কোর্সটিকায় ইতোমধ্যে নতুন কারিকুলামের ৯ম শ্রেণির প্রতিটি বইয়ের সমাধান দেওয়া শুরু হয়েছে। আজকে আমরা নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ১ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। ৯ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষার এই অধ্যায়ের নাম হচ্ছে– আকাইদ। আজকের আলোচনা শেষে তোমরা পেয়ে যাবে এই অধ্যায়ের ওপর একটি ক্লাস।
উক্ত ক্লাসে আকাইদ অধ্যায়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এই অধ্যায়ে যেসকল কাজ করতে বলা হয়েছে সেসকল কাজ কীভাবে সম্পন্ন করবে সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। ৯ম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের সমাধান এভাবে তোমরা ইসলাম শিক্ষা বইটি সহজে বুঝতে পারবে।
নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ১ম অধ্যায় সমাধান
প্রিয় শিক্ষার্থী,
তুমি একটি বিষয় অবশ্যই লক্ষ করেছ যে, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রতি শ্রেণিতে তোমাদের ইসলাম শিক্ষা বইয়ের প্রথম অধ্যায়টি আকাইদ সংক্রান্ত। তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে, আকাইদ মানে বিশ্বাসমালা। ইমান ও ইসলামের কিছু মৌলিক বিষয় আছে, সেগুলোতে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। এসব বিশ্বাসকে বলা হয় আকাইদ। আকাইদের ‘বিষয়সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম হলো আল্লাহর ওপর ইমান। এ মুহূর্তে তোমাকে একটু “ইমান মুজমাল’- এর প্রসঙ্গে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তোমার কি মনে আছে ইমান মুজমাল নামক ইমানের অঙ্গীকার বাণীটিতে তুমি কী ঘোষণা দিয়েছিলে? হ্যাঁ, আরবি বাক্যে তুমি যা ঘোষণা দিয়েছিলে, তার প্রথম কথাটিই ছিল: ‘আমি ইমান আনলাম আল্লাহর ওপর ঠিক তেমনি যেমন আছেন তিনি, তাঁর সকল নাম ও গুণসহ।” এ কথাটি থেকে কিন্তু এ বিষয়টি আমাদের কাছে একেবারেই সুস্পষ্ট যে, সবার আগে আমাদেরকে আল্লাহ তা’আলার প্রতি ইমান আনতে হবে। আল-কুরআনে তাঁর অনেকগুলো গুণবাচক নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ নামসমূহের তাৎপর্য জেনে সেসবের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। তোমাদের মনে আছে, সপ্তম শ্রেণিতে আল্লাহর পরিচয় শিরোনামে তোমরা আল্লাহ তা’আলার সত্তাগত পরিচয় জেনেছিলে। এ ছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রতি শ্রেণিতে তোমরা আল্লাহ তা’আলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুণবাচক নামের পরিচয় জেনেছ। এরই ধারাবাহিকতায় এ শ্রেণিতেও আমরা আল্লাহ তা’আলার আরো কয়েকটি গুণবাচক নাম তথা ‘আল-আসমাউল হুসনা’” সম্পর্কে জানব এবং তদানুসারে বিশ্বাস ও কাজ করব।
দলগত কাজ: তোমরা শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক পর্যবেক্ষণ বা মতবিনিময়ের মাধ্যমে আকাইদ সংক্রান্ত যে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ, তা খাতায় বা পোস্টারে উপস্থাপন করো।
আল্লাহ রাউফুন
রাউফুন অর্থ পরম-স্নেহশীল, সদয়, অতীব দয়ালু, সমবেদনা প্রকাশকারী ইত্যাদি। আল্লাহু রাউফুন অর্থ আল্লাহ অতি দয়ালু, অত্যন্ত ম্নেহশীল। এটি আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। আল্লাহর এ নামটি আর-রাহমান ও আর- রাহীম নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মানুষের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত দয়া ও মায়া রয়েছে। তিনি বলেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত ম্নেহশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৩) মহানবি (সা.) বলেন, “আল্লাহ তা’আলা দয়া-মায়া, স্নেহ-মমতাকে একশত ভাগ করে নিরানব্বই ভাগ নিজের জন্য রেখে দিয়েছেন, আর এক ভাগ সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন।’ (বুখারি)
উপর্যুক্ত আয়াত ও হাদিস থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি, মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি কতটা দয়ালু, কতটা স্নেহশীল। তবে মহান আল্লাহ কেবল মানুষের ওপরই নন, তিনি তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতিই অতীব স্নেহ পরায়ণ। হাদিসের ভাষায় সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর একান্ত পরিজন। মানুষের পারিবারিক জীবনে পরিবার প্রধান যেমন তার পরিবারের সদস্যদের আদর, স্নেহ, দয়া-মায়া-মমতার বন্ধনে বেঁধে রাখেন, তেমনি জগৎসমূহের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তাঁর জগৎসমূহের সকল সৃষ্টিকে পরম মমতা ও স্নেহে লালন-পালন করেন এবং রক্ষা করেন। আসলে মানুষ এবং সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর স্নেহ-মমতা অতুলনীয়।
আমাদের জীবনের অস্তিত্ব থেকে শুরু করে এমন কোনো ক্ষেত্র ও মুহূর্ত নেই, যেখানে আমাদের প্রতি মহান আল্লাহর মায়া-মমতা ও দয়ার পরশ নেই। তিনিই দয়া করে অতি যত্নে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনিই আমাদের মাতাপিতার অন্তরে দয়া-মায়া সৃষ্টি করে আমাদের পরম আদর-যত্নে লালন-পালনের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি যেমন এ প্রকৃতি ও পরিবেশকে আমাদের বসবাসের অনুকূল করে তৈরি করেছেন, তেমনি এখানে সুখে- শান্তিতে বসবাসের জন্য আবার নানা জীবনোপকরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদের জন্য সামাজিক পরিবেশেরও আমাদের জন্য এক সুন্দর মায়াময় পরিবেশ তৈরি করেছেন। আমরা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে মহান আল্লাহ যে আমাদের ওপর অত্যন্ত স্নেহশীল ও পরম দয়ালু, তার অজস্র উদাহরণ খুঁজে পাই।
মহান আল্লাহ আমাদের কাছে তাঁর দেওয়া এসব নিয়ামতের কোনো প্রতিদান চান না। আমরা যদি তাঁর ইবাদাত করি, তাহলে তিনি খুশি হন। আবার যদি তাঁর নিয়ামতের শুকরিয়া প্রকাশ করি, কৃতজ্ঞ হই, তাহলে তিনি তাঁর নিয়ামতকে আমাদের ওপর আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। আমাদের একটি ভালো কাজের সাওয়াব তিনি কমপক্ষে দশ গুণ বাড়িয়ে দেন কিন্তু কোনো পাপ করলে কেবল সেই পাপের পরিমাণ শাস্তিই তিনি আমাদের দেন। আর চাইলে সেটাও তিনি মাফ করে দিতে পারেন। এ থেকেই আমরা বুঝতে পারি, মহান আল্লাহ অসীম স্নেহশীল।
মহান আল্লাহর স্নেহ ও দয়ায় আমাদের জন্য কল্যাণের পথ সহজ হয়ে যায়। স্নেহ ও দয়ার মাধ্যমে তিনি আমাদের তাঁর অপছন্দনীয় পথ থেকে সতর্ক করেন। তিনি বান্দাকে অপরাধ ও ফাসাদ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে ভয়-ভীতি ও ধমক প্রদান করেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন, এর দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন। হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমাকে ভয় করো। (সূরা আয-যুমার, আয়াত: ১৬)
আবার স্নেহ ও দয়াপরবশতার কারণেই মহান আল্লাহ আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকিম তথা সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন, আর আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি, ভ্রান্ত ও বাতিল পথ থেকে, যে পথ আমাদের জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে। যেমন: মহান আল্লাহ বলেন: আর আল্লাহ তাঁর নিজের সম্পর্কে তোমাদের সাবধান করছেন। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩০)
মূলত আমাদের ওপর আল্লাহর স্নেহ ও মায়া-মমতার কোনো সীমা নেই। আমরা তাঁর স্নেহ-মমতার সমুদ্রে বসবাস করছি। আমরাও সকলের প্রতি স্নেহশীল ও দয়ার্দ্র হব, সকলকে ভালবাসব।
আল্লাহ মু’মিনুন
মু’মিনুন অর্থ নিরাপত্তা দানকারী, রক্ষণাবেক্ষণকারী, জামিনদার, সত্য ঘোষণাকারী। আল্লাহ-মু’মিন অর্থ আল্লাহ নিরাপত্তা দানকারী ও রক্ষণাবেক্ষণকারী। তিনি আপন বান্দাদের মাঝে শান্তি ছড়িয়ে দেন এবং সৃষ্টিজগতের মাঝে নিরাপত্তা বিধান করেন। আর ওহির মাধ্যমে প্রশান্তি অবতীর্ণ করেন। তিনি প্রতিটি সৃষ্টির যথার্থ তদারককারী। সকল বিষয়ের গোপন রহস্য জানেন।
মহান আল্লাহ বলেন: তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অতীব মহিমান্বিত। তারা যাকে শরিক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান। (সূরা আল-হাশর, আয়াত: ২৩) আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির নিরাপত্তা বিধান করেন।
তিনি প্রতিটি জীবের সকল কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন। তিনি কারো পুণ্য হাস করেন না। কাউকে প্রাপ্যের অতিরিক্ত শাস্তি দেন না। একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমা করার অধিকারী। মর্যাদা ও সম্মান প্রাপ্তির তিনিই অধিক হকদার। বান্দাকে কল্যাণ ও অনুগ্রহ দানের তিনিই অধিক যোগ্য।
আল্লাহ হলেন নিরাপত্তা বিধায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক। নিজ বান্দাদেরকে তিনি রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তিনি সবকিছু দেখেন এবং সবকিছু শোনেন। তিনি তাঁর জ্ঞান ও ক্ষমতার মাধ্যমে সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন। এসব কিছুই তাঁর জন্য সহজ। উল্লেখ্য, বান্দার সঙ্গে যখন মু’মিন শব্দ সম্পৃক্ত হয়, তখন তার অর্থ বিশ্বাস স্থাপনকারী বান্দা। আল্লাহ ও ‘ রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে বলে তাকে মু’মিন বলা হয়।
আল্লাহ ওয়াহ্হাবুন
ওয়াহ্হাব অর্থ অতীব দানশীল, কোনো বিনিময় ছাড়া যিনি সব কিছু দান করে থাকেন। এটি আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। তিনি পরম দানশীল। তিনি বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক রিযিক দান করেন। তিনি তাঁর বান্দার অন্তরে কল্যাণমুখী বিষয় ও প্রজ্ঞা উন্মুক্ত করে দেন। তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন ও দোয়া কবুলের সৌভাগ্য দান করেন। মহান আল্লাহ উত্তম অভিভাবক। আমাদের কাছে যে সব নিয়ামত আছে, তা সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে।
তিনিই অন্তরের প্রশস্ততা দানকারী। তিনি সমস্ত সৃষ্টিকে তাঁর রহমত ও জ্ঞান দ্বারা পরিবেষ্টন করে রাখেন। সমস্ত সৃষ্টিই তাঁর দয়া ও দানের মুখাপেক্ষী। এ গুণবাচক নামটি তাঁর ব্যাপক রহমত ও দানের প্রকাশক। তাঁর দয়া দুই ধরনের । প্রথম প্রকারের দয়া সকলের জন্য ব্যাপক। আর অন্যটি তাঁর নির্দিষ্ট বান্দা ও সৃষ্টির জন্য প্রযোজ্য আল্লাহ তা’আলা বলেন: আর আমার দয়া প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত। (সূরা আল-আ’রাফ, আয়াত: ১৫৬)
আল্লাহর বিশেষ রহমত ও নিয়ামত শুধু সৎকর্মশীলদের জন্য। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।” (সূরা আল-আ’রাফ, আয়াত: ৫৬) মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে স্বীয় “ওয়াহহাব’ নাম স্মরণ করিয়ে মানব জাতিকে মোনাজাত করতে শিখিয়েছেন। আল্লাহ বলেন: হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনে প্রবৃত্ত করবেন না এবং আপনার নিকট হতে আমাদেরকে করুণা দান করুন, নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা। (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৮) আমরা মহান আল্লাহর ওয়াহ্হাবুন নামের গুণে গুণান্বিত হবো।
প্রকল্প (একক কাজ): তোমার বাস্তব জীবনে আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ চর্চা বা অনুশীলনের জন্য এক মাস মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করে তা সফল বাস্তবায়ন শেষে নির্ধারিত ছকে প্রতিবেদন তৈরি করো।
তাওহিদের মর্মবাণী
একজন মু’মিনের কাছে সবচেয়ে বড় এবং অমূল্য সম্পদ তার ইমান। তার ইমানের কাছে এ দুনিয়ার সকল সম্পদ, সামগ্রী ও ক্ষমতা একেবারেই তুচ্ছ। আর এ ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো তাওহিদ বা আল্লাহর একত্রে দৃঢ় বিশ্বাস। ইসলাম নামক চির শান্তির গৃহের প্রবেশদ্বার হলো তাওহিদে বিশ্বাস। এ বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই মু’মিনের সকল চিন্তা ও কাজ নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই তাওহিদে বিশ্বাস হচ্ছে মু’মিন জীবনের মূল চালিকাশক্তি।
“লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ বা উপাস্য নেই-এটি হচ্ছে তাওহিদে বিশ্বাসের মূলমন্ত্র। এটি ইসলামের একটি কালিমা বা বাণী। এটিকে বলা হয় কালিমাতুত তাইয়্যেবাহ। আবার এটিকে কালিমাতুত তাওহিদও বলা হয়।
উপরে নবম শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা ১ম অধ্যায় সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হলো। আলোচনা শেষে আকাইদ অধ্যায়ের উপর একটি ক্লাস দেওয়া হয়েছে। উপরের আলোচনার মাধ্যমে তোমরা এই অধ্যায়টি সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবে। ক্লাসটি করার মাধ্যমে এই অধ্যায়ের কঠিন বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পারবে ও আকাইদ অধ্যায়ে দেওয়া বাড়ির কাজগুলো করতে পারবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে তোমার প্রয়োজনীয় সাবজেক্টের প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোর্সটিকা ফেসবুক পেজে ইনবক্স করতে পারো। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post