তু বাবা তার মুখটি দেখতে পেল না। কি আর করা। বাবাকে চিতায় শয়ন করানোই এখন তার মুখ্য কাজ। তাই মৃতদেহটিকে সৎকারের জন্য বস্ত্রাবৃত ও মালা চন্দনাদি পরিয়ে স্নান করিয়ে পিণ্ডদান করা হলো। আমকাঠ দিয়ে সাজানো হলো চিতা।
ক. অন্ত্যেষ্টি শব্দের অর্থ কী?
খ. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কোন দিকগুলো ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পূর্ণ রূপ দেয়কি? মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
১৮. বাবার মৃত্যুতে শোকের ছায়া সারা বাড়ি জুড়ে। সবাই কেমন যেন ছন্নছাড়া হয়ে গেছে। ফলফলাদি খেয়ে জীবন ধারণ করছে আত্মীয়স্বজনরা। কঠোর সংযম আর নানা নিয়মকানুন অনুসরণের মধ্য দিয়ে দিনগুলো অতিবাহিত করছে মৃতের আত্মীয়রা।
ক. পূরকপিণ্ড কী?
খ. অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামাজিক গুরুত্ব কতটুকু? লেখ।
গ. উদ্দীপকে কোন ধারণাটির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানুষের জীবনে উক্ত দিকটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণি: অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশন
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post