কোর্সটিকায় ইতোমধ্যে নতুন কারিকুলামের ৯ম শ্রেণির প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। আজকে আমরা নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ৫ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। ৯ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষার এই অধ্যায়ের নাম হচ্ছে– আদর্শ জীবন চরিত। আজকের আলোচনা শেষে তোমরা পেয়ে যাবে এই অধ্যায়ের ওপর একটি ক্লাস।
উক্ত ক্লাসে আদর্শ জীবন চরিত অধ্যায়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এই অধ্যায়ে যেসকল কাজ করতে বলা হয়েছে সেসকল কাজ কীভাবে সম্পন্ন করবে সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। ৯ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের সমাধান এভাবে তোমরা ইসলাম শিক্ষা বইটি সহজে বুঝতে পারবে।
নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ৫ম অধ্যায় সমাধান
প্রিয় শিক্ষার্থীরা,
আমরা পূর্বের শ্রেণিতে আমাদের প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.)সহ কয়েকজন নবি-রাসুল এবং মুসলিম মনীষীর জীবনাদর্শ সম্পর্কে জেনেছি। তাঁদের জীবনাদর্শ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে অনুশীলন করতে হবে। হযরত মুহাম্মাদ (সা.)- এর জন্ম, নবুওয়াত লাভ, মক্কায় ইসলাম প্রচার, মি’রাজ গমন এবং মদিনায় হিজরত পর্যন্ত জীবনচরিত সম্পর্কে জেনেছি।
অষ্টম শ্রেণিতে মদিনায় ইসলাম প্রচার, মদিনা রাষ্ট্র গঠন, আত্মরক্ষায় বদর, ওহুদ, খন্দকসহ বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা এবং হুদাইবিয়ার সন্ধি ও এর তাৎপর্যসহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। এ শ্রেণিতে আমরা খায়বর বিজয়, মুতার যুদ্ধ, মক্কা বিজয়, হুনায়নের যুদ্ধ, তাবুক অভিযান ও বিদায় হজ সম্পর্কে জানব।
খায়বর বিজয়
খায়বার মদিনা থেকে ৮০ মাইল দূরের একটি বসতির নাম। মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য মদিনা থেকে বহিষ্কৃত ইহুদিরা খায়বর নামক স্থানে বসবাস করছিল। বহিষ্কারের পরও তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। তারা মহানবি (সা.)-কে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারা বনু গাতফান ও বেদুইনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে মদিনা আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। এমনকি মুসলমানদের আক্রমণ করার জন্য তারা চার হাজার সৈন্য প্রস্তুত করে।
মহানবি (সা.) তাদের ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে সপ্তম হিজরিতে ১৬০০ জন সৈন্য নিয়ে খায়বরে অভিযান পরিচালনা করেন এবং তাদেরকে পরাজিত করেন। পরাজয়ের পরও মহানবি (সা.) তাদের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ না করে নিরাপত্তা কর প্রদানের বিনিময়ে তাদের ক্ষমা করে দিলেন। তাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দিলেন এবং তাদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা প্রদান করলেন। বিজিত অঞ্চলে মহত্বের এরূপ উদাহরণ ইতিহাসে বিরল। |
মুতার যুদ্ধ
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রোমান সামন্তরাজ শুরাহবিল সিরিয়া সীমান্তে মুতা নামক স্থানে একজন মুসলিম রাজদূতকে হত্যা করে। বাধ্য হয়ে মহানবি (সা.) যায়েদ বিন হারেসের নেতৃত্বে ৩০০০ মুসলিম সৈন্যের একটি দল মুতা অভিমুখে প্রেরণ করেন। মুতা নামক স্থানে মুসলিম সৈন্যরা লক্ষাধিক রোমান সৈন্যের মুখোমুখি হয়। বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরপর তিনজন সেনাপতি যায়েদ, জাফর ও আব্দুল্লাহ শহিদ হন।
এরপর মহাবীর খালিদ সেনাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি সাময়িকভাবে পশ্চাদপসরণের কৌশল অবলম্বন করেন। ইতোমধ্যে মহানবি (সা.) প্রেরিত সাহায্যকারী একটি সেনাদল মুতায় এসে পৌঁছে। এরপর সম্মিলিত মুসলিম বাহিনী প্রচণ্ড বিক্রমে শত্রুদের ওপর আঘাত হানে। ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায় এবং মুসলমানদের বিজয় অর্জিত হয়। মহানবি (সা.) এ যুদ্ধে সাহসী নেতৃত্বের জন্য খালিদ বিন ওয়ালিদকে সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তরবারি) উপাধিতে ভূষিত করেন।
মক্কা বিজয়ের প্রেক্ষাপট
হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তানুসারে খুজা’আ সম্প্রদায় মহানবি (সা.)-এর সঙ্গে এবং বনু বকর সম্প্রদায় কুরাইশদের পক্ষে যোগদান করেছিল। কিন্তু সন্ধির দুই বছরের মধ্যেই কুরাইশরা হুদায়বিয়ার সন্ধি ভঙ্গ করে। বনু বকর সম্প্রদায় কুরাইশদের সহায়তায় খুজা’আ সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে কয়েকজনকে হত্যা করে। মহানবি (সা.) হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তানুসারে তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন।
তিনি প্রথমে কুরাইশদের নিকট প্রস্তাব পাঠালেন যে-
১. হয় তোমরা খুজা’আ সম্প্রদায়কে উপযুক্ত অর্থ দিয়ে ক্ষতিপূরণ দাও।
২. না হয়, বনু বকর গোত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করো।
৩. না হয়, হুদায়বিয়ার সন্ধি বাতিল বলে ঘোষণা করো।
কুরাইশরা শেষোক্ত প্রস্তাব মেনে হুদায়বিয়ার সন্ধি বাতিল ঘোষণা করে। ফলে মহানবি (সা.) ১০ হাজার সাহাবি নিয়ে ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা অভিযানে রওনা দেন। মুসলিম বাহিনী মক্কার অদূরে মার-উজ-জাহরান গিরি উপত্যকায় শিবির স্থাপন করে। কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান দুজন সঙ্গী নিয়ে মুসলমানদের গতিবিধি লক্ষ করার জন্য মক্কার বাইরে আসে।
এ সময় হযরত উমর ফারুক (রা.) আবু সুফিয়ানকে বন্দি করে মহানবি (সা.)-এর নিকট নিয়ে আসেন। মহানবি (সা.) তাঁর দীর্ঘদিনের শত্রুকে হত্যা করার সুযোগ পেয়েও ক্ষমা করে ‘দিলেন। মহানবি (সা.)-এর এই মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন।
মক্কা বিজয়কালে মহানবি (সা.) ঘোষণা করেন, যে আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সে নিরাপদ। যে হাকিম ইবন হিযামের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ। যে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরে অবস্থান করবে, সেও নিরাপদ, যে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে, সেও নিরাপদ।”
কোনো রক্তপাত না ঘটিয়ে সামান্য বাধা অতিক্রম করে মহানবি (সা.) বিজয়ীর বেশে মক্কায় প্রবেশ করলেন। বিজয়ের প্রাক্কালে মহানবি (সা.) সাহাবিগণের উদ্দেশে বলেন, মক্কার পশু-পাখি হত্যা করা যাবে না, গাছ কাটা যাবে না, ঘাস বা কোনো গাছ উপড়ে ফেলা যাবে না এবং অনুমতি ব্যতিরেকে কারো পড়ে থাকা জিনিস তুলে নিতে পারবে না।
এরপর মহানবি (সা.) অতীত অত্যাচার-নির্যাতনের কথা ভুলে গিয়ে মক্কাবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বলেন, আজ তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তোমরা যেতে পারো; তোমরা সবাই মুক্ত, স্বাধীন।
মক্কা বিজয়ের গুরুত্ব
মক্কা বিজয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। মক্কা বিজয়ের ফলে সমগ্র আরবে ইসলামের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। এ বিজয়ের ফলে আরবের বেদুইন গোত্রগুলো ইসলামের ছায়াতলে আসতে শুরু করে।
মক্কা বিজয় ছিল রক্তপাতহীন অতুলনীয় একটি বিজয়। মক্কার কাফিরদের নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে মুসলমানরা এক সময় মদিনায় হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু মক্কা বিজয়ে তারা অতীতের সকল অন্যায়-অত্যাচার ও কষ্ট ভুলে গিয়ে তাদেরকে ক্ষমা করে দিলেন।
তাই মক্কা বিজয়ের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড, লুটতরাজ, নারী- শিশু নির্যাতন কিংবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি জবরদস্তিমূলক আচরণ সংঘটিত হয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম রক্তপাতহীন বিজয়ের কোনো তুলনা নেই। এ বিজয়ের পর মক্কাবাসীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে মহানবি (সা.) অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
হুনায়নের যুদ্ধ
মক্কা বিজয়ে পৌত্তলিকতার অবসান ঘটলেও কয়েকটি সম্প্রদায় তখনও ইসলামের বিরোধিতা করতে থাকে। তাদের মধ্যে মক্কার হাওয়াজিন ও সাকিফ গোত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। বেদুইনরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। তাদের সম্মিলিত বাহিনী মুসলমানদের আক্রমণ করার জন্য ২০ হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কার নিকটবর্তী হুনায়ন নামক স্থানে সমবেত হয়। মহানবি (সা.) এ খবর জানতে পেরে ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে হুনায়ন অভিমুখে যাত্রা করেন। ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
মুসলিম সৈন্যরা সংকীর্ণ পার্বত্য পথ অতিক্রমকালে সেখানে ওত পেতে থাকা বেদুইন সৈন্যরা তীর বর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মহানবি (সা.)-এর আহ্বানে মুসলিম সৈন্যরা পুনরায় একত্রিত হয়ে বীরবিক্রমে শত্রুদের উপর আক্রমণ করেন। মহান আল্লাহ এ যুদ্ধে ফেরেশতাগণের দ্বারা মুসলমানদের সাহায্য করেছিলেন। ফলে মুসলিম সৈন্যরা এ যুদ্ধে জয়লাভ করেন। বিপুল পরিমাণ গবাদি পশু, স্বর্ণ-রৌপ্য ও যুদ্ধ উপকরণ মুসলমানদের হস্তগত হয়। এছাড়া ৬০০০ শত্রু সেনাকে বন্দি করা হয়।
এ যুদ্ধে পরাজিত বিধর্মীরা তায়িফ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করে। মুসলিম সৈন্যরা তায়িফ দুর্গ অবরোধ করেন। তিন সপ্তাহ অবরোধের পর তায়িফবাসী আত্মসমর্পণ করে। মহানবি (সা.) তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের পরিবর্তে উদারতা ও মহানুভবতার আচরণ করলেন। তাদেরকে ক্ষমা করে দিলেন। মহানবি (সা.)-এর মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে তায়িফবাসী ইসলাম গ্রহণ করলেন।
হুনায়নের যুদ্ধের তাৎপর্য
হুনায়নের যুদ্ধ মুসলমানদের জন্য এক বিরাট শিক্ষা। এ যুদ্ধে নিজেদের সংখ্যাধিক্যে মুসলমানরা গর্বিত হয়ে পড়ে এবং শত্রু পক্ষকে অবজ্ঞা করতে থাকে। ফলে শত্রুপক্ষের অতর্কিত হামলায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরাজয়ের মুখে মহান আল্লাহর সাহায্য এবং মহানবি (সা.)-এর দৃঢ় নেতৃত্বে শেষ পর্যন্ত মুসলমানরা বিজয়ী হয়।
এ যুদ্ধে মহান আল্লাহ ফেরেশতা নাযিল করে মুসলমানদের সাহায্য করেছিলেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেছেন অসংখ্য ক্ষেত্রে এবং হুনায়ন যুদ্ধের ‘দিন। যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদেরকে উৎফুল্ল করেছিল। কিন্তু তা তোমাদের কোনো কাজে আসেনি এবং অনেক বিস্তৃত হওয়া সত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়েছিল। এরপর তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে।
এরপর আল্লাহ তাঁর রাসুল এবং মু’মিনদের উপর প্রশান্তি নাযিল করেন এবং এমন এক সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদের শাস্তি প্রদান করেন এবং এটাই কাফিরদের কর্মফল।” (সূরা তাওবা, আয়াত: ২৫-২৬)
হুনায়নের যুদ্ধের গুরুত্ব
হুনায়নের যুদ্ধে বিজয় মুসলমানদের এক অজেয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করল। এ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে বিপুলসংখ্যক অমুসলিম মহানবি (সা.)-এর আনুগত্য স্বীকারে আগ্রহী হলো। ইসলামের চিরশত্রু বনু বকর ও বনু হাওয়াযিন গোত্রও ইসলাম গ্রহণ করল। এতে মহানবি (সা.)-এর প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায় এবং তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও অবাধ কর্তৃত্বের অধিকারী হন। এ সময় হতেই মদিনার প্রশাসনিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। মদিনার ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হয় এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক নগরীর মর্যাদা লাভ করে।
তাবুক অভিযান
তাবুক অভিযান নবম হিজরির উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মহানবি (সা.)-এর নেতৃত্বে মক্কা, তায়িফ ও হুনায়নে ইসলামের বিজয় সূচিত হলে বাইজান্টাইন সম্রাট হিরাক্লিয়াস ঈর্ষাস্বিত হয়ে পড়ে। মুতার যুদ্ধে খ্রিষ্টানরা পরাজিত হলে তার ঈর্ষা শতগুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আরব ইহুদিদের উস্কানি রোম সম্রাটের প্রতিশোধস্পৃহাকে তীব্রতর করে তোলে। ফলে ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রোম সম্রাট প্রায় লক্ষাধিক সৈন্য নিয়ে মদিনা আক্রমণের জন্য অগ্রসর হয়।
হিরাক্লিয়াসের অভিযানের কথা জানতে পেরে সে বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য মহানবি (সা.) ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে তাবুক অভিমুখে রওনা দেন। রোমান সৈনিকরা মুসলমানদের ব্যাপক প্রতিরোধ আয়োজনের সংবাদ পেয়ে পশ্চাদপসরণ করে। মহানবি (সা.) কয়েক দিন সেখানে অপেক্ষা করে মদিনায় ফিরে এলেন। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপ ও অসহ্য পানির কষ্টের মধ্য দিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল বলে ইতিহাসে তা “গাজওয়াতুল উসরা’ বা কষ্টের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
তাবুক অভিযানের পর ওমান, নাজরান, ইয়েমেন, বাহরাইন প্রভৃতি অঞ্চলের প্রতিনিধিরা এসে মহানবি (সা.) -এর আনুগত্য প্রকাশ করে। বনু তামিম, মুস্তালিক, কিনদা, আযদ, তায়ি প্রভৃতি গোত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
উপরে নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ৫ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হলো। আলোচনা শেষে আদর্শ জীবন চরিত অধ্যায়ের উপর একটি ক্লাস দেওয়া হয়েছে। উপরের আলোচনার মাধ্যমে তোমরা এই অধ্যায়টি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবে। ক্লাসটি করার মাধ্যমে এই অধ্যায়ের কঠিন বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পারবে ও আদর্শ জীবন চরিত অধ্যায়ে দেওয়া বাড়ির কাজগুলো করতে পারবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post