নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১ম অধ্যায় : যিনি নিজেই নিজের শ্রষ্টা, সর্বশক্তির উৎস, যার উপরে কেউ নেই, তিনিই পরম পিতা । তিনিই পরম শ্রষ্টা। তিনি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা এবং নিয়ন্তা । সনাতন ধর্ম তথা হিন্দুধর্মের চেতনায় তাকে নানা নামে অভিহিত করা হয়েছে । তিনি ব্রহ্ম, পরমেশ্বর, পরমাত্মা, আত্মা, ঈশ্বর, ভগবান। স্রষ্টাকে উপাসনার মাধ্যমে আমরা তীর সন্তুষ্টি ও সান্যিধ্য লাভ করতে পারি।
আমাদের সকল কাজে গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ এবং তার উপাসনা করা উচিত। এ অধ্যায়ে আমরা তার স্বরূপ, সৃষ্টির মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা, তার গুণ ও শক্তিরূপে দেব-দেবীর পরিচয়, তাকে উপাসনার ধারণা ও প্রয়োজনীয়তা এবং উপাসনার একটি মন্ত্র বা শ্লোক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করব।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১ম অধ্যায়
১. শুভ্র ও তার মায়ের কথোপকথন-
শুভ্র – মা, দিনের পর রাত, রাতের পর দিন হয় কেন? দাদু মারা গেলেন কেন?
মা – এটি মহাবিশ্বের একটি নিয়ম। এর মূলে রয়েছেন স্রষ্টা। তাঁকে আমরা ঈশ্বর বলি।
শুভ্র – মা, ঈশ্বর কে? ব্রহ্মা, শিব না বিষ্ণু?
মা – এঁরা সকলেই এক ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণ ও শক্তি এবং ঈশ্বরের সাকাররূপের প্রতিফলন। তাই আমরা বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করি।
ক. বিষ্ণুর সর্বশেষ অবতার কোনটি?
খ. উপাসনা বলতে কী বোঝায়?
গ. অনুচ্ছেদে শুভ্রের প্রশ্নের জবাবে তার মা স্রষ্টার কোন ভূমিকার কথা ব্যক্ত করেন তা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শুভ্রের মায়ের শেষোক্ত কথাটি- ‘ঈশ্বরের সাকার রূপের প্রতিফলন’- বিশ্লেষণ কর।
২. পল্লব একটি ধর্মীয় বই পড়ে এমন একজন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছেন যিনি ভূতগণের উৎপত্তি, বিনাশ ও বিদ্যা-অবিদ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে সব কিছুই জানে। বইটি পড়ে তিনি আরও জানতে পারে কার মধ্যে সে তার অভিষ্ট প্রত্যক্ষ করতে পারবে। মা-বাবা ছেলের ধর্মীয় বই পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে পুলকিত হয়। [পাঠ : ১ ও ২] [বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী]
ক. ব্রহ্ম জীবদেহে কীরূপে বিরাজ করেন?
খ. “ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়”- ব্যাখ্যা কর।
গ. পল্লবের পঠিত বইটিতে যে উপায়ে ভগবানরূপে স্রষ্টার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর পল্লবের পঠিত বইয়ে যার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে তিনি জীবের মতো দেহধারী হয়ে তপস্যা, ধ্যান, প্রার্থনা ও সকল সুখ-দুঃখ ভোগ করেন? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৩. রাজিব প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখে তার বাবা গীতা পাঠ করছেন। রাজিব কখনো তার বাবাকে মিথ্যা বলতে শোনেনি, অন্যায় করতে দেখেনি। তিনি সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। সে তার বাবাকে প্রশ্ন করে তুমি প্রতিদিন কার কাছে প্রার্থনা কর? বাবা বলেন, যিনি এই সৃষ্টি জগতের আদি কারণ, যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং সবকিছুতে আছেন তাঁর কাছে প্রার্থনা করি। তিনি রাজিবকে অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, সবসময় সতর্ক থাকবে, তোমার কর্মকে পাপমুক্ত রাখবে, তাহলে কর্মফল ভালো হবে। [পাঠ : ১-৩]
ক. কে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন?
খ. কখন ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয়?
গ. রাজিবের বাবা প্রতিদিন কার কাছে, কেন প্রার্থনা করেন? তাঁর স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রাজিবের বাবার শেষ উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
৪. অখিল বণিক দেশের ব্যস্ততম শহরে বসবাস করেন। এখানকার মানুষ অনিয়মের বেড়াজালে নিমজ্জিত। সামাজিক অশ্লীলতা ও পাপ কাজে মানুষের মানবতাবোধ হারিয়ে ফেলেছে। অখিল বণিক প্রার্থনা করে বলেন, আপনি এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং এই অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা থেকে আমাদের পরিত্রাণ করুন। [পাঠ : ৩]
ক. ঈশ্বর বিশ্ব ব্রহ্মা-কে পরিচালিত করেছেন কীভাবে?
খ. স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে গভীর সম্পর্ক- কথাটি বুঝিয়ে লেখ
গ. অখিল বণিক পৃথিবীতে আসার জন্য ঈশ্বরের কোন রূপের প্রকাশ চান পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের অনুরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ভগবান বিষ্ণু অসংখ্যবার পৃথিবীতে এসেছিলেন, পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৫. সমীর চৌধুরী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে নিজের জমির উপর একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি এলাকার মন্দির ও রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য অর্থ প্রদান করে থাকেন। তিনি মনে করেন এমন একজন সর্বত্র বিরাজ করছে যিনি নিত্য, শুদ্ধ ও পরম পবিত্র এবং সকল কর্মের ফলপ্রদানকারী যার অনন্ত মহিমা বোঝার সাধ্য কারো নেই।’ [পাঠ : ১-৩]
ক. পরমাত্মার সকল গুণ কার মধ্যে বিদ্যমান থাকে?
খ. স্রষ্টার স্বরূপ বলতে কী বোঝায়?
গ. সমীর চৌধুরীর কর্মের ফল প্রদানের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সমীর চৌধুরীর উপলব্ধি পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৬. সজীব পত্রিকায় প্রতিদিন শুধু যুদ্ধ, হানাহানি, হত্যা, খুন ইত্যাদির রিপোর্ট দেখতে দেখতে পত্রিকা পড়া ছেড়ে দিয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষ আসলে সভ্য হয়নি। দিন দিন আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে। তবুও সজীব বিশ্বাস হারায় না। সে বিশ্বাস করে ঈশ্বর আছেন। তিনি অবশ্যই আমাদের রক্ষা করবেন। সে তার পাঠ্যবইয়ে পড়েছে মানুষ যখন এমন পরিস্থিতিতে কোনো মুক্তির পথ বের করতে পারে না তখন ঈশ্বর তাদের সহায়তা করেন। [পাঠ : ৩]
ক. ভক্তের কাছে ঈশ্বর কী?
খ. ব্রহ্মরূপে স্রষ্টার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
গ. সজীব ঈশ্বরের কোন রূপের প্রকাশ চায়? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে লেখ।
ঘ. ঈশ্বরের উক্ত রূপের প্রকাশের ফলাফল পর্যালোচনা কর।
৭. অসীম আজ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। ডাক্তার কবিরাজ কত কী দেখানো হয়েছে। অনেক ওষুধ-পথ্য সেবন করেছে। কিন্তু অসীমের কোনো উন্নতি নেই। বাবা-মা দুজনেই খুব চিন্তিত। অসীমের মা অসীমের আরোগ্য লাভের জন্য বিশেষভাবে একজন দেবীর পূজা করছেন কয়েকদিন। তার বিশ্বাস, দেবীই পারবেন তার ছেলেকে পুরোপুরি সুস্থ করে দিতে। অসীমের বোন পড়াশোনায় খুব ভালো। সেও একজন দেবীর নিত্যপূজা করে। [পাঠ : ৪]
ক. ভগবান শ্রীবিষ্ণু কে?
খ. বিভিন্ন নামে বা রূপে ব্যক্ত হলেও দেবতারা এক ঈশ্বরের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ- ব্যাখ্যা কর।
গ. অসীমের মা কোন দেবীর পূজা করেছেন?
ঘ. অসীমের মা ও বোনের অভীষ্ট দেবীদ্বয়ের শক্তির পার্থক্য আলোচনা কর।
৮. অপু ও শিমুল বন্ধু। তারা একসাথে বসে গল্প করার সময় ঈশ্বরের নানা গুণের কথা আলোচনা করে। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন দেবতার দেবমূর্তি আছে। অপু প্রতিদিন তাদের প্রণাম করে। তার মা যখন দেবতাদের পূজা করেন তখন অপুও তার সাথে সাথে করে। শিমুলের ভক্তির প্রকাশ অন্যরকম। দেবমূর্তির কাছে সে যায় না। তার ভক্তি অন্তরে। ঈশ্বরের প্রতি তার যে ভালোবাসা তা সে অন্তরের গভীর থেকেই তাঁকে সবসময় নিবেদন করে। [পাঠ : ৫]
ক. পরম তৃপ্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ কী?
খ. উপাসনা বলতে কী বোঝ?
গ. অপু কীরূপ উপাসনা করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অপু ও শিমুলের পূজা পদ্ধতির পার্থক্য পর্যালোচনা কর।
৯. খাট, পালঙ্ক, টাকা পয়সা, ধন-দৌলত ইচ্ছা করলে সবই পাওয়া যায়। এসব বস্তুগত পাওয়ার মধ্যে আনন্দ আছে সত্যি কিন্তু স্থায়ী সুখ দান করে না। তুমি যদি স্থায়ী সুখ পেতে চাও তবে সেই পরম পুরুষের ধ্যান করতে হবে। ব্যক্তিসত্তাকে পরম পুরুষের সাথে বিলীন করার জন্য সাধনা করতে হবে। আর তা দুটি উপায়ে করা যায়। [পাঠ : ৫]
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
ক. কার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছুই নেই?
খ. এ মহাবিশ্ব যিনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন, তিনি সকল দুঃখ থেকে মুক্তÑ কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপককে পাঠ্যপুস্তকের যে ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করে দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকে যার সান্নিধ্যের কথা বলা হয়েছে তা দু’ধরনের বলতে কী বোঝানো হয়েছে? মূল্যায়ন কর।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: স্রষ্টা, সৃষ্টি ও সেবা
১. মৌমিতার বোনের জন্মের সাত দিন পরেই তার ঠাকুরমার মৃত্যু হয়। প্রিয় ঠাকুরমাকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়ে এবং মায়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলে মা তাকে জীবাত্মা সম্পর্কে একটি ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য বুঝিয়ে বলেন। মৌমিতা তা উপলব্ধি করতে পেরে শ্রদ্ধায় ঈশ্বরের প্রতি মাথা নত করে।
ক. ব্রহ্ম থেকে কী সৃষ্টি হয়েছে?
খ. ঈশ্বরকে কেন আদি শক্তি বলা হয়?
গ. অনুচ্ছেদে মৌমিতার মা কোন ধর্মগ্রন্থের বক্তব্য তুলে ধরেন তা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মৌমিতার উপলব্ধিটি তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে মূল্যায়ন কর।
২. মনোজ ও সুধাংশু দুই সহপাঠী। মনোজ বাড়ির পোষা গরু-ছাগলগুলো খুব যত্নের সাথে দেখাশুনা করে। অপরদিকে সুধাংশু বাড়ির চারদিকে ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা রোপণ করে সেগুলোর পরিচর্যা করে। তারা বিশ্বাস করে এসব কর্মের মাধ্যমে তারা ঈশ্বরের সান্নিধ্যলাভে সমর্থ হবে। [এসএসসি স. বো. ’১৫]
ক. যোগীর নিকট ঈশ্বর কী?
খ. ‘আত্মা জন্মরহিত, নিত্য, শাশ্বত এবং পুরাণ’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. মনোজ চরিত্রে ঈশ্বর সেবার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে তা আলোচনা কর।
ঘ. সুধাংশু কি তার কৃতকর্মে ঈশ্বরের সান্নিধ্যলাভ করতে পারবে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৩. সুমি তার পিতার কাছে জানতে চায় দিনে সূর্যের আলো, রাতে চাঁদের সৌরভ, তারার মেলা, সাগরের জল, মাটি বাতাস এসব কিছু কীভাবে, কার দ্বারা সৃষ্টি হলো। পিতা উত্তর দিলেন, এসব একজনেই তৈরি করেছেন। তিনি সবার চেয়ে আদি পুরুষ, তাঁর রূপের কোনো সীমা নেই। [নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ, চট্টগ্রাম]
ক. অনল শব্দের অর্থ কী?
খ. দেহ ও আত্মার সম্পর্ক কেমন?
গ. সুমির বর্ণনামতে নিখিল বিশ্ব সৃষ্টির ধারণা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘সুমির পিতার উত্তরে এটাই প্রমাণিত যে, ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে এসব তৈরি অসম্ভব’- পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৪. রাধিকা খুব প্রকৃতিপ্রেমিক। আকাশের চাঁদ, বাগানের ফুল, পাখির গান, নদীর কলতান তার খুব ভালো লাগে। তার একটি পোষা বিড়াল আছে। বন্ধুদের সাথে স্টাডি ট্যুরে সে অনেক জায়গায় ঘুরেছে। পাহাড়ের উচ্চতা, সাগরের বিশালতা তাকে মুগ্ধ করেছে। বার বার সে উপলব্ধি করেছে এই পৃথিবী কতই না সুন্দর। সবসময় সে ভাবতো এই বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা কে, যিনি এতো সুন্দর করে সবকিছু সাজিয়েছেন। সে ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সেই উত্তরও পেয়েছে।
ক. ঈশ্বর ভক্তের নিকট কী?
খ. জীবাত্মার স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
গ. রাধিকার উপলব্ধি তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রাধিকার চারপাশের পরিবেশের সাথে ঈশ্বরের সংযোগ কিরূপ তা বিশ্লেষণ কর।
৫. সুপ্রিয়ার দাদু মারা গেছেন দু’দিন হলো। দাদু তাকে খুব আদর করত, ভালোবাসতো। দাদু মারা যাওয়ার পর সুপ্রিয়ার এত কান্না পেয়েছে যে, সারাদিন সে শুধু কেঁদেছে। পরে ছোট কাকা এসে বোঝালেন তুমি যে ভাবছ তোমার দাদু মারা গেছেন আসলে কিন্তু তা নয়। শুধু দেহটাই নিষ্ক্রিয় হয়েছে। তোমার দাদুর আত্মা এখনও বেঁচে আছে। আত্মার মৃত্যু নেই। আত্মা চিরন্তন। এই আত্মাই এক সময় পরমাত্মার সাথে মিলিত হবে। তখন তোমার দাদুর আত্মা মুক্তি পাবে। সুপ্রিয়ার মনে পড়ল তার পাঠ্যপুস্তকের কথা। তার মনে হলো-আরে মানবাত্মার সাথে পরমাত্মার তো পার্থক্য নেই।
ক. জীবকুল সৃষ্টির মূলে কে?
খ. ঈশ্বর জীবের মাঝে কীভাবে অবস্থান করেন?
গ. আত্মা সম্পর্কে সুপ্রিয়ার ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুপ্রিয়ার কাকার বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।
নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১ম অধ্যায়
৬. মিহির বাবু তার পরিবার নিয়ে শহরে বাস করেন। একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে সপরিবারে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে গেলেন। সেখানকার পাহাড়, নদী ও আকাশের পাখি দেখে বিমোহিত হলেন। তার মধ্যে ভাবের সৃষ্টি হলো। তিনি বুঝতে পারলেন, সকল সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিদ্যমান। [পাঠ : ৩ ও ৪]
ক. ঈশ্বর জ্ঞানীদের কাছে কী নামে পরিচিত?
খ. পরমাত্মা ও জীবাত্মার মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিহির বাবুকে কীভাবে প্রভাবিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিহির বাবুর উপলব্ধি তোমার নিজের ভাষায় মূল্যায়ন কর।
৭. শ্যামল ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তিনি জীবসেবার মাধ্যমে স্বর্গে গমন করতে চেয়েছিলেন। এই নিরিখে তিনি গড়ে তুলেছিলেন দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র, নানা ঔষধি গাছ ভরা বাগান ও পশু খামার। তিনি ধর্মীয় বই পড়ে জানতে পারেন প্রাণিকুলের মধ্যে তার সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান এবং এদের সেবা করা মানে সৃষ্টিকর্তার সেবা করা। [পাঠ : ৫] [ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. হিন্দুধর্মানুসারে ‘বৃক্ষ’ কী?
খ. আত্মার জন্ম নেই মৃত্যু নেই- ব্যাখ্যা কর।
গ. শ্যামলের কর্মকাণ্ডে যে বিষয়টির প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শ্যামলের কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
৮. রোহিতকে পাড়ার সকলে দুষ্টু ছেলে বলে জানে। তার সমবয়সীদের সাথে সে সবসময় ঝগড়া বিবাদ করে। ছোটদের সে মজা করে মারে। ছোটরা তাকে পছন্দ করে না। বন্য পশু, জীবজন্তু কেউ তার হাত থেকে রক্ষা পায় না। কুকুর দেখলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আসে। ঘরের পোষা বিড়ালটি তার হাতে মার খেতে খেতে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। একদিন রাস্তায় পা ভাঙা একটি কুকুরকে খুব পিটাচ্ছিল সে। এমন সময় তার শিক্ষক এসে তাকে বুঝিয়ে বললেন জীবকে কষ্ট দেয়া কতটা পাপ, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের বাণী বললেন। সেদিন থেকে রোহিত কোনো জীবকে কষ্ট দেয় না। সর্বদা জীবসেবায় নিজেকে ব্যস্ত রাখে।
ক. জীবের মাঝে আত্মারূপে কে অবস্থান করেন?
খ. জীবসেবা বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের শুরুতে রোহিতের যে কর্ম দেখানো হয়েছে তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রোহিতের শেষ কাজটির ফলাফল তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে পর্যালোচনা কর।
►► আরো দেখো: নবম-দশম শ্রেণি: অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশন
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে নবম দশম শ্রেণির হিন্দুধর্ম ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post