নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৭ম অধ্যায় : ধর্ম শব্দটির অর্থ-‘যা ধারণ করে’। ধৃ ধাতু + মন্ (প্রত্যয়)= ধর্ম। ধৃ ধাতুর অর্থ ধারণ করা। যা হৃদয়ে ধারণ করে মানুষ সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও পবিত্র জীবনযাপন করতে পারে, তাকেই বলে ধর্ম। মানবজীবনের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক এবং নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য যে সমস্ত উপদেশ, নির্দেশ, রীতিনীতি, আখ্যান-উপাখ্যান যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে, তাই ধর্মগ্রন্থ। ধর্মের প্রতি মানুষের স্বাভাবিক শ্রদ্ধা রয়েছে এবং ধর্মগ্রন্থের প্রতিও সকলেরই শ্রদ্ধা-ভক্তি রয়েছে।
আর এজন্যই মানুষ ধর্মগ্রন্থ পাঠ অথবা শ্রবণ করা ধর্মের অঙ্গ বলে অভিহিত করে। ধর্মগ্রন্থে ধর্মতত্ত্ব, ধর্মাচার, ধর্মীয় সংস্কার, ধর্মানুষ্ঠান ও ইতিহাসাশ্রিত উপাখ্যান প্রভৃতি সন্নিবেশিত থাকে। কাজেই আদর্শ জীবনাচরণ ও নৈতিকতা গঠনে ধর্মগ্রন্থের বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। এই ধর্মগ্রন্থগুলো হলো বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত ও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত প্রভৃতি।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৭ম অধ্যায়
১. অমিয় তার বন্ধুদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করে নানা প্রকার সমাজসেবামূলক কাজের পাশাপাশি শিশুদের একটি অনাথ আশ্রম পরিচালনা করে। আশ্রমের জন্য তাঁরা চাঁদা দেয়। কখনও বা প্রয়োজনে জোর করে চাঁদা তুলে কিংবা চুরি করে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও টাকা সংগ্রহ করে। কারণ সে মনে করে অনাথ শিশুগুলোকে বাঁচাতে হলে সবসময় ন্যায়-অন্যায় বিচার করলে চলবে না। কিন্তু অমিয়র বাবা বলেন, ‘চুরি করা বা জোর করে চাঁদা আদায় উচিত নয়, সৎপথে উপার্জনের মাধ্যমেই ভালো কাজ করতে হয়।’
ক. কোন গ্রন্থ পাঠ করলে ধর্মের লক্ষণগুলো সম্বন্ধে জানা যায়?
খ. নৈতিকতা গঠনে উদ্দীপকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. অমিয়র আচরণে ধর্মের যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়েছে তা তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অমিয়র বাবার উপদেশ নৈতিকতা গঠনে একান্ত সহায়ক’- তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে কথাটি মূল্যায়ন কর।
২. মিতালির মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি দেখে শিক্ষক তাকে শ্রেণি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেন। কিছু শিক্ষার্থী মিতালীকে সমর্থন জানালে তাদের সহযোগিতায় মিতালি যোগ্যতার সাথে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করে। এতে শিক্ষক এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী খুশি। কিন্তু প্রিতম ও কিছু শিক্ষার্থী এটা মেনে নিতে না পারায় তাদের মধ্যে বাকবিত-া হয়। তারা মিতালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ালে শিক্ষক মিতালিকে সরিয়ে প্রিতমকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু পরে প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে মিতালিকে দায়িত্ব দেন এবং অভিযোগকারীদের সংশোধিত হতে বলেন। [মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. কে বাংলায় মহাভারত রচনা করেন?
খ. মহাভারতে কুরু ও পা-বদের যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ কেন বুঝিয়ে লেখ।
গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রিতমের আচরণিক বৈশিষ্ট্য তোমার পঠিত মহাভারতের কোন চরিত্রের প্রতিফলন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনুচ্ছেদের ঘটনায় বর্ণিত শিক্ষকের ভূমিকা তোমার পঠিত মহাভারতের শিক্ষার আলোকে মূল্যায়ন কর।
৩. অতুলবাবু জীবনকে সার্থক ও কল্যাণময় করার জন্য নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত অধ্যয়ন করেন তিনি। আর এ লব্ধিত শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আজ আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চারিদিকে তার সুনাম। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন আদর্শ জীবন ও নৈতিকতা গঠনে ধর্মগ্রন্থের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। [পাঠ-১]
ক. সব কিছুর মূলে কে রয়েছেন?
খ. মনসংহিতায় ধর্মের সাধারণ লক্ষণের শ্লোকটি লেখ।
গ. অতুল বাবুকে অনুসরণ করে ভূমি কীভাবে আদর্শবান মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অতুল বাবুর মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা ধারণাটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
৪. নারায়ণ চন্দ্র একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তিনি সবসময়ই ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলেন। ধর্মে বিশ্বাস রেখে তিনি তার প্রাত্যহিক কাজগুলো সম্পন্ন করেন। কখনো কোনো সমস্যায় পড়লে তিনি মহাপুরুষদের জীবন থেকে আদর্শ গ্রহণ করেন আবার অনেক সময় নিজের বিবেক দ্বারাও পরিচালিত হন। তবে এলাকাবাসী মনে করেন একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য শুধু এ কাজগুলোই যথেষ্ট নয়।
ক. ধর্মের লক্ষণগুলো কোন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে?
খ. মানুষের মধ্যে কীভাবে মনুষ্যত্ব জেগে ওঠে?
গ. নারায়ণ চন্দ্রের আচরণে ধর্মের কোন লক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাখ্যা কর?
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত এলাকাবাসীর মনোভাবের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
৫. সাংসারিক জীবনের গভীর মায়া ত্যাগ করে গহিন অরণ্যে বসে নিজের সৃষ্টি, জগতের সৃষ্টি, স্থিতি, লয় নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকতেন জ্ঞানেন্দ্র রায়। তার চিন্তাপ্রসূত বিভিন্ন ধারণা থেকে শিক্ষা লাভ করে যতীন রায় ব্রহ্মের কথা, জগতের কথা সম্পর্কে একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হয়েছেন যে, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সবকিছুকে ব্রহ্মময় হিসেবে চিন্তা করতে হবে। [পাঠ-২]
ক. বেদের কা- দুটির নাম লেখ।
খ. জ্ঞানকা-কে বেদান্ত বলা হয় কেন?
গ. জ্ঞানেন্দ্র রায়ের কাজটি বৈদিক সাহিত্যের কোন বিষয় সৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যতীন রায়ের সিদ্ধান্তটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
৬. তপন রায় সৃষ্টির রহস্য, ব্রেহ্মর কথা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করছেন। তিনি এসব বিদ্যা অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে জš§-মৃত্যুর রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন। এভাবে অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে তপন রায় নিজেকে একজন জ্ঞানী, ধর্মপ্রাণ মানুষে পরিণত করছে। তার অর্জিত জ্ঞান গভীর ও দুর্র্জ্ঞেয় এবং এক ধরনের রহস্যে আবৃত। তাই বিভিন্ন শ্রেণিকরণের মাধ্যমে এ জ্ঞান অর্জন করা হয়ে থাকে। [পাঠ-২]
ক. বেদঃ অখিলধর্মমূলম্- অর্থ কী?
খ. বৈদিক সাহিত্য বলতে কী বোঝ?
গ. তপন রায়ের অর্জিত জ্ঞান বৈদিক সাহিত্যিক কোন দিকটির অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত বিষয়টিকে গভীর দুর্জ্ঞেয় এবং রহস্যময় বলার যৌক্তিকতা নিরূপণ কর।
৭. প্রবীর মিত্র সারাক্ষণ কৃষ্ণ নাম জপ করেন। তিনি সময় পেলেই পাশের বাড়ির অমিয় চক্রবর্তীর কাছে ছুটে যান। অমিয় চক্রবর্তী একটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে তাকে শোনান। জগতের সর্বকালের অধ্যাত্ম ভাবনার চরম রূপ এ গ্রন্থটি। সাংসারিক জীবনে ধন, মান, প্রতিপত্তির প্রতি বীতস্পৃই এবং সম্পূর্ণ উদাসীন এক শ্রেণির লোকই জীবনের প্রকৃত গূঢ় অর্থ নির্ধারণে উৎসুক হয়ে সংসার ত্যাগপূর্বক অরণ্যে বসে গভীর ধান-ধারণা করতেন, তাদের চিন্তাপ্রসূত উক্তিগুলোই এ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। এ গ্রন্থে মানুষকে জীবন বিমুখ করে না বরং পরিপূর্ণ জীবনের কথা বলে।
ক. হিন্দুদের আদি ধর্ম গ্রন্থের নাম কী?
খ. বেদঃ অখিলধর্মমূলম্ -কথাটির অর্থ কী?
গ. উদ্দীপকে অমিয় চক্রবর্তী কোন গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করছিলেন? আলোচনা কর।
ঘ. উক্ত গ্রন্থের শিক্ষা মানুষকে জীবনবিমুখ করে না, বরং পরিপূর্ণ জীবনের কথা বলে- উক্তিটির তাৎপর্য মূল্যায়ন কর।
৮. প্রকাশ রায় এমন একটি ছেলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন এমন কিছু নেই যে তার সাথে সে জড়িত না। গত বছর পাশের বাড়িতে রামায়ণ গানের অনুষ্ঠানে আলোচনায় চিš§য় ব্যানার্জী বললেন, রামায়ণ গানের আমরা যে পাপ করি সেটার ফল তাকেই ভোগ করতে হবে। পিতা-মাতা-স্ত্রী-পুত্র-কন্যা কেউ তার ভাগীদার হবে না। সমীরণ পিছনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো শুনছিল। সেদিন চুরি না করে সে বাড়িতে ফিরে এলো। এরপর থেকে সে আর কোনো দিন খারাপ কাজ করেনি। আমাদের প্রত্যেকেরই রামায়ণ শ্রদ্ধাভরে পাঠ করা ও রামায়ণের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। [পাঠ-৫]
ক. লঙ্কার রাজার নাম কী?
খ. শ্বেতকেতু কে ছিলেন?
গ. প্রকাশ রায়ের জীবনের ওপর মূল্যবোধ ও নৈতিকতা গঠনে রামায়ণের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
৯. সৎমায়ের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পীতাম্বর ঘোষ বাবার সহায়-সম্পত্তির প্রতি সকল প্রকার লোভ-লালসা, অধিকার তুচ্ছ করে পিতার নির্দেশ পালন করেন। তিনি সম্পত্তির অধিকার ত্যাগ করে গৃহহীন হয়ে দেশান্তরিত হন। কিন্তু তার এ ত্যাগের সাথী হন ছোট ভাই এবং স্ত্রী। তারা পীতাম্বরের সঙ্গী হয়ে সবসময় তাকে ছায়ার মতো ঘিরে রাখেন।
[পাঠ-৫]
ক. রামায়ণের রচয়িতা কে?
খ. রামায়ণে কোন ধরনের কাহিনী বিবৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি তোমার পাঠ্যবইয়ের সংযোজিত কোন গ্রন্থের ঘটনাকে প্রতিফলিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনা এবং পাঠ্যবইয়ের উক্ত ঘটনার শিক্ষার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন কর।
১০. ‘রাখে হরি মারে কে’ এমন বক্তব্যের প্রমাণ মেলে ‘ক’ দেশটিতে কুচক্রী মহলের সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে ধর্মীয় ভাবধারায় পুষ্ট ‘ঢ’ দলটির ধর্ম পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘটনায় শক্তিশালী কুচক্রী ‘গ’ এর ষড়যন্ত্র ধর্মকে নস্যাৎ করে দেয়ার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে ধর্মপ্রাণ ‘ঢ’ দলের নেতারা ভগবানের সাহায্যে তাদের দেশে ধর্মকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
ক. মহাভারত গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদকারীর নাম লেখ।
খ. ‘যথা ধর্ম-তথা জয়’- কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি মহাভারতের কোন ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাটির শিক্ষা আমাদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সাধনে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম? মতামত উপস্থাপন কর।
১১. বিনয় দাস একজন খাঁটি ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। দৈনন্দিন শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি তার প্রাত্যহিক ধর্মকর্ম করতে কখনো ভুলে যান না। তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বেদ, বিকেলে রামায়ণ, রাতে মহাভারতের কিছু অংশ তিনি সবসময়ই অধ্যয়ন করেন। আর বিনয় দাসের এ কাজের ফলাফল হচ্ছে সবার চোখে আলাদা মর্যাদা লাভ।
ক. হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
খ. ধর্মের সাধারণ লক্ষণ বলতে কী বোঝ?
গ. হিন্দুধর্মের বিকাশে বিনয় দাসের পঠিত গ্রন্থগুলোর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আদর্শ জীবনাচরণ ও নৈতিকতা গঠনে বিনয় দাসের পঠিত গ্রন্থগুলোর ভূমিকা কতটুকু বলে তুমি মনে কর? মতামত উপস্থাপন কর।
১২. বেদ স্মৃতিঃ সদাচারঃ স্বস্য চ প্রিয়মাত্মনঃ।
এতচ্চতুর্বিধং প্রাহুঃ সাক্ষাৎ ধর্মস্য লক্ষণম্ ॥ (মনুসংহিতা)
ক. কোনটিকে আশ্রয় করে হিন্দুধর্মের বিকাশ হয়েছে?
খ. ধর্মগ্রন্থ মানুষকে কীভাবে নৈতিকতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলে?
গ. উদ্দীপকের লাইন দুটিতে ধর্মের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের লাইন দুটি ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ করে কি? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।
১৪. সন্তানের বয়স বারো বছর হতে না হতেই হেমাংক বাবু জিতুকে গুরুগৃহে প্রেরণ করে উপযুক্ত শিক্ষা লাভের জন্য। বেশ কিছু বছর গুরুগৃহে অধ্যয়নের পর জিতু বেশ অহংকার এবং দাম্ভিকতার সাথে বলে তার সব জ্ঞান অর্জন করা হয়েছে-তখন হেমাংক জিতুকে ব্রহ্ম তথা স্রষ্টা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে কিছুই বলতে পারে না। তখন হেমাংক বাবু নানা উপমার মাধ্যমে ছেলেকে স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বলেন জগতের সবকিছু ব্রহ্মময়।
ক. কোন উপনিষদটিকে সংহিতোপনিষদ বলা হয়?
খ. উপনিষদের বিভিন্ন প্রকারভেদ গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের কোন ঘটনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে হেমাংকু বাবুর শেষোক্ত উক্তিটি উপাখ্যানের শিক্ষার আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১৫. রজদপুর ইউনিয়নের বিজয় গোস্বামী দীর্ঘদিন ধরে চুরি ডাকাতি করে সংসারের ব্যয়ভার বহন করছে। মন্দিরের পুরোহিত তাকে এ কাজে নিবৃত্তি করতে চাইলে তিনি বলেন, তার পাপ কাজের ভার সকলে বহন করবে। কারণ সে স্ত্রী-পুত্র-পিতা-মাতা সবার জন্যই পাপ কাজ করছে। কিন্তু পুরোহিত মশায় তাকে বললেন, তোমার পাপের ভার কেউই গ্রহণ করবে না। এ কথা শোনার পর বিজয় গোস্বামী নিজেকে পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিল।
ক. রামায়ণের বাংলা অনুবাদকারীর নাম লেখ।
খ. রাম কেমন রাজা ছিলেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি রামায়ণের কোন ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত ঘটনাটি আমাদের কোন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে? পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণি: অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশন
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৭ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post