ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভের মধ্যে ১টি হচ্ছে নামাজ। সঠিক নিয়ম অনুসারে নামাজ আদায় করা প্রত্যক মুসলমানের জন্য ফরজ। তার জন্য আমাদের জানতে হবে নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া সমূহ। যারা নামাজ আদায় করেন কিন্তু নিজের নামাজ নিয়ে সন্দিহান এবং যারা নতুন নামাজ আদায় করা শিখবেন তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি। এটি সম্পূর্ণ পড়লে নামাজ কীভাবে পড়তে হয়, নামাজের দোয়া সমূহ ও নামাজ বিষয়ক অনেক প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন।
নামাজ পড়ার সময় নামাজের মধ্যে যেসব দোয়া বলতে হয় সেগুলো অবশ্যই মধ্যম স্বরে বলা উত্তম। অর্থ্যাৎ, চেচিয়েও না আবার মনে মনেও না। নামাজ পড়ার পূর্বে অযু করে পবিত্র হয়ে নিতে হবে। অযু করে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত আপনার নামাজ কবুল হবে না।
দু’রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া
দু’রাকাত নামাজ যেভাবে আদায় করতে হয় তিন রাকাত ও চার রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়মও প্রায়ই একই শুধু একটু ভিন্নতা বিদ্যমান। দু’রাকাত নামাজ কীভাবে আদায় করতে হয় এটা জানা থাকলে তিন ও চার রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়মগুলো আয়ত্ত করা সহজ হয়ে যায়।
নামাজের নিয়ত করে দাঁড়ানো: নিয়ত অর্থ ইচ্ছা। আপনি নামাজ পড়বেন এটা মনস্থির করে নামাজের জন্য দাঁড়ানো। এটা মনে মনে বা মুখে বলা বাধ্যতামূলক না। আপনি যে নামাজ পড়ার মনস্থির করে দাড়িয়েছেন এটাই নিয়ত হিসেবে প্রতীয়মান হবে।
নামাজের নিয়ত করে দাঁড়ানোর পরে হাত দুটি কান পর্যন্ত তুলে তাকবিরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলে বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে হাত দুটি নাভির নিচে বাঁধুন। হাত তোলার সময় হাতের তালুদ্বয় ও আঙুলগুলো যেন কিবলামুখি হয়ে থাকে। তবে, খেয়াল রাখবেন হাত যেন কানের লতি অব্দি না যায়।
হাত বাধার পরে সানা পড়তে হয়
সানা: “সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়া-বিহামদিকা, ওয়া তাবারা কাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গাইরুক”।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমার পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মহানুভবতা সর্বোচ্চ এবং একমাত্র ইবাদতের যোগ্য যদি আপনি।
সানা পাঠের পর তাআ’উজ পাঠ করতে হয়
তাআ’উজ: “আউযুবিল্লা-হি-মিনাশ শাইতা-নির রাজীম”।
অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা চাচ্ছি।
তাআ’উজ পাঠ করা শেষ হয়ে গেলে তাসমিয়া পাঠ করতে হবে।
তাসমিয়া: “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” ।
অর্থ: পরম করুণাময় ও দয়াময় আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি।
এরপরে সুরা ফাতিহা পাঠ করতে হয়
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলা-মীন। আর-রহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াও-মিদ্দীন। ইয়্যাকা না-বুদু ওয়া ইয়্যা-কা-নাসতাঈন। ইহ-দিনাস সিরা’তাল মুছতা-কীম। সিরাতাল্লা-যীনা আন’আমতা আলাইহিম। গাই;রিল মাগ’দূবি আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
অর্থ: সকল প্রশংশা আল্লাহ তায়ালার যিনি সৃষ্ঠি জগতসমূহের পালনকর্তা। যিনি অনন্ত মেহেরবান ও নিতান্ত দয়াবান। যিনি বিচার দিবসের মালিক। আমরা শুধুমাত্র তোমার’ই দাসত্ব করি এবং একমাত্র তোমার’ই নিকট সাহায্যর জন্য দোয়া করি। আমাদের সহজ ও সরল পথ দেখাও। সেসব মানুষদের পথ,যাদের প্রতি তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথে নয় যারা তোমার ক্রোধের শিকার, তাদের পথেও নয় যারা তোমার দ্বীন থেকে দূরে সরে গিয়েছে। (সূরা ফাতিহা শেষ হলে আস্তে করে আমিন পড়ুন)
সুরা ফাতিহা শেষ হয়ে গেলে সূরা ফাতিহার পরে অন্য একটি সূরা পড়তে হয়। তবে, সেই সূরাটি যেনো কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ হয়। তিন আয়াতের সীমা হলো কমপক্ষে ত্রিশ হরফ হতে হবে।
নামাজে সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে যেসব সূরা পড়তে হয় সেসব সূরা তারতীব(ক্রম) ঠিক রেখে পড়তে হয়। ভুলবশত তারতীব বজায় না রাখতে পারলে নামাজের ক্ষতি হবে না। তবে, ইচ্ছে করে তারতীব ভঙ্গ করা মাকরুহ। সুন্নত ও নফল নামাজে তারতীব বজায় রাখা আবশ্যিক না।
সুরা সমূহের তারতীব
১. সূরা আসর
২. সূরা হুমাযাহ
৩. সুরা ফীল
৪. সুরা কুরাইশ
৫. সুরা মাঊন
৬. সুরা কাওসার
৭. সুরা কাফিরুন
৮. সুরা নাসর
৯. সুরা লাহাব
১০. সুরা ইখলাস
১১. সুরা ফালাক
১২. সুরা নাস।
নামাজ দু’রাকাত, তিন রাকাত বা চার রাকাত হোক, নামাজের ছোট সূরা সমূহ জেনে রাখা আবশ্যক। এই সূরাগুলো মুখস্থ থাকলে আপনার জন্য নামাজ আদায় করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
অতঃপর তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলে রুকুতে চলে যান। রুকুতে মাথা নিতম্বের বরাবর রাখুন। অর্থ্যাৎ, মাটি থেকে যেন মাথা, পিঠ ও নিতম্ব সমান্তরাল হয়। রুকু অবস্থায় হাতের আঙুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে হাটুঁ আঁকড়ে ধরুন। রুকুতে থাকা অবস্থায় সিজদার স্থানে তাকাতে হবে।
রুকুতে রুকুর তাসবিহ পড়তে হবে। তাসবিহ কমপক্ষে ৩ বার পড়তে হয়, ৫ বার কিংবা ৭ বার পড়ার নিয়মও রয়েছে।
রুকুর তাসবিহ: “সুবহানা রব্বিয়াল আযিম”।
অর্থ: আমার মহান প্রতিপালক পবিত্র ও মহামহিম।
রুকু শেষ হলে গেলে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় নামাজের এই দোয়াটি পড়তে হয়।
রুকু থেকে দাঁড়ানোর দোয়া: সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ।
অর্থ: আল্লাহ তাআলা প্রশংসাকারীর প্রশংসা শোনেন।
রুকু থেকে সম্পূর্ন দাঁড়িয়ে এই দোয়াটি বলতে হয়
রুকু থেকে দাঁড়ানোর দোয়া: “রাব্বানা লাকাল হামদ”।
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার জন্যই সকল প্রশংসা।
অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় চলে যাওয়া। সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে হাঁটু মাটিতে রাখা। তারপর উভয় হাতদুটি হাঁটু থেকে একহাতের মতো দূরত্বে রাখা। হাত ও পায়ের আঙুলগুলোকে কিবলামুখি দিক করে রাখুন। হাতের কনুই মাটি ও হাঁটুর সাথে যেন মিলে না যায় এমনভাবে রাখতে হবে। তারপর বৃদ্ধাঙ্গুলুদুটির মাথা বরাবর নাক রাখা। তারপর হাতদুটির মধ্যে কপাল মাটিতে রাখুন।
সিজদায় যাওয়া হয়ে গেলে সিজদার তাসবীহ পড়তে হয়। কমপক্ষে ৩বার, ৫বার ও ৭বার পড়ার নিয়মও হাদিসে রয়েছে।
সিজদার তাসবীহ: “সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা”।
অর্থ: আমার মহান প্রতিপালক যিনি সর্বশ্রেষ্ট, তারই পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
সিজদাহ দেওয়া হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে আগে মাথা উঠানো। তারপর উভয় হাত রানের উপর রেখে স্থিরভাবে বসা। স্থিরভাবে বসার পরে এই দোয়া পড়তে হয়। আবশ্যিক না, পড়াটা সুন্নত।
দুই সিজদার মাঝখানে পড়ার দোয়া: আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী।
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা দান কর, আমার প্রতি রহমত বর্ষিত কর, আমাকে হেদায়াত দান কর, আমাকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখ এবং আমাকে রিযক দান কর।
আবার তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলে দ্বিতীয় সিজদা দিন। প্রথম সিজদায় যে দোয়াটি পড়বেন দ্বিতীয় সিজদায়ও অনুরুপ সেই দোয়াটি পড়বেন। ৩বার, ৫ বার অথবা ৭বার।
এরপর সরাসরি তাকবির (আল্লাহ আকবার) বলে না বসে সরাসরি উঠে দাঁড়ানো। এভাবে এক রাকাত নামাজ পূর্ণ হলো।
দ্বিতীয় রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া সমূহ
প্রথম রাকাত শেষে দাঁড়ানোর পরে দ্বিতীয় রাকাত শুরু হয়। দ্বিতীয় রাকাতে হাত উঠাবেন না, ছানা পড়বেন না এবং আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম এই দোয়াটিও পড়বেন না। প্রথম রাকাত ছাড়া বাকি রাকাতে এই দোয়াগুলো পড়ার প্রয়োজন নাই।
শুধু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে সূরা ফাতিহা দিয়ে শুরু করুন। সূরা ফাতিহার পরে মিলিয়ে একটি সূরা পড়ুন। তারপর প্রথম রাকাতের মতো রুকু সিজদা করুন। দ্বিতীয় রাকাতে দ্বিতীয় সিজদার পরে না দাড়িয়ে ডান পা খাড়া করে বাম পা ভূমিতে বিছিয়ে তার উপর বসে পড়বেন। আপনার হাতদুটি রানের উপর এবং হাতের আঙুলগুলি কিবলামুখি করে রাখুন। এভাবে, বৈঠকে বসার পরে কিছু সূরা পড়তে হয়।
এভাবে বৈঠকে বসার পরে প্রথমে তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়তে হয়।
তাশাহহুদ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু; আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন; আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ : সকল সম্মান সম্ভাষণ, সকল ইবাদত ও সকল পবিত্রতা শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি, রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক, আমাদের ওপর এবং আল্লাহ তায়ালার নেক বান্দাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই, একমাত্র আল্লাহই ইবাদতের যোগ্য এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরে দরুদ শরীফ পরতে হয়।
দরুদ শরীফ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মদিউ, ওয়া আলা আলি মুহাম্মদিম, কামা বারাকতা আলা ইবরাহীমা, ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।
অর্থ: হে আমার রব! তুমি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর বংশধরের প্রতি রহমত বর্ষিত কর, যেমনভাবে রহমত বর্ষিত করেছিলে ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁহার বংশধরগণের উপর সেইরূপ অনুগ্রহ কর যেরূপ অনুগ্রহ ইব্রাহীম এবং তাঁহার বংশরগণের উপর করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসা ভাজন এবং মহামহিম ক্ষমতাধর।
দরুদ শরীফ পড়ার পরে দোয়া মাসুরা পড়তে হয়
দোয়া মাসূরা: আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জূনুবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লি, মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা; ওয়ার হামনি, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ তায়ালা! আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম ও অত্যাচার করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। আপনি নিজ অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি রহমত বর্ষিত করুন। নিঃসন্দেহে আপনিই ক্ষমাদানকারী, করুণাময়।
দরুদ শরীফ পাঠ শেষ হয়ে গেলে সালাম ফেরাতে হবে। সালাম ফেরানোর সময় পাশের নামাজি ব্যাক্তিদের ও ফেরেশতাদের কথা স্বরণ করুন। প্রথমে ডানে এবং পরে বামে মুখ ফিরাতে হবে।
ডানদিকে মুখ ফেরানোর সময় ডান কাঁধের সম্মুখে নজর রেখে বলতে হবে আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আবার, বামদিকে মুখ ফিরিয়ে বাম কাঁধের সম্মুখে নজর রেখে বলতে হবে আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। এভাবে আপনার দু রাকাত নামাজ শেষ হলো।
তিন রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া
যদি তিন রাকাত নামাজ আদায় করতে চান তাহলে,
- প্রথম রাকাত যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে আদায় করুন।
- দ্বিতীয় রাকাত যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে পড়ুন। তবে, দ্বিতীয় রাকাতে, দ্বিতীয় সিজদার পরে বৈঠকে বসে তাশাহহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসূরা না পড়ে শুধু তাশাহহুদ পড়ুন। তাশাহহুদ পড়ে তৃতীয় রাকাত নামাজের জন্য দাড়িয়ে যান।
- তৃতীয় রাকাতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে সূরা ফাতিহা পড়ে তার সাথে একটি সুরা মিলিয়ে পড়ুন। তারপর রুকু ও দ্বিতীয় সিজদা করে শেষ বৈঠকে বসুন।
- শেষ বৈঠকে বসে তাশাহহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসূরা পরে সালাম ফিরান।
চার রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া
যদি চার রাকাত নামাজ আদায় করতে চান তাহলে,
- প্রথম রাকাত স্বাভাবিকভাবেই পড়ুন।
- দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়ে দাড়িয়ে যান।
- তৃতীয় রাকাত নামাজ পরে দ্বিতীয় সিজদা দেওয়ার পরে সোজা দাড়িয়ে যান
- চতুর্থ রাকাতের শুরুতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়ুন। শেষ বৈঠকে বসে তাশাহহুদ, দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসূরা পড়ে সালাম ফিরান।
ফরজ ও সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়মের যে ভিন্নতা
ফরজ নামাজে শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে না। শুধু সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
অপরদিকে, সুন্নত নামাজের প্রতি রাকাতেই সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হয়।
শেষ কথা
নামাজ আল্লাহর নিকট খুবই প্রিয়। শুধু নামাজ পড়লেই হবে না। নামাজের মধ্যে শুদ্ধতা বজায় রাখতে হবে। মুসলিম হয়ে নামাজ যতটা গুরুত্বের সাথে পড়তে হবে। ঠিক ততটাই গুরুত্বের সাথে নামাজের নিয়মগুলো জেনে সেই অনুযায়ী নামাজ পড়া প্রয়োজন। সেইজন্য আজকে আপনাদের জানালাম নামাজ পড়ার নিয়ম ও দোয়া সমূহ। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের কোর্সটিকা ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারেন এই লিংক থেকে।
Discussion about this post