নিজের মতো লিখি : এই পাঠে শিশুর কৌতূহল, প্রকৃতির সৌন্দর্য ও প্রাণীদের প্রতি মমত্ববোধ তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম অংশে রাতের আকাশ, তারার আলো ও শিশির কণার দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে শব্দ বসানোর মাধ্যমে ছন্দময়তা শেখানো হয়েছে।
এখানে প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ যেমন রোদ, মেঘ, পাখির গান ও বৃষ্টির শব্দ এসেছে। শেষ অংশে একটি বিড়ালছানার সঙ্গে শিশুর মজার সংলাপ রয়েছে। শিশুটি বিড়ালের ক্ষুধা মেটাতে দুধ দেয়, যা তার দয়ার পরিচয়। এই পাঠ শিশুকে প্রকৃতির প্রতি সচেতনতা, ছন্দের প্রতি ভালোবাসা ও প্রাণীদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়।
নিজের মতো লিখি
পড়ি
আকাশ জুড়ে হাজার তারা,
চাঁদের আলো হাসে।
রাতের বেলার শিশির কণা
গড়িয়ে পড়ে ঘাসে।
শব্দ বসাই
রোদ উঠেছে, রোদ উঠেছে,
মেঘ গিয়েছে দূরে।
গাছের ছায়ায় পাতার নাচন
গাইছে পাখি ________। (সুরে/ঘুরে)
বৃষ্টি এলো, বৃষ্টি এলো,
কাঁপল পাতা বাঁশের বন।
বঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো,
তাই না দেখে নাচছে ________। (ঘন/মন)
পড়ি
ছুটির দিন। ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ শুনি মিউ মিউ শব্দ। জেগে উঠে দেখি ঘরের ভেতর ছোট্ট একটা বিড়ালছানা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী চাই? বিড়ালটি বলল, মিউ মিউ। আমি বললাম, ক্ষুধা লেগেছে? বিড়ালটি আবার বলল, মিউ মিউ। বললাম, কী খাবি?
বিড়ালটি কিছু বলল না। আমি ওকে এক বাটি দুধ দিলাম। বিড়ালটি চুকচুক করে দুধ খেলো। বললাম, পেট ভরেছে? বিড়ালছানা বলল, মিউ মিউ। আমি বললাম, আবার মিউ।
এই অধ্যায়ের অনুশীলনীমূলক কাজ
১। নিজের মতো শব্দ বসিয়ে লিখি
ভোর বেলা। পাখি ডাকছে। ভাবছি, পাখিটা ________। আমি ________ ? পাখি বলল, কুউ কুউ! বললাম, তোমার ________ কী? পাখি বলল, ________ । আমি বললাম, এই নাও বিস্কুট। পাখিটা কুটকুট করে বিস্কুট। পাখিটা কুটকুট করে বিস্কুট ________। তারপর ________।
◉ আরও দেখুন: তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ের সকল গল্প-কবিতার সমাধান
শিক্ষার্থীরা, উপরে তোমাদের বাংলা মূল বই থেকে নিজের মতো লিখি আলোচনা করা হয়েছে। এই অধ্যায়ের অনুশীলনীমূলক কাজগুলোর সমাধান পেতে উপরের উত্তরমালা অপশনে ক্লিক করো। এছাড়াও তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে অনুশীলন করার পরামর্শ থাকবে।
Discussion about this post