নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | নারী কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত। সাম্যবাদী কবি “নর-নারী” উভয়কেই মানুষ হিসেবে দেখেন। তিনি জগতে নর ও নারীর সাম্য বা সমান অধিকারে আস্থাবান তার মতে, পৃথিবীতে মানবসভ্যতা নির্মাণে নারী ও পুরুষের অবদান সমান।
কিন্তু ইতিহাসে পুরুষের অবদান যতটা লেখা হয়েছে নারীর অবদান ততটা লেখা হয় নি। কিন্তু এখন দিন এসেছে সম অধিকারের । তাই নারীর ওপর নির্যাতন চলবে না, তার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করা চলবে না। নারী-পুরুষ সবাইকে সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচনা করতে হবে সম্মিলিতভাবে।
নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল—১: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নারীদের প্রেরণাদায়ক একটি নাম আনোয়ারা। একজন নারী হয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজ করেছেন। সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ তিনি কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করেছেন। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে তিনি অন্য পুরুষ সহকর্মীদের কাছ থেকে যথাযথ সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছেন। নারী বলে কোথাও তাকে সমস্যায় পড়তে হয় নি।
ক. ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
খ. কবি বর্তমান সময়কে ‘বেদনার যুগ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
গ. আনোয়ারার কার্যক্রমে ‘নারী’ কবিতার যে দিকটি উদ্ভাসিত হয়েছে তার বর্ণনা দাও।
ঘ. উদ্দীপকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটলেও ‘নারী’ কবিতায় কবি আরও বেশি বাঙ্ময়—বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘নারী’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
খ. কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্তমান সময়কে ‘বেদনার যুগ’ বলে নারীর প্রতি সমাজের অবিচার ও বৈষম্যের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, নারীরা শোষিত ও বন্দী অবস্থায় রয়েছে, তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, আর পুরুষ-প্রধান সমাজ তাদের অধিকার বঞ্চিত করেছে। তবে কবি আশাবাদী যে এই বৈষম্যের যুগ শেষ হবে এবং সাম্যের যুগ আসবে, যেখানে কেউ আর কারও দাস থাকবে না।
গ. উদ্দীপকের আনোয়ারার কার্যক্রমে কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতার সাম্যের আদর্শ ও নারীর অবদান প্রতিফলিত হয়েছে।
কবি এই কবিতায় বলেছেন, বিশ্বে যা কিছু কল্যাণকর ও গৌরবময়, তার অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষের অবদান। ইতিহাসে পুরুষদের অর্জনের কথা লিখিত থাকলেও, নারীদের আত্মত্যাগ ও অবদান প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে নারীরা তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। আনোয়ারা একজন নারী হয়েও দক্ষতার সঙ্গে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশে নির্বাচন-সংক্রান্ত গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
তিনি পুরুষ সহকর্মীদের সহযোগিতা পেয়েছেন এবং নারী হওয়ার কারণে কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হননি। এটি প্রমাণ করে যে বর্তমান যুগ সাম্যের যুগ, যেখানে নারী ও পুরুষ একসঙ্গে কাজ করতে পারে এবং সফলতা অর্জন করতে পারে। কবির ভাষায়, “কোনো কালে একা হয় নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি, প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।”
তাই বলা যায়, আনোয়ারার কর্মকাণ্ড ‘নারী’ কবিতার চেতনার সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত, যেখানে নারীকে কেবল অবলা ভাবা হয়নি, বরং সে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
ঘ. উদ্দীপকে কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতার সাম্যের আদর্শের প্রতিফলন ঘটলেও, কবিতা তুলনামূলকভাবে আরও বিস্তৃত ও বাক্সময়।
উদ্দীপকের আনোয়ারা তার কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, নারী-পুরুষের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি নির্বাচন পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন, যা নারীর সামর্থ্য ও প্রাপ্য সম্মানের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটি ‘নারী’ কবিতার সেই চেতনাকে তুলে ধরে, যেখানে কবি বলেছেন—“বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
তবে কবিতায় নজরুল কেবল নারী-পুরুষের সাম্যের কথা বলেননি, বরং ইতিহাসের অবিচার ও নারীর প্রতি দীর্ঘদিনের বৈষম্যের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পুরুষের বীরত্বের ইতিহাস লেখা হলেও নারীর আত্মত্যাগ ও ত্যাগের কথা সেভাবে স্বীকৃতি পায়নি—“কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।” তিনি নারীর প্রতি অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যুগ বদলাচ্ছে, পুরুষ যদি নারীকে বন্দী রাখে, তবে ভবিষ্যতে সেই অন্যায়ের ফল তাকেই ভোগ করতে হবে।
অন্যদিকে, উদ্দীপকের আনোয়ারার জীবনচিত্রে নারীর এই সংগ্রাম ও বৈষম্যের বিষয়টি ততটা স্পষ্ট নয়। এখানে নারীর ক্ষমতায়ন ও সাম্যের বিষয়টি ফুটে উঠলেও, কবিতার মতো অতীতের অবিচার, নারী নিপীড়ন এবং সংগ্রামের কথা ততটা বাঙ্ময়ভাবে প্রকাশিত হয়নি। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কবির অনুভূতির প্রতিফলন ঘটলেও, ‘নারী’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম আরও স্পষ্টভাবে নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের দাবি করেছেন এবং নারীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরেছেন।
সৃজনশীল—২: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সচ্ছল পরিবারে জন্ম নিয়েও শায়লা শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিল। অথচ তার এক বছরের বড় ভাইকে কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়নি। বরং উৎসাহ পেয়েছে। নারীর পরম ধর্ম হলো স্বামীর সেবা করা ও সংসারের দায়িত্ব পালন করা—এরূপ মতবাদে বিশ্বাসী শায়লার বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়, তখন শায়লা অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে। শত দুঃখে স্বামীর ঘরে এসেও শায়লা থেমে থাকেনি। কঠিন ব্রত নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে। তারপর ভর্তি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শায়লা এখন আইনের ছাত্রী। নিজের সাফল্যে সে বুঝতে পেরেছে ছেলে হোক, মেয়ে হোক—মেধাকে অবহেলা করা পাপের শামিল।
ক. স্মৃতিস্তম্ভ কার জন্য রচিত হয়েছে?
খ. ‘বিজয়-লক্ষ্মী নারী’—চরণটি ব্যাখ্যা কর।
গ. শায়লার প্রতি তার পরিবারের আচরণে ‘নারী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শায়লার কর্মকা- ও দৃষ্টিভঙ্গি ‘নারী’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন কর।
২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. স্মৃতিস্তম্ভ বীরদের জন্য রচিত হয়েছে।
খ. ‘বিজয়-লক্ষ্মী নারী’—চরণটিতে জয়ের নিয়ন্তা দেবী হিসেবে নারীকে কল্পনা করা হয়েছে।
পুরুষ যে অনুপ্রেরণা, সাহস ও শক্তির বলে বিজয় অর্জন করে তার মূলে রয়েছে নারী। দুঃসময়ে যে সাহস আর সেবা বিশেষ প্রয়োজন, তা আমরা নারীদের কাছেই পেয়ে থাকি। আমরা যারা বিভিন্ন কাজে মেধা ও সাফল্যের পরিচয় দিই, তা মূলত আমাদের মা, বোন আর স্ত্রীদের থেকে প্রাপ্ত সেবা, সাহস আর অনুপ্রেরণার কারণেই সম্ভব হয়।
গ. শায়লার প্রতি তার পরিবারের আচরণে ‘নারী’ কবিতায় নর কর্তৃক নারীর অবহেলার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
‘নারী’ কবিতায় কবি নারীদের প্রতি নরের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তুলেছেন। পুরুষ-নারীদের কখনো স্বীকৃতি দিতে চায় না। তারা নারীদেরকে অবজ্ঞা আর অবহেলার দৃষ্টিতে দেখে। ইতিহাসে আজ পর্যন্ত যত বড় বড় অভিযান সংঘটিত হয়েছে, তার কোনোটাতেই নারীর অবদান কম নয়। মায়ের মমতা, বোনের সেবা আর বধূর অনুপ্রেরণার কারণে পুরুষের তরবারি জয়ী হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত নারীর বিজয় ইতিহাস কোথাও লেখা হয় নাই।
উদ্দীপকের শায়লা অবস্থাপন্ন পরিবারের মেয়ে। পড়ালেখায় সে বেশ মেধাবী। কিন্তু অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর তার জীবনে প্রতিবন্ধকতা নেমে আসে। শায়লার বাবা মনে করেন, মেয়েদের জন্ম হয়েছে স্বামীর সংসার সাজানোর জন্য। সেই নিমিত্তে শত আপত্তি সত্ত্বেও শায়লাকে বিয়ে করতে হয়। শায়লা শুধু আমাদের সমাজে বা আমাদের পৃথিবীতে নারী বলেই এ প্রতিবন্ধকতায় পড়েছে। শায়লার এক বছরের বড় ভাই দিব্যি পড়াশোনা করছে। পরিবার থেকে তার উপর কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। মূলত শায়লার এ প্রতিবন্ধকতার জন্য আমাদের পুরুষ সমাজের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গিই দায়ী। ‘নারী’ কবিতার এ দিকটি উদ্দীপকের শায়লার প্রতি তার পরিবারের আচরণে ফুটে উঠেছে।
ঘ. শায়লার কর্মকাণ্ড ও দৃষ্টিভঙ্গি যথার্থ ও প্রশংসার দাবিদার।
‘নারী’ কবিতায় কবি যুগের পরিবর্তনে নারীর জেগে ওঠা অবদানকে তুলে ধরেছেন। এক যুগে নারীরা ছিল পুরুষের কাছে শুধু দাসী। কিন্তু সে যুগ এখন অতীত, আজকের যুগ মানবতার যুগ, সাম্যের যুগ, জেগে ওঠার যুগ। যুগের এ আহ্বান নারীদের কানে পৌঁছেছে। তারা অবশ্যই রণভেরির মতো জেগে উঠবে। পৃথিবীতে প্রমাণ করবে নিজেদের মেধা আর সক্ষমতাকে। হাজার বছরের বৈষম্য মুছে যাবে সব জাগরণের কাছে।
উদ্দীপকের শায়লা সচ্ছল পরিবারের মেয়ে। মেধাবী শায়লা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর পরিবারের হীনম্মন্য মানসিকতায় শিকার হয়ে অবশেষে স্বামীর সংসারে প্রবেশ করে। কিন্তু শায়লা থেমে থাকেনি। প্রকৃতপক্ষে জেগে ওঠার চেতনা তাকে থামতে দেয়নি। শত দুঃখ সহ্য করেও সে মেধার স্ফুরণ ঘটিয়েছে। কঠিন ব্রত নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ভর্তি হয়েছে। শায়লা এখন নিজের অধিকার সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন। বাবার বাড়িতে সে যে প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে, সে প্রতিবন্ধকতাকে শায়লা ঘৃণা করে। তার মতে, ছেলে হোক মেয়ে হোক—মেধাকে অবহেলা করা পাপের শামিল।
উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, পরিবার ও সমাজের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শায়লা নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। সুতরাং বলা যায় যে, শায়লার কর্মকা- ও দৃষ্টিভঙ্গি ‘নারী’ কবিতার আলোকে যথার্থ।
নারী কবিতা কাজী নজরুল ইসলাম
সৃজনশীল—৩: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিলামওয়ালা : (হাত বাঁধা এক যুবতিকে নির্দেশ করে) আসুন ভাই, কাচের দামে হীরা কিনে নিন। এই সাঁওতাল তাগড়া তরুণী দুই মরদের সমান পরিশ্রম করবে, উদয়াস্ত পরিশ্রম করবে। দাম মাত্র এক হাজার………..এক হাজার………..এক হাজার।
১ম ক্রেতা : বলে কী! এত্তো দাম! ছয়শত টাকা।
২য় ক্রেতা : সাতশত টাকা (বাম হাতে যুবতির গায়ে সজোরে চিমটি কাটবে। যুবতি নির্বাক)
৩য় ক্রেতা : নয়শত টাকা। দেখে তাগড়া মনে হচ্ছে।
নিলামওয়ালা : নয়শত…..এক…..নয়শত দুই…..নয়শত…..
চতুর্থ ক্রেতা : এক হাজার একশত টাকা।
দ্বিতীয় অংশ : বর্তমান যুগ।
ম্যানেজার : আসুন ম্যাডাম, অফিসের প্রথম দিন কেমন লাগছে?
মহিলা : ভালোই তো, চারদিক বেশ ফিট্ফাট।
ম্যানেজার : ম্যাডাম, কাজের কথা বলি। আপাতত আপনার বেতন বিশ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। দুই মাস পর চল্লিশ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। আপনি কি সন্তুষ্ট?
মহিলা : ধন্যবাদ।
ক. যে যুগে নারীরা দাসী ছিল, সে যুগ কী হয়েছে?
খ. “কেহ রহিবে না বন্দি কাহারও”—চরণটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশের সঙ্গে ‘নারী’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. “উদ্দীপকের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, ‘নারী’ কবিতায়ও তা প্রকাশ পেয়েছে।”—বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল—৪: নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনৈক সমালোচকের মতে—ব্রিটিশ ভারতে বঙ্গীয় মুসলমান নারীসমাজ ছিল অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় বিধিনিষেধের নিগড়ে আবদ্ধ। নিরক্ষরতা, অশিক্ষা ও সামাজিক ভেদ-বুদ্ধিও ছিল তাদের জন্য নিয়তির মতো সত্য। অবরুদ্ধ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক অসহায় জীবে তারা পরিণত হয়েছিলেন। এদেরকে আলোর জগতে আনার জন্য রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার বক্তব্য— ‘আমরা সমাজেরই অর্ধাঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কীভাবে? কোনো এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে একই।’
ক. কাজী নজরুল ইসলামকে কত সালে এ দেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়?
খ. ‘সাম্যের গান’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. জনৈক সমালোচকের মতটি ‘নারী’ কবিতার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ—ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘বেগম রোকেয়ার বক্তব্য যেন কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতারই প্রতিধ্বনি’—উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
আরও দেখো—অষ্টম শ্রেণির বাংলা সকল গল্প-কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে নারী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে। পিডিএফ ফরমেটে উত্তরমালা সংগ্রহের জন্য ‘Answer Sheet’ অপশনে ক্লিক করো।
Discussion about this post