নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্ন উত্তর : বিখ্যাত রুশ নাট্যকার আন্তন চেখভের ‘সোয়ান সং’ অবলম্বনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় অনূদিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই -কেউ জানে না।”—‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে গৃহীত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন প্রম্পটার কালীনাথ সেন।
‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রধান চরিত্র হল দুটি।একটি বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় আর অপরটি প্রম্পটার কালীনাথ সেন। নাটকটিতে দেখা যায়,অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয়ের পর মদ্যপান করে গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়েন। আর রামব্রীজ অভিনেতাকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সি ডেকে দেন।অভিনেতা মদ্যপান করে ফাঁকা মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিলদারের পোশাক পরে সংলাপ আওড়ান আর অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে অতীতের স্মৃতিচারণা করেন।
বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
১. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটিতে কয়টি চরিত্র রয়েছে?
ক. একটি
খ. দুটি
গ. তিনটি
ঘ. চারটি
২. ‘আরে, গেল কোথায় লোকটা?’ —লোকটি হল—
ক. রামরতন
খ. রামধন
গ. রামব্রীজ
ঘ. রামতন্ময়
৩. রামব্রীজকে রজনীবাবু কতটাকা বকশিশ দিয়েছিলেন?
ক. এক টাকা
খ. দুই টাকা
গ. তিন টাকা
ঘ. চার টাকা
৪. ‘মুখের ভেতরটা যেন’ —বক্তার মুখের ভেতরটার সঙ্গে কীসের তুলনা করা হয়েছে?
ক. শুকনো কাঠ
খ. স্টেডিয়াম
গ. অডিটোরিয়াম
ঘ. অ্যাকোরিয়াম
৫. ‘এরপর রজনীবাবু এসে বলবেন, ‘ —কী বলবেন?
ক. আমি কোন সিনে প্লে করব না ভাই
খ. আমি লাস্ট সীনে প্লে করব না ভাই
গ. আমি মাঝ সীনে প্লে করব না ভাই
ঘ. আমি ফার্স্ট সীনে প্লে করব না ভাই
৬. রজনীবাবু কত বছর ধরে অভিনয় করছেন?
ক. ৪৫ বছর
খ. ৫৫ বছর
গ. ৬৫ বছর
ঘ. ৬৮ বছর
৭. “উঃ কী শীত — সব আছে শুধু” —কী নেই?
ক. আলো নেই
খ. মানুষ নেই
গ. শীতের পোশাক নেই
ঘ. লোকজন নেই
৮. ‘গ্রিনরুমে ঘুমোই.’ —কে ঘুমোন?
ক. রামব্রীজ
খ. রামচরণ
গ. রজনীকান্ত
ঘ. কালীনাথ
৯. ‘মিছে কথা বলব না।’—কারণ —
ক. রজনীকান্ত সৎ মানুষ
খ. রজনীকান্ত ধনী মানুষ
গ. রজনীকান্ত বুড়ো মানুষ
ঘ. রজনীকান্ত বামুন মানুষ
১০. ‘মাইরি এই না হলে অ্যাকটিং’ বলেছেন—
ক. দর্শকরা
খ. কালীনাথ
গ. রজনীবাবু
ঘ. রামব্রীজ
১১. “মরা হাতি সোয়া লাখ” —উক্তিটি করেছেন–
ক. জৈনক দর্শক
খ. রজনীবাবু
গ. কালীনাথ
ঘ. রামব্রীজ
১২. রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় থিয়েটারে আসার আগে চাকরি করতেন–
ক. জাহাজে
খ. পুলিশে
গ. ডাকবিভাগে
ঘ. কলেজে
১৩. ‘কেমন করে বোঝাব তোমাকে?’ —কী বোঝাবেন?
ক. সে কী আশ্চর্য মেয়ে
খ. সে কী আশ্চর্য ছেলে
গ. সে কী আশ্চর্য ঘটনা
ঘ. সে কী আশ্চর্য বুড়ো
১৪. “যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’ —তারা সব” —
ক. বোকা
খ. গাধা
গ. চালাক
ঘ. ভেড়া
১৫. “রাজনীতি বড়ো কূট।” —কথাটি বলেছেনথথ
ক. মহম্মদ
খ. কালীনাথ
গ. রজনীবাবু
ঘ. কিং লিয়র
১৬. “শাহজাদী ! সম্রাটনন্দিনী ! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে?” – কোন নাটকের সংকল্প?
ক. জনা
খ. মেবার পতন
গ. রিজিয়া
ঘ. নূরজাহান
১৭. “গ্রিনরুমে ঘুমায় — ” কে ঘুমোন?
ক. ককীনাথ সেন
খ. রামব্রীজ
গ. রজনীকান্ত সেন
ঘ. রামচরণ
১৮. “রাজনীতি বড় কুট” – বক্তা হলেন –
ক. মোরাদ
খ. যশবন্ত
গ. ঔরঙ্গজেব
ঘ. শাহজাহান
১৯. “আমার শিরায় শিরায় কী জল বইছে? রক্ত বইছে না? বিক্তার শিরায় শিরায় বইছে –
ক. রাজরক্ত
খ. নেশার রক্ত
গ. সদবংশের রক্ত
ঘ. পবিত্র রক্ত
২০. “এক পা এক পা করে এগিয়ে চলেছে” –
ক. গ্রিনরুমের দিকে
খ. মৃত্যুর দিকে
গ. অডিটোরিয়ামের দিকে
ঘ. বাড়ির দিকে
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. নানা রঙের দিন ’ নাটকটি কোন্ বিদেশি নাটকের ছায়ায় রচিত?
উত্তর: নানা রঙের দিন ’ নাটকটি আন্তন চেখভের সােয়ান সং নাটকের ছায়া অবলম্বনে রচিত ।
২. নানা রঙের দিন’কত অঙ্কের নাটক?
উত্তর: নানা রঙের দিন ’ এক অঙ্কের নাটক ।
৩. নানা রঙের দিন ’ নাটকের প্রম্পটারের নাম কী?
উত্তর: নানা রঙের দিন ’ নাটকের প্রম্পটারের নাম কালীনাথ সেন ।
৪. নানা রঙের দিন ’ নাটকের প্রেক্ষাপট কোথায় ছিল?
উত্তর: নানা রঙের দিন ’ নাটকের প্রেক্ষাপট ছিল পেশাদারি থিয়েটারের একটি ফাকা মঞ ।
৫. নানা রঙের দিন’ নাটকটি কোন মূল নাটকের ভাষান্তর?
উত্তর: ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি ‘ আন্তন চেখভের সােয়ান সং নাটকের ভাষান্তর ।
৬. ‘আপনি বামুন মানুষ মিছে কথা বলবো না ‘- বক্তা কোন সত্যি কথাটি বলেছিল?
উত্তর: ‘নানা রঙের দিন ‘ নাটকে বক্তা কালীনাথ বামুন মানুষ রজনীকে বলেছিলো যে ,সে রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমায়।
৭. ‘তোমার চোখে জল ,কেন বলতো ‘- শ্রোতার চোখে জল আসার কারণ কী ?
উত্তর: বৃদ্ধ অবস্থাতেও অভিনেতা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায়ের অভিনয়ে শ্রোতা কালীনাথ অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। তাই দুঃখে ,আবেগে ও ভালোবাসায় তার চোখে জল আসে।
৮. ‘তারপর একদিন, বুঝলে -চাকরিটা ছেড়ে দিলাম ‘- বক্তা চাকরি ছেড়েদিয়েছিলেন কেন?
উত্তর: নাটক নিয়ে নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশ্যেই বক্তা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায় পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
৯. ‘come on ,quick ! মহম্মদের ক্যাচটা দাও তো ‘- মহম্মদ কে? মহম্মদের ক্যাচ কে দিয়েছিলেন?
উত্তর: সাজাহান নাটকে ঔরঙ্গজেবের পুত্র হলেন মহম্মদ। রজনীর অনুরোধে কালীনাথ মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন।
১০. ‘আর এরকম করে জীবন শুরু করা গেল ‘- সেই জীবনটা কেমন ছিল?
উত্তর: বক্তা রজনীকান্তের শুরু হওয়া নতুন জীবনটা ছিল অত্যন্ত রঙ্গিন। অভিনেতা রজনীর নাম-ডাক ছিল অনেক। তিনি ছিলেন খ্যাতি তো সাফল্যের শীর্ষ পর্যায়ে।
১১. ‘দিলুম ,তোকে বকশিশ দিলুম ।’- কে, কাকে বকশিশ দিলেন?
উত্তর: নাট্য অভিনেতা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায় রামব্রিজকে বকশিশ দিলেন।
১২. ‘তাতে বয়সটা ঠিক বোঝা যায় না ‘ – কীসে ‘বয়স’ বোঝা যায় না?
উত্তর: রাজনীকান্তবাবু ছোকরাদের মতো ঢং করতে পারেন, লম্বা চওড়া চেহারা তার। তাছাড়া লম্বা লম্বা চুলে প্রতিদিন হাফ শিশি করে কলপ লাগিয়ে এমন ইয়ার্কি মারেন যে , তার বয়সটা ঠিক বোঝা যায় না।
১৩. ‘এখানেই গল্প শেষ।’- গল্পটির বিষয় কী ছিল?
উত্তর: প্রশ্নে প্রদত্ত উক্তিটিতে ‘গল্প ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষের জীবনকে। জন্মের পর থেকে স্বাভিক জীবনক্রম অতিবাহিত করতে করতে মানুষ ক্রমশ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। শৈশব,যৌবন,পৌঢ়ত্বের পথ পেরিয়ে আসে বার্ধক্য। তারপরই সব গল্প শেষ।
১৪. ‘পঁয়তাল্লিশ বছর থিয়েটারের জীবনে এই প্রথম মাঝরাতে একা ‘- মাঝরাতে একা দাঁড়িয়ে থাকার কারণ কী?
উত্তর: পঁয়তাল্লিশ বছর থিয়েটার জীবনের সমাপ্তির পর হল খালি হয়ে যাওয়ায় রজনীবাবু একা মাঝরাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি ওইদিন মদ খেয়ে গ্রিনরুমেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
১৫. ‘মরা হাতি সোয়া লাখ।’- কার সম্পর্কে , কোন প্রসঙ্গে এমন প্রবাদ প্রয়োগ করা হয়েছে?
উত্তর: প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায়ের অভিনয় দক্ষতা প্রসঙ্গে প্রবাদটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
১৬. অভিনেতা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যের জীবনে আসা মেয়েটি কেমন ছিল?
উত্তর: অভিনেতা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায়ের জীবনে আসা মেয়েটি ছিল বেশ লম্বা,ফর্সা,সুন্দর,ছিপছিপে গড়নের। তার বয়স ছিল উঠতি এবং তার মনটাও ছিল দারুন ভালো। তাতে কোনো ঘোরপ্যাচঁ ছিল না।
১৭. ‘একদিন তাকে দেখে মনে হয়েছিল ‘- কী মনে হয়েছিল?
উত্তর: একদিন মেয়েটিকে দেখে অভিনেতা রজনীকান্তের মনে হয়েছিল যে, ভোরের আলোর চেয়েও মেয়েটি সুন্দর।
১৮. ‘মরে যাব তবু ভুলব না ,’- বক্তা কী ভুলবেন না?
উত্তর: বক্তা রজনীকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায় তার দিকে তাকিয়ে থাকা মেয়েটির অদ্ভূত চাহনি কখনোই ভুলবেন না।
১৯. ‘সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম ‘- বক্তা কী বুঝেছিলেন?
উত্তর: থিয়েটারে অভিনয় দেখে প্রেমে পড়া মেয়েটি বিয়ের সময় যখন রজনীকান্তকে অভিনয় ছেড়ে দিতে বলে সেই রাতেই বুঝেছিলেন যে , যারা নাট্যাভিনয়কে পবিত্র শিল্প বলে তারা সবই গাধা। তারা সব মিথ্যা কথা বা বাজে কথা বলেন।
২০. ‘খুব খারাপ হচ্ছে না ,কী বলো?’- কী খারাপ হচ্ছে না?
উত্তর: দ্বিজেন্দ্রলালের ‘রিজিয়া’ নাটকে বক্তিয়ারের মুখের সংলাপটি আওড়েছেন রজনী চাটুজ্জে মহাশয় , এখানে সেই সংলাপটি খারাপ না হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নানা রঙের দিন নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর
১. নানা রঙের দিন নাটকের প্রম্পটার কলিনাথ সেনের চরিত্র আলোচনা কর?
২. “নানা রঙের দিন নাটক” অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
৩. “আমার দিন ফুরিয়েছে” – কে কোন প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেছেন ? এই উক্তি করার আসল কারণ কি বলে তোমার মনে হয়?
৪. “শিল্পকে যে মানুষ ভালোবেসেছে – তার বার্ধক্য নেই…” – মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখ।
৫. “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই -কেউ জানে না।” –কোন নাটকের অংশ?বক্তা কে?তিনি কেন গ্ৰিনরুমে ঘুমান ?
৬. ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি একাঙ্ক নাটক হিসাবে কতখানি সার্থক তা আলোচনা কর।
৭. “অভিনেতা মানে একটা চাকর-একটা জোকার ,ক্লাউন। লোকেরা সারাদিন ঘেটে ঘুটে এলে তাদের আনন্দ দেওয়াই হল নাটকওয়ালাদের একমাত্র কর্তব্য “- বক্তার কথার তাৎপর্য আলোচনা কর।
►► উচ্চ মাধ্যমিক: বাংলা সাজেশন সকল প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে বাড়ির কাছে নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্ন উত্তর pdf ডাউনলোড করে নাও। ডাউনলোড করতে অসুবিধা হলে আমাদের ফেসবুক পেজে ইনবক্স করো। শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post