নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা : বিষয়টি বিতর্কের জন্য নির্বাচন করা হলেও এটি মূলত যৌক্তিক কোনো বিষয় না। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নারী কেবল ঘরই সামলায় না, রাষ্ট্রও পরিচালনা করে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জনগণ দু’জন রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে, যাঁরা নারী।
এখানে, এই বিতর্কে ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো’—এর পক্ষে এমন কিছু যুক্তি দাঁড় করানো হয়েছে, যেগুলো বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অগ্রহণযোগ্য। শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের অনুশীলনী সমাধানের জন্য আমরা এ বিতর্কের একটি নমুনা উত্তর তৈরি করেছি। আশা করছি সম্মানিত পাঠকবৃন্দ তাদের অবস্থান থেকে বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারবেন।
নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা
সময় বন্টন: পক্ষ ও বিপক্ষ উভয় দল থেকে ৩ জন বক্তার প্রত্যেকেই ৪ মিনিট করে সর্বমোট ১২ মিনিট করে সময় পাবে (মোট সময় দুই দলের জন্য, ১২×২= ২৪ মিনিট)। উভয় দলের ৬ জনের বক্তব্য শেষ হলে দুই দল থেকে দলনেতা যুক্তি খণ্ডনের জন্য দুই মিনিট করে অতিরিক্ত সময় পাবে।
সময় সতর্ককারী: একজন সময় সতর্ককারীর দায়িত্ব নাও। প্রত্যেক বিতার্কিকের সময় শেষ হবার ১ মিনিট আগে সতর্ক সংকেত এবং সময় সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ সংকেত দিবে।
বিচারক: দুইজন শিক্ষক এবং তিনজন শিক্ষার্থী নিয়ে বিচারক প্যানেল তৈরি করো। শিক্ষার্থীরা অন্য ক্লাসেরও হতে পারে | তবে নিজেদের ক্লাসের শিক্ষার্থী হলে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে এমন হতে হবে। নম্বর প্রদানের জন্য প্রত্যেক বিচারকের হাতে একটি ছক সরবরাহ করো।
পক্ষ দলের ১ম বক্তা
উপস্থিত বিচারকমণ্ডলী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ; আসসালামু-আলাইকুম। ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আজকের বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ আমি এবং আমার দল এর পক্ষে। আমি আমার বক্তব্যে এর পক্ষে অবস্থান তুলে ধরছি।
কথায় আছে, ‘বন্যরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’। কাকে কোন পরিবেশ বা কোন স্থানে মানাবে সেটা প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দিয়েছে। প্রকৃতি শিশুকে মায়ের কোলে রাখতে বলেছে, বাবার কোলে নয়। আর সেই মা-ই যদি ঘরে না থাকে, বাইরে কাজ করে—তাহলে শিশু বা যাদেরকে আগামীর ভবিষ্যৎ বলা হয়, তারা তাদের উপযুক্ত স্থানে ঠাঁই পাবে না। তারা বিপথগামী হয়ে উঠবে। তাই আমি ও আমার দল মনে করি, একজন নারীর উপযুক্ত স্থানই হচ্ছে তার সংসার।
পক্ষ দলের ২য় বক্তা
উপস্থিত বিচারকমণ্ডলী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ; আসসালামু-আলাইকুম। ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আজকের বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ আমি এবং আমার দল এর পক্ষে। ইতোমধ্যেই আমার দলের প্রথম বক্তা খুব সুন্দরভাবে নারীদের সংসার সামলানোর যৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। তার প্রদত্ত যুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে আমিও বলতে চাই, রাষ্ট্র পরিচালনা নারীর কাজ নয়।
যে সমাজ বড়দের বড় হিসেবে দেখে না, সে সমাজ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারে না। নারীরা যখন বাইরে কাজ করে, যখন তারা অফিসের বস হয়ে কাজ করে। এর ফলে মানসিকভাবেই তারা সব জায়গায় কর্তৃত্ব স্থাপন করতে যায়। তারা নিজের স্বামীরও বস হয়ে থাকতে চায়। ফলে বড়দের আর বড় রাখা হয় না। তারা ভাবে জীবন পরিচালনার জন্য সব আছে আমার। তাহলে কেন শুধু শুধু স্বামীর কথায় চলবো? তাদের এরকম চিন্তা-ভাবনার জন্য সংসারে অশান্তি বিরাজ করে। কথায় আছে, নারী যখন শাসনকর্তা হয়, তখন সে হয় খুব ভয়ঙ্কর।
তাই এ বিষয়টি স্পষ্টভাবেই বলা যায়, রাষ্ট্র পরিচালনা নয়, বরং সংসার দেখাশোনা করাই নারীর একমাত্র কর্তব্য হওয়া উচিৎ।
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা বিতর্ক class 7
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা বিতর্ক প্রতিযোগিতা পক্ষে
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা বিতর্ক পক্ষ দল
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা বিতর্ক প্রতিযোগিতা পক্ষে
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা করা বিতর্ক
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা বিতর্ক প্রতিযোগিতা বিপক্ষ দল
- নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা করা এর বিপক্ষে
পক্ষ দলের ৩য় বক্তা
উপস্থিত বিচারকমণ্ডলী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ; আসসালামু-আলাইকুম। ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আজকের বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ আমি এবং আমার দল এর পক্ষে। ইতোমধ্যেই আমার দলের দু’জন বক্তা সফলভাবে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করে গেছেন।
মাননীয় মডারেটর, আমাদের সমাজের অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা হচ্ছে- আমরা নারী এবং পুরুষকে তাদের অধিকার শেখাতে গিয়ে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেই। প্রকৃত পক্ষে, নারী-পুরুষের মধ্যকার সম্পর্ক প্রতিযোগিতামূলক নয়, বরং সহযোগিতামূলক। সমাজে নারী-পুরুষ একজন অপরজনকে সাহায্য করবে। নারী সংসার দেখবে আর পুরুষ দেখবে রাষ্ট্র, এর মানে এটা নয় যে, এখানে নারীকে ছোট করে দেখা হচ্ছে।
নারী এবং পুরুষের শারীরিক গঠন ভিন্ন, ভিন্ন তাদের কর্মক্ষমতা। ঘরের/সাংসারিক কাজগুলো পুরুষের তুলনায় নারী খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারে। অপরদিকে বাইরের কাজগুলোর জন্য পুরুষেরা মানানসই। আমি এমনটি বলছি না যে, নারীর সাংসারিক কাজগুলো পুরুষ করতে পারে না বা পুরুষের বাইরের কাজগুলো নারী করতে পারে না।
উভয়ই উভয়ের কাজ করতে পারবে তবে যে ব্যক্তি বা যারা যে কাজে দক্ষ তাদের সেই কাজে যুক্ত করলে কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। তাই আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, নারীকে তার সংসার চালানোর দিকেই মনোনিবেশ করা উচিত। এর ফলে সংসার-সমাজ-রাষ্ট্র তার ভারসাম্যপূর্ণ গতিতে চলতে পারবে।
নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা বিপক্ষ দল
বিপক্ষ দলের ১ম বক্তা
উপস্থিত বিচারকমণ্ডলী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ; আসসালামু-আলাইকুম। ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আজকের বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ আমি এবং আমার দল এর বিপক্ষে। আমি আমার বক্তব্যে এর বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরছি।
মাননীয় মডারেটর, নারী যে শুধুমাত্র ঘর সামলাবে —বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এটি খুবই হাস্যকর একটি ধারণা। আজ থেকে পাঁচ-ছয়শত বছর পূর্বেও যদি এমনটি চিন্তা করা হতো, তাহলেও হয়তো মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু একবিংশ শতাব্দির এ আধুনিক সময়ে এসে নারীকে শুধুমাত্র ঘর সামলানোর উপযোগি মনে করা নারীদের প্রতি দাসত্বপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শনের বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি।
নারীরা কেবল ঘরই সামলায় না, রাষ্ট্রও সামলায়। আর শুধু রাষ্ট্রই না, বরং বিশ্ব দরবারে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও নারীদের রয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশে সফল দুজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছি, একজন হচ্ছে —বেগম খালেদা জিয়া এবং অপরজন শেখ হাসিনা। এরা উভয়ই নিজ নিজ জায়গা থেকে রাষ্ট্রপরিচালনায় দক্ষতা দেখিয়েছেন। সুতরাং একজন নারী যদি সুযোগ পায়, তাহলে সে তার জ্ঞান-বুদ্ধি ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সফলতার চরম শিখরে উঠতে পারে। তাই আমি নির্দিধায় বলতে চাই, সংসারই নারীর একমাত্র গন্তব্যস্থল হওয়া উচিত নয়।
বিপক্ষ দলের ২য় বক্তা
উপস্থিত বিচারকমণ্ডলী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ; আসসালামু-আলাইকুম। ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আজকের বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ ইতোমধ্যেই আমার দলের প্রথম বক্তা বিষয়টির বিপক্ষে তার জোরাল অবস্থান তুলে ধরেছেন।
মাননীয় মডারেটর, বর্তমান সময়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী সারাবিশ্বব্যপী আলোড়ন তৈরি করছে। আমাদের সমাজে নারীদেরকে কেবল গৃহীণি হিসেবে জ্ঞান করা হয় এবং তারা কোনো কাজ করে না বলে অভিহিত করা হয়। অথচ, নারীর কাজ পুরুষের তুলনায় কোনো অংশে কম না।
ইতিহাসে আমরা এমন অনেক নারীকে দেখতে পাই যারা তাদের যোগ্যতা দিয়ে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। এমনই একজন হচ্ছেন বেগম রোকেয়া। তিনি ১৮ শতকের সেই রক্ষণশীল সমাজে থেকেও আমাদের বুঝিয়ে গেছেন যে, নারী শুধুমাত্র ঘরে বসে থাকার জন্য জন্মায়নি। বরং নারীর কাছ থেকেও সমাজ তথা রাষ্ট্রের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। আর তাই রাষ্ট্র ও জনজীবনের মূলধারায় উন্নয়ন বজায় রাখতে চাইলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সবশেষে আমি বিচারকম-লীর প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি—‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ এ বিষয়টি বিপক্ষ-দলকে বিজয়ী ঘোষণার জন্য
বিপক্ষ দলের ৩য় বক্তা
উপস্থিত বিচারকমণ্ডলী, শিক্ষকবৃন্দ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ; আসসালামু-আলাইকুম। ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আজকের বিতর্কের বিষয়বস্তু হচ্ছে- ‘নারীর কাজ ঘর সামলানো আর পুরুষের কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা।’ ইতোমধ্যেই আমার দলের দু’জন বক্তা খুব চমৎকার ভাবে উদাহরণসহ দেখিয়ে গেছেন যে, পক্ষদলের যুক্তিগুলো কতটা অগ্রহণযোগ্য।
মাননীয় মডারেটর, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম আর নারী-পুরুষের সমতার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার উপরে। দেশে ২৮ বছর ধরে রাষ্ট্র পরিচালনায় রয়েছেন নারীরা। অথচ, এখনো কিনা শুনতে হয় নারীর কাজ কেবলই ঘর সামলানো। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আমরা অনেক দেশের আগে অবস্থান করছি।
নারী উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নারীর ক্ষমতায়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কেননা, নারীরাও পুরুষের মতোই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়। তারা রাজনীতি, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়।
মাননীয় মডারেটর, ঘর সামলানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু এটি নারীর একার এবং একমাত্র কাজ নয়। নারীরাও পুরুষের মতোই অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে এবং সফল হতে পারে। তাই নারীর কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে সমতা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
এছাড়াও ঘর সামলানোর কাজটি শুধু নারীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটি পুরুষতান্ত্রিক ধারণা। নারীরাও পুরুষের মতোই কাজের বাইরে অন্যান্য কাজে সময় দিতে চায়। তারা নিজের পছন্দের কাজ করতে চায়, নিজের প্রতিভা বিকাশ করতে চায়।
নারীর কাজের ক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে সমতা প্রতিষ্ঠা করা হলে নারীরাও পুরুষের মতোই স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।
তারা নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবে এবং নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে পারবে। তাই সবশেষে আমি বলতে চাই, নারী সংসার সামলাবে, রাষ্ট্রও পরিচালনা করবে। তবেই সমাজে ভারসাম্য আসবে। আর এটা আমাদের সকলের মেনে নেওয়া উচিৎ।
আরো দেখো: ৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অন্যান্য বিতর্ক দেখো
শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে আমাদের YouTube চ্যানেলটি SUBSCRIBE করতে পারো এই লিংক থেকে।
Discussion about this post