নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৮ম অধ্যায় : পূর্বের অধ্যায়ে আমরা ধর্মগ্রন্থ থেকে কীভাবে নৈতিক শিক্ষা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনেছি। বর্তমান অধ্যায়ে ধর্মগ্রন্থে ধর্মীয় উপাখ্যান ও নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে জানব। ধর্মগ্রন্থে বিভিন্ন ধরনের আখ্যান-উপাখ্যান ধর্মগ্রন্থের নানা বিষয়ের দৃষ্টান্ত হিসেবে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং উপাখ্যানগুলো নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং আমরা ধর্মীয় উপাখ্যান পাঠ করব এবং নৈতিক শিক্ষা আর্জন করব।
আমরা ধর্মগ্রন্থ থেকে নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে জেনেছি। ধর্মগ্রন্থে বিভিন্ন ধরনের আখ্যান-উপাখ্যান ধর্মতত্ত্বের নানা বিষয়ের দৃষ্টান্ত হিসেবে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং উপাখ্যানগুলো নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং আমরা ধর্মীয় উপাখ্যান পাঠ করব এবং নৈতিক শিক্ষা অর্জন করব।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৮ম অধ্যায়
১. পৃথাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। একদিন পৃথা মায়ের সাথে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাবে বলে বের হয়ে পথের ধারে বিক্শার জন্য অপেক্ষা করছে। এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে ভিক্ষা চাইল। পৃথার মা তাকে ভিক্ষা দিলেন। তা দেখে আরও কয়েকজন ভিক্ষুক এগিয়ে এলো। সবাইকে ভিক্ষা দেওয়ার পর মা দেখলেন তাদের কাছে রিক্শা ভাড়ার আর কোনো টাকা নেই। তখন তারা পায়ে হেঁটেই আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছালেন। এতে একটু কষ্ট হলেও এবং সময় বেশি লাগলেও তাদের মন মানুষের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দে ভরে গেল।
ক. রাজা রন্তিবর্মা কোন দেবতার ভক্ত ছিলেন?
খ. সকল জীবের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ কেন বুঝিয়ে লেখ।
গ. রন্তিবর্মার আচরণের যে দিকটি পৃথার মায়ের আচরণে প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পৃথা ও তার মায়ের অনুভূতি যেন রন্তিবর্মার অনুভূতিরই প্রতিফলন- বিশ্লেষণ কর।
২. অনুপমা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে প্রার্থনা করে-‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে’। অনুপমা সন্ধ্যায় পূজার্চনা করে। সে সকল মানুষকে শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। সে সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে নিজেকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অনুপমার এসব গুণাবলি সে তার বাবার কাছ থেকে অর্জন করেছে। তার বাবা প্রতিদিন ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন উপাখ্যান তাকে পড়ে শোনান এবং তাকে সত্য কথা ও সৎভাবে চলার জন্য উপদেশ দেন। [পাঠ : ১]
ক. জীবসেবা কিসের অঙ্গ?
খ. অযাচক বৃত্তি বলতে কী বোঝ?
গ. অনুপমার জীবনবোধের আলোকে ধর্মগ্রন্থে উপাখ্যান সন্নিবেশ করার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর ধর্মীয় উপাখ্যানের আদেশ-নির্দেশ আমাদের সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে? মতামত দাও।
৩. সহজাত কিছু প্রবৃত্তি নিয়ে প্রতিটি মানুষ জন্মগ্রহণ করে। আচার্য কৃষ্ণদেব মনে করেন, এই প্রবৃত্তিগুলো মানুষের মধ্যে উপস্থিত থাকলে তাকে মানুষ বলে চিহ্নিত করা যায় না। মানুষকে তখনই প্রকৃত মানুষরূপে চিহ্নিত করা যায়, যখন একটি বিশেষ গুণের দ্বারা তাকে অন্যান্য জীবজন্তু থেকে আলাদা করা যায়। তাঁর মতে জীবনের সকল ক্ষেত্রে এ গুণটি চর্চা করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।
ক. মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তির নাম লেখ।
খ. কেন সৎসাহসের প্রয়োজন?
গ. উদ্দীপকে মানুষকে অন্যান্য জীবজন্তু থেকে আলাদা করার জন্য কোন বিশেষ গুণটির প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আচার্য কৃষ্ণদেবের শেষোক্ত মতটির সাথে তুমি কি একমত? সপক্ষে যুক্তি দাও।
৪. পরিমল স্কুল থেকে এসে খাবার খেতে বসছে। এমন সময় একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুক তাদের দরজার সামনে এসে ভাত খেতে চাইল। কিন্তু তাদের বাসায় খাবার ছিল পরিমাণ মতো। বাধ্য হয়ে পরিমলের মা তার নিজের খাবারটা ভিক্ষুককে দিয়ে দিল। কিন্তু লোকটি এতই ক্ষুধার্ত ছিল যে এতেও তার পেট ভরল না। পরিমল এসব দেখে তার নিজের খাবারও বৃদ্ধ ভিক্ষুককে দিয়ে দিল। পরিমলের এই জীবসেবা মানবতার অঙ্গ।
ক. মানুষের প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা তার নাম কী?
খ. সৎসাহস বলতে কী বোঝ?
গ. পরিমলে পরিবার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা তুমি কীভাবে কাজে লাগাতে পার? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পরিমলের এ জীবসেবা মানবতার অঙ্গ- পাঠ্যবইয়ের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
৫. দরিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত সুধারাম খাদ্যাভাবে পাঁচ দিন অভুক্ত থাকার পর কিছু খাবার পেলেন। খাবারটুকু খেতে বসার আগেই প্রতিবেশী বিরু জ্যাঠা দুই দিন অভুক্ত থাকার কষ্টের কথা জানালে সুধারাম নিজের হাতের খাবারটুকু তার হাতে তুলে দিলেন।
ক. জাতির কল্যাণকর পথ কোনটি?
খ. মানুষ ধর্মকে শ্রদ্ধা করে কেন?
গ. সুধারামের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন মহামানবের সাদৃশ্য রয়েছে? বর্ণনা কর।
ঘ. ‘সুধারামের কর্মকাণ্ডে মানবতার সুর ধ্বনিত হয়েছে’-মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
৬. সিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বর্তমানে চাকরি করছে। জীবন মানেই তার কাছে এক দুঃসহ যন্ত্রণা। অনেক দুঃখকষ্ট সহ্য করে সে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ছেলেবেলায় বাবাকে হারিয়ে সে প্রতিটি ক্ষেত্রে যে বাধা পেরিয়ে এসেছে তা প্রতিনিয়তই তাকে পীড়া দেয়। তাই সে মনেপ্রাণে একজন সৎ, সাহসী ও সহিষ্ণু মানুষ হিসেবে সমাজে বেঁচে থাকার পাশাপাশি অসহায়, আর্ত ও পীড়িত মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। নিরন্নকে অন্ন, বস্ত্রহীনে বস্ত্র, বিপন্নকে আশ্রয় ইত্যাদি মানবতার গুণগুলো অর্জন করে সে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চায়।
ক. রাজা রন্তিবর্মা কোন দেবতার ভক্ত ছিলেন?
খ. সকল জীবের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠ কেন-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে সিন্তুর আচরণ কোন রাজার আচরণের সাথে তুলনীয় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন মানবিক গুণাবলি”-উক্তিটি মানবতার ধারণা পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৭. রুদ্রের বাবা একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, তার টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই। কিন্তু তার বন্ধু রাহুলের বাবা একটি কলেজে পিওনের চাকরি করেন। সামনে রুদ্রদের ফাইনাল পরীক্ষা। রুদ্রের বাবা রুদ্রকে পরীক্ষা ফি বাবদ দ্ইু হাজার টাকা দিয়েছে। রাহুলরা আর্থিকভাবে এত বেশি অনটনে ছিল যে ফি-এর টাকা জোগাড় করতে পারেনি। তাই তার পরীক্ষা দেওয়া হবে না। রুদ্র জানতে পেরে রাহুলকে তার নিজের ফি-এর টাকাটা দিয়ে দিল। রাহুল এতে এত বেশি খুশি হয়েছিল যে তার চোখে জল এসে পড়ল।
ক. রন্তিবর্মা কেমন রাজা ছিলেন?
খ. রাজা দশরথের পরিচয় দাও।
গ. রুদ্র কীভাবে রাহুলের পরীক্ষার ফি-এর টাকা দেওয়ায় অনুপ্রেরণা পেয়েছিল? রন্তিবর্মার মানবতা উপাখ্যানের অবলম্বনে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি রুদ্রের এ কাজটিকে সমর্থন কর? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
৮. ১৯৭১ সাল ২৫ মার্চ কালরাতে দশ বছরের বালক উদয়ের অন্তর বিদীর্ণ করে দেয় পাক বাহিনীর অত্যাচারের বীভৎসতা। বুদ্ধিজীবী বাবাকে বেয়োনেটের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে প্রাণ ত্যাগ করতে দেখে হৃদয়টা জ্বলন্ত আগুনের মতো সোচ্চার হয়ে ওঠে তার। লাশের পরে লাশ পড়তে দেখে গুমরে কেঁদে ওঠে উদয়ের নিষ্পাপ অন্তর। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ ত্যাগ করে সে। আর বাংলাদেশ অর্জন করে স্বাধীনতার লাল সূর্য। [পাঠ : ৪ ও ৫]
ক. বীরের ধর্ম কী?
খ. ‘ভীরু কাপুরুষরা সমাজের জঞ্জাল স্বরূপ’-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদয়ের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন বীর বালকের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সৎসাহস নামক নৈতিক গুণে উদ্বুব্ধ হয়েই উদয় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে’-উদ্দীপক এবং পাঠ্যবইয়ের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
৯. নন্দিতা রাণী তার পুত্র সপ্তম দেশ আর দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য যেকোনো ধরনের ত্যাগে উৎসাহিত করেন। এই লক্ষ্যে প্রায়ই মা তাকে যুদ্ধ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ইত্যাদির নানা কাহিনি শুনিয়ে থাকেন। এরূপ কাহিনির মধ্যে সপ্তম একটি কাহিনি বহুদিন যাবৎ লালন করছে, যা হলো “পিতার মতো কোনো এক ধার্মিক বালক নিজ দেশের বীরদের আত্মত্যাগের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বাণের আঘাতে প্রাণ হারালেন।” দিব্য দেহ ধারণ করা ঐ ধার্মিক বালক সপ্তমকে দেশের জন্য ত্যাগের পথে মানসিক শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়িত। [পাঠ-৪ ও ৫]
ক. বিভীষণের স্ত্রীর নাম কী?
খ. রন্তিবর্মা ঊনপঞ্চাশ দিনেও উপবাস কেন ভাঙতে পারেননি?
গ. উদ্দীপকে পাঠ্যবইয়ের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. ‘সপ্তম সৎসাহসী বালক তরণীসেনের কাহিনি নিজের মধ্যে লালন করছে’- বিশ্লেষণ কর।
১০. দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে কেশবপুর এলাকার জয়সিংহ তার বন্ধুদের নিয়ে একটি দল গঠন করে। দলের কার্যক্রম অনুযায়ী যথাসময়ে প্রতিমা স্থাপনসহ সকল কাজ শেষ করে পূজার পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এমতাবস্থায় কিছু দুর্বৃত্ত পূজা উদ্যাপন অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙনে উদ্বুদ্ধ হয়। জীবননাশের আশঙ্কা সত্ত্বেও জয়সিংহ তার বন্ধুদের নিয়ে প্রতিমা রক্ষায় দুর্বৃত্তদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে জয়সিংহ প্রাণ হারালেও প্রতিমা রক্ষিত হয়। [পাঠ : ৪ ও ৫]
ক. ত্রেতা যুগে অযোধ্যার রাজা কে ছিলেন?
খ. বিভীষণ লঙ্কা থেকে বিতাড়িত হলো কেন?
গ. জয়সিংহের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন গুণটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পাঠ্যবই ও উদ্দীপকের আলোকে মানব চরিত্রের উক্ত গুণের প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর।
১১. ‘ক’ রাজ্যের শাসক হরিচন্দ্র দাস শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই প্রজাদের মন জয় করেছেন। কৃষ্ণের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আর ভালোবাসা তাকে জনকল্যাণে কাজ করার প্রেরণা দিয়েছে। তিনি নিজে কষ্ট পেয়ে হলেও জনগণের সুখকে প্রাধান্য দিয়েছেন। একবার তার অভুক্ত প্রভুদের পরিবার পরিজনকে আহার করাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের খাবারটুকু তাদেরকে দান করে দিয়েছেন।
ক. অযাচক বৃত্তি কী?
খ. রন্তিবর্মা কোন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. হরিচন্দ্র দাসের মধ্যে রন্তিবর্মার কোন গুণটির প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বিশ্বকে শান্তিময় করে গড়ে তুলতে উক্ত গুণটির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
১২. ভাস্কর রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন উপকূলীয় কর্মী। তিনি জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে গ্রামের পর গ্রাম ভেঙে যেতে দেখে উদ্ধার তৎপরতায় নেমে পড়লেন। উদ্ধার কাজ চালানো অবস্থায় তিনি কয়েকজন মানুষকে এমন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে দেখতে পেলেন যেখান থেকে তাদের উদ্ধার করতে গেলে ভাস্করের জীবন নাশের আশঙ্কা রয়েছে।
ক. মানুষ হওয়ার জন্য কী প্রয়োজন?
খ. জীবসেবা বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্ধার তৎপরতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভাস্করের কোন গুণের প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শেষোক্ত পরিস্থিতিতে ভাস্করের করণীয় বিশ্লেষণ কর।
১৩. অনুরাধা বাবার সাথে যশোর থেকে ঢাকায় এসে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে নামে। তখন সে দেখতে পেল এক অসহায় বৃদ্ধা শীতে কাঁপছে। হাড়কাঁপানো শীত অথচ বৃদ্ধার পরনে একটা ছেঁড়া শাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। সে তখন নিজের কথা না ভেবে তার সোয়েটারটি বৃদ্ধাকে দিয়ে দিল। বৃদ্ধা সোয়েটারটি পেয়ে চৈতীকে প্রাণখুলে আশীর্বাদ করল। [পাঠ-৩]
ক. রাজা দশরথের কতজন রানি ছিল?
খ. রন্তিবর্মার পরিচয় দাও।
গ. অনুরাধার চরিত্রে রন্তিবর্মার কোন গুণটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনুরাধার মানবতাবাদ সমাজের জন্য কল্যাণকর- বিশ্লেষণ কর।
১৪. অলক বাবু অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অঢেল সম্পদের মালিক হয়েও তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। তিনি সব সময় পাড়া প্রতিবেশী সকলের মঙ্গল কামনা করতেন। তার সকল কিছুকে শ্রীকৃষ্ণের চরণে সমর্পণ করেছিলেন। তিনি সকলের মঙ্গলের জন্য উপবাস করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, কেউ ইচ্ছা করে কিছু না দিলে উপবাস ভঙ্গ করবেন না। তিনি সবসময় মানতেন মানবতাই পরম ধর্ম। [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক. কে বাংলায় মহাভারত রচনা করেন?
খ. ধর্ম রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা বীরের ধর্ম বলা যায় কেন?
গ. অলক বাবুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পঠিত গ্রন্থের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অলক বাবু মানবতাকেই পরম ধর্ম বলে আখ্যায়িত করেছেন, তুমি কি তার সঙ্গে একমত? যুক্তি দাও।
১৫. রক্তিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। সে ঢাকা থেকে বাসে করে বাড়ি যাওয়ার সময় ডাকাত দল বাসে আক্রমণ করল। একজন ব্যক্তি বাসের মধ্যে দারুণভাবে আহত হলো। কিন্তু সে অস্ত্রের ভয় না পেয়ে ডাকাতদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল। এজন্য সরকার তাকে পুরস্কৃত করল।
ক. মানবতা কী?
খ. রন্তিবর্মা ঊনপঞ্চাশ দিনেও উপবাস কেন ভাঙতে পারেনি?
গ. রক্তিমের মাঝে যে নৈতিকগুণের প্রকাশ ঘটেছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত নৈতিক গুণের প্রভাবে সমাজ কতটুকু প্রভাবিত হবে বলে তুমি মনে কর- পাঠ্যবই অনুসারে লেখ।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণি: অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশন
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ৮ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post