নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১০ম অধ্যায় : যিনি অবতরণ করেন তিনিই অবতার। তবে ধর্মশাস্ত্রে যে-কাউকেই অবতার বলা হয়নি। ভগবান বিষ্ণু যখন জগতের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন রূপে বৈকুণ্ঠ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন, তখন তাঁকে বলা হয় অবতার। কাজ শেষ হলে তিনি আবার স্বস্থানে ফিরে যান। বিষ্ণু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অবতাররূপে আবির্ভূত হয়েছেন। সেসবের মধ্যে দশ অবতার বিখ্যাত।
অবতার ছাড়াও যুগে-যুগে অনেক মনীষী জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যাঁরা আজীবন মানুষের কল্যাণ করে গেছেন। তাঁদের ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তাঁরা মানবকল্যাণে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেসব মহাপুরুষ ও মহীয়সী নারীদের জীবনই আমাদের নিকট আদর্শ জীবনচরিত।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১০ম অধ্যায়
১. তমা লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে বাড়ির উঠানের একপাশে পাখিদের জন্য খাবার দিয়ে রাখে। পাখিরাও নিয়মিত এসে খেয়ে যায়। এতে সে পরম আনন্দ লাভ করে। হঠাৎ তমার বাবা তমার লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করলে তমা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। অবশেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তমার অধিকার রক্ষা পায়।
ক. বিবেকানন্দ ‘বেদান্ত সমিতি’ নামে একটি সংগঠন কোথায় স্থাপন করেন?
খ. শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি বিবেকানন্দের ভক্তিভাব গড়ে ওঠার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. অনুচ্ছেদে তমার পাখিপ্রীতি স্বামী বিবেকানন্দের কোন মতাদর্শের অন্তর্ভুক্ত? তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. স্বামী বিবেকানন্দের কোন আদর্শ তমার শিক্ষকের চরিত্রে এবং কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে তা মূল্যায়ন কর।
২. ধর্মবিষয়ক শিক্ষক দীনেশচন্দ্র নবম শ্রেণিতে আদর্শ জীবনচরিত অধ্যায়ের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে এমন একজনের কর্মকা- তুলে ধরেন, যিনি ইউরোপীয় বেশভূষা ত্যাগ করে একজন জ্ঞান তপস্বিনীর বেশ ধারণ করেন এবং একটি আশ্রমের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আশ্রমটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে ওঠে। এমনকি তার সৌন্দর্যবোধ ও অভাবনীয় পরিকল্পনায় একটি নগরও গড়ে ওঠে।
ক. শ্রীবিজয় কৃষ্ণের পিতার নাম কী?
খ. বিজয়কৃষ্ণ কেন ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন?
গ. অনুচ্ছেদে ধর্মীয় শিক্ষক যে সাধক-সাধিকার কর্মকা- তুলে ধরেন তাঁর সাধনজীবন তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নগর প্রতিষ্ঠায় উক্ত সাধক-সাধিকার অবদান মূল্যায়ন কর।
৩. সুভাশীষ বাবু-বাবার একমাত্র সন্তান। তিনি মাকে খুবই ভালোবাসেন। পড়ালেখায় তার ছিল অসামান্য মেধা। একদিন এক সাধুর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হলে সাধু তাঁকে ব্রহ্ম সাধনার কথা বলেন। সাধুর পরামর্শে তিনি মোক্ষলাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্ম সাধনার জন্য গৃহত্যাগ করতে গেলে মা তাকে বাধা দেন। অবশেষে তিনি মা’কে বুঝিয়ে বলেন যে যেখানে থাকুক না কেন মায়ের অন্তিম সময়ে অবশ্যই পাশে উপস্থিত থাকবেন। একথা বলে তিনি চলে যান।
ক. শ্রীশঙ্করাচার্য কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. ‘জীব ও ব্রহ্মর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই’- বুঝিয়ে লেখ।
গ. শ্রীশঙ্করাচার্যের সাথে সুভাশীষ বাবু চরিত্রের বৈসাদৃশ্যগুলো ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শ্রীশঙ্করাচার্যের মত সুভাশীষ বাবুও ছিলেন মাতৃভক্ত- মূল্যায়ন কর।
৪. কাশীপুর এলাকার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষের অন্যায়Ñঅত্যাচার এত বেশি মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল যে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ভগবানের কাছে তার ধ্বংসের জন্য প্রার্থনা করত। অত্যাচারিত মানুষের আর্তনাদে ভগবান সাড়া দিয়ে নিমাই ঘোষকে উপযুক্ত শাস্তি দিলেন। ভগবান রাম হয়ে নিমাই ঘোষকে ধ্বংস করে অত্যাচারিত মানুষকে রক্ষা করলেন।
ক. কাকে ভগবানের পূর্ণাবতার বলা হয়?
খ. অংশাবতার বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে ভগবানের রাম হয়ে নিমাই ঘোষকে শাস্তি দেয়ার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মের কোন ধারণাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ভগবানের উক্ত রূপে আবির্ভূত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
৫. ড. বিমল সুদূর চীন থেকে শল্য চিকিৎসায় ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি তার এলাকার মানুষকে ব্যাধিগ্রস্ত দেখে ভীষণ কষ্ট পান এবং তাদের কল্যাণে চিকিৎসা কার্য শুরু করেন। তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি বই অনুসরণ করেন। যাতে শল্যবিদ্যা বিভিন্ন প্রকার এবং নানা অস্ত্রের বর্ণনা রয়েছে। এর প্রণেতাকে ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক বলা হয়।
ক. ভারতীয় শল্যবিদ্যার জনক বলা হয় কাকে?
খ. অনন্তদেব কেন মুনিপুত্ররূপে জš§গ্রহণ করেন?
গ. ড. বিমল দেব চিকিৎসা শাস্ত্রের কোন গ্রন্থটি অনুসরণ করেছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে অন্য কোন সমসাময়িক কালের চিকিৎসাশাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে? বিশ্লেষণ কর।
৬. মালাহাটি গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ৫,০০০ হিন্দু পরিবার তাদের মূল ধর্ম থেকে এসে নানা কুসংস্কারে জড়িয়ে পড়ে। তারা এতটাই হিংস্র হয়ে ওঠে যে, সামান্য কারণে মানুষ হত্যা কারতেও দ্বিধা করে না, জীবতো দূরে থাক, এ অবস্থায় শ্রীযতীশ নারায়ণ নামক একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি নতুন একটি ধর্মমত প্রচার করে তার ও মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি তার মেধা দিয়ে মানুষের মন জয় করে হিন্দুধর্মের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
ক. শ্রীশঙ্করাচার্য কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
খ. শ্রীশঙ্করাচার্য গৃহত্যাগ করেছিলেন কেন?
গ. শ্রীযতীশ নারায়ণের সাথে শ্রীশঙ্করাচার্যের মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিল থাকলেও শ্রীযতীশ নারায়ণ শ্রীশঙ্করাচার্যের পূর্ণ রূপ নয়-তুমি কি এ মন্তব্যের সাথে একমত? যুক্তিসহ উত্তর দাও।
৭. বিষ্ণু স্যারের নবম শ্রেণির ধর্মীয় ক্লাসে একজন মহামানবের জীবনী নিয়ে আলোচনা চলছিল। যে মহামানবকে যুদ্ধ সন্ধিক্ষণের মহামানব হিসেবে অভিহিত করা হয়। যার আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক জীবন যেমন ছিল বিপর্যস্ত ধর্মীয় জীবনও ছিল বিপর্যস্ত। তিনি ছিলেন শিবের উপাসক ও অদ্বৈতবাদের প্রবর্তক। জীবনের অসারতা প্রসঙ্গে যিনি বলেছেন, কে তব কান্তা আর কে তব কুমার? অতীব বিচিত্র এই মায়ার সংসার। যৌবনেই এই মহামানব ভারতের উত্তরখ-ে ইহলীলা সংবরণ করেন।
ক. চরক কখন আবির্ভূত হন?
খ. অবতারের ধরন ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে কোন মহামানবের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? মানবজীবনে তাঁর উপদেশ কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত মহামানবের মানবপ্রেম মূল্যায়ন কর।
৮. মেধাবী হলেও ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল না উজ্জ্বল রায়ের। পড়াশোনা, খেলাধুলার পরিবর্তে তিনি ভাবতেন কীভাবে কৃষ্ণকে পাওয়া যায়। তাই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসধর্মে দীক্ষা নেন তিনি। প্রচার করেন প্রেমধর্ম। সমাজের উঁচুনিচু ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে কাছে টেনে নেয়। বিল্টু-পিন্টু ডাকাত সহোদরকেও প্রেমভক্তি দিয়ে ধর্মের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। প্রেমভক্তি দিয়ে পাপী-তাপীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নেন উজ্জ্বল রায়।
ক. গৌর-নিতাই নামে কারা পরিচিতি?
খ. কুবেরের মন শান্ত হয়েছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের বিল্টু-পিন্টুর ধর্মের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি পাঠ্য বইয়ের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের উজ্জ্বল রায় যেন প্রভু নিত্যানন্দের এক পূর্ণ প্রতিচ্ছবি-মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
৯. রূপনগর গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একজন মহামানবের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। ক্ষমা, প্রেম, আর ভালোবাসা দিয়ে যে পৃথিবীর সবকিছু জয় করা যায় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই মহাসাধক। কৃষ্ণ চিন্তায় যিনি সারাক্ষণ বিভোর থাকতেন। কীভাবে কৃষ্ণ দর্শন হবে এ ভাবনায় তার দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছিল। হঠাৎ একদিন স্বপ্নে কৃষ্ণ তাকে বলেন, তুমি গৌড় দেশে নবদ্বীপে নিমাই পণ্ডিতের সাথে প্রেমভক্তি প্রচার কর। তিনি তা-ই করলেন। নবদ্বীপের বিদ্বান, মূর্খ, ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল, ধনী, দরিদ্র সকলের মধ্যে হরিভক্তি ও প্রেমার্থ বিতরণ করেন। গৌরাঙ্গ প্রবর্তিত প্রেমধর্মের এক মহাপ্রচারকরূপে গৌড়দেশে আবির্ভূত হন এই মহাসাধক।
ক. নিত্যানন্দের প্রকৃত নাম কী ছিল?
খ. গৌরাঙ্গ প্রবর্তিত প্রেমধর্ম ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন মহাসাধকের কথা বলা হয়েছে? তাঁর ক্ষমার একটি দৃষ্টান্ত দাও।
ঘ. গৌরাঙ্গ প্রবর্তিত প্রেমধর্মের এক মহাপ্রচারকরূপে গৌড়দেশে আবির্ভূত হন এই মহাসাধক-বিশ্লেষণ কর।
১০. অশ্বিনী বাবু ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি। সমাজের অধঃপতন তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছেন না। ফলে তিনি সমাজের মঙ্গলকামনায় ধর্মীয় বাণী প্রচার করতে থাকেন। কিন্তু গ্রামের নিহার তার এই কর্মকে কোনোভাবে গ্রহণ করতে না পেরে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। তাতেও অশ্বিনী বাবু পিছু হটেন নি। একদিন রাস্তায় নিহার আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে অশ্বিনী বাবু তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। নিহার সেরে উঠে অশ্বিনী বাবুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং তার সাথে কাজ করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন।
ক. কাকে ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক বলা হয়?
খ. শ্রীকৃষ্ণকে পূর্ণাবতার বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে অশ্বিনী বাবুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পঠিত কোন আদর্শ চরিত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অশ্বিনী বাবু ক্ষমা ও প্রেমভক্তি দিয়ে নিহারের মতো দুর্জন ব্যক্তিকে সৎপথে ফিরিয়ে এনেছেনÑ উত্তরের সপক্ষে মতামত দাও।
১১. রাজরানি হয়েও কিছু মানুষ ভিখারিণীর মতো জীবনযাপন করতে ভালোবাসেন। পার্থিব সুখ-সমৃদ্ধি তাদের জীবনকে আকর্ষণ করতে পারে না। ভারতের রাজস্থানে রাজপরিবারে এমনই একজন মহীয়সী নারী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বালিকা বয়সেই এই মহীয়সী ভক্তিরসাত্মক ভজন রচনায় অসামান্য প্রতিভার পরিচয় দেন। উপযুক্ত বয়সে এক রাজপুত্রের সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু সংসারের প্রতি তার কোনো আগ্রহ ছিল না। রাজবধূর বেশে তিনি যেন এক সর্বজাগিনী তপস্বিনী। তার রচিত ভজন সংগীত কৃষ্ণপ্রেমের গান, কৃষ্ণের উপাসনা ভগবৎ সাধনার এক নতুন পথ প্রদর্শন করে।
ক. কত খ্রিষ্টাব্দে মীরার বিবাহ হয়?
খ. মীরাবাঈ সম্পর্কে ধারণা দাও।
গ. উদ্দীপকে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন মহীয়সী নারীর কথা বলা হয়েছে? তাঁর সাধন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত মহীয়সী নারীর জীবনী থেকে অনেক কিছুই শিক্ষণীয় রয়েছে- মতামত দাও।
১২. কৌশিক মাঝে মাঝে আকাশের উড়ন্ত বলাকার ঝাঁক ও প্রকৃতির দৃশ্য দেখে ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়ে। স্কুলের লেখাপড়ায় একটুও মন নেই তার। কিন্তু ভজনকীর্তনের প্রতি তার আকর্ষণ ছিল অনেক বেশি। ছোটবেলায় যখন তার বাবা মারা যায় তখন তার জীবনে অদ্ভুত এক পরিবর্তন আসে। কখনো সে শ্মশানে গিয়ে বসে থাকে। কখনো নির্জন জায়গায় গিয়ে সময় কাটায়। একটি সময় সে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে গিয়ে ভবতারিণীর পূজায় মনপ্রাণ ঢেলে দেন।
ক. শ্রীরামকৃষ্ণ কখন পরলোক গমন করেন?
খ. শ্রীরামকৃষ্ণের বাল্যজীবন ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে কৌশিকের মধ্যে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন মহাপুরুষের গুণাবলি বিদ্যমান? তিনি কীভাবে সর্বক্ষেত্রে সিদ্ধিলাভ করেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত মহাপুরুষের উপলব্ধি বিশ্লেষণ কর।
১৩. সত্যজিতের ইঞ্জিনিয়ারিং চূড়ান্ত পরীক্ষা সামনে। সে প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু ব্রাহ্ম সমাজ থেকে ডাক এল ধর্ম প্রচারের জন্য। সত্যজিত তখন তার জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে ধর্ম প্রচারের দায়িত্ব নেন। সে খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন : বটিয়াঘাটা, রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া অঞ্চলে ধর্ম প্রচার শুরু করেন। অনেককে সে দীক্ষাও দেন।
ক. ঝুলনের পুণ্য তিথিতে কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
খ. শ্রীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর পিতামাতার পরিচয় দাও।
গ. সত্যজিতের আচরণ তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন মহাপুরুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর ধর্ম প্রচারের কাজ করতে গিয়েই উক্ত মহাপুরুষের মৃত্যু হয়েছিল? মতামত দাও।
১৪. উচ্চ শিক্ষিত ধর্মপ্রাণ মৃš§য় দাস নিজ সমাজের দুরবস্থা দেখে ভীষণ কষ্ট পান। তিনি পুরো এলাকা ঘুরে ঘুরে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য মানুষকে ধর্মের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন। মানবধর্মে বিশ্বাসী এই যুবক সকল ধর্মের সমন্বয়ের মাধ্যমে শান্তি স্থাপনে বিশ্বাসী ছিলেন। তার এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জনেও সহায়তা করেছে।
ক. রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন কে?
খ. স্বামী বিবেকানন্দের আমেরিকার ধর্ম সভার বিচারে শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার কারণ কী ছিল? ব্যাখ্যা কর।
গ. মৃন্ময় দাসের সাথে স্বামী বিবেকানন্দের মিল কোথায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মৃন্ময় দাসের কর্মকাণ্ডে স্বামী বিবেকানন্দের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
১৫. চন্দনা রানির বয়স যখন চার বছর তখন থেকেই তিনি আধ্যাত্মিক ভাবনায় মাঝে মধ্যে ধ্যানমগ্ন হয়ে পড়তেন। অন্য আর পাঁচজন শিশুর মতো শৈশবেই তার প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পড়াশোনার প্রতি তার কোনো আসক্তি ছিল না। তিনি শুধু ঈশ্বর চিন্তা করতেন। ভারতীয় দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করে তিনি মুগ্ধ হন। তাই তিনি সুদূর প্যারিস ছেড়ে ভারতে চলে আসেন।
ক. শ্রীমা কাকে সঙ্গে করে ভারতে আসেন?
খ. পশু-পাখির সঙ্গে শ্রীমার কীভাবে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে?
গ. তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন মহীয়সী নারীর সাথে চন্দনা রানির মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত মহীয়সী নারী ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী-এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
১৬. বিদেশি নারী মেহতা দাস ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিক সাধনায় মগ্ন থাকতেন। পার্থিব কোনো বিষয়ের প্রতি তার কোনো আগ্রহ ছিল না। ঈশ্বর চিন্তায় নিমগ্ন এ নারী এক সময় স্বপ্নে দেখা জ্যোতির্ময় পুরুষের সন্ধানে দেশান্তরিত হন এবং তার দেখা পান। এ ব্যক্তির সহযোগিতায় মেহতা দাসের জীবনের উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়।
ক. অরোভিল নগর প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন কে?
খ. পণ্ডিচেরী আশ্রমের প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
গ. মেহতা দাসের মধ্য দিয়ে কোন নারীর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত নারী তার গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন কি? মতামত দাও।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণি: অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশন
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post